আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ব্যবহারিক: সরেজমিন পরিদর্শনের মাধ্যমে বনের পরিচিতি
ব্যবহারিক: সরেজমিন পরিদর্শনের মাধ্যমে বনের পরিচিতি
বিষয় ১ সরেজমিন পরিদর্শনের মাধ্যমে বনের পরিচিতি
উপকরণ
ম্যাপ, মাঠ পর্যবেক্ষন, নোট বুক, পেন্সিল, রাবার, কলম ইত্যাদি।
প্রথমে পাঠ্যপুস্তকে দেওয়া ম্যাপ এ বর্ণিত বনাঞ্চল সমন্ধে ধারণা নিন। আপনার নিকটস্থ এলাকায় যদি উল্লিখিত বন থেকে থাকেতো ভালো। অন্যথায় আপনাকে যে কোন প্রাকৃতিক বা কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট বন এলাকার পরিদর্শনে যেতে হবে।
পরিদর্শনের সময় বন বিভাগ কিংবা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের যে কোন কর্মী বা কর্মকর্তার সাহায়তা নিতে পারেন। এক্ষেত্রে বন বিভাগের কর্মী অথবা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ব্লক সুপারভাইজার আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন। উল্লিখিত উপকরণসমূহ সংগে নিয়ে যেতে হবে। অতঃপর নিচের বর্ণনানুযায়ী পরিদর্শনের সময় প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি লিখে রাখুন।
কাজের ধাপ
- প্রথমে বন এলাকাটি ঘুরে দেখুন।
- এলাকার অবস্থান, বনের ধরন আনুমানিক কতটুকু এলাকা নিয়ে বন বিস্তৃত, বনের কতটুকু জমি বৃক্ষ যারা আবৃত তা লিখুন।
- বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদকে সনাক্ত করে তাদের নাম ও বৈশিষ্ট্য লিপিবন্ধ করুন। এক্ষেত্রে বৃক্ষ গুল্ম, বীহ ও আরোহী উদ্ভিদসমূহ আলাদাভাবে লিখতে হবে। এদের পরিমাণ ও অবস্থানতেন উপস্থিতির ভিন্নতাও লিখুন।
- অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারসহ তালিকা তৈরি করুন।
- বনের মধ্যে যেসব পাখি ও অন্যান্য জীব-জন্তু দেখেছেন তাদের তালিকা তৈরি করুন।
- এছাড়া অন্য কোন অভিজ্ঞাতা কিংবা উল্লেখযোগ্য যে কোন বিষয় মাঠ পর্যবেক্ষণ নোটবুকে লিখে রাখুন। বাড়ি ফিরে “সরেজমিন পরিদর্শনের মাধ্যমে বনের পরিচিতি” এ শিরোনামে ধারাবাহিকভাবে বন পরিদর্শন বিবরণ আপনার ব্যবহারিক খাতায় সুন্দরভাবে লিবিদ্ধ করুন।
- এক্ষেত্রে আপনার যে কোন প্রশ্নোত্তর টিউটোরিয়েল ক্লাস থেকে জেনে নিন।
সৃজিত বন
এগুলো সাধারণত দুই ধরনেরঃ সৃজিত রাষ্ট্রীয় বন এবং সৃজিত বেসরকারি বন। ১৮৭১ সালে মায়ানমার থেকে সেগুনের বীজ এনে পার্বত্য চট্টগ্রামের কাপ্তাই অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় বন সৃজনের উদ্যোগ শুরু হয়। পরবর্তীতে সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগেও এই অনুশীলনের প্রসার ঘটে।
সেগুন ছাড়াও অন্য যেসব বৃক্ষ সৃজনের উদ্যোগ নেয়া হয় সেগুলো হল গামার, চাপালিশ, গর্জন, মেহগনি, জারুল, টুন, পিংকাডো, এবং জাম। এছাড়াও পরে দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদ হিসেবে গামার, কদম, আকাশিয়া, ইউক্যালিপটাস এবং পাইনের চাষ শুরু হয়।
বেসরকারি বন হিসেবে গ্রামীণ বন বনজদ্রব্যের জাতীয় চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর মোট আয়তন প্রায় ২,৭০,০০০ হেক্টর। বসতবাড়িতে অবস্থিত এসব বনে মোট প্রায় ৫ কোটি ৪৭ লক্ষ ঘনমিটার বনজদ্রব্য মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।