পরিবেশের ওপর উদ্ভিদ ও বনায়নের প্রভাব

পরিবেশের ওপর উদ্ভিদ ও বনায়নের প্রভাব – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ” বিষয়ের “পরিবেশ” বিভাগের ১ নং ইউনিটের ১.৪ নং পাঠ।

পরিবেশের ওপর উদ্ভিদ ও বনায়নের প্রভাব

পরিবেশের ওপর উদ্ভিদ ও বনায়নের প্রভাব

আবহাওয়াজনিত উপাদান, মাটি, পানি, জীবকূল সবকিছু নিয়েই আমাদের পরিবেশ। জীবকূলের অন্যতম উপাদান উদ্ভিদ, যা একমাত্র প্রাথমিক উৎপাদনকারী হিসেবে বিবেচিত। আর অন্যসব প্রাণী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই উদ্ভিদকূলের উপরই নির্ভরশীল। সুতরাং পরিবেশ ও প্রাণিজগতের সাথে উদ্ভিদের রয়েছে নিগূঢ় সম্পর্ক।

সবুজ উদ্ভিদ ও স্থানীয় জলবায়ু :

স্থানীয় জলবায়ু সংরক্ষণে প্রতিটি সবুজ উদ্ভিদ ও গাছপালার একটি ভূমিকা রয়েছে, তা সে ছায়া দান করেই হোক অথবা বায়ু প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেই হোক। গাছপালা বহুলাংশে আঞ্চলিক জলবায়ু প্রভাবিত করে। সবুজ উদ্ভিদ প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ জলীয় বাষ্প বায়ু মন্ডলে ত্যাগ করছে।এই জলীয় বাষ্প উপরে উঠে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে ঘনীভবনের মাধ্যমে মেঘে পরিণত হয় এবং বৃষ্টিপাত ঘটায়। আমাজান উপত্যকার মোট বৃষ্টিপাতের প্রায় অর্ধেকই স্থানীয় উদ্ভিদের প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার ফলশ্রুতিতে হয়ে থাকে। আর এই বৃষ্টির পানিতে CO2 ও নাইট্রোজেনযুক্ত হয়ে আসার ফলে ভূমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পায়।

বনায়ন 3 পরিবেশের ওপর উদ্ভিদ ও বনায়নের প্রভাব

উদ্ভিদের প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে বায়বীয় তাপ শোষণ করা। এক গ্রাম পানি বাষ্পীভবনের জন্য ৫৮০ ক্যালরি শক্তির প্রয়োজন। উদ্ভিদের পাতা ও পারিপার্শ্বিকতায় যে পরিমাণ সৌরশক্তি পতিত হয়ে তাপ শক্তিতে পরিণত হয় তার একটি বিরাট অংশই প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিরঃসিত হয়। ফলে উদ্ভিদ ও তার পরিবেশ অতিরিক্ত তাপের প্রভাবমুক্ত থাকে। এ কারণেই আলোক
উজ্জ্বল গ্রীষ্মের দুপুরে মুক্ত এলাকা অপেক্ষা বৃক্ষতলে বেশি শীতলতা অনুভূত হয়।

 

সবুজ উদ্ভিদ ও বায়ুমন্ডল :

বেঁচে থাকার জন্য প্রাণীকূল বায়ুমন্ডল থেকে অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হিসেবে অক্সিজেন (ঙ২) গ্রহণ করে এবং কার্বন—ডাই—অক্সাইড (CO2) ত্যাগ করে। কিন্তু উদ্ভিদ প্রাণিকূলের বর্জ্য CO2 গ্রহণ করে সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে তা আত্তীকরণ করে। কার্বন গ্রহণকারী গাছপালাকে একারণেই ‘কার্বন ধারক’ বলা হয়। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিদিন প্রতি হেক্টর সবুজ ভূমি থেকে উদ্ভিদ প্রায় ৯০০ কেজি কার্বন আত্তীকরণ করছে এবং বর্জ্য হিসেবে প্রায় ৬৫০ কেজি অক্সিজেন ত্যাগ করছে। বর্তমানে বায়ুতে CO2 এর পরিমাণ প্রায় শতকরা ০.০৩৫ ভাগ বা ৩৫০ পিপিএম।

কিন্তু ১৯৫৭ সালে তা ছিল ৩১৫ পিপিএম। শিল্প বিপ্লবের পর থেকে অধিকহারে জ্বালানি ভস্ম দহনের কারণেই বায়ুমন্ডলে CO2 এর পরিমাণ বেড়ে চলেছে এবং তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া মানুষের বর্ধিত চাহিদার যোগান দিতে গিয়ে সারাবিশ্ব জুড়ে নির্বিচারে বন নিধন চলছে।

এর ফলে পরিবেশ একদিকে হারাচ্ছে কার্বন আত্তীকরণের উৎস এবং অন্য দিকে অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রাকৃতিক কারখানা। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ঋঅঙ) হিসেব মতে, উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলে বাৎসরিক বন উজাড়ের পরিমাণ ১১.৪ বিলিয়ন হেক্টর। বিশ্বজুড়ে মানুষের কর্মকান্ডের কারণেই ১০ শতাংশ জমি ইতোমধ্যেই বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে এবং আরও ২৫ শতাংশ হুমকির সম্মুখীন। বন উজাড়িকরণে আমাদের দেশও পিছিয়ে নেই। ভারত বিভাগকালে ১৯৪৭ সালে এদেশে বনভূমির পরিমাণ ছিল ২৪ শতাংশ কিন্তু বর্তমানে তা কমে গিয়ে প্রায় ৬ শতাংশে দাড়িয়েছে।

পরিবেশের ওপর উদ্ভিদ ও বনায়নের প্রভাব , কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ , পরিবেশ , ইউনিট ১ , পাঠ-১.৪

১৯৮৩ সালে ইতালির রোম থেকে প্রকাশিত ‘জ্বালানির জন্য কাঠ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে গুরুতর বৃক্ষ সংকট তাড়িত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে এভাবে বন নিধন কার্য অব্যাহত থাকলে বায়ুমন্ডলে CO2 ও ঙ২ এর ভারসাম্যতা আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। ফলে বর্ধিত CO2 এর কারণে বেড়ে যাবে গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া। আর অনিশ্চিত পরিণতির দিকে এগিয়ে যাবে বিশ্বের সকল প্রাণীকূল। তাই CO2 এর আত্তীকরণ প্রক্রিয়া বাড়ানোর জন্য একদিকে যেমন বন উজাড়িকরণ রোধ করা প্রয়োজন, অন্যদিকে তেমনি আশু বনায়ন কর্মসূচী গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক।

 

উদ্ভিদ ও ভূমি সংরক্ষণ :

বৃক্ষরোপণ করে বৃক্ষের উচ্চতার ২০ গুণ পরিমিত জায়গা বায়ুক্ষয়জনিত প্রভাব থেকে রক্ষা করা সম্ভব। চীনে বৃক্ষ দ্বারা বায়ু প্রতিরোধী আশ্রয় বলয় সৃষ্টি করে শস্য উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ করা সম্ভব হয়েছে। ভূমি সংরক্ষণে সবুজ উদ্ভিদ ও বনায়নের ভ মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বায়ু ও জলীয় ক্ষয়জনিত কারণে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টন মাটি ভূমির উপর থেকে অপসারিত হয়। এতে ভূমির উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়, মাটি অনাবৃত হয়ে পড়ে এবং ভূমির উপর থেকে উদ্ভিদ আচ্ছাদন বিনষ্ট হয়। মাটি থেকে খাদ্যবস্তু অপসারিত হবার কারণে অথবা লবাণক্ততা বা জলাবদ্ধতার কারণে মাটি অনুর্বর হয়ে পড়ে।

এসকল উপসর্গের বিরুদ্ধে উদ্ভিদ ও বনায়নই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। বায়ু প্রতিরোধী বৃক্ষরোপণ করে বৃক্ষের উচ্চতার ২০ গুণ পরিমিত জায়গা বায়ুক্ষয়জনিত প্রভাব থেকে রক্ষা করা সম্ভব। চীনে বৃক্ষ দ্বারা বায়ু প্রতিরোধী আশ্রয় বলয় সৃষ্টি করে শস্য উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ করা সম্ভব হয়েছে। মরক্কোতে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বালিয়াড়ি স্থানান্তর প্রতিহত করে কৃষি ভূমিকে রক্ষা করা হয়। অবস্থানগত কারণে প্রতিবছর এদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘুর্ণিঝড় ও সাইক্লোনের প্রভাব থেকেই যাবে। এ অবস্থা মোকাবেলায় উপকূলীয় বনভূমি ও ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল শক্তিশালী প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করতে পারে।

সবুজ উদ্ভিদ ও বনভূমি বৃষ্টিপাতের প্রভাবজনিত ভূমিক্ষয় সীমিত রাখে, বন্যাতাড়িত পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং ভূমিকে সংঘবদ্ধ রেখে ক্ষয়রোধ করে। উঁচু ঢালু উপত্যকায় উদ্ভিদের এ ধরনের প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী। আন্ত—ফসল ও সাথী—ফসল (অষষবু পৎড়ঢ়ঢ়রহম) চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করে শস্যের উৎপাদন ও ভূমির উর্বরতা উভয়ই বজায় রাখা হয়।

উদ্ভিদের পাতা ও বর্জ্য পচন ক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমির হিউমাস ও উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করে। কোন কোন উদ্ভিদ বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন সরাসরি মাটিতে আবদ্ধকরণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক সার সংগ্রহকারির ভূমিকা পালন করে। এসবের মধ্যে ডালজাতীয় ফসলের মুলে বসবাসকারী মিথোজীবি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আহরিত নাইট্রোজেনের নাম বিশেষভাবে উলে­খযোগ্য। অনেক ক্ষেত্রে আন্তফসল (ওহঃবৎ পৎড়ঢ়ঢ়রহম) ও সাথীফসল (অষষবু পৎড়ঢ়ঢ়রহম) চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করে শস্যের উৎপাদন ও ভূমির উর্বরতা উভয়ই বজায় রাখা হয়।

 

উদ্ভিদ ও শক্তি :

যে কোন যন্ত্রযান পরিচালনার জন্য শক্তির প্রয়োজন। ঘড়ির কাটা কুন্ডলিত ি¯প্রং অথবা ব্যাটারিতে রক্ষিত শক্তি খরচ করে সময় নির্দেশ করে। জীবকেও গতিশীল বা কার্যক্ষম রাখার জন্য শক্তির প্রয়োজন। আর জীবের এই শক্তি আসে খাদ্য গ্রহণ ও তা বিপাকের মাধ্যমে। কিন্তু এই খাদ্যের জন্য পৃথিবীর সকল প্রাণীকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের উপরেই নির্ভর করতে হয়। সবুজ উদ্ভিদ ও গাছপালা পাতার ক্লোরোফিলের সাহায্যে সৌর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বায়ুমন্ডলের CO2 ও মৃত্তিকাস্থ পানির দ্বারা শর্করাজাতীয় খাদ্য তৈরি করে। তৃণভোজী প্রাণী প্রত্যক্ষভাবে এসব উদ্ভিদকে খাদ্য রূপে গ্রহণ করে। আবার মাংসাশী প্রাণীরা তৃণভোজী প্রাণীকে খাদ্য রূপে গ্রহণ করে জীবন ধারণ করে। সুতরাং খাদ্যরূপী জ্বালানির ধারক হিসাবে উদ্ভিদের কোন বিকল্প নেই। এ কারণে উদ্ভিদ ব্যতীত পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্বই কল্পনা করা যায় না।

 

উদ্ভিদ ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি :

পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৫৫০ কোটি এবং প্রতি বছর প্রায় ২% হারে তা বেড়ে চলেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার অব্যাহত থাকলে আগামী ৪০ বৎসরের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হবে। পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৫৫০ কোটি এবং প্রতি বছর প্রায় ২% হারে তা বেড়ে চলেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার অব্যাহত থাকলে আগামী ৪০ বৎসরের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হবে। পৃথিবীতে বর্তমানে যে আবাদযোগ্য জমি আছে তা দিয়ে এই বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য যোগান দেয়া যাবে না। ফলে উদ্ভাবন করতে হবে আরও অধিক উফশীজাতের ফসল এবং উন্নততর উৎপাদন প্রযুক্তি।

আর এসব কিছুর সাথেই সম্পৃক্ত থাকে পরিবেশ দূষণের আশংকা। তবে খাদ্য যোগান প্রক্রিয়া বহুলাংশেই নির্ভর করবে কী পরিমাণ দক্ষতার সাথে সবুজ উদ্ভিদ সৌর শক্তিকে ব্যবহারযোগ্য খাদ্যশক্তিতে রুপান্তরিত করতে পারছে তার উপর। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে পৃথিবীতে যে পরিমাণ সৌর শক্তি সালোক—সংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য শক্তিতে পরিণত হয় তার শতকরা ৫০—৮০ ভাগই সাগরে সংঘটিত হয়। তাই বিকল্প খাদ্য হিসাবে প্রাণীকে ভবিষ্যতে সাগরের দিকেই হয়তো তাকাতে হবে। তবে সময় থাকতে জনসংখ্যা সীমিত রাখাই উৎকৃষ্ট পন্থা।

 

সবুজ উদ্ভিদ ও জ্বালানি :

সভ্যতার এ যুগে জ্বালানির প্রধান উৎস হচ্ছে কাঠ, কয়লা, ডিজেল, পেট্রোল, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি। এসবগুলোই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদজাত উপাদান। সুদূর অতীতে মাটির নিচে চাপা পড়ে বড় বড় বৃক্ষ কয়লায় পরিণত হয়েছে। ভূগর্ভে মজুদ তেল ও গ্যাস প্রকারান্তরে উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহ থেকেই সৃষ্ট পদার্থ। কাজেই বর্তমান যান্ত্রিক সভ্যতাকে উদ্ভিদই সচল রেখেছে। তবে উদ্ভিদজাত এসকল পদার্থই পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার উদ্ভিদই এর অনেকাংশ আত্তীকরণের মাধ্যমে পৃথিবীকে উপহার দিতে পারে নির্মল পরিবেশ।

মানুষ তার খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, আসবাবপত্র, শক্তি বা জ্বালানি এবং দৈনন্দিন ব্যবহার্য আরও বহু উপকরণের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। এমনকি রোগের ঔষধ, নেশাজাত দ্রব্য এসবও উদ্ভিদের দান। শুধু মানুষই নয় পৃথিবীর যাবতীয় প্রাণীকূল উদ্ভিদ ছাড়া তাদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারে না। কারণ সব প্রাণীই খাদ্যের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল।

তাই প্রকৃতিতে উদ্ভিদ, প্রাণী ও পরিবেশের সাথে রয়েছে নিগুঢ় সম্পর্ক। প্রাণীর নিঃশ্বাসের সাথে গৃহীত ঙ২ উদ্ভিদের সালোক—সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার উপজাত। আবার প্রশ্বাসের সাথে নির্গত CO2 উদ্ভিদের সালোক— সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার অতি জরুরী উপাদান। সুতরাং বায়ুমন্ডলে CO2 ও ঙ২ এর ভারসাম্য রক্ষায় উদ্ভিদ ও প্রাণী ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এছাড়াও বৃষ্টিপাত, বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা, বজ্রপাত, কল কারখানার ধেঁায়া ও শব্দ ইত্যাদি প্রতিহত করে পরিবেশকে স্বচ্ছ রাখতে উদ্ভিদের অবদান রয়েছে।

 

Leave a Comment