চন্দ্রমল্লিকা ফুল চাষ – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “উদ্যান ফসল” বিষয়ের ৮ নং ইউনিটের, পাঠ নং ৮.৯।
Table of Contents
চন্দ্রমল্লিকা ফুল চাষ
চন্দ্রমলিকা শীতকালীন মৌসুমী ফুল। চীন ও জাপান চ ন্দমলিকার উৎপত্তিস্ল। এটি জাপানের জাতীয় ফুল চন্দ্রমলিকা বিশ্বব্যাপি অত্যন্ত জনপ্রিয় যা গোলাপের পরই এর স্থান। নানা আকার, বাহারি রং, আকার আকৃতি এবং ফুলের দীর্ঘস্থায়িত্ব এর কারণে সকল মৌসুমি ফুলের চেয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। এই ফুল টবে, উদ্যানে, বিশেষ সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। শরৎকালীন ফুল ফোটে বলে শরতের রাণী বা Autmn queen বলা হয়। চীন, জাপান ইউরোপের এ এই ফুলের আরও উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কাজ চলছে। সংকরায়নের মাধ্যমে প্রচুর সংখ্যক জাত উদ্ভাবন হচ্ছে। শুধু বাগানের সৌন্দর্য নয় কাটফ্লাওয়ার চাষের প্রসার বাড়ছে।
চন্দ্রমল্লিকার জাত :
চন্দ্রমল্লিকা জাতভেদে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। (১) সিঙ্গেল (২) এনিমোন—ফ্লাওয়ার্ড (৩) ডেকোরেটিভ (৪) পমপন (৫) ইনকার্ভড (৬) কাসকেড (৭) হেয়ারি বা স্পাইডারী (৮) রিফ্লেক্সড (৯) লার্জ একজিবিশন (১০) স্পুন (১১) লিলিপুট। বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা কতৃর্ক উদ্ভাবিত জাত বারি চন্দ্রমল্লিকা—১, বারি চন্দ্রমল্লিকা—২। জলবায়ু ও মাটি
চন্দ্রমল্লিকা সাধারণত : ঠান্ডা ও রৌদ্রজ্জল পরিবেশ পছন্দ করে। দোআঁশ ও পলিদোআঁশ মাটি চন্দ্রমল্লিকা চাষের জন্য উপযোগী।
চন্দ্রমল্লিকার চারা উৎপাদন :
চন্দ্রমল্লিকা চারা বীজ, সাকার ও শাখা কলম হতে প্রস্তুত করা হয়। বীজ থেকে উৎপন্ন চারা থেকে ভালোমানের ফুল পাওয়া যায়না আবার ফুল আসতে সময় লাগে। সেদিক থেকে কলম করে চারা উৎপাদন করাই উত্তম।
১। সাকার থেকে চারা উৎপাদন :
গাছে ফুল ধরা শেষ হলে ১৫—২৫ সে.মি. উপরে ডালগুলো কেটে দিতে হয়। মাস খানেকের মধ্যে গাছের গোড়া থেকে সাকার বের হয়। এগুলো গাছের গোড়া থেকে ছিঁড়ে নিয়ে প্রতিটি খন্ডে ২—৩ টি পাতা রেখে প্রথমে ছোট টবে লাগাতে হবে। টবে মাটির মিশ্রনে সমপরিমাণ পচা গোবর সার কিংবা পাতা পচা সার এবং বালি মিশিয়ে নিতে হবে।
পরিমাণ মতো পানি সেচ দিলে এক মাসের মধ্যে সাকারের খন্ডগুলো থেকে মুল গজাবে। মধ্য জুন—মধ্য জুলাই মাস পর্যন্ত খন্ডগুলো বড় হবে এবং পাশ দিয়ে শাখা বের হবে সেগুলোকে কেটে নিয়ে টবে বা বীজতলয়ে ৩০ সে.মি. দুরে দুরে রোপন করা যেতে পারে। চারাগুলোকে কড়া রোদ ও অতিরিক্ত বৃষ্টি থেকে রক্ষাসহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
২। শাখা কলম থেকে চারা উৎপাদন :
শাখা কলম তৈরির জন্য জুলাই—আগষ্ট মাসের দিকে ৮—১০ সে.মি. দীর্ঘ করে অগ্রভাগ কেটে নিতে হবে। ২—৩টি নোড সম্পন্ন শাখা কলমের খন্ডগুলোকে তিনভাগ বালি ও একভাগ পাতা পচা সারের মিশ্রণে রোপন করতে হবে।
চন্দ্রমল্লিকার চারা রোপন :
সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ সে.মি. এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব ২৫ সে.মি. চারা রোপন করতে হবে। সারপ্রয়োগ চন্দ্রমল্লিকার জন্য গোবর সার একর প্রতি ৪০০০ কেজি, ১৬০ কেজি ইউরিয়া, ১১০ কেজি টি এসপি ১২০ কেজি এমপি, ৬৬ কেজি জিপসাম, ৪.৮ কেজি বরিক এসিড, ১.৬ কেজি জিঙ্ক অক্সাইড হারে প্রয়োগ করতে হবে (বারি, ২০০৪)। শেষ চাষের সময় সমুদয় সার মাটির দুই কিস্তিতে ভাগ করে একভাগ রোপনের ২৫—৩০ দিন পর এবং বাকি অর্ধেক ৪৫—৫৯ দিন পর গোড়ার চারপাশে দিতে হবে। প্রতিবার সার প্রয়োগের পর পানি সেচ দিতে হবে। কুড়ি অপসারণ বর্ষাকালে প্রথম দিকে যখন শাখা বের হতে থাকে তখন মুল কান্ডের মাথা কেটে দিতে হবে।
এরপর শাখা বের হলে প্রয়োজনীয় শাখা রেখে বাকি শাখা কেটে দিতে হয়। এতে ফুলের সংখ্যা বাড়ানো যায়। শাখাগুলির অগ্রভাগের ফুলের কুড়ি রেখে বাকিগুলো ফেলে দিতে হবে। এর ফলে বড় আকারের ফুল পাওয়া যায়। ঠেক দেওয়া চন্দ্রমল্লিকার গাছ যাতে হেলে না পড়ে সেজন্য ঠেক দেয়া প্রয়োজন।
চন্দ্রমল্লিকার রোগ ও পোকা দমন :
চন্দ্রমল্লিকার সবচেয়ে ক্ষতিকর পোকা হল জাবপোকা। এ পোকা কচি পাতা, ফুলের রস খেয়ে ফেলে। এই পোকা ১ লিটার পানিতে ২ মিলি ম্যালাথিয়ন মিশিয়ে ৭—১০ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে। থ্রিপস পোকাও পাতা ও ফুলের রস চুষে খায় ফলে পাতা ও ফুল শুকিয়ে যায়। চন্দ্রমল্লিকা পাউডারি মিলডিউ নামক ছত্রাক জনিত রোগের প্রার্দূভাব দেখা যায়। এ রোগ হলে পাতার উপর সাদা সাদা পাউডার দেখা যায়। এটি দমনের জন্য রিডোমিল ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে টিল্ট ২৫০ ইসি ৭—১০ দিন পর পর প্রয়োগ করলে রোগ দমন হয়। ফুল সংগ্রহ চারা লাগানোর ১০০—১২৫ দিনের মধ্যে চন্দ্রমল্লিকার ফুল ফোটে।
বাংলাদেশে নভেম্বর—জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এ ফুল ফোটে। চন্দ্রমল্লিকা ফুল কুড়ি অবস্থায় না তুলে বাইরে পাপড়িগুলো সম্পূর্ণ খুলে গেলে এবং মাঝের পাপড়িগুলো ফুটতে শুরু করলে দীর্ঘ বেঁাটা সহ ছুরি দিয়ে কেটে আনতে হবে। চন্দ্রমল্লিকার ফুল অনেক দিন পর্যন্ত তাজা থাকে। ফুল সংগ্রহের পর বাজারে পাঠানোর আগ পর্যন্ত পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে।
চন্দ্রমল্লিকার উন্নত চাষ পদ্ধতি
চন্দ্রমল্লিকার উন্নত চাষ পদ্ধতি নিয়ে আলাপ করবো আজ। চন্দ্রমল্লিকা জনপ্রিয় একটি মৌসুমী ফুল। ক্রিসমাসের সময় ফোটে বলে একে ক্রিসেন্থিমামও বলা হয়। জাপান ও চীন এর আদি জন্মস্থান। এটি বিভিন্ন বর্ণ ও রঙের হয়। তাই একে ‘শরৎ রানি’ও বলা হয়। বাড়ির আঙিনা, বারান্দা ও ছাদে ফুলটি চাষ করা যায়।
উন্নত চন্দ্রমল্লিকার চাষের জন্য জলবায়ু :
চন্দ্রমল্লিকা তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা আবহাওয়া এবং রৌদ্রোজ্জ্বল জায়গায় ভালো জন্মে। বাংলাদেশে শীতকালই এ ফুল চাষের উপযুক্ত সময়।
উন্নত চন্দ্রমল্লিকার চাষের জন্য মাটি :
জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ সুনিষ্কাশিত দো-আঁশ ও বেলে মাটি চন্দ্রমল্লিকা চাষের জন্য উপযোগী। মাটির পিএইচ ৬.০-৭.০ হওয়া জরুরি।
উন্নত চন্দ্রমল্লিকার চারা তৈরি :
বীজ, সাকার ও শাখা কলম থেকে চন্দ্রমল্লিকার চারা তৈরি করা যায়। জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে শাখা কলম করা শুরু হয়। একবছর বয়সী সবল ডাল থেকে ৮-১০ সেন্টিমিটার লম্বা ডাল তেরছাভাবে কেটে বেডে বা বালতিতে বসিয়ে দিলে তাতে শেকড় গজায়। ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে যখন ফুল দেওয়া শেষ হয়ে যায়। তখন গাছগুলোকে মাটির উপর থেকে ১৫-২০ সেন্টিমিটার রেখে কেটে দেওয়া হয়। কিছুদিন পর ওসব কাটা জায়গার গোড়া থেকে কিছু সাকার বের হয়। এসব সাকার ৫-৭ সেন্টিমিটার লম্বা হলে মা গাছ থেকে ওদের আলাদা করে ছায়াময় বীজতলায় বা টবে লাগানো হয়। মে-জুলাই মাসে চারাকে বৃষ্টি ও কড়া রোদ থেকে বাঁচানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
উন্নত চন্দ্রমল্লিকার চারা রোপণ :
শেষবারের মতো নির্দিষ্ট স্থানে কিংবা টবে রোপণের আগে চারাগুলোকে স্বতন্ত্র জমিতে বা টবে পাল্টিয়ে নিয়ে তাদের ফুল উৎপাদনের উপযুক্ততা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। জমি কিংবা টবে চারা রোপণের উপযুক্ত সময় অক্টেবর-নভেম্বর। জাতভেদে ৩০x২৫ অন্তর চন্দ্রমল্লিকা রোপণ করতে হবে।
উন্নত চন্দ্রমল্লিকার চাষে সার প্রয়োগ :
চন্দ্রমল্লিকা গাছ মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদন শোষণ করে থাকে। এ কারণে জৈব ও রাসায়নিক খাদ্যযুক্ত মাটিতে এ গাছ খুব ভালোভাবে সাড়া দেয়। প্রতি হেক্টরে ১০ টন পঁচা গোবর বা কম্পোস্ট, ৪০০ কেজি ইউরিয়া, ২৭৫ কেজি টিএসপি, ৩০০ কেজি মিউরেট অব পটাশ, ১৬৫ কেজি জিপসাম, ১২ কেজি বোরিক অ্যাসিড ও জিংক অক্সাইড সার প্রয়োগ করতে হবে।
সাকার রোপণের ১০-১৫ দিন আগে পঁচা গোবর বা কম্পোস্ট এবং ইউরিয়া বাদে অন্যান্য সার ৭-১০ দিন আগে মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। সাকার রোপণের ২৫-৩০ দিন পর ইউরিয়া সারের অর্ধেক প্রয়োগ করতে হবে এবং বাকি অর্ধেক সার সাকার রোপণের ৪৫-৫০ দিন পর গাছের গোড়ার চারপাশে একটু দূর দিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। উপরি প্রয়োগের পর সার মাটির সাথে মিশিয়ে সেচ দিতে হবে।
উন্নত চন্দ্রমল্লিকার কুঁড়ি :
চন্দ্রমল্লিকার বেড ও টব আগাছামুক্ত রাখা উচিত। চারা লাগানোর মাসখানেক পর গাছের আগা কেটে দিতে হয়। এতে গাছ লম্বা না হয়ে ঝোপালো হয়। চারা গাছে তাড়াতাড়ি ফুল আসলে তা সঙ্গে সঙ্গে অপসারণ করতে হয়। বড় আকারের ফুল পেতে হলে ডিসবাডিং করা উচিত। অর্থাৎ মাঝের কুঁড়িটি রেখে পাশের দুটি কুঁড়ি কেটে ফেলতে হয়। আর মধ্যম আকারের ফুল পেতে চাইলে মাঝের কুঁড়িটি অপসারণ করা উচিত।
উন্নত চন্দ্রমল্লিকার চাষে সেচ :
চন্দ্রমল্লিকার চারা বিকেলে লাগিয়ে গোড়ার মাটি চেপে দিতে হয়। চারা লাগানোর পর হালকা সেচ দিতে হয়। গাছ কখনো বেশি পানি সহ্য করতে পারে না। তাই পানি এমনভাবে দিতে হবে যেন গোড়ায় বেশিক্ষণ পানি জমে না থাকে। চারা রোপণের আগে এবং পরে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে পরিমাণমতো পানি সেচ জরুরি।
উন্নত চন্দ্রমল্লিকার ঠেস দেয়া :
চন্দ্রমল্লিকা ফুল সাধারণত ডালপালার তুলনায় বড় হয়। তাই গাছের গোড়া থেকে কুঁড়ি পর্যন্ত একটা শক্ত কাঠি পুঁতে দিতে হবে। এতে ফুল নুয়ে পড়বে না। চারা লাগানোর সময় কাঠি একবারেই পুঁতে দেওয়া ভালো। এজন্য জাত বুঝে চন্দ্রমল্লিকা গাছের উচ্চতা অনুযায়ী বাঁশের কাঠি চারার গোড়া থেকে একটু দূরে পুঁতে দিতে হয়।
উন্নত চন্দ্রমল্লিকার নিয়মিত পরিচর্যা :
ঘন ঘন নিড়ানি দিয়ে সব সময় জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। ঘাস না থাকলেও মাঝে মাঝে মাটিতে নিরানি দিলে গাছ স্বাস্থ্যবান হয়। লাগানোর ১০ দিনের মধ্যে মরে যাওয়া চারাগুলি বদলে দিতে হবে। মূল কাণ্ডের অগ্রভাগ ছেঁটে দিয়ে কাক্ষিক মুকুলের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। চারা গুলি যখন ২০ সেমি লম্বা হয়, তখন ছাঁটাই করতে হয়। ছোট ফুলের ক্ষেত্রে আরও এক বার ডগা ভেঙে দিতে হয়। বড় ফুলের গাছগুলি উঁচু হয় এবং এদের শক্ত কাঠি দিয়ে বেঁধে খাড়া করে রাখতে হয়। অবাঞ্ছিত ও অপরিণত কুঁড়ি ভেঙে দিলে কম সংখ্যক বড় আকারের বা বেশি সংখ্যক ছোট ফুল উৎপাদন করা সম্ভব।
চন্দ্রমল্লিকার রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ :
চন্দ্রমল্লিকার শোষক পোকা :
এ পোকা পাতা ও ফুলের রস শোষণ করে। ফলে আক্রান্ত পাতা ও ফুলে দাগ পড়ে। এমনকি ফুল এবং গাছও শুকিয়ে যায়। এ পোকা দমনের জন্য ২ মিলি ম্যালাথিয়ন ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন অন্তর স্প্রে করতে হবে।
চন্দ্রমল্লিকার জাব পোকা :
অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয় অবস্থাতেই গাছের নতুন ডগা বা ফুলের রস চুষে খায়। এটি গাছের বৃদ্ধি এবং ফলনে মারাত্মক ক্ষতি করে। নোভাক্রন (০.১%) বা রগর (১%) প্রয়োগ করে এ পোকা দমন করা যায়।
চন্দ্রমল্লিকার পাউডারি মিলডিউ :
এ রোগ হলে গাছের পাতা ধূসর হয়ে যায়। পাতার ওপরে সাদা সাদা পাউডার দেখা যায়। টিল্ট ২৫০ইসি ০.৫ মিলি বা ২ গ্রাম থিয়োভিট প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন অন্তর স্প্রে করে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
চন্দ্রমল্লিকার ফলন :
ভালো ফলন হলে বিঘা প্রতি প্রায় তিন লাখ ছোট চন্দ্রমল্লিকা ফুল পাওয়া যায় যার ওজন প্রায় দুই টন এর মত এবং বড় চন্দ্রমল্লিকা ফুল পাওয়া যায় প্রায় ৭৫ হাজার।
চন্দ্রমল্লিকা ফুল তোলা :
চন্দ্রমল্লিকা ফুলের কুঁড়িতে রং এলেই ফুল তোলা যায়। পুষ্প দণ্ডের নিচের ১০ সেমি থেকে পাতা ছেঁটে ফেলতে হয়। ফুল তোলার সঙ্গে সঙ্গে তা সংরক্ষক ও ব্যাকটেরিয়ানাশক মেশানো পানিতে কিছু সময় রাখতে হয়। গাছে ২৮ থেকে ৩৫ দিন পর্যন্ত ফুল তাজা থাকে। স্পর্শ জনিত কীটনাশকের দ্রবণে কাটা ফুল আধ ঘণ্টা ডুবিয়ে রেখে তারপর শুকিয়ে রাখা উচিত। প্লাস্টিকে মুড়ে -০.৫ ডিগ্রি –০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চন্দ্রমল্লিকা ফুল প্রায় দেড় থেকে দুই মাস পর্যন্ত হিম ঘরে মজুত করে রাখা যায়।