ব্যবহারিক: ঔষধি উদ্ভিদের নমুনা পর্যবেক্ষন ও শনাক্তকরণ

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ব্যবহারিক: ঔষধি উদ্ভিদের নমুনা পর্যবেক্ষন ও শনাক্তকরণ – যা শিল্পের কাঁচামাল: কৃষিজ দ্রব্যাদি এর অন্তর্ভুক্ত।

ব্যবহারিক: ঔষধি উদ্ভিদের নমুনা পর্যবেক্ষন ও শনাক্তকরণ

 

ব্যবহারিক: ঔষধি উদ্ভিদের নমুনা পর্যবেক্ষন ও শনাক্তকরণ

 

প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • বিভিন্ন ঔষধি উদ্ভিদ

কাজের ধারা

১। তাত্ত্বিক অংশে এদেশে প্রচলিতভাবে যেসমস্ত ঔষধি উদ্ভিদ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে সেগুলোর চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া আছে।

২। প্রতিটি উদ্ভিদ ভালোভাবে দেখা ও চেনার চেষ্টা করুন ।

৩। এরপর প্রতিটি উদ্ভিদের চিত্র সুন্দর করে ব্যবহারিক খাতায় অংকন করে প্রত্যেকটি অংশ চিহ্নিত করুন।

৪। প্রত্যেকটি উদ্ভিদ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় খাতায় লিখুন । ৫। বুঝতে বা চিনতে কোন প্রকার সমস্যায় পড়লে আপনার শিক্ষক বা অভিজ্ঞ কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে নিন ।

চূড়ান্ত মূল্যায়ন

সৃজনশীল প্রশ্ন

১। একদিন ফাইজা তার বাবার সাথে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ করে ফাইজা লক্ষ করল রাস্তার পাশে একই প্রজাতির একটি গাছের সারি। সে গাছটি চিনতে পারল না। তারপর সে তাঁর বাবাকে গাছটির সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তাঁর বাবা বলল এই গাছটিই বাংলাদেশের জাতীয় বৃক্ষ এবং এর ফলটিই ফলের রাজা হিসেবে বিবেচিত। ক) বাংলাদেশের কোন ফলকে ফলের রাজা বলা হয় ?

খ) বাঁশঝাড় বলতে কী বোঝায়?

গ) ফাইজাকে তার বাবা উদ্দীপকে উল্লিখিত বৃক্ষটি ছাড়াও কীভাবে শিল্পে ব্যবহৃত নারিকেল। বাঁশ ও বেতের সাথে পরিচয় করে দেবেন-ব্যাখ্যা কর।

ঘ) আপনি কী মনে কনে শিল্পজাত পণ্য হিসেবে আম, বাঁশ, বেত, নারিকেলের গুরুত্ব আছে? যুক্তি দ্বারা বিশ্লেষণ করুন ।

২। মামুন তার মামার বাড়ি অনেকদিন পর বেড়াতে যায়। তাদের বাসায় বিভিন্ন ধরনের বেতের আসবাবপত্র দেখতে পায়। যেমন-সোফা সেট, খেলনা, ফুলদানি, ঘাট, টেবিল, দোলনা, সেলফ, ইজি চেয়ার, ঘোড়া, ঝুড়ি, মোড়া, বাক্স, পার্টিশন ইত্যাদি, মামুন তার মামাকে বেতের এত জিনিস কেনার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। তার মামা বলেন, বেতের ফার্নিচার শক্ত কিন্তু ওজনে হালকা, টেকসই এবং পরিবহন সুবিধাজনক। এতে কোন পোকা ধরে না এবং দেখতেও সুন্দর। বেতের তৈরি আসবাবপত্র ব্যবহারে মামুনের মামা তৃপ্ত।

ক. বেতের দুইটি গণের নাম লিখেন ।

খ, বেত শোধন করা হয় কেন?

গ. মামুনের মামার বাসার বেতজাত আসবাবপত্রের শ্রেণিবিভাগ করুন।

ঘ. মামুনের মামার বাসায় কাঠের পরিবর্তে যেসব বেতের তৈরি আসবাবপত্র ব্যবহার করা হয় আপনার মতে তা কতটুকু যুক্তিযুক্ত-বিশ্লেষণ করুন।

৩। আবিরের নানা বাড়ি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা খুলনায় । সে গ্রীষ্মের ছুটিতে নানা বাড়ি বেড়াতে যায় । সেখানে সে সারি সারি নারিকেলের গাছ দেখতে পায়। সেখানে সে নারিকেলের হরেক রকম ব্যবহার দেখতে পায়। এমনকি তরকারির সাথে সে নারিকেলের শাঁস দেখে অবাক হয়। কারণ, তার অঞ্চলে নারিকেলের এত ব্যবহার নেই। সে নারিকেলের ডাব কিংবা তাঁর পায়েস ইত্যাদি খেয়েছে। নানা তাকে নারিকেলের পাপোশ, রশি ও কার্পেট তৈরির কারখানা ঘুরে ঘুরে দেখান। নানা বলেন, নারিকেল জাত দ্রব্য উৎপাদন এবং বিক্রি তার আয়ের প্রধান উত্স।

 

ক) ভাব কাকে বলে?

খ) খাদ্য হিসাবে নারিকেলের ব্যবহার উল্লেখ করুন ?

গ) আবীর নানা বাড়িতে নারিকেলের কী কী ব্যবহারের কথা জানতে পারলো তার একটি তালিকা তৈরি ক

খ) বেকারত্ব দূরীকরনে এবং দারিদ্র্য বিমোচনে আবীরের নানা একজন অনুকরনীয় ব্যক্তিত্ব কথাটি বিশ্লেষণ করুন।

৪। পূজা একদিন তার উঠানের কোণে একটি বীবৎ  জাতীয় উদ্ভিদ দেখতে পেলেন । সে ভাবলো গাছটি কোন আগাছা গাছ। সে গাছটি উপড়ে ফেলতে গেল। তার মা এটি দেখে বললেন গাছটি উপড়াইও না । গাছটি একটি ঔষধি উদ্ভিদ । তিনি বললেন গাছটির নাম তুলসি এবং এরকম আরও অনেক ঔষধি উদ্ভিদ আছে।

ক) ঔষধি উদ্ভিদ বলতে কি বুঝেন ?

খ) আপনার পরিচিত ৫ টি ঔষাধি উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম ও পরিবারের নাম লিখুন ।

গ) তুলসি গাছটির সাধারণ পরিচিতি তুলে ধরুন ।

ঘ) রোগ নিরাময়ে ঔষধি গাছপালার বিকল্প নেই-পুজার মায়ের অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যাখ্যা কর ।

৫। আরমান সাহেব তার বসতবাড়ির পাশে মেহেদি, উলটকম্বল, বেল, নিম, তেলাকুচা, আমলকি ইত্যাদি লাগালেন। উদ্দেশ্য গ্রামের মানুষের অসুখ বিসুখে এসব উদ্ভিদ কাজে লাগানো। আরমানের ছোট ছেলেটির জন্ডিস ও লিভারের দোষ। আরমান সাহেব তার বাগান থেকে উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় অংশ তুলে দিয়ে যাওয়ার নিয়ম-কানুন বলে দিলেন ।

ক) উলটকম্বলের ব্যবহৃত অংশ লিখুন ।

খ) উলটকম্বলের ও তেলাকুচার ঔষধি গুণ ব্যাখ্যা করুন।

গ) আরমান সাহেব তার ছেলের চিকিৎসা কী ভাবে করবেন ।

ঘ) রোগ নিরাময়ে উদ্দীপকে উল্লেখিত গাছ-পালার ভূমিকা নিরুপণ করুন ।

৬। বৃক্ষপ্রেমী আবু সাঈদ তার বাড়ির পাশের পতিত উঁচু জমিতে বিভিন্ন প্রকার ঔষধি গাছপালার চারা রোপন করে বাগান করে। তার বাগানে আমলকি, হরিতকি, বহেরা, অর্জুন, নিম, তুলসী, কালমেঘ ইত্যাদি আরও অনেক গাছ আছে। সাঈদের নেশাই হলো কোনো ঔষধি গাছের চারা পেলেই তার বাগানে রোপন করা। আর এসব গাছগাছালি দিয়ে গ্রামীণ জনগনের রোগের চিকিৎসা করা।

কেউ সর্দি, কাশি নিয়ে এলে তিনি তুলসি পাতার রসের সাথে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে খাইয়ে দেন। এর ফলে তাদের সর্দি কাশির উপশম হয়। কোনো রোগী তার কাছ থেকে ফিরে যায় না। আবু সাঈদ বলেন, আল্লাহ রোগ দিয়ে চিকিৎসাও দিয়েছেন। আর মাধ্যম হলো গাছপালা। আবু সাঈদের আশঙ্কা ঔষধি গাছপালা সংরক্ষণ করা না হলে অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

ক. ভেষজ উদ্ভিদ কাকে বলে?

খ. আবু সাঈদের ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহৃত অংশের নাম লিখুন ।

গ. আবু সাঈদ তার বাগানের প্রথম তিনটি গাছ দিয়ে কোন কোন রোগের চিকিৎসা কীভাবে করবেন- ব্যাখ্যা করুন।

ঘ. আবু সাঈদের আশঙ্কার কারণ বিশ্লেষণ করুন।

 

ব্যবহারিক: ঔষধি উদ্ভিদের নমুনা পর্যবেক্ষন ও শনাক্তকরণ

 

৭। সুমন গ্রীষ্মের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি নরেন্দ্রপুরে বেড়াতে যায়। সেখানে তার দাদা দাদি থাকেন। সুমন অনেক দিন থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যতে ভুগছে। এ কথা সে তাঁর দাদুকে জানায়। দাদু তাকে ঘৃতকুমারীর পাতার পিচ্ছিল রস খাওয়ায় । এতে সুমন অনেকটা উপশম পায়। আগে গাছগাছালির দ্বারা চিকিৎসা অপছন্দ করলেও এখন সে বুঝতে পারে এ চিকিৎসা কতটা সহজ। দাদু বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ ঔষধি উদ্ভিদের মাধ্যমে রোগ নিরাময়ের চেষ্টা করি। কারণ গ্রামে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ সুবিধা কম।

ক) ঘৃতকুমারী কোন জাতীয় উি

খ) অর্জুন গাছে সচরাচর বাকল থাকে না কেন?

গ) সুমনের মতো অসুস্থ রোগীকে রোগ নিরাময়ের জন্য আপনি অপর একটি উদ্ভিদের নাম এবং তার পরিচিতি বর্ণনা করেন ।

ঘ) সুমনের দাদুর গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যবিধিতে ভেষজ উদ্ভিদের গুরুত্ব মূল্যায়ন করুন।

 

Leave a Comment