আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ব্যবহারিক:নিজ হাতে গাভীর দুধ দোহন
Table of Contents
ব্যবহারিক:নিজ হাতে গাভীর দুধ দোহন
বিষয়ঃ নিজ হাতে গাভীর দুধ দোহন
উপকরণ
১। গাভী ও বাছুর
২। পরিষ্কার বালতি;
৩। সাবান ও পানি
৪। কাগজ, কলম ইত্যাদি।
কাজের ধাপ
১। গাভীটিকে দড়ি দিয়ে খুঁটির সাথে বেঁধে নিন।
২। গাভীর ওলান জীবাণুমুক্ত পানি দিয়ে ধুয়ে দিন।
৩। নিজের হাত সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
৪। বাছুরকে গাভীর বান চুষে দুধ পান করতে দিন।
৫। কিছু দুধ পান করার পর বাছুরকে গাভীর সামনে বেঁধে দিন।
৬। বালতিটি নিচে রেখে আস্তে আস্তে দুই হাত দিয়ে দুধ দোহাতে থাকুন।
৭। ওলানে কিছু দুধ রেখে দুধ দোহান শেষ করুন।
৮। বাছুরকে আবার বান চুষে দুধ পান করান।
৯। দুধ দোহন পদ্ধতি ধারাবাহিকভাবে খাতায় লিখুন।
সাবধানতা
১। গাভী যাতে উত্তেজিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
২। দুধ দোহন ও দুধের পাত্র ধোয়ার কাজে পুকুর বা ডোবার পানি ব্যবহার করা যাবে না।
হাতে দুধ দোহন
প্রাণির ওলান (দুগ্ধ গ্রন্থি) ম্যাসেজ করে এবং প্রতিটি বাট টেনে দুধ নামিয়ে একটি বালতি ভরা হয়। দুটি প্রধান পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়:
- বাটের উপরের অংশটি আঙ্গুল ও বুড়ো আঙুল দিয়ে চেপে ধরে বন্ধ করে দেওয়া হয়,, নীচের অংশে দুধ আটকে রাখে, যা পরে অন্য আঙ্গুল দ্বারা চেপে ধরা হয়, এতে বাটের অগ্রভাগের গর্ত দিয়ে দুধ বের হয়ে আসে।
- বাটের উপরের অংশটি আঙ্গুল ও বুড়ো আঙুল দিয়ে চেপে ধরে নিচের দিকে টানা হয়, এতে বাটের দুধ নিচের দিকে থাকা ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে আসে।

মেশিনে দুধ দোহন
উন্নত বিশ্বে বেশির ভাগ দুধ দোহন মেশিন দিয়েই করা হয়। বাট কাপগুলি গরুর বাটে সাথে সংযুক্ত করে দুধ দোহন করা হয়। সঞ্চয়ের জন্য দুধের বড় কাঁচা ট্যাঙ্কে ঢালার আগে দুধকে ছাঁকা হয় এবং ঠান্ডা করা হয়।দুধ দোহনের গড় সময় ৫-৭ মিনিট এবং একটি গাভীর দুধ দিনে ২-৩ বার মেশিন দোহন করা যায়। বিদ্যমান রোবোটিক মিল্কিং গাভীকে কখন দুধ দিতে হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছে, তবে এখনও মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে হয়।
মেশিনে দুধ দোহনের একটি পরিচিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল গরুর মাস্টাইটিস। অ-জীবাণুমুক্ত মেশিনগুলির জন্য বাটের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে পারে এবং সংক্রমণ ঘটাতে পারে। আরেকটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হল মেশিন দ্বারা বাটের শারীরিক ক্ষতি।