বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার (আগে এর নাম ছিলো রাষ্ট্রপতি কৃষি উন্নয়ন পদক) বাংলাদেশের একটি জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার। কৃষি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই পুরস্কার বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময় বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৭৩ সাল থেকে প্রদান করা শুরু হয়।
Table of Contents
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান ইতিহাস:
কৃষি ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কৃষি খাতে নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন, কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা পালনে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে এই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়।
- ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২৯/১৯৭৩ এর মাধ্যমে “বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল” গঠন করা হয়।
- ১৯৭৬ সালে উক্ত আদেশ বাতিল করে রাষ্ট্রপতির পুরস্কার তহবিল অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ প্রবর্তন করা হয়।
- বিভিন্ন পর্যায়ে এই পুরস্কারের নাম পরিবর্তন বা সংশোধন এর পর ৯ জুলাই ২০০৯ তারিখে ২০০৯ সনের ৩৯ নং আইন দ্বারা “জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল” সংশোধন করে “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল” করা হয় ।
- ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখ “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬” পাশ হয়।
- আইন অনুযায়ী প্রতি বছর এ পুরস্কার দেয়ার বিধান থাকলেও বাংলা ১৩৮৩ (ইংরেজি ১৯৭৬-১৯৭৭) হতে কৃষি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদানের কার্যক্রম:
উদ্দেশ্যে: কৃষি ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/্রতিষ্ঠানকে কৃষি খাতে নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন, কৃষি
প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালনে উৎসাহিত করা।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পটতৃমিকা:
- ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২৯/১৯৭৩ এর মাধ্যমে “বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল” গঠন করা হয়।
- ১৯৭৬ সালে উক্ত আদেশ বাতিল করে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার তহবিল অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ প্রবর্তন করা হয়।
- বিভিন পর্যায়ে এ পুরস্কারের নাম পরিবর্তনের পর সর্বশেষ গত ৯ জুলাই ২০০৯ তারিখে ২০০৯ সনের ৩৯ নং আইন দ্বারা “জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল” সংশোধন করে “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল” করা হয়।
- এ আইনের আওতায় কৃষি পুরস্কার সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে গত ৩০/০৪/২০১৪ তারিখে ১০ সদস্য বিশিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ড পুনঃগঠন করা হয়।
- বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬” এর ৬অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের বেসরকারি ট্রাস্টি ও সদস্য হিসেবে ডঃ আতিউর রহমান, অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আলহাজ্ব মোঃ মোতাহার হোসেন মোল্লা, পিতা-সৃত মাওলানা মোজাফ্ফর আলী মোল্লা, গ্রাম- খোদাজিয়া, পোস্ট ও উপজেলা-কাপাসিয়া, জেলা-গাজীপুর-কে ২ বছরের জন্য বেসরাকারি ট্রাস্টি ও সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
- গত ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখ “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬ পাশ হয়।
ইতপূর্বে প্রদানকৃত বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার এর বিবরণ:
- আইন অনুযায়ী প্রতি বছর এ পুরস্কার দেয়ার বিধান থাকলেও বাংলা ১৩৮৩ (ইংরেজি ১৯৭৬-৭৭) হতে কৃষি
পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। - বাংলা ১৪২০ (ইংরেজি ২০১৩-২০১৪) পর্যন্ত ৩৮ বছরে ২২ বার এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন কারণে প্রতি বছর
পুরস্কার দেয়া সম্ভব হয়নি। - এ পর্যন্ত মোট ৬০টি স্বর্ণ, ৩৩৯টি রৌপ এবং ৬১০টি ব্রোঞ্জ পদকসহ সর্বমোট ১০০৯টি পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
- বিগত ৭ বছরে মোট ৫ বার _বাংলা ১৪১৫ (ইংরেজি ২০০৮-০৯), ১৪১৭ (ইংরেজি ২০১০-১১), ১৪৪৮ (ইংরেজি
২০১১-১২), ১৪১৯ (ইংরেজি ২০১২-১৩) প্রদান করা হয়। - সর্বশেষ ১৪২০ (ইংরেজি ২০১৩-১৪) সনে বঙ্ঞাবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ০৭ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে প্রদান করা
হয়েছে। - এ বছর “ববন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২১ ও ১৪২২ প্রদানের কার্যক্রম চলছে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্র: ১০ টি বিষয়ে অবদানের জন্য এ পুরস্কার প্রদান করা হয়:
১। কৃষি গবেষণায় অবদান
২। কৃষি সম্প্রসারণে অবদান
৩। প্রতিষ্ঠনিক/সমবায়/কৃষক পর্যায়ে উচ্চ মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ ও নার্সারী স্থাপন
৪। কৃষি উন্নয়নে জন সচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্দ্ধকরণ প্রকাশনা ও প্রচারণামূলক কাজ
৫। পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উদ্তাবন/ব্যবহার
৬। কৃষিতে মহিলাদের অবদান
৭। বাণিজ্যিক ভিত্তিক খামার স্থাপন
৮। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বনায়ন
৯। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গবাদিপশু ও হাসমুরগি চাষ
১০। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৎস্য চাষ
বাছাই প্রক্রিয়া:
বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার বোর্ড অফ ট্রাস্টের একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও কৃষি মন্ত্রণালয় “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার” প্রদান করে থাকে। পুরস্কারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মনোনয়ন প্রদানকারী যোগ্য সংস্থা ও ব্যক্তিগণ নীতিমালা অনুযায়ী পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা উপজেলা মনোনয়ন কমিটির নিকট যাচাই বাছাইয়ের জন্য প্রেরণ করে। এরপর নীতিমালা অনুযায়ী প্রাথমিক যাচাই বাছাই করে পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা জেলা মনোনয়ন কমিটির নিকট প্রেরণ করা হয়।
এছাড়া সরাসরি মনোনয়ন পাওয়া পুরস্কার প্রার্থীদের নামের তালিকা একই সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। জেলা মনোনয়ন কমিটির যাচাই-বাছাই শেষ হলে পুরস্কার প্রার্থীদের নামের তালিকা কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিকট চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য পাঠানো হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার বোর্ড অফ ট্রাস্টের সম্মিলিত যাচাই-বাচাইয়ের পর “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার” বিজয়ী ব্যক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নাম ও পুরস্কার প্রদানের তারিখ, সময়, স্থান সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো হয়।