গবাদি প্রাণির পরজীবীজনিত রোগ (Parasitic ) , কৃষি শিক্ষা ২য় পত্র , ইউনিট – ১৩ , পাঠ – ১৩.৪ , গবাদি প্রাণির পরজীবীজনিত রোগ যেসব প্রাণী অন্য প্রাণীর ওপর আশ্রয় নিয়ে জীবনধারন করে তাকে পরজীবী বলে। গবাদি প্রাণির পরজীবী দ্বারা যেসব রোগ হয় তাদেরকে পরজীবীজনিত রোগ বলে। বহু পরজীবী গৃহপালিত গবাদি প্রাণির ওপর জীবনধারণ করে। এসব পরজীবী যে সব প্রাণীর ওপর জীবনধারন করে তাদের কোনো উপকার করে না বরং অনেক ক্ষতিসাধন করে থাকে। গবাদি প্রাণির পরজীবীকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা—অন্তঃপরজীবী ও বহিঃপরজীবী।
Table of Contents
গবাদি প্রাণির পরজীবীজনিত রোগ (Parasitic disease) , কৃষি শিক্ষা ২য় পত্র , ইউনিট – ১৩ , পাঠ – ১৩.৪
১) অন্তঃপরজীবী
এরা কৃমি নামে পরিচিত। এরা পোষক দেহের ভিতরে অবস্থান করে। এদেশে প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ গৃহপালিত গবাদি প্রাণি কৃমিতে আক্রান্ত হয়। অন্তঃপরজীবীকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা— গোলকৃমি, ফিতাকৃমি ও পাতাকৃমি।
গোলকৃমি
গবাদি প্রাণিকে বহু ধরনের গোলকৃমি আক্রমণ করে থাকে। যেমন— ছোট বাদামি পাকস্থলীর কৃমি, ছোট চুলকৃমি, ছোট অন্ত্রনালির কৃমি, বক্রকৃমি, চিকনগলা অন্ত্রনালির কৃমি, বড় পাকস্থলির কৃমি, সুতাকৃমি, ক্ষুদ্রপিত্ত কৃমি, কেঁচোকৃমি, বা বড় গোলকৃমি, ফুসফুসের কৃমি।
রোগের লক্ষণ
১. গবাদি প্রাণি পুষ্টিহীনতায় আক্রান্ত হয়।
২. গবাদি প্রাণির ক্ষুধামন্দা দেখা যায়।
৩. শরীরের ওজন কমতে থাকে।
৪. গায়ের লোম রুক্ষ দেখায়।
৫. পাতলা পায়খানা হয়।
৬. রক্তশূন্যতা দেখা দেয় এবং গবাদি প্রাণি মারা যায়।
১. দুর্গন্ধযুক্ত পাতলা পায়খানা হয়।
২. রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
৩. গবাদি প্রাণির দৈহিক ওজন কমে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
১. নিচু জমি ও ড্রেনের ঘাস খাওয়ানো যাবে না।
২. কৃমির মাধ্যমিক পোষক শামুকের সংখ্যা হ্রাস ও ধ্বংস করতে হবে।
৩. কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়াতে হবে। অথবা গবাদি প্রাণি চিকিৎসকের পরামর্শমত ব্যবস্থা নিতে হবে। হ্যাম্পসোর (ঐঁসঢ়ংড়ৎব)
রোগের কারণ: গোল কৃমি।
রোগের লক্ষণ:
১. গবাদি প্রাণিরচুড়ায়, কাঁধে, কানের গোড়ায় ও শিং এর গোড়ায় ক্ষত হয়।
২. ক্ষতস্থান চুলকায়। শক্ত খুঁটি বা গাছের সাথে গবাদি প্রাণি ঘা ঘষতে থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:
১. ক্ষতস্থানে মাছি বসতে না পারে সে জন্য ক্ষতস্থান ঢেকে রাখতে হবে।
২. নেগুভোন বা এসানটাল ক্ষতস্থান লাগাতে হবে।
মনিজিয়াসিস রোগের কারণ: ফিতা কৃমি
রোগের লক্ষণ:
১. পেটের পীড়া দেখা দেয়।
২. হজমে বিঘ্ন ঘটে এবং পেট ফুলে যায়।
৩. শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হ্রাস পায় ও কৃশকায় হয় ।
৪. শরীরে পানি জমে এবং রক্তশুন্যতা দেখা দেয়।
৫. মলের সাথে ভাতের মত দেখতে কৃমির টুকরা অংশ বের হয়ে আসে।
রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
১. গবাদি প্রাণি চারণক্ষেত্রে চরানো যাবে না।
২. লেড আর্সিনেট ২০—২৫ মিলিগ্রাম প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য প্রয়োগ করতে হবে। অথবা নিক্লোসেমাইড ৫০—৭৫ মিলিগ্রাম প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য প্রয়োগ করতে হবে।
রোগের লক্ষণ:
১. আক্রান্ত গবাদি প্রাণি পানির মতো পাতলা পায়খানা করে।
২. দেহের ওজন আস্তে আস্তে কমে যাায়।
৩. পানিশূন্যতা ও রক্তশূন্যতা দেখা যায়।
৪. চোখ কোটরে ঢুকে যায় ও পিপাসা বেড়ে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:
১. নিচু জমি বা ড্রেনের পাশর ঘাস খাওয়ানো যাবে না।
২. কৃমির মাধ্যমিক পোষক শামুকের সংখ্যা হ্রাস বা ধ্বংস করতে হবে।
৩. কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।
বহিঃপরজীবী
এ ধরনের পরজীবী পোষকের দেহের বাইরে থাকে। গবাদি প্রাণির ত্বকে বহিঃদেহের পরজীবী বাস করে গবাদি প্রাণির যথেষ্ট ক্ষতি করে থাকে। এ জাতীয় পরজীবীর আক্রমণে গবাদি প্রাণির চামড়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। গৃহপালিত গবাদি প্রাণির বহু ধরনের বহিঃদেহের পরজীবীর আক্রমণ হয়ে থাকে। যেমন— আঠালি, উকুন, মাছি, মাইটস এবং কেডস ইত্যাদি।
আঠালি (ঞরপশ) বিভিন্ন ধরনের আঠালি গৃহপালিত গবাদি প্রাণিকে আক্রমণ করে। আঠালি পোষক বা প্রাণীর ত্বকে বাস করে। কোনো কোনো আঠালি একটি পোষক বা প্রাণীর দেহে বাস করে। তাকে একপোষক আঠালি বলে। এরা গবাদি প্রাণির রক্ত চুষে খায়। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা যায়।
উকুন সব ধরনের গবাদি প্রাণিতে বহিঃদেহের পরজীবী পাওয়া যায়। গবাদি প্রাণিতে দু’ধরনের উকুন হয়। যেমন— ক) কামড়ানো উকুন খ) চোষা উকুন। কামড়ানো উকুনের আক্রমণে গবাদি প্রাণির শরীর খুব চুলকায়। ফলে গবাদি প্রাণি শক্ত জিনিসের সাথে শরীর ঘষে ক্ষতের সৃষ্টি করে। চোষা উকুন গবাদি প্রাণির ত্বকের রক্ত চুষে খায় এবং গবাদি প্রাণি রক্তশূন্যতায় ভোগে।
মাছি
গৃহপালিত প্রাণিকে বিভিন্ন ধরনের মাছি আক্রমণ করে থাকে। যেমন— মহিষের মাছি, আস্তাবলের মাছি, ঘোড়ার মাছি, উড়ন্ত মাছি ইত্যাদি। মাছি গবাদি প্রাণির ত্বকে বসে রক্ত চুষে খায়। মাছি সাধারণত গবাদি প্রাণির দেহের ক্ষতে বসে সেখানে ডিম পাড়ে, ডিম হতে লার্ভা হয়, ফলে মাছি যাতে পচন ধরে, ক্ষত শুকায় না এবং ক্ষতে বিভিন্ন রোগজীবানু সংক্রামিত হয়ে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করে। ক্ষতে বসলে সেসব স্থান চুলকায়। গবাদি প্রাণি সেসব স্থান শক্ত কিছুর সাথে ঘষে বা জিহ্বা দিয়ে চেটে ঘা আরও বাড়িয়ে দেয়। গবাদি প্রাণির খাওয়া এবং দুধ প্রদানে মাছি ব্যাঘাত ঘটায়।
মাইটস
মাইটস গবাদি প্রাণির শরীরের সংক্রামক চর্মরোগের সৃষ্টি করে। আক্রান্ত গবাদি প্রাণির সংস্পর্শে বা গবাদি প্রাণির ব্যবহার্য আসবাপত্র বা বিছানার মাধ্যমে পরজীবী সুস্থ গবাদি প্রাণিতে সংক্রামিত হয়ে বিভিন্ন চর্মরোগের সৃষ্টি করে। গবাদি প্রাণির স্বাস্থ্যহানি ঘটে, কর্মক্ষমতা ও উৎপাদনক্ষমতা কমে যায়। গবাদি প্রাণির শরীর চুলকায়, ফলে গবাদি প্রাণি শক্ত জিনিসের সাথে শরীর ঘষায় এবং ত্বকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
কেডস
ছাগল ও ভেড়ায় এ জাতীয় পরজীবী বেশি পাওয়া যায়। এরা আঠালির মত গবাদি প্রাণির রক্ত চুষে খায় এবং আক্রমণে শরীর খুব চুলকায়। ফলে শক্ত বস্তুর সাথে ঘষলে ত্বকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
চিকিৎসা ও রোগ প্রতিরোধ
১. বহিঃদেহের পরজীবীর আক্রমণ হতে রক্ষা করতে হলে গবাদি প্রাণিকে নিয়মিত শরীর ঘষে গোসল করাতে হবে।
২. বহিঃদেহের পরজীবী ধ্বংসের জন্য টক্সেফেন, নেগুভন, এসানটল, নিওসিডোল ইত্যাদি ঔষধ স্প্রে করা যেতে পারে। প্রতি ২.৫ লিটার পানিতে ৪—৫ গ্রাম মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করে গবাদি প্রাণির দেহ ধুয়ে দিতে হবে।
৩. গবাদি প্রাণি ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. ঘরের মেঝেতে এবং চারপাশে ফিনাইল, নেগুভন বা আইওসান মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
মেন্জ
রোগের কারণ: মাইট
রোগের লক্ষণ
১. দেহে তীব্র চুলকনি হয় এবং জ¦ালা করে।
২. অতিরিক্ত চুলকানির ফলে গবাদি প্রাণির চামড়ায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
৩. ক্ষতে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্য চামড়ায় ঘা হয়।
৪. ঘায়ে চটা ধরে চুলসহ উঠে আসে।
রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
১. আক্রান্ত গবাদি প্রাণিকে লিনডেন (০.২%) পানিতে মিশিয়ে ২—৩ দিন গোসল করালে মেঞ্জ ভালো হয়।
২. ব্রোমসাইক্লিন স্প্রে বা ডাস্টিং হিসেবে প্রয়োগ করেও মেঞ্জ রোগের চিকিৎসা করা যায়। অথবা গবাদি প্রাণি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মায়াসিস
রোগের কারণ: মাছি রোগের লক্ষণ
১. গবাদি প্রাণি রক্তস্বল্পতায় ভোগে।
২. খাদ্য গ্রহণে বিঘ্ন ঘটে। গবাদি প্রাণির ওজন দিন দিন কমতে থাকে।
৩. শরীরে ঘা হয় এবং শুকাতে দেরি হয়।
রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
১. ক্ষতস্থান ভালভাবে ধুয়ে সকেটিল পাউডার লাগেতে হবে।
২. মাছির আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য ঘায়ের চারিদিকে তারপিন তেল দৈনিক ৩—৪ বার প্রয়োগ করতে হবে।
প্রোটোজোয়াজনিত রোগ (চৎড়ঃড়ুড়ধষ ফরংবধংব)
প্রোটোজোয়া এককোষি জীব। প্রোটোজোয়া গবাদি প্রাণির দেহে বহু রোগ সৃষ্টি করে থাকে। যেমন— বাবেসিয়োসিস বা রেড
ওয়াটার ফিভার, ট্রাইকোমোনিয়াসিস, এনাপ্লাজমোসিস, ককসিডিওসিস ইত্যাদি।
বাবেসিয়াসিস (ইধনবংরড়ংরং)
বাবেসিয়া নামক প্রোটোজোয়া দ্বারা গবাদি প্রাণিতে এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগ রেড ওয়াটারফিভার নামেও পরিচিত। আঠালি দ্বারা এ রোগের জীবাণু সংক্রামিত হয়।
প্রচলিত নাম: রক্ত প্র¯্রাব রোগের লক্ষণ
১. শরীরের তাপমাত্রা এবং নাড়ির স্পন্দন বেড়ে যায়।
২. প্র¯্রাবের রং কালচে লাল হয়।
৩. রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, শ^াসকষ্ট হয়।
৪. জাবর কাটা বন্ধ করে, গবাদি প্রাণির হঠাৎ জ¦র হয়।
৫. সময় মত চিকিৎসা না করালে অধিকাংশ আক্রান্ত গবাদি প্রাণিই মারা যায়।
চিকিৎসা ও প্রতিকার
১. গবাদি প্রাণির বাসস্থান নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
২. গবাদি প্রাণি ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা করতে হবে।
৩. নিওসিডল ৪০ ডব্লিউ পি ৪—৫ গ্রাম, ২.৫ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে গবাদির গায়ে স্প্রে করতে হবে।
৪. জরুরীভিত্তিতে সামান্য বরিক পাউডার ও ফিটকারী মিশ্রিত পানি গুলে খাওয়ালে রোগের কিছুটা উপশম হয়।
৫. বেবেসান ইনজেকশন দেয়া যেতে পারে।
ককসিডিওসিস
আইমেরিয়া নামক প্রোটোজোয়া দ্বারা রোগ সংঘটিত হয়। সাধারণত বাছুরে এ রোগ বেশি হয়। স্যাঁসস্যাঁতে নিচু জায়গায় রোগজীবাণু বেঁচে থাকে। রোগজীবাণু অন্ত্রনালীতে প্রবেশ করে অন্ত্রনালীর দেয়ালে ক্ষতের সৃষ্টি করে।
রোগের কারণ: প্রোটোজোয়া।
প্রচলিত নাম: রক্ত আমাশয়
রোগের লক্ষণ
১. দুর্গন্ধযুক্ত পাতলা পায়খানা হয়।
২. পায়খানা রক্ত ও মিউকাস (আম) মেশানো থাকে।
৩. খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং দুর্বল হয়ে মারা যায়।
৪. মলত্যাগের সময় গবাদি প্রাণি ঘন ঘন কোথ দেয় ও ব্যথা অনুভব করে।
৫. গবাদি প্রাণির শ^াসকষ্ট দেখা যায়।
চিকিৎসা
১. গবাদি প্রাণির বাসস্থান, খাবার ও পানির পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার—পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
২. গোয়াল ঘর মাঝে মাঝে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৩. সালফাডিমিডিন বড়ি দৈনিক ৩ বার খাওয়াতে হবে। অথবা, সালফানিলামাইড গ্রুপের যে কোনো ঔষধ খাওয়ানো যেতে পারে।
৪. গবাদি প্রাণি ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা করেতে হবে।
ট্রাইকোমোনিয়াসিস
ট্রাইকোমোনাস ফিটাস নামক প্রোটোজোয়া দ্বারা এ রোগ সৃষ্টি হয়। এ রোগ যৌন সংক্রান্ত রোগ, যার ফলে গাভীর গর্ভপাত, অস্থায়ী প্রজননহীনতাসহ অন্যান্য প্রজনন সংকট দেখা দেয়। আক্রান্ত গবাদি প্রাণির মাধ্যমে এক গবাদি প্রাণি হতে অন্য গবাদি প্রাণিতে রোগজীবাণু সংক্রামিত হয়ে রোগের সৃষ্টি করে।
রোগের কারণ: প্রোটোজোয়া।
রোগের লক্ষণ
১. আক্রান্ত গাভীর ১—৮ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত হয়।
২. গাভী এবং ষাঁড়ের যৌনাঙ্গে প্রদাহ হয়।
৩. ষাঁড়ের লিঙ্গদ্বার ফুলে যায় এবং প্রদাহ হয়।
৪. যোনিমুখ ও তার চারপাশে ফুলে যায় ও লাল হতে দেখা যায়।
৫. গাভীর ঋতুচক্রে অনিয়ম দেখা যায়।
চিকিৎসা ও প্রতিকার
১. গবাদি প্রাণি ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক রোগের চিকিৎসা করাতে হবে।
২. কিছুদিন গাভীর যৌন সঙ্গম বন্ধ রাখতে হবে।
৩. জীবাণুমুক্ত ষাঁড় দিয়ে প্রজনন করাতে হবে।
৪. কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে এ রোগ এড়ানো যায়।
৫. ডাইমেট্রিডাজল আক্রন্ত গবাদি প্রাণির শিরার মাধ্যমে প্রয়োগ করাত হবে।
৬. আক্রান্ত ষাঁড়কে খোজা করে কাজে ব্যবহার করতে হবে।