আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষির ওপর প্রভাব – যা কৃষি ও জলবায়ু এর অন্তর্ভুক্ত ।
Table of Contents
জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষির ওপর প্রভাব
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের ঋতুচক্র বদলে যাচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব দেশের কৃষি উৎপাদনের ওপরে পড়তে শুরু করেছে। বাংলাদেশের কৃষিবিদরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম একটি নিদর্শন বৃষ্টিপাতের ধরন পাল্টে যাওয়া। আষাঢ় শ্রাবণ মাসে তেমন বৃষ্টি হয়না। আশ্বিন মাসে ৪-৫ দিন এমন পরিমাণে বৃষ্টিপাতে যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। খরাসহ বিভিন্ন কারণে দেশে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিনে দিনে নিম্নমুখী হয়ে সেচ কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।
এর ফলে বিভিন্ন কৃষির উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব দেশে ফসল উৎপাদন ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আবহাওয়ার অসংলগ্ন আচরণের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে কৃষি খাতকে ইতিমধ্যে ধকল পোহাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি ছাড়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের ঋতু। বৈচিত্রের আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে । ফলে অতিবৃষ্টি, অসময়ে বৃষ্টি, বন্যা, তীব্র খরা, নদীর নাব্যতা সংকট, জলাবদ্ধতা ইত্যাদি সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। এর সবগুলোই কৃষি খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাবফেলছে।
১. ফসল উৎপাদনে খরার প্রভাব
কোন এলাকায় বৃষ্টিপাতের তুলনায় বাষ্পীকরণের মাত্রা বেশি হলে সেখানে খরা দেখা দেয়। কৃষি খরা বলতে আবহাওয়ার নিয়ামক গুলো যেমন বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, বাতাসের আর্দ্রতা, বাষ্পীভবন ইত্যাদির হ্রাস বৃদ্ধিজনিত কারণে ফসলের জীবন চক্রের যেকোনো অবস্থায় পানির অভাবে জৈবিক কর্ম ব্যাহত হওয়াকে বোঝায় । কৃষিতে খরা একটি বহুল প্রচলিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। গাছের বৃদ্ধি পর্যায়ে গড় বৃষ্টিপাতের অভাবে মাটিতে পানি শূন্যতা সৃষ্টি হয়, যা গাছের ক্ষতি করে।
দেশে বিভিন্ন মাত্রার খরায় আক্রান্ত ৮৩ লাখ হেক্টর চাষযোগ্য জমির শতকরা ৬০ ভাগ জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়। এছাড়াও খরা আউশ ও বোরো ধান, পাট, ডাল ও তেল ফসল, আলু, শীতকালীন সবজি এবং আখ চাষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
মার্চ-এপ্রিলের খরা চাষের জন্য জমি প্রস্তুতিতে অসুবিধার সৃষ্টি করে ফলে বোনা আমন, আউশ এবং পাট চাষ যথা সময়ে করা যায় না। মার্চ-এপ্রিলের খরা চাষের জন্য জমি প্রস্তুতিতে অসুবিধার সৃষ্টি করে ফলে বোনা আমন, আউশ এবং পাট চাষ যথা সময়ে করা যায় না। সেপ্টেম্বর- অক্টোবর মাসের কম বৃষ্টিপাত বোনা ও রোপা আমন ধানের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এবং ডাল ও আলু ফসলের চাষকে দেরি করিয়ে দেয়। কাঁঠাল, লিচু, কলা ইত্যাদি ফলের গাছ অতিরিক্ত খরায় মারা যায় ।
২. ফসল উৎপাদনে তাপমাত্রার বৃদ্ধির প্রভাব
তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে উফশী ধানের ফলন কমে যাবে এবং গমের রোগের আক্রমণ বাড়বে। বাংলাদেশে বর্তমানের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে গম চাষ সম্ভব হবেনা। ধান গাছের ফুল ফোটার সময় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়ে বেশি হলে এবং অতি নিম্ন তাপে ( ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে) শিখে ধানের সংখ্যা কমে যেতে পারে। ফুল ফোটা বা পরাগায়নের সময় যদি অতি উষ্ণ তাপ থাকে তাহলে চিটার সংখ্যা থোড় অবস্থার চেয়ে বেশি হবে ।
তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও কার্বনডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বাড়ার কারণে ধান গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, ধান গাছ হলুদ বর্ণ ধারণ করে, ধানের চারা দুর্বল হয় এবং ফসলের জীবনকাল বেড়ে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পোকামাকড় এবং বিভিন্ন উদ্ভিদ রোগের আক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। দানা শস্যেসহ বিভিন্ন ফসলে মিলিবাগ, এফিড (শোষক পোকা) ব্যাকটেরিয়া (জীবাণু গঠিত রোগ) ও ছত্রাকজনিত রোগ এর আক্রমণ বেশি বেশি দেখা যাচ্ছে।
অতিরিক্ত তাপ এবং আর্দ্রতা গাছের ছত্রাক রোগ বাড়ানোয় সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং একই ভাবে পোকামাকড় ও বিভিন্ন রোগের বাহক পোকার সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। বেশির ভাগ রবি ফসলেরই স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়ে ফলনের ওপর তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে।
এছাড়া শীত মৌসুমে উষ্ণপ্রবাহ দেখা দিলে বেশি সংবেদনশীল ফসল যেমন গমের ফলন খুব কমে যায় এবং গম উৎপাদন অলাভজনক হয় । হঠাৎ তীব্র শৈত্য প্রবাহ হলে সরিষা, মসুর, ছোলা ইত্যাদি ফসলের ওপর তার বিরূপ প্রভাব পড়ে এবং এসব ফসলের পরাগায়ন ব্যাহত হয়ে ফলন খুব কমে যায়।
৩. ফসল উৎপাদনে লবণাক্ততা বৃদ্ধির প্রভাব
বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় নদ-নদীর পানি প্রবাহ শুকনো মৌসুমে স্বাভাবিক মাত্রায় থাকেনা। ফলে নদীর পানির বিপুল চাপের কারণে সমুদ্রের লোনা পানি যতটুকু এলাকা জুড়ে আটকে থাকার কথা ততটুকু থাকেনা, পানির প্রবাহ কম থাকার কারণে সমুদ্রের লোনা পানি স্থলভাগের কাছাকাছি চলে আসে। ফলে লবণাক্ততা বেড়ে বেড়ে যায় দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের বিপুল এলাকায়।
লোনা পানির অনুপ্রবেশ বাংলাদেশের একটি মারাত্মক সমস্যা। গবেষণায় দেখা গেছে যে, একটা সময় পরে আমাদের দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলো সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাবে এবং লবণাক্ত হয়ে পড়বে। ফলে সেখানে স্বাভাবিক ফসল ফলানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। সাম্প্রতিক সময়ে মৃত্তিকা সম্পদ গবেষণা ইনষ্টিটিউট এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, দেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ১০ লাখ হেক্টর জমি ফসল চাষের উপযুক্ততা হারিয়েছে, ভবিষ্যতে লবণাক্ত অঞ্চলের পরিমান আরও বাড়বে।
৪. সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং ফসল উৎপাদনে প্রভাব
সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এশিয়ার দেশগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা ও পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেবে বলেই বিশিষ্ট জনের মত । প্রায়শই বন্যা, সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস ও লবণাক্ততা সৃষ্টি হচ্ছে।
অধিকন্তু ঋতু পরিবর্তনের স্বাভাবিক নিয়মে বৈচিত্র্য দেখা দিচ্ছে। বিশ্বব্যাংক বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে টার্ন ডাউন দ্য হিট: ক্লাইমেট রিজিওনাল ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড কেস ফর রেজিলিয়ান্ত শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে উল্লেখ করেছে প্রতি তিন থেকে পাঁচ বীর পরপর বাংলাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা বন্যায় ডুবে যাবে।
তাপমাত্রা আড়াই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে বন্যায় প্লাবিত এলাকার পরিমান ২৯ শতাংশ বাড়বে। ২০৮০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উপকূলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ৬৫ সেন্টিমিটার বাড়লে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৪০ শতাংশ ফসলি জমি হারিয়ে যাবে।
৫. ফসল উৎপাদন এবং কার্বন নিঃসরন
বায়ুমন্ডলের কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধি ফসল উৎপাদনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। যদিও ফসলের জাতভেদে কার্বনডাই অক্সাইড বৃদ্ধির প্রভাব বা প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরুপ ফসল যেমন গম, সয়াবিন বা ক্যানোলাসহ বিভিন্ন চারণভূমি ঘাসের বৃদ্ধি অধিক মাত্রায় কার্বনডাইঅক্সাইডের পরিবেশে বেশি ফলপ্রসু হয়।
অপরদিকে উদ্ভিদ বিশেষ করে ভূট্টা অধিক মাত্রায় কার্বনডাই অক্সাইড লেভেলে কম প্রতিক্রিয়াশীল হয়। যদিও তাপমাত্রা এর অধিক হলে উদ্ভিদ কার্বনডাইঅক্সাইড মেটাবলিজম অধিক হয় ।
৬. জলবায়ু পরিবর্তন এবং বালাই ও আগাছার প্রাদুর্ভাব
জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে ফসলের উপর বালাই ও আগাছার প্রভাব উপকারী বা অপকারী দুই ভাবেই আসতে পারে। প্রথমত, নতুন শিকারী কীটপতঙ্গের প্রবর্তন এবং দ্রুত ফসল অবশিষ্টাংশের পচন কৃষিতে নতুন কিছুর সূচনা করতে পারে। অপর দিকে বর্ধিত পোকা এবং নতুন রোগের রোগ সংবেদনশীল বা অকার্যকর কীটনাশক বিশেষ অপকারী প্রভাব ফেলতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফসলের ওপর প্রভাব
ধান
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টি নির্ভর অঞ্চলে খরা ও অতিবৃষ্টি ধান উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। হিসাব করে দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভারতে ২০২০ খ্রিস্টাব্দে বৃষ্টি নির্ভর ধান চাষে ফলন ৬% এবং একই সময়ে সেচ নির্ভর ধান চাষে ফলন ৪% কমবে। বাংলাদেশের খরা এবং বৃষ্টি দিন সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার ফলে ধানের ফলনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে ।
গম
বীজের অঙ্কুরোদগম, গাছের দৈহিক বৃদ্ধি, পরাগায়ন, ফুল ও ফল ধরা ও ফসল পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত ও সূর্যালোক প্রয়োজন। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে এই উপাদান সমূহের ও পরিবর্তন ঘটছে। আশঙ্কা করা হয়, আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের গম উৎপাদন ৩২ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে।
আলু
আলুর উৎপাদন মৌসুম সংক্ষিপ্ত এবং শীত কম তীব্রতর হওয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশে আলুর ফলনের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে । প্রধান প্রধান আলু উৎপাদন অঞ্চলে আলু ও ভুট্টা মিশ্রচাষ অথবা রিলেএপিং সিস্টেম এক্ষেত্রে কাম্য। বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে এনসিডিপির মাধ্যমে উদ্ভাবিত ভুট্টা-আলু / মৃগ রিলে শসা সিস্টেম সারাদেশে ব্যাপকভাবে অভিযোজিত করে ঝুঁকি কমানো যেতে পারে ।
পার্ট
সোনালী আঁশ, পাটের উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাষীরা পাট চাষে বিমূখ হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের কৃষি তথ্য সার্ভিসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়: এদেশে ১৯৭২-১৯৮১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পাট চাষের জমি ছিলো গড়ে ১,৭৭৯ একর সেখানে ২০০১-০৭ পর্যন্ত সময়কালে চাষের জমি মাত্র ৮৬৪ একর। পাটচাষের এই ক্রমাবনতির জন্য বিশেষজ্ঞরা জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করে থাকেন।
তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনগত সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে দেশী জাতের পাট চাষ করা হয়না, হয় তোষা জাতের পাটের চাষ। আগে নিচু এলাকায় পাটের চাষ হলেও এখন উঁচু এলাকায় হচ্ছে । আগে দেশের পূর্বাঞ্চলে ভালো পাট জন্মালেও এখন পাট চাষ উত্তরাঞ্চলে সরে এসেছে ।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ফুল উৎপাদনকারী উদ্ভিদ এবং ফসলে লক্ষণীয় হবে। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অংশ বিশেষ যশোরসহ প্রধান প্রধান ফুল উৎপাদনকারী অঞ্চলে খরা, অতিবৃষ্টি এবং তাপমাত্রার মৌসুম ভিত্তিক পরিবর্তনের ফলে ফুল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বাণিজ্যিক ভাবে বিশেষ করে যেখানে উন্মুক্ত মাঠে ফুলচাষ হয় সেক্ষেত্রে জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে গাছে ফুল সংখ্যা হ্রাস, অনুপোযুক্ত ফুলধারণ, বর্ণ পরিবর্তনের পাশাপাশি ফুলের আকার ছোট হবে এবং ফুল ধারণকাল স্বল্পস্থায়ী হবে।
ফল
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেক নতুন নতুন রোগ ও পোকামাকড় এখন দেখা যায়, যা আগে কখনও দেখা যেত না ।
সারসংক্ষেপ
জলবায়ু পরিবর্তন সম্প্রতিক সময়ে কৃষির উপর এক অভিশাপ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। পরিবর্তনের এই প্রভাব | সামগ্রিক কৃষির উপর ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। অসময়ে বৃষ্টি, বর্ষায় অনাবৃষ্টির দরুন খরার প্রকোপ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা, কার্বন নিঃসরনের ফলে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ামকগুলো কৃষির উৎপাদনকে বাধাগ্রস্থ করছে। মৌসুমী কৃষির চাষাবাদ কতিপয় ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অতি দ্রুত এ পরিবর্তন মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।