আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-অসুস্থ গবাদি পশুর লক্ষণ ও রোগের প্রকারভেদ
Table of Contents
অসুস্থ গবাদি পশুর লক্ষণ ও রোগের প্রকারভেদ
আমাদের দেশে গৃহপালিত পশু পালনে একটি বড় সমস্যা এদের রোগব্যাধি। তাই | লাভজনকভাবে গবাদি পশু পালন করতে হলে এ ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ হতে হবে। সুস্থ পশুর লক্ষণগুলো জানা থাকলে পশু অসুস্থ হলে তা সহজেই বুঝা যাবে। পশুর কিছু বাহ্যিক লক্ষণ দেখে সুস্থ পশু চেনা যায়।
সুস্থ পশুর বাহ্যিক লক্ষণগুলো হল
১। পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রতি সজাগ থাকবে এবং গতিবিধি ও হাটাচলা স্বাভাবিক হবে।
২। পশুর নাক, মুখ, চোখ পরিষ্কার থাকবে। চোখ উচ্ছ্বল ও নাকের আভাগে বিন্দু বিন্দু নাম থাকবে।
৩।শরীরে লোম মসৃণ ও চকচকে থাকবে। কান ও লেজ নেড়ে মশা, মাছি তাড়াবে
৪। পশুদের পায়ের উপর শিলা পাড়ায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস ও নাড়ির গতি স্বাভাবিক থাকবে।
৫। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে।
৬। খাওয়ার দুটি স্বাভাবিক থাকবে এবং খাবার পর জাবর কাটবে মাত্রা স্বাভাবিক থাকবে।
উপরে বর্ণিত লক্ষণগুলো কোন ব্যতিক্রম দেখা গেলেই বুঝতে হবে পশুটি অসুস্থ।
গবাদি পশুর রোগের প্রকার
গবাদি পশুর রোগসমূহকে ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :
(ক) সংক্রামক রোগ
(খ) পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত রোগ
(গ) অপুষ্টিজনিত রোগ
(ঘ) বিষক্রিয়াজনিত রোগ।
১। সংক্রামক রোগ
সংক্রামক রোগকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:
(ক) ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ
(খ) ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক রোগ ভাইরাস জনিত সংক্রামক রোগের মধ্যে ক্ষুরা রোগ, জলাতঙ্ক ও গো-বসন্ত রোগ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক রোগের মধ্যে তড়কা, বাদলা, গলাফুলা, গান প্রদাহ ও নিউমোনিয়া প্রধান। এ সব রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে নিয়ে আলোচনা করা
(ক) ভাইরাস জনিত রোগ
১। ক্ষুরা রোগ
এটি একটি অত্যন্ত মারাত্মক সংক্রামক রোগ। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া সাধারণত এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগ ছোঁয়াছে। আক্রান্ত পশুর সংস্পর্শে থানা পানি ও বাতাসের মাধ্যমে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে।
লক্ষণ
মুখে ও পুরার যা এ রোগের প্রধান লক্ষণ। মুখ নিয়ে লালা পড়ে। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। আক্রান্ত গত কিছু থেতে পারে না, হাঁটতে পারে না এবং দুর্বল হয়ে যায়। গাভীর সুধ কমে যায়। এই রোগে আক্রান্ত বাছুরকে বাঁচানো খুবই কঠিন। চিকিৎসা পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট বা বরিক এসিড ও ফিটকিরি মিশ্রিত পানিতে মুখ এবং পা ধুয়ে দিতে হবে। টেরামাইসিন বা ভেলাতিন ইনজেকশন দিলে ভালো ফল পেতে দেখা যায়।
প্রতিরোধ ব্যবস্থা
(ক) রোগাক্রান্ত পশুকে আলাদা করতে হবে।
(খ) জীবাণু নাশক ওষুধ নিয়ে ঘর ও সরঞ্জাম ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে।
(গ) রোগ দেখা দেয়ার সাথে সাথে আশেপাশের সকল সুস্থ পশুকে টাকা নিতে হবে।
২। জলাতঙ্ক
এটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক সংক্রামক রোগ। সাধারণত কুকুর, বিড়াল ও অন্যানা বন্যপ্রাণী এ রোগের জীবাণু বহন করে। ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুরের কামড়ে গবাদি পশুতে এ রোগ হয়। জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত পশুর মুখের লালা সুস্থ প্রাণীর দেহের ক্ষতে লেগেও রোগ সংক্রামিত হয়। এ রোগ পণ্ড থেকে মানুষেও সংক্রমিত হতে পারে।
লক্ষণ :
সাধারণত রোগাক্রান্ত কুকুর কামড়ানোর ৭-১০ দিন পর লক্ষণ দেখা যায়। তবে কখনও ৬ মাস পরও লক্ষন দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত পত অস্বাভাবিক আচরণ করে। এমনকি আক্রমণ করতে তেড়ে আসে। মুখ দিয়ে লালা করে। আস্তে আস্তে পক্ষাঘাত দেখা দিয়ে পশু নিস্তেজ হয়ে পড়ে। খাবার খেতে পারে না। চোয়াল বুলে যান। জিহ্বা বেরিনো আসে। পশু দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। এক সময় মাটিতে শুয়ে পড়ে ও মারা যায়।
চিকিৎসা:
কামড়ানো স্থান ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ডাক্তারের পরামর্শ মত ব্যবস্থা নিতে হবে। রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার পূর্বে নাভীর চারপাশে দিনে ৩০ মিলি করে ১৪ দিনে ১৪টি টিাকা ইনজেকশন হিসেবে দিতে হয়। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর চিকিৎসায় কোন ফল পাওয়া যায় না। পোষা কুকুরকে যথা সময়ে টাকা দিতে হবে। রাস্তার বেওয়ারিশ সকল কুকুর মেরে ফেলতে হবে।
এটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক সংক্রামক রোগ। রোগাক্রান্ত পশুর তাপমাত্রা বেড়ে যায়। মুখে ও খাদ্যনালীতে যা হয়। পায়খানা প্রথমে শক্ত ও পরে পাতলা হয়। পশুর শ্বাসকষ্ট হয়। আক্রান্ত হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই পশু মারা যায়। চিকিৎসা এন্টিবায়োটিক বা সালফোনেসাইড ইনজেকশনে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রতিরোধ ব্যবস্থা আক্রান্ত পশুকে আলাদা করতে হয়। সুস্থ পশুকে নিয়মিত টাকা দিতে
(খ) ব্যাকটোরিয়াজনিত রোগ
১। তড়কা ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ায় এ রোগ হয়ে থাকে। রোগাক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্শে এই রোগ ছড়ায়। লক্ষণ : দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। পাতলা রঙ মিশ্রিত পায়খানা হয়। নাক, মুখ ও মলদ্বার দিয়ে আলকাতরার মত রক্ত যুক্ত ফেনা বের হয়। পশু হঠাৎ মাটিতে ঢলে পড়ে নিচুনী দিয়ে উঠা।
চিকিৎসা:-
অনেক সময়ই চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যায় না। প্রাথমিক অবস্থায় এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিলে শত সেরে উঠতে পারে। রোগ প্রতিরোধ : বর্ষাকালে স্যাঁতসেঁতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় এ রোগ বেশি হয়। তাই বর্ষার
পূর্বেই শতকে প্রতিষেধক টীকা দিতে হয়।
২। বাদলা
এটি গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক রোগ। অল্প ব্যাসের পশুতেই এ রোগ হয়ে থাকে। সাধারণত ৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সের গরু বাছুরেই এ রোগ হয়ে থাকে। রোগাক্রান্ত পশুর মলদ্বারা জীবাণু সুস্থ পশুতে সংক্রমিত হয়।
লক্ষণ :
খুব তাড়াতাড়ি রোগ ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আক্রান্ত পশু মারা যায়। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানের বিশেষ করে পেছনের অংশের মাংসপেশী ফুলে যায়। ফুলা জায়গায় চাপ দিলে হাতে গরম লাগে ও পচপচ শব্দ হয়। আছে ফুলা স্থান কালচে হয়ে যায় ও পচন ধরে। রোগাক্রান্ত পশু দুর্বল হয়ে মারা যায়। চিকিৎসা রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে এন্টিবায়েটিক দ্বারা চিকিৎসা করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
প্রতিরোধ ব্যবস্থা
রোগ দমনের জন্য সুস্থ পশুকে ৬ মাস বয়সের পূর্বেই টাকা দিতে হয়। ৩। গলাফুলা – এটি গরু মহিষ, ছাগল, ভেড়ার ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক রোগ। সকল ব্যাসের পশু এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সারাবছর এই রোগ দেখা যায়। তবে বর্ষার পর স্যাঁতসেঁতে জমিতে পশু চরালে এ রোগ বেশি হতে দেখা যায়। অসুস্থ পশুর লালা, সর্দি, মলমূত্র, দৃষিত খাদ্য ও পানির মাধ্যমে রোগ জীবাণু সুস্থ পশুতে সংক্রামিত হয়।
লক্ষণ:
আক্রান্ত পশুর মাথা, গলা, ও গলকম্বল ফুলে যায়। দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। পাতলা পায়খানা হয়। জাবর কাটা ও দুধ দেয়া বন্ধ হয়ে যায়। পশুর শ্বাসকষ্ট হয় এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ে। রোগাক্রান্ত হওয়ার ২৪-৩৬ ঘণ্টার মধ্যে অধিকাংশ পশু মারা যায়।
চিকিৎসা:
প্রাথমিক অবস্থার এন্টিবায়োটিক ও সালফোনেमাইড জাতীয় ওষুধ দ্বারা চিকিৎসা করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আক্রান্ত পশুকে আলাদা করা। সকল সুস্থ পশুকে টাকা দেওয়া
স্বাস্থ্যসম্মত বিধি ব্যবস্থা মেনে চলা।
৪। ওলান প্রদাহ :
ব্যাকটেরিয়াজনিত এ রোগ সাধারণত দুগ্ধবতী গাভী ও ছাগীতে বেশি হতে দেখা যায়।
লক্ষণ :
ওলান ফুলে যায়। দেহের তাপ বেড়ে যায়। দুধে রক্তাক্ত হলুদ বর্ণের তলানি পড়ে। গুলানের ভিতরে পুঁজ হয় । বাঁট ক্রমশ শক্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। চিকিৎসা সর্তকতার সাথে নিয়মিত দুধ বের করতে হবে যাতে গুলানের দুধ না থাকে এন্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ দ্বারা সময়মত চিকিৎসা করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গাভীকে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জায়গায় রাখতে হবে। ওলাপরিষ্কার রাখতে হবে। দুধ দোহনের সময় স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা নিতে হবে। হাত পরিষ্কার করে দুধ দোহন করতে হবে। মাছি না বসে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
৫। কাফসাওয়ার বা বাছুরের উদরাময়:
এটি বাছুরের ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি মারাত্মক 1 রোগ। সাধারণত জন্মের সাথে সাথে বাহুর এ রোগে আক্রান্ত হয়।
লক্ষণ :
রোগাক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে বাছুরে সাদা, পাতলা, দুর্গন্ধযুক্ত মল ত্যাগ করে। প্রথম দিকে জ্বর হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে শরীরের তাপমাত্রা কমে স্বাভাবিকের নিচে নেমে আসে। বাছুর আস্তে আস্তে নিস্তেজ ও দুর্বল হয়ে পড়ে। খাওয়া ছেড়ে দেয় এবং মারা যায়।
চিকিৎসা
লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শমত ব্যবস্থা নিতে হবে। এন্টিবায়োটিক এবং সালফোনেমাইড জাতীয় ওষুধ বাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ। জন্মের সাথে সাথে বাছুরকে মায়ের শাল দুধ দাওয়াতে হয়। শরীরের পানিশুন্যতা দূর করার জন্য স্যালাইন খাওয়ানো যেতে পারে। বাছুরকে শুকনা পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন স্বাস্থকর স্থানে রাখতে হবে।
৬। নিউমোনিয়া :
এটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ সাধারণত ঠাণ্ডা পরিবেশে এ রোগ হয়।
লক্ষণ :
আক্রান্ত পশুর নাক, মুখ দিয়ে সর্দি বের হয়ে। পশু ঘন ঘন নিঃশ্বাস নেয় এবং শ্বাসকষ্ট ও কাশি হয়। দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। খাওয়া কমে যায়। চিকিৎসা আক্রান্ত পশুকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জায়গায় রাখতে হ্যা। যড় দিয়ে বিছান করে দিতে হয় যাতে ঠান্ডা না লাগে। ভেসাডিন, এন্টিবায়োটিক ও সালফোনেমাইড জাতীয় ওষুধ নিয়ে সময়মত চিকিৎসা করলে পশু ভালো হয়ে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা :
স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান এবং পালন ব্যবস্থায় এ রোগের আশঙ্কা থাকে না। আক্রান্ত পশুকে আলাদা করে চিকিৎসা করতে হয়য়।
গ) পরজীবীঘটিত রোগ
দুই ধরনের পরজীবী গবাদীপশুর ক্ষতিসাধন করে। যথা-
১। অন্তঃপরজীবী,
যেমন-
(ক) গোলাকৃমি)
(খ) পাতা কৃমি বা যকৃত কৃমি
(গ) ফিতা কৃমি:
আমাদের আবহাওয়ায় পরজীবীর বিস্তার খুব দ্রুত হয়। বাংলাদেশের সব গবাদি পশুই কোন না কোন কৃমি রোগে ভোগে। নিয়মিত ওষুধ খাওয়ালে এ রোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।
২। বহিঃপরজীবী,
যেমন-
(ক) উকুন
(গ) আটালী
(গ) মশা ও মাছি।
এদের আক্রমণে পশু দুর্বল হয় এবং এতে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। পরজীবীর জন্য নিয়মিত ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা মেনে চললে এদের উপদ্রব কম হয়।
পরজীবী প্রতিরোধ ঘরবাড়ি, আশেপাশের জায়গা পরিষ্কার রাখা। জলাবদ্ধ জমিতে পশুকে না চরানো। নিয়মিত ওষুধ ব্যবহার করা। গবাদি পশু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। পরিবেশ শুকনা ও আলো-বাতাস পূর্ণ রাখা।
৪। অপুষ্টিজনিত রোগ
সাধারণত সুষম খাদ্যের অভাবে এ রোগ হয়। গবাদি পশুকে নিয়মিত সুষম খাদ্য দিলে এ ধরনের রোগের আশা থাকে না। খাদ্যে যাতে সকল উপাদান থাকে খাদ্য তৈরির সময় সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হয়।
ঘ) বিষক্রিয়াজনিত রোগ।
এ রোগের প্রকোপ খুব বেশি নয়। তবে কখনও কখনও কোন বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ কীটনাশক বা বিষাক্ত ঘাস, লতাপাতা খেয়ে পশুর এ রোগ হতে পারে। এর প্রতিকারের জন্য তড়িৎ চিকিৎসকের পরামর্শ মত ব্যবস্থা নিতে হয়।