গবাদি প্রাণির বয়স লিঙ্গ ও ব্যবহারভেদে নামকরণ – পাঠটি বাউবি “কৃষি শিক্ষা ২য় পত্র” ইউনিট – ১১ , পাঠ – ১১.২। বয়স, লিঙ্গ ও ব্যবহারভেদে বিভিন্ন ধরনের গবাদি প্রাণিকে বিভিন্ন ভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
Table of Contents
গবাদি প্রাণির বয়স লিঙ্গ ও ব্যবহারভেদে নামকরণ
যেমন
ক) গরু (Cattle)
১. গরু : স্ত্রী ও পুরুষ উভয় লিঙ্গের গরু জাতিকে সাধাারণ কথায় গরু বলা হয়।
২. বাছুর: গাভীর স্ত্রী ও পুরুষ উভয় বাচ্চাকে বাছুর বলা হয়।
৩. এঁড়ে বাছুর: এক বছরের কম বয়সের পুরুষ বাচ্চাকে এঁড়ে বাছুর বলা হয়।
৪. বকনা বাছুর: এক বছরের কম বয়সের স্ত্রী বাচ্চাকে বকনা বাছুর বলা হয়।
৫. ইয়ারলিং ষাঁড়: এক থেকে দুই বছর বয়স্ক ষাঁড় বাছুরকে ইয়ারলিং ষাঁড় বলা হয়।
৬. বকনা: এক বছর বয়স থেকে প্রথম বাচ্চা দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়ের স্ত্রী গরুকে বকনা বলা হয়।
৭. গো—পাল: এ সাথে অনেক গরু থাকলে বা চড়লে তাকে গো—পাল বলা হয়।
৮. গাভী: প্রথম বাচ্চা প্রসব করার পরই স্ত্রী গরুকে গাভী বলা হয়।
৯. ষাঁড়: প্রজননক্ষম পুরুষ (মদার্) গরুকে ষাঁড় বলা হয়।
১০. স্ট্যাড ষাঁড়: প্রজননের জন্য রক্ষিত প্রাপ্তবয়স্ক ষাঁড়কে স্ট্যাড ষাঁড় বলা হয়।
১১. বলদ: প্রজননশক্তি রহিত খোঁজা করা পুরুষ গরুকে বলদ বলা হয়।
১২. বিফ: প্রাপ্তবয়স্ক গরুর মাংসকে বিফ বলা হয়।
১৩. ভীল: জন্ম থেকে তিন মাস বয়স্ক বাছুরের মাংসকে ভীল বলা হয়।
১৪. বুলার: যে গাভী সবসসয় গরম অবস্থায় থাকে তাকে বুলার বলা হয়।
১৫. স্টিয়ার: খোজাকৃত এঁড়ে বাছুর।
১৬. বেবি কাফ: ছয়—সাত সপ্তাহ পর্যন্ত বয়স্ক বাছুরকে বেবি কাফ বলা হয়।
১৭. স্লিঙ্ক কাফ: জবাইকৃত গাভীর জরায়ুতে যদি কোন বাচ্চা পাওয়া যায় তাকে স্লিঙ্ক কাফ বলে।
খ) মহিষ: (Buffalo)
১. মহিষ: স্ত্রী ও পুরুষ উভয় লিঙ্গের মহিষ জাতিকে সাধার রকথায় মহিষ বলা হয়।
২. বাফেলো কাফ: মহিষের স্ত্রী ও পুরুষ উভয় বাচ্চাকে বাফেলো কাফ বলা হয়।
৩. বাফেলো বুল কাফ: মহিষের অপ্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বাছুরকে বাফেলো বুল কাফ বলা হয়।
৪. বাফেলো হেইফার কাফ: মহিষের অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্ত্রী বাছুরকে বাফেলো হেইফার কাফ বলা হয়।
৫. সি বাফেলো: গাভী মহিষেকে সি বাফেলো বলা হয়।
৬. বাফেলো বুল: প্রজননশক্তিসম্পন্ন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ মহিষকে বাফেলো বুল বলা হয়।
৭. বাফেলো বুলক: প্রজননশক্তি রহিত খোঁজা করা প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ মহিষকে বাফেলো বুলক বলা হয়।
৮. বাফেন: মহিষের মাংসকে বাফেন বলে।
গ) ছাগল (Goat)
১. ছাগল: স্ত্রী ও পুরুষ উভয় লিঙ্গের ছাগল জাতিকে সাধারণ কথায় ছাগল বলা হয়।
২. কিড: নবজাতক ছাগল ছানাকে কিড বলা হয়।
৩. বাকলিং: অপ্রাপ্তবয়স্কক পুরুষ ছাগলকে বাকলিং বলা হয়।
৪. গোটলিং: অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী ছাগলকে গোটলিং বলা হয়।
৫. ডো: বাচ্চা দেওয়া প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী ছাগলকে ডো বলা হয়।
৬. পাঁঠা: প্রজননক্ষম পুরুষ ছাগলকে পাঁঠা বা বাক বলা হয়।
৭. খাসি: প্রজননশক্তি রহিত খোঁজা করা পুরুষ ছাগলকে খাসি বলা হয়।
৮. ছাগল পাল: একসাথে অনেকগুলো ছাগল চরলে তাকে ছাগল পাল বলা হয়।
৯. চেভন: ছাগলের মাংসকে চেভন বলে।
১০. মাাটন: পূর্ণবয়স্ক খাসির মাংসকে মাটন বলা হয়।
ঘ) ভেড়া বা মেষ (Sheep)
১. ভেড়া: স্ত্রী ও পুরুষ উভয় লিঙ্গের ভেড়া জাতিকে সাধারণ কথায় ভেড়া বা মেষ বলা হয়।
২. মেষশাবক: এক বছরের কম বয়সের ভেড়ার বাচ্চাকে মেষশাবক বলে।
৩. ভেড়ি: পূর্ণবয়স্ক বাচ্চা প্রদানকারী স্ত্রী ভেড়াকে ভেড়ি বলা হয়।
৪. ভেড়াশাবক: ভেড়ির পুরুষ বাচ্চাকে ভেড়াশাবক বলা হয়।
৫. ভেড়িশাবক: ভেড়ির স্ত্রী বাচ্চাকে ভেড়িশাবক বলা হয়।
৬. হোয়েদার: প্রজননশক্তি রহিত অর্থাৎ খোঁজা করা পুরুষ ভেড়াকে হোয়েদার বলা হয়।
৭. সেগি: প্রজনন কাজে ব্যবহারের পর খোঁজা করা পুরুষ ভেড়াকে সেগি বলা হয়।
৮. র্যাম: প্রজননক্ষম পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ভেড়াকে র্যাম বা টুপ বলা হয়।
৯. মেষ পাল: একসাথে অনেকগুলো মেষ থাকলে তাকে মেষপাল বলা হয়।
১০. মাটন: ভেড়ার মাংসকে মাটন বলা হয়।
১১. ইলড: যে ভেড়ি কোনদিন বাচ্চা প্রসব করেনি তাকে বাজা বা বন্ধ্যা ভেড়ি বা ইলড বলা হয়।
১২. টুপ: প্রজননক্ষম পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ভেড়াকে টুপ বলে।
১৩. ল্যাম্ব: এক বছরের কম বয়সের মেষের বাচ্চাকে ল্যাম্ব বা বাচ্চা মেষ বলে।
১৪. ক্রোন: যে ভেড়িকে অধিক বয়স পর্যন্ত বাচ্চা উৎপাদনে নিয়োজিত রাখা হয়, তাকে ক্রোন বা বীজ ভেড়ি বলে
ঙ) ঘোড়া
১. হর্স: স্ত্রী ও পুরুষ উভয় লিঙ্গের ঘোড়া প্রজাতিকেই হর্স বা বলা হয়।
২. স্টালিয়ন: প্রজনন কাজে ব্যবহৃত পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ঘোড়াকে স্টালিয়ন বা পালের গোদা বলা হয়।
৩. গেলডিং: দুই বছর বয়সের আগে যে পুরুষ ঘোড়াকে খোঁজা করা হয়োছে তাকে গেলডিং বলা হয়।
৪. কোল্ট: এক বছরের বেশি অপ্রাপ্ত বয়সের পুরুষ ঘোড়াকে ঘোটক বা কোল্ট বলা হয়।
৫. কোল্ট ফোল: এক বছরের কম বয়সের ঘোড়ার পুরুষ বাচ্চাকে মর্দা বাচ্চা বা কোল্ট ফোল বলা হয়।
৬. ফিলি: এক বছরের অধিক অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্ত্রী ঘোড়াকে ফিলি বলা হয়।
৭. ফিলি ফোল: এক বছরের কম বয়সের মাদি বা ঘোটকি বাচ্চাকে বাচ্চা ঘোটকী বা ফিলি ফোল বলা হয়।
৮. মেয়ার: প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী জাতীয় ঘোড়াকে ঘোটকি বা মেয়ার বলা হয়।
আরও দেখুন :