ব্যবহারিকঃ গর্ভবতী বকনা বা গাভী শনাক্তকরণ

আজকে আমরা ব্যবহারিকঃ গর্ভবতী বকনা বা গাভী শনাক্তকরণ আলোচনা করবো। এটি কৃত্রিম প্রজনন ও খামার স্থাপন এর গাভীর জাত উন্নয়ন ইউনিটের ব্যবহারিক অংশের অন্তর্গত।

 

ব্যবহারিকঃ গর্ভবতী বকনা বা গাভী শনাক্তকরণ

 

ব্যবহারিকঃ গর্ভবতী বকনা বা গাভী শনাক্তকরণ

প্রাসঙ্গিক তথ্য

গর্ভবতী গাভীকে চিহ্নিত করে শুরু থেকেই পৃথক খাদ্য ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য এবং অনুর্বর ও বন্ধ্যা গাভী চিহ্নিত করার জন্য গর্ভাবস্থা নির্ণয় অত্যন্ত জরুরী । গাভীর গর্ভাবস্থা নির্ণয়ের ৩টি পদ্ধতি রয়েছে । তবে সবচেয়ে সহজ ও বহুল প্রচলিত পদ্ধতি হলো রেকটাল পালপেশন পদ্ধতি। গর্ভাবস্থা নির্ণয়ের জন্য রেকটাল পালপেশন পদ্ধতিটি সবচেয়ে প্রচলিত ও সহজ ।

রেকটাল পালপেশন পদ্ধতিতে গাভী গর্ভবতী হয়েছে কিনা শুধুমাত্র এটাই নির্ণয় করা হয় না, গাভী কতদিনের গর্ভবতী তাও নির্ণয় করা হয় । এ পদ্ধতিতে একদিকে যেমন কোনো যন্ত্রপাতি এবং রাসায়নিক দ্রব্যাদির প্রয়োজন হয় না অপরদিকে খুব কম খরচে এবং অল্প সময়ে প্রাথমিক ও মধ্যবর্তী গর্ভাবস্থা নির্ণয় করা যায় ।

 

ব্যবহারিকঃ গর্ভবতী বকনা বা গাভী শনাক্তকরণ

 

প্রয়োজনীয় উপকরণ

১. একটি বকনা বা গাভী ।

২. বকনা বা গাভীকে আটকানোর জন্য জায়গা।

৩. এ্যাপ্রোন, গামবুট, গ্লাভস, গরম পানি, পিচ্ছিলকারক পদার্থ যেমন— ভেসিলিন, তুলা, রশি ইত্যাদি।

 

কাজের ধারা

  • বকনা বা গাভীকে নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সুবিধাজনক জায়গায় আটকিয়ে ফেলুন ।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে এ্যাপ্রোন গায়ে দিন এবং গামবুট পড়ে ফেলুন । বামহাতে গ্লাভস পড়ে ফেলুন ।
  • বকনা বা গাভীর যোনি ও মলদ্বার অল্প গরম পানি দিয়ে ধুয়ে তুলো দিয়ে মুছে ফেলুন এবং ভেসিলিন লাগিয়ে পিচ্ছিল করে নিন ।
  • গাভীর ডান পাশে দাঁড়িয়ে ডান হাত দিয়ে গাভীর লেজ তুলে ধরুন এবং বাম হাত মলদ্ধারের প্রাচীরের উপর থেকে গাভীর জননতন্ত্রের অংশগুলোর অবস্থা অনুভব করুন ।
  • আপনার অনুভূতি গাভীর গর্ভাবস্থার কোন্ পর্যায় নির্দেশ করে তা এই কোর্সবইয়ের পাঠ ১.৫ থেকে জেনে নিন ।
  • আপনার ব্যবহারিক খাতাটি টিউটরকে দেখান এবং তাতে সই নিন ।

Leave a Comment