খাদ্য উৎপাদনে পশুর গুরুত্ব

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-খাদ্য উৎপাদনে পশুর গুরুত্ব।

এই পাঠ শেষে আপনি-

  • দুধ ও মাংসের গুণাগুণ বলতে ও লিখতে পারবেন।
  • দুধ ও মাংস উৎপাদনে গৃহপালিত পশুর গুরুত্ব বর্ণনা করতে পারবেন।
  • প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরতে পারবেন।
  • আমিষের ঘাটতি পূরণে আমাদের কী করণীয় তা ব্যাখ্যা করতে পারবেন।

দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন ও দেহ গঠনের জন্য আমিষজাতীয় খাদ্যের প্রয়োজন। দুধ ও মাংস আমিষজাতীয় খাদ্য। দুধ ও মাংস আমরা গৃহপালিত পশু থেকে পেয়ে থাকি। তবে, হাসমুরগিও আমাদের আমিষসমৃদ্ধ ডিম ও মাংস সরবরাহ করে থাকে।

Table of Contents

খাদ্য উৎপাদনে পশুর গুরুত্ব

দুধের সংজ্ঞা

এক বা একাধিক দুগ্ধবতী গাভীর ওলান গ্রন্থির সম্পূর্ণ দোহনের ফলে যে তরল পদার্থ পাওয়া যায় এবং যাতে কমপক্ষে ৩.৪% চর্বি এবং চর্বি ছাড়া অন্যান্য খাদ্যোপাদান ও খনিজ পদার্থ কমপক্ষে ৮.২% বিদ্যমান থাকে, তাকে দুধ বলে।

দুধের গুণাগুণ

দুর্গকে আদর্শ খাদ্য বলা হয়। বাচ্চা প্রসবের পর থেকে ৩-৪ দিন পর্যন্ত উৎপন্না পশুর দুধকে শালদুধ বা কলস্ট্রাম বলে। এতে খণিজ পদার্থ, ভিটামিন-এ ও রোগপ্রতিরোধক অ্যান্টিবডি থাকে। স্বাভাবিক দুধের তুলনায় কলস্ট্রামে আমিষের পরিমাণ ৩-৫ গুণ, চর্বি প্রায় দ্বিগুণ এবং খনিজপদার্থ ও ভিটামিন অনেক বেশি পরিমাণে থাকে।

তবে, বাচ্চা জন্ম হওয়ার পর সময়ের সাথে কলস্টামের গঠন পরিবর্তিত হয়৷ এই দুধ পানে বাচ্চার পেটে জমে থাকা মল বের হয়ে যায়। খাবারে রুচি আসে। মানুষ বা পশুর বাচ্চার শরীর ঠিকমতো বৃদ্ধির জন্য যেসব অতি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড দরকার সেগুলোসহ দুধের আমিষে সব ধরনের অ্যামাইনো এসিডই আছে।

উদ্ভিদ আমিযে লাইসিন, মিথিওনিন ও সিসটিনের অভাব রয়েছে বিধায় বাচ্চাদের সুষ্ঠুভাবে বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত দুধ পান করানো উচিত। অনুরূপভাবে, দুধের চর্বিতে অতি প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিডসহ (লিনোলিক ও লিনোলেনিক এসিড) অন্যান্য ফ্যাটি এসিডগুলোও আছে।

গৃহপালিত পশুর মধ্যে আমাদের দেশে দুধের জন্য গাভী, ছাগল ও মহিষ প্রসিদ্ধ। এসব পশুর দুধের মধ্যে সামান্য তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। এছাড়াও একই প্রজাতির পশুর, এমনকি, বয়সভেদে একই পশুর দুধের গঠনে তারতম্য দেখা যায়। এখানে গাভীর কলস্ট্রাম ও দুধ এবং বিভিন্ন পশুর দুধের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে।

সারণি ৬ : গাভীর কলস্টাম, দুধ এবং বিভিন্ন পশুর দুধে উপস্থিত পুষ্টি উপাদানসমূহের হার:-

খাদ্য উৎপাদনে পশুর গুরুত্ব

দুধ উৎপাদনে পশুর গুরুত্ব

স্তন্যপায়ী প্রাণী বাচ্চা প্রসবের পর স্তন গ্রন্থি থেকে দুধ নিঃসরন করে। সাধারণত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, উটের দুধ খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে, আমাদের দেশে প্রধানত গরু, মহিষ ও ছাগলের দুধই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

দুধ উৎপাদনে গাভীর গুরুত্ব

  • গাভীকে মানব জাতির দুগ্ধমাতা বলা হয়। গোসম্পদসমৃদ্ধ দেশে জৈব আমিষের এক- তৃতীয়াংশ সংগৃহীত হয় গাভীর দুধ থেকে।
  • গাভীর দুধের ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক। গাভীর দুধ থেকে পনির, মাখন, ঘি, কেক, বিস্কুট, পুডিং, মিষ্টি, সন্দেশ, পায়েশ এবং আরও বহুবিধ সুস্বাদু খাবার তৈরি করে ব্যবসা করা যায়। তাতে জীবিকা নির্বাহ ও কর্মসংস্থানের পথ হয়।
  • গুঁড়ো দুধ, চকোলেট ও শুষ্ক মিষ্টি খাবার রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়।

দুধের ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশে দুধ আমদানির একটি প্রতিবেদন এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

সারণি ৭ : বাংলাদেশ কর্তৃক গুড়া দুধ আমদানি (১৯৮৫-৪৮৬ থেকে ১৯৮৯-৪৯০ সাল)

খাদ্য উৎপাদনে পশুর গুরুত্ব

 

দুধ উৎপাদনে ছাগলের গুরুত্ব

  • ছাগলের দুধের চর্বি কণা ছোট বলে সহজপাচ্য; বৃদ্ধ ও রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী।
  • ছাগল বাংলাদেশে গরীবের গাভী হিসেবে পরিচিত। দুঃস্থ মহিলা, বিত্তহীন, ভূমিহীন ও যাদের গাভী কেনার ক্ষমতা নেই তারা ছাগল পালন করে দুধের প্রয়োজন মেটায় অথবা দুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে।
  • ছাগলের দুধের উৎপাদন খরচ কম হয়।

দুধ উৎপাদনে মহিষের গুরুত্ব

মহিষের দুধে গরুর দুধ অপেক্ষা পানির পরিমাণ কম এবং চর্বির পরিমাণ বেশি। এই বৈশিষ্ট্যের জন্য মহিষের দুধ থেকে ঘি, দধি, মাখন, পনির প্রভৃতি বিশেষভাবে প্রস্তুত হয়।

ভারত ব্যতীত বিশ্বের অন্যান্য দেশে মহিষের দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপনন ব্যবস্থার জন্য কোনো স্বীকৃত মানদন্ড নেই।

অনুশীলন (Activity):

গরু, ছাগল ও মহিষের দুধের গুণাগুণ ভালোভাবে পড়ে খাতায় এগুলোর একটি পার্থক্যসূচক সারণি তৈরি করুন।

মাংস উৎপাদনে পশুর গুরুত্ব

প্রাচীনকাল থেকেই পশুর মাংস মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আদিম গুহাবাসী মানুষ বেঁচে থাকার জন্য যেসব খাদ্য গ্রহণ করত তার মধ্যে মাংসই প্রধান ছিল। তারা অবশ্য ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য মাংস ভক্ষন করত। এ যুগে ক্ষুধা নিবৃত্তি ছাড়াও মাংসের পুষ্টিগুণের জন্য খাদ্য হিসেবে এটি গ্রহণ করা হয়।

এটি উৎকৃষ্ট আমিষ ও খেতে সুস্বাদু যা দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন ও দেহ গঠনে সহায়তা করে। মাংস থেকে নানাবিধ মজাদার খাবার, যেমন- চপ, কাটলেট, কাবাব, রোস্ট প্রভৃতি তৈরি করা যায়।

মাংসের গুণাবলী

  • টাটকা মাংসে ১৫-২০% আমিষ থাকে।
  • এতে অতি প্রয়োজনীয় সকল অ্যামাইনো এসিড বিদ্যমান।
  • মাংসের সঙ্গে লাগানো চর্বি শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।
  • মাংস খনিজপদার্থের উৎস। এতে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস প্রচুর পরিমাণে থাকে যা দাঁত গঠনে সহায়ক কোষের অভান্তরে ঢুকে তাতে রক্তের ক্ষারতা স্থিতিশীল করে এবং স্নায়ুশক্তি যোগায়। মাংসে লোহা থাকে যা রক্তশূন্যতা দূর করে। ভিটামিনের মধ্যে থায়ামিন, ভিটামিন- বি প্রভৃতি প্রচুর পরিমাণে থাকে বলে মাংসকে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্সের উৎস বলে।

সারণি ৮ : বিভিন্ন প্রজাতির পশুর মাংস ও দুধে পুষ্টির পরিমাণ

 

বিভিন্ন প্রজাতির পশুর মাংস ও দুধে পুষ্টির পরিমাণ

 

মাংস উৎপাদনে ছাগলের গুরুত্ব

ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু। ছাগলের মাংসকে ইংরেজিতে চিভন (Cheavon) বলে। এদেশে ছাগলের মাংসের চাহিদা খুব বেশি। সারাদেশে প্রতিদিন বহু ছাগল জবাই হয়। ছাগলের মাংস বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এ ছাগলের মাংসের বেশ চাহিদা রয়েছে।

ছাগলের মাংস সংরক্ষিত অবস্থায় বিদেশে অনায়াসে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমানে আমাদের দেশে এ ছাগলের সংখ্যা বৃদ্ধির হার কম। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল দিয়ে এদেশের মাংসের চাহিদা মেটানো খুব সহজ কারণ এরা প্রতিবারে ২-৪টি বাচ্চা দিতে সক্ষম। কম ব্যয়ে উত্তম মাংস পেতে হলে ছাগল পালন করা উচিত। এদের পালনে খরচ কম অথচ লাভ বেশি। আমিষের চাহিদা মেটাতে ছাগলের গুরুত্ব অপরিসীম।

মাংস উৎপাদনে গরুর গুরুর

পৃথিবীর বহু দেশে গোমাংস প্রিয় খাদ্য। গরুর মাংসকে ইংরেজিতে কিফ (Beef) বলে। গোমাংস থেকে চপ, কাবাব, কাটলেট, বার্গার এবং আরও নানা ধরনের খাবার তৈরি হয়। মুসলিম দেশগুলোতে যে কোনো ভোজে গোমাংসের ভুনা আলাদা মর্যাদা লাভ করেছে। আজকাল শুকনো ও দুর্বল ধাড়কে ৩-৪ মাস ভালো খাদ্য খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল জনবহুল দেশে এ কর্মকান্ড আমিষ ঘাটতি পূরণে বিরাট ভূমিকা পালন করবে।

মাংস উৎপাদনে ভেড়ার গুরুত্ব

ভেড়ার মাংসও সুস্বাদু। ভেড়ার মাংসকে ইংরেজিতে মাটন (Mutton) বলে। ভেড়া ছাগলের তুলনায় নিম্নমানের খাদ্য যেয়ে জীবনধারণ করতে পারে। কম খরচে সহজে ভেড়া পালন করা যায়। মাংসের চাহিদা মেটাতে ভেড়ার ভূমিকাও কম নয়। ভেড়া পালন করলে মাংসের জন্য ছাগলের উপর চাপ কমবে। তাই আমিষের চাহিদা পুরণ করতে ভেড়ার গুরুত্বও কম নয়।

মাংস উৎপাদনে মহিষ গুরুত্ব

অন্যান্য গৃহপালিত পশু অপেক্ষা মহিষ বড় আকারের প্রাণী। সেজন্য পশুপ্রতি মাংস উৎপাদনে মহিষের স্থান সবার উপরে। মহিষের মাংসকে ইংরেজিতে বুফেন (Buffen) বলে। ২৪ মাসের কম বয়সের মহিষের মাংস গরুর মাংসের মতোই সুস্বাদু। এদেশের বিপুল জনগোষ্ঠির আমিষের চাহিদা মেটাতে তাই গরুর পাশাপাশি মহিষের মাংস উৎপাদন ও ব্যবহারে পদক্ষেপ নেয় উচিত। বর্তমানে আমাদের দেশের শতকরা ৮০% লোক আমিষের অভাবজনিত রোগে ভুগছে।

অন্যান্য গৃহপালিত পশুর সাথে মহিষের সংখ্যা বাড়িয়ে বিজ্ঞানসম্মতভাবে মাংস যাওয়ার প্রচলন করতে পারলে এদেশের আমিষের চাহিদা পূরণে সাহায্য হবে। মহিষ পালনে বিশেষ কিছু সুবিধাও আছে। যেমন- প্রতিকূল পরিবেশে এরা বেঁচে থাকতে পারে, এদের রোগবালাই কম হয়, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, গরুর তুলনায় নিম্নমানের খাদ্য খেয়ে জীবনধারণ করতে পারে। উন্নত খাদ্য প্রদান করলে অনুকূল পরিবেশে ৮-৯ মাস বয়সের মহিষের বাছুর দৈনিক এক কেজি পরিমাণ দৈহিক ওজন বৃদ্ধি করতে পারে।

প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান

আমাদের দেশে প্রাণিজ আমিষের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। এদেশে জনপ্রতি দৈনিক কমপক্ষে ৬২ গ্রাম প্রাণিজ আমিষ খাওয়া উচিত। অথচ আমরা পাচ্ছি মাত্র ৪.৯ গ্রাম যার মধ্যে পশুপাখি থেকে আসে মাত্র ১৮ গ্রাম। প্রাণিজ আমিষের এ ঘাটতির কারণে বহু শিশু অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগছে। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর বিদেশ থেকে ৬০-৭০ হাজার মেট্রিক টন গুরে দুধ আমদানি করা হয়েছে।

অবশ্য ইতোমধ্যেই দেশে বেসরকারীভাবে দুগ্ধ খামার গড়ে ওঠায় ১৯৯৫ সালে আমদানির পরিমাণ প্রায় ৭০% কমে গেছে। তবে গুঁড়ো দুধ আমদানি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হওয়া উচিত। এজন্য খামারের সংখ্যা ও উৎপাদন আরও বাড়ানো প্রয়োজন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ১৯৮৫ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে আমাদের দেশের সঙ্গে উন্নত দেশের জনপ্রতি আমিষের প্রাপ্যতার একটি আনুপাতিক হিসাব এখানে দেখানো হয়েছে।

সারণি ৯ : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রতি আমিষের প্রাপ্যতার হার

 

উৎস : জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, ১৯৮৫।
উৎস : জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, ১৯৮৫।

 

বাংলাদেশে আমিষের ঘাটতি পূরণে আমাদের করণীয়

বাংলাদেশে আমিষের ঘাটতি পূরণে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অবশ্যই পালন করতে হবে। যথা-

  • দুধ ও মাংস খামার ব্যবসাকে লাভজনক হারে বাড়ানোর জন্য সরকারী নীতি নির্ধারণ করতে হবে।
  • দেশে অধিক উৎপাদনশীল গৃহপালিত পশুর সংখ্যা বাড়াতে হবে। সনাতন পদ্ধতিতে পশুপালন বর্জন করতে হবে।
  • আধুনিক পশুপালন পদ্ধতি জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করতে হবে। অধিকাংশ গৃহপালিত পশুর বেলায় গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতির মতো কর্মকান্ড অনুসরণকরতে হবে।
  • দেশের বেকার যুবকদের উন্নত পদ্ধতিতে পশুসম্পদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।
  • ভের ও মহিষের মাংসের গ্রেডেশন করে বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  • দুধ ও মাংস সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের সরকারী নীতিমালা প্রনয়ণ করতে হবে। পশুসম্পদ গবেষণা কর্মসূচি আরও জোরদার করতে হবে।
  • পশুসম্পদ বিজ্ঞান সর্বস্তরে বাধ্যতামূলক করতে হলে।
  • পশুপাখির খাদ্য ও চিকিৎসার সুযোগ বাড়াতে হবে।
  • পশুসম্পদ উন্নয়নে সরকারের বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে।
  • ব্যাংক ঋণের প্রাপ্যতা সহজ করতে হবে।

Leave a Comment