ব্যবহারিক:বাচ্চা ফোটানোর উপযোগী ডিম নির্বাচন 

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ব্যবহারিক:বাচ্চা ফোটানোর উপযোগী ডিম নির্বাচন

ব্যবহারিক:বাচ্চা ফোটানোর উপযোগী ডিম নির্বাচন

বিষয়-১: বাচ্চা ফোটানোর উপযোগী ডিম নির্বাচন 

উপকরণ

১। ডিম রাখার পাত্র (প্লাস্টিক), মাটি বা টিনের থালা, বাটি বা বাঁশের ডালা, ঝুড়ি বা টুকরি।

২। আকার ও মান অনুসারে হাঁস অথবা মুরগির ডিম।

৩। ডিমের সংখ্যা এক ডজন প্রতি ক্লাসের জন্য।

 

ব্যবহারিক:বাচ্চা ফোটানোর উপযোগী ডিম নির্বাচন 

 

কাজের ধারা

১। প্রথমে পেন্সিল দিয়ে ডিমে ক্রমিক নম্বর দিন।

২। উর্বর ডিম বাছাইয়ের জন্য পাত্রে রাখা ডিমগুলো আকার ও গঠন অনুযায়ী পৃথক করুন।

৩। এক একটি করে ডিম আলোতে ধরে ডিমের ভিতরের বৈশিষ্ট্যগুলো লক্ষ্য করুন।

৪। যে সব ডিম বাচ্চা ফোটানোর উপযুক্ত নয় সেগুলো পৃথক করুন এবং ক্রমিক নম্বর উল্লেখ করে কারণ বর্ণনা করুন।

৫। বাছাইকৃত ডিমগুলো কিভাবে সংরক্ষণ করবেন তা লিখুন।

৬। ধারাবাহিকভাবে ব্যবহারিক খাতায় পুরো পরীক্ষাটি লিখুন।

 

ব্যবহারিক:বাচ্চা ফোটানোর উপযোগী ডিম নির্বাচন 

 

সাবধানতা:

বাছাই এবং পরীক্ষণের সময় যাতে ডিম ভেঙ্গে না যায় সেদিকে লক্ষ রাখুন।

ডিমের আকার:

ডিম থেকে বাচ্চা উত্পাদনের জন্য মাঝারি আকারের ডিম ভালো। অস্বাভাবিক আকৃতির ও পাতলা খোসার ডিম নেয়া যাবে না। কেবল মসৃণ, মোটা ও শক্ত খোসা বিশিষ্ট ডিম বাছাই করতে হবে।

খোসার রং: 

মুরগি জাতভেদে বিভিন্ন রঙের ডিম দেয়। ডিমের খোসার রং সাদা, বাদামি, কালো বা কালচে হতে পারে। যে জাত যে রঙের ডিম দেয় সে অনুযায়ী ডিম বাছাই করতে হবে। ডিম ফাটা কিনা বোঝা যায়।

 

ব্যবহারিক:বাচ্চা ফোটানোর উপযোগী ডিম নির্বাচন 

 

ডিমের ভেতরের বৈশিষ্ট্য:

ডিমের ভেতর স্বচ্ছ হলে এবং কুসুম ডিমের মাঝখানে থাকলে সেই ডিম বাচ্চা ফুটানোর জন্য উত্তম। সূর্যের আলোতে ধরলে তা স্পষ্ট বোঝা যায়।

পরিষ্কার ডিম:

ডিম বাছাই করার সময় ডিম পরিষ্কার কিনা তা লক্ষ রাখতে হবে। ময়লাযুক্ত ডিম নেকড়া দিয়ে ডিম পরিষ্কার করা উচিত। ডিম পানিতে ধোয়া যাবে না।

ডিমের ওজন: 

উন্নত জাতের মুরগির ডিমের ওজন ৫০-৬০ গ্রাম হতে হবে।

ডিমের বয়স:

ফুটানোর উপযোগী ডিমের বয়স গ্রীষ্মকালে ৩-৪ দিন এবং শীতকালে ৭-১০ দিনের বেশি হবে না।

Leave a Comment