দুধ দোহন ও দুধ বাজারজাতকরণ

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়ঃ দুধ দোহন ও দুধ বাজারজাতকরণ । এটি কৃত্রিম প্রজনন ও খামার স্থাপন এর গাভীর জাত উন্নয়ন ইউনিটের অন্তর্গত।

 

দুধ দোহন ও দুধ বাজারজাতকরণ

 

Table of Contents

দুধ দোহন ও দুধ বাজারজাতকরণ

দুধ দোহন (Milking )

যে প্রক্রিয়া বা কৌশলের মাধ্যমে গাভীর ওলান থেকে দুধ সংগ্রহ করা হয়ে থাকে তাকে দুধ দোহন বলে । প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে সঠিকভাবে গাভী থেকে দ্রুত দুধ দোহন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এতে করে গাভী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে ।

দুধ দোহনের বিভিন্ন ধাপ (Steps for milking)

সঠিকভাবে দুধ দোহন সম্পন্ন করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়—

দুধ দোহনের সময় (Time of milking) :

নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুযায়ী প্রতিদিন দু’বার বা তিনবার দুধ দোহন করা উচিত । যখন তখন দুধ দোহন করলে দুধ উৎপাদন কমে যায় ।

দুধ দোহন ক্রম (Milking order) :

কোনো দলে একের অধিক গাভী থাকলে নিচের ক্রম অনুযায়ী দুধ দোহন করা উচিত ।

১. ম্যাস্টাইটিস রোগমুক্ত বকনা বাছুর ।

২. ম্যাস্টাইটিস রোগমুক্ত বয়স্ক গাভী ।

৩. যে সমস্ত গাভীর পূর্বে ম্যাস্টাইটিস রোগ হয়েছিলো কিন্তু তারপর অনেকদিন পর্যন্ত ম্যাস্টাইটিস রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।

গাভী এবং দোহনকারীকে প্রস্তুত করা (Preparing the cow and milker) :

দোহনকারী ও যে গাভীর দুধ সংগ্রহ করা হবে এদের মধ্যে পারস্পরিক পছন্দ থাকা উচিত । দুধ দোহনের পূর্বে কখনোই গাভীকে বিরক্ত করা উচিত নয় অথবা মারধোর করা উচিত নয় । দোহনের পূর্বে গাভীর ওলান এবং বাঁট অ্যান্টিসেপ্‌টিক লোশন অথবা নিমপাতার গরম পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে । এরপর পরিষ্কার কাপড় পরিধান করতে হবে, তোয়ালে বা টুপি দিয়ে চুল ঢেকে রাখতে হবে এবং প্রতিদিন নখ কাটতে হবে। দুধ দোহনের সময় দোহনকারীর যদি কোনো বদভ্যাস যেমন— মুখ থেকে থুতু ফেলা, নাক ঝাড়া এমনকি দোহনের সময় কথা বলা ইত্যাদি থাকে তাহলে ঐ দোহনকারীকে দিয়ে দুধ দোহন করানো উচিত নয় ।

 

দুধ দোহন ও দুধ বাজারজাতকরণ

 

পরিষ্কার তৈজসপত্র ব্যবহার করা (Use of clean utensils) :

দুধ সংগ্রহরে জন্য বালতির পরিবর্তে গম্বুজ আকৃতির ঢাকনাসহ স্বাস্থ্যসম্মত হাতাওয়ালা বালতি ব্যবহার করা উচিত। প্রত্যেকবার দুধ দোহনের পর দুধের পাত্র প্রথমে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং পরে ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুতে হবে । পরবর্তী দোহনের পূর্ব পর্যন্ত র‍্যাকে পাত্রগুলো উপুড় করে সাজিয়ে রাখতে হবে ।

 

দুধ দোহন ও দুধ বাজারজাতকরণ

 

মশামাছির আক্রমণ থেকে গাভীকে মুক্ত রাখা ( Keep cows free from flies etc.) :

দোহনের সময় মশা মাছি বা কোনো বিকট শব্দের ফলে গাভী যেন বিরক্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ।

গাভীকে উদ্দীপিত করা (Stimulation of cows) :

বাছুরের সাহায্যে গাভীর বাঁট চুষে অথবা দোহনকারী কর্তৃক ওলান ম্যাসেজ করে গাভীকে উদ্দীপিত করতে হবে। দোহন করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, দুধ যেনো সম্পূর্ণভাবে দোহন করা হয় ।

দোহনের সময় খাওয়ানো (Feeding during milking) :

দুধ দোহনের সময় গাভীকে ব্যস্ত রাখার উদ্দেশ্যে অল্প পরিমাণ দানাদার মিশ্রণ খাওয়ানো ভালো। এতে করে গাভী খেতে ব্যস্ত থাকে এবং সহজে দুধ দোহন করা যায় ।

স্ট্রিপ কাপ ব্যবহার করা (Using strip cup) :

গাভী ম্যাস্টাইটিস রোগে আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য স্ট্রিপ কাপ ব্যবহার করা হয়। দোহনের শুরুতেই প্রতিটি বাট থেকে এক থেকে দুই ফোঁটা দুধ স্ট্রিপ কাপে নেয়া হয় । এতে করে দুধে যদি কোনো অস্বাভাবিকতা থাকে তবে তা দোহনকারী বুঝতে পারে এবং পাশাপাশি বাঁটে কোনো ময়লা থাকলে তা বের হয়ে আসে ।

 

দুধ দোহন ও দুধ বাজারজাতকরণ

 

দুধদোহন পদ্ধতি (Milking procedure ) :

দুধদোহনের যে কোনো একটি পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করে দুধ দোহন করতে হবে ।

দুধ দোহন পদ্ধতি (Milking procedure)

দুধদোহনের দুটো পদ্ধতি রয়েছে—

১. হাত দিয়ে দুধ দোহন ( Hand milking )

২. যন্ত্রের সাহায্যে দুধ দোহন (Machine milking )

১. হাত দিয়ে দুধ দোহন (Hand milking)

হাত দিয়ে দুধ দোহনের মূলনীতি হচ্ছে— ওলানের বাঁটের গোড়া বন্ধ রেখে বাঁটের উপর চাপ প্রয়োগ করা হয় । ফলে বাঁটে রক্ষিত দুধ বের হয়ে আসে । আবার চাপ সরিয়ে নিলেই ওলান থেকে বাঁটে দুধ এসে জমা হয়। এভাবেই বারবার প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে। হাত দিয়ে দোহনের ক্ষেত্রে গাভীর বামপাশ থেকে দোহন করতে হয় । দুধ দোহনের নিয়ম হলো— প্রথমে সামনের বাঁট দুটো একসাথে ও পরে পেছনের বাঁট দুটো একসাথে অথবা গুণ চিহ্নের মতো সামনের একটি ও পেছনের একটি বাঁট একসাথে অথবা যে বাঁটে দুধ বেশি আছে বলে মনে হবে সেগুলো আগে— এভাবে দোহন করা যায়। হাত দিয়ে দুধ দোহনের কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে—

ক. পূর্ণ হস্ত পদ্ধতিতে দোহন (Full hand milking)

খ. নোড-এর সাহায্যে দোহন (Milking with node)

গ. দুই আঙুলের সাহায্যে দোহন (Milking with two fingers)

ক. পূর্ণ হস্ত পদ্ধতিতে দোহন (Full hand milking)

যে সমস্ত গাভীর ওলানের গঠন স্বাভাবিক এবং বাঁট পরিমিত আকারের তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি সবচেয়ে উপযোগী। এই পদ্ধতিতে হাতের তালু, বৃদ্ধাঙ্গুলি ও প্রথমাঙ্গুলি দিয়ে এমনভাবে বাঁট ধরা হয় যাতে করে কনিষ্ঠাঙ্গুলি মুক্ত থাকে । বৃদ্ধাঙ্গলি ও প্রথমাঙ্গুলি দিয়ে বাঁটের গোড়া বন্ধ রেখে চাপ প্রয়োগ করলেই দুধ বের হয়ে আসে । আবার বাঁটের গোড়া খুলে দিলেই ওলান থেকে দুধ এসে বাঁটে জমা হয়।

 

দুধ দোহন ও দুধ বাজারজাতকরণ

 

খ. নোডের সাহায্যে দোহন (Milking with node)

যে সমস্ত গাভীর বাঁট মোটা ও মাংসল তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে । এই পদ্ধতিটি পূর্ণ হস্ত পদ্ধতির মতোই কিন্তু পার্থক্য হলো এই যে, এক্ষেত্রে বৃদ্ধাঙ্গুলির সামনের অংশ এবং প্রথমাঙ্গুলির সাহায্যে বাঁটের উপর চাপ প্রয়োগ করতে হয়। এটি একটি নিষ্ঠুর পদ্ধতি এবং এই পদ্ধতি সাধারণত অনুসরণ করা হয় না ।

 

দুধ দোহন ও দুধ বাজারজাতকরণ

 

গ. দুই আঙ্গুলের সাহায্যে দোহন (Milking with two fingers)

গাভী প্রথমবার বাচ্চা প্রসব করার পর সাধারণত বাঁট ছোট থাকে । এ ধরনের গাভীর জন্য এই পদ্ধতিটি প্রযোজ্য । এই পদ্ধতিতে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও প্রথমাঙ্গুলি দিয়ে বাঁট ধরতে হয় । অতপর চাপ প্রয়োগ করে আলতোভাবে উপর থেকে নিচের দিকে আঙ্গুল দুটো নিয়ে আসতে হয় ।

 

দুধ দোহন ও দুধ বাজারজাতকরণ

 

২. যন্ত্রের সাহায্যে দুধ দোহন (Machine milking )

সাধারণত বড়ো বড়ো খামারে যেখানে দুগ্ধবতী গাভীর সংখ্যা অনেক বেশি থাকে সেখানে একসংগে অনেকগুলো গাভীকে দোহনের জন্য দুধদোহন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়ে থাকে । যন্ত্রের সাহায্যে খুব সহজে এবং অল্প পরিশ্রমে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে দুধ দোহন করা সম্ভব হয় ।

একটি দুধদোহন যন্ত্রে সাধারণত যে অংশগুলো থাকে—

  • ভ্যাকুয়াম পাম্প (Vacuum pump )
  •  ভ্যাকুয়াম ট্যাংক (Vacuum tank)
  • ভ্যাকুয়াম লাইন (Vacuum line)
  •  রেগুলেটর (Regulator)
  •  পালসেটর (Pulsator)
  • মিল্ক পাইপ (Milk pipe)
  • এয়ার পাইপ (Air pipe)
  •  টিট কাপ (Teat cup)
  •  দুধ সংগ্রহ পাত্র (Pail )
  • ক্লপিস (Claw piece)

যন্ত্রের সাহায্যে দুধ দোহন পদ্ধতি

দোহনের সময় হলে গাভীর বাঁটে টিট কাপ লাগিয়ে দিয়ে দোহন যন্ত্রটি চালু করতে হবে। ভ্যাকুয়াম পাম্প কর্তৃক সৃষ্ট ভ্যাকুয়াম পালসেটরের মাধ্যমে টিট কাপ শেল ও টিট কাপ লাইনারের মধ্যে শূন্যতার সৃষ্টি করে । ফলে ওলান থেকে দুধ এসে বাঁটে জমা হয়। আবার টিট কাপ সেল ও লাইনারের মধ্যে বাতাস ঢুকিয়ে স্ফীতির সৃষ্টি করলে বাঁটের উপর চাপ পড়ে এবং বাঁটে রক্ষিত দুধ মিল্ক পাইপ দিয়ে দুধ সংগ্রহ পাত্রে এসে জমা হয়।

 

দুধ দোহন ও দুধ বাজারজাতকরণ

 

দুধ দোহন ও দুধ বাজারজাতকরণ

 

দুধ বাজারজাতকরণ

বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি ইউনিয়ন (পরিচিতি নাম— মিল্ক ভিটা) এবং কয়েকটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাংলাদেশের কোথাও দুধ বাজারজাতকরণের কোনো নির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই । বেশিরভাগ দুগ্ধ উৎপাদনকারী নিজেই বাজারে গিয়ে দুধ বিক্রয় করে থাকেন । দুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও কোন সুনির্দিষ্ট গুণগত ও স্বাস্থ্যসম্মত মান অনুসরণ করা হয় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে গোয়ালা দুধ উৎপাদনকারীর নিকট দুধ সংগ্রহ করে থাকে । তবে এক্ষেত্রে গোয়ালা অসুদপায় অবলম্বন করায় দুধের গুণগতমান কমে যায় ।

বাংলাদেশে অপ্রতুল পরিবহণ ব্যবস্থা এবং সঠিক বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা না থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মূল্যে দুধ ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে । উদাহরণ স্বরূপ ঢাকা শহরে প্রতি লিটার দুধের মূল্য যেখানে ২০-২৫ টাকা গ্রামাঞ্চলে সেখানে প্রতি লিটার দুধ ১০-১২ টাকা বা তারও কম মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে। এছাড়াও গ্রামাঞ্চলে কোনো দিন হয়তো দুধের চাহিদা বাজারে খুব বেশি থাকে আবার কোনো দিন হয়তো চাহিদা খুবই কম থাকে । ফলে দুধ উৎপাদনকারী ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকেন । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দুধ বাজারজাতকরণের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে ।

বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি ইউনিয়ন যে পদ্ধতি অনুসরণ করছে তা আলোচনা করা হলো—

৩-৬ টি গ্রামের ১০০-৪০০ সদস্য নিয়ে প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি গঠন করা হয় । সমিতির সদস্যদের অবশ্যই কমপক্ষে একটি নিজস্ব গাভী থাকতে হবে । এছাড়াও প্রত্যেক সদস্যকে বছরে ১৫০ দিনে কমপক্ষে ১৫০ লিটার দুধ সরবরাহ করতে হবে । সমিতির সদস্যরা উৎপাদিত দুধ নির্দিষ্ট কেন্দ্রে সরবরাহ করে থাকেন। সমিতির সদস্যরা যেন ন্যায্য মূল্য পায় এজন্য দুধে চর্বির শতকরা হারের উপর মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে । ফলে দুগ্ধ উৎপাদনকারী তার উৎপাদিত দুধ নিয়ে যেমন দুঃশচিন্তায় ভোগেন না ঠিক তেমনি ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় উৎপাদনে উৎসাহ বোধ করে থাকেন ।

সারমর্ম

দুগ্ধ খামারে দুধ দোহন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সঠিকভাবে দুধদোহন প্রক্রিয়ার উপর খামারের সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে । এজন্যই দুধদোহনের বিভিন্ন ধাপ এবং হাত দিয়ে বা যান্ত্রিকভাবে দুধদোহনের ক্ষেত্রে সঠিক কৌশল অনুসরণ করা উচিত । দুধ একটি পচনশীল দ্রব্য। তাই দুধ উৎপাদনের পর তা বাজারজাতকরণ জরুরী। বাংলাদেশে যদিও দুধ বাজারজাতকরণের | কোনো পদ্ধতি নেই, তবুও বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি ইউনিয়ন দুধ বাজারজাতকরণের পদ্ধতি অনুসরণ করছে।

পাঠোত্তর মূল্যায়ন

১। সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন (~) দিন ।

ক. নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুযায়ী প্রতিদিন কতবার দুধদোহন করা উচিত?

i. ২/৩ বার

ii. ৪/৫ বার

iii.৩/৪ বার

iv. ১ বার

খ. হাত দিয়ে দুধ দোহনের কয়টি পদ্ধতি রয়েছে?

i. টি

ii. ৩ টি

iii.৪ টি

iv. ৫ টি

২। সত্য হলে ‘স’ এবং মিথ্যা হলে ‘মি’ লিখুন ।

ক. দোহনকারী ও যে গাভীর দুধ সংগ্রহ করা হবে এদের মধ্যে পারস্ রিক পছন্দ থাকা উচিত ।

খ. গাভী থেকে ধীরে ধীরে দুধদোহন করতে হয় ।

৩। শূন্যস্থান পূরণ করুন ।

ক. যে সমস্ত গাভীর ——– গঠন স্বাভাবিক তাদের ক্ষেত্রে পূর্ণহস্ত পদ্ধতি প্রযোজ্য ।

খ. নোড এর সাহায্যে দুধদোহন একটি ——পদ্ধতি ।

৪।  এক কথায় বা বাক্যে উত্তর দিন ।

ক. প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি কতজন সদস্য নিয়ে গঠন করা হয়?

খ. দুই আঙ্গুলের সাহায্যে দুধদোহন পদ্ধতিতে কোন্ কোন্ আঙ্গুল দিয়ে বাঁট ধরতে হয়?

Leave a Comment