আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়- ব্যবহারিক: পুকুরে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণিকণা পর্যবেক্ষণ
Table of Contents
ব্যবহারিক: পুকুরে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণিকণা পর্যবেক্ষণ
বিষয় ১ পুকুরে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণিকণা পর্যবেক্ষণ
প্রাসঙ্গিক তথ্য
পুকুরের অবস্থান অনুযায়ী জলজ উদ্ভিদকে ৪ ভাগে ভাগ করা যায়।
১। ভাসমান জলজ উদ্ভিদ যেমন- কচুরিপানা, ক্ষুদি পানা, শেওলা ইত্যাদি।
২। উদ্ভিদের পাতা পানির উপরে থাকে বা লতানো উদ্ভিদ যেমন- শাপলা, শালুক ইত্যাদি।
৩। নিমজ্জমান উদ্ভিদ ঝাঁঝি পাতা ফাঁকি, নাজাস ইত্যাদি।
৪। পুকুরে কিনারায় উদ্ভিদ কলমিলতা, হেলেঞ্চা, মালঞ্চ, কচু ইত্যাদি ।
উপকরণ :
বালতি, ট্রে, কাস্তে বা ছুরি, লম্বা লাঠি, ট্রে, নোট খাতা ও পেন্সিল, পুকুরের পানি, অণুবীক্ষণ যন্ত্র, বিকার ইত্যাদি।
কাজের ধাপ
১। বিভিন্ন ধরনের জলজ -উদ্ভিদ আছে এমন পুকুরে যান। ভাসমান জলজ- উদ্ভিদ, নিমজ্জিমান, লতানো এবং পুকুরে কিনারার উদ্ভিদ কাস্তে বা ছবি দিয়ে প্রায় গোড়া থেকে উপড়ে ফেলুন। পাড়ে দাঁড়িয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে জলজ -উদ্ভিদগুলোকে পাড়ের কাছে টেনে আনুন। উদ্ভিদগুলো সংগ্রহের সময় খেয়াল রাখতে হবে, কোন উদ্ভিদ কোন শ্ৰেণীভুক্ত। উদ্ভিদগুলো একটি বালতিতে রাখুন এবং পরীক্ষাগারে আনুন।
২। পুকুরের পানি এনে প্লাংকটন নেটে ঢালুন। এবার প্লাংকটন নেটের শেষ প্রান্তে জমাকৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীগুলো বিকারে ঢালুন।
৩। এবার বিকারের পানি ২/১ ফোঁটা স্লাইডে চালুন এবং অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে উদ্ভিদ কণা ও প্রাণিকণা পর্যবেক্ষণ করুন। ব্যবহারিক খাতায় ছবি অংকন করে নাম লিখুন।
৪। বড় জলজ- উদ্ভিদগুলো তুলে এনে ৪ শ্রেণীতে বিভাগ করুন।
৫। ট্রেতে রাখা জলজ -উদ্ভিদগুলো দেখে আপনার ব্যবহারিক খাতায় উদ্ভিদগুলো অংকন করুন এবং নামগুলি লিখুন।
সাবধানতা :
বড় এবং গভীর পুকুরে মাঝখান হতে জলজ -উদ্ভিদ সংগ্রহ করতে হলে নৌকা ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে লম্বা লাঠি এবং জালের প্রয়োজন হবে না।