বাংলাদেশের মৃত্তিকার শ্রেণিগত পরিচিতি

বাংলাদেশের মৃত্তিকার শ্রেণিগত পরিচিতি নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি বাউবি’র মৃত্তিকা বিজ্ঞান – ১২০৪ কোর্সের ইউনিট ৫ এর,  ৫.২ নম্বর পাঠ।

বাংলাদেশের মৃত্তিকার শ্রেণিগত পরিচিতি ( মানচিত্রে বাংলাদেশের মৃত্তিকা শ্রেণি প্রদর্শন, ম্যাপ )

 

Table of Contents

বাংলাদেশের মৃত্তিকার শ্রেণিগত পরিচিতি

 

বাংলাদেশের মৃত্তিকাকে ২০টি সাধারণ শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে। এখানে এলাকা, মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ও ফসলের ভিত্তিতে প্রতিটি মৃত্তিকার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো :

১। চুনমুক্ত পলিমাটি (Non Calcareous Alluvium)

এলাকা ঃ

দেশের শতকরা ২ ভাগ এলাকায় এ মাটি বিদ্যমান। তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও মেঘনার তীরবর্তী চরাঞ্চলে সাম্প্রতিক জমা পলিমাটি নিয়ে এ অঞ্চল গঠিত।

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য :

বর্ণ ধূসর, বুনট – দোআঁশ, পলি কিংবা বেলে। মৃত্তিকা প্রায় নিরপেক্ষ প্রকৃতির, পিএইচ মান ৬.০-৬.৭ ।

উল্লেখযোগ্য ফসল:

ধান পাট, গম, মিষ্টি আলু, তৈলবীজ, ডাল ফসল প্রভৃতি।

 

২। চুনযুক্ত পলিমাটি (Calcareous Alluvium):

এলাকা ঃ

দেশের শতকরা ৬ ভাগ এলাকায় এ মাটি বিদ্যমান। পদ্মা ও নিম্ন মেঘনার দু’পাশে চরাঞ্চলে পলি সমন্বয়ে গঠিত। রাজশাহী, ফরিদপুর, নোয়াখালী ও পটুয়াখালীতে কিছু এলাকা বিদ্যমান। মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ঃ চুনযুক্ত পলিমাটির বর্ণ হালকা ধ সর; বুনট – বেলে দোআঁশ, পলি দোআঁশ, নিরপেক্ষ, সামান্য ক্ষার বিদ্যমান, পিএইচ ৭০-৮০। মাটিতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের আধিক্য রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, গম, পাট, ডাল, কলা, তৈলবীজ ইত্যাদি।

 

৩। কশ মাটি (Acid Sulphate Soils ):

এলাকা ঃ

দেশের শতকরা ১ ভাগ এলাকা নিয়ে এ অঞ্চল বিদ্যমান। সুন্দরবন, চকোরিয়া, মহেশখালী, কক্সবাজারের সালফার ও লোনা পানি প্লাবিত এলাকা, উপকূলীয় ম্যানগ্রোভ এলাকার অধীনে কিছু স্থান নিয়ে এ অঞ্চল বিদ্যমান।

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ঃ

বর্ণ ধূসর, গাঢ় ধূসর, বুনট – পলি, কাঁদা, এঁটেল; ভিজা অবস্থায় নিরপেক্ষ (পিএইচ ৭.০), শুকালে অত্যধিক অত্নীয় হয়ে উঠে, পিএইচ ২.০-৪০। ব্যাপক অত্নত্বের কারণে মাটিতে লোহা, এলুমিনিয়াম ও মাঙ্গানিজ দ্রবীভূত হয়ে যায় যা উদ্ভিদের জন্য বিষাক্ত, সালফার প্রধান, পাইরাইট খনিজ বিদ্যমান।

উল্লেখযোগ্য ফসল : ইহা সমস্যাবহুল মাটিতে আওতাভুক্ত। মাটির ফসল ভাল জন্মে না, তবে সামান্য ধান, সুপারী ও নারিকেল জন্মে।

 

8। পিট মাটি (Peat Soils):

এলাকাঃ

ফরিদপুর, খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, বরিশাল, মাগুরার সীমান্তবর্তী এলাকা, সিলেটের কোন কোন স্থানে পিট জাতীয় মৃত্তিকা বিদ্যমান। বর্ষাকালে এ সকল এলাকা গভীরভাবে প্লাবিত হয়। শুকনো মৌসুমে ও ভিজা থাকে।

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য :

বর্ণ কালো; অবিয়োজিত বা স্বল্প বিয়োজিত জৈব পদার্থ ইহার প্রধান উপাদান। অত্নীয় মৃত্তিকা, পিএইচ ৫.০-৬.০; জৈব পদার্থ শতকরা ৩০-৬০ ভাগ। ইহা সমস্যাবহুল মৃত্তিকার আওতাভূক্ত । উল্লেখযোগ্য ফসল ঃ ফসল কম হয়, শুধুমাত্র বোনা আমন ধানের চাষ হয়।

 

৫। চুনমুক্ত ধসর প্লাবন ভূমির মাটি (Non Calcareous Grey Floodplain Soils):

এলাকা ঃ

দেশের শতকরা ২৫ ভাগ এলাকায় চুনমুক্ত ধূসর প্লাবন ভূমির মাটি বিদ্যমান। রংপুর, বগুড়া, ময়মনসিংহ, জামালপুর, টাংগাইল, মানিকগঞ্জ, নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, বরিশাল, খুলনা প্রভৃতি এলাকায় বিদ্যমান ।

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ঃ

বর্ণ ধূসর, বাদামী, বাদামী দাগযুক্ত, বুনট-দোআঁশ, এঁটেল, বিক্রিয়া অত্নীয় থেকে নিরপেক্ষ, পিএইচ ৫.৫-৭.৩।

উল্লেখযোগ্য ফসল: ধান, পাট, গম, শাকসবজি, ফলমূল ও অন্যান্য মাঠ ফসল প্রভৃতি।

 

৬ । চুনযুক্ত ধূসর প্লাবন ভূমির মাটি (Calcareous Grey Floodplain Soils):

এলাকা ঃ

খুলনার দক্ষিণ পশ্চিমাংশ।

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ঃ

বর্ণ ধূসর; বুনট – দোআঁশ, এঁটেল দোআঁশ; সামান্য ক্ষারমর্ধী, পিএইচ, ৭.০-৮.০। মাটিতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের আধিক্য বিদ্যমান।

উল্লেখযোগ্য ফসল ঃ

ধান, পাট, কলা, শাক সবজি প্রভৃতি।

 

৭। ধূসর পাদভূমির মাটি (Grey Piedmont Soils):

এলাকা :

সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও পাবত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বিদ্যমান ।

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ঃ

বর্ণ ধূসর, নিম্নস্তরের মাটি লাল বাদামী ছিট দাগ যুক্ত। বুনট-দোআঁশ, এঁটেল দোআঁশ, বিক্রিয়া অম্লীয়, পিএইচ ৫.০-৭.0 । উল্লেখযোগ্য ফসল : আউশ ও রোপা আমন ধান, শাকসবজি, নিচু এলাকায় বোনা আমনপ্রভৃতি ।

 

বাংলাদেশের মৃত্তিকা অঞ্চলসমূহ মানচিত্র, ম্যাপ

 

৮। অম্ল বেসিন কদম (Acid Basin Clays):

এলাকা ঃ

দেশের মোট জমির শতকরা ৮ ভাগ এলাকায় এ মাটি বিদ্যমান। সিলেট, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহের হাওড়, ভাওয়ালের নীচু এলাকার মাটি, চলনবিল ও মধুপুর এ শ্রেণির অন্তর্গত।

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ঃ

বর্ণ গাঢ় ধূসর থেকে কালচে; বুনট এঁটেল; জৈব পদার্থে সমৃদ্ধ; অত্ন প্রকৃতির, পিএইচ ৫.০-৭.0 ।

উল্লেখযোগ্য ফসল :

উচ্চ এলাকায় আউশ, রোপা আমন, শাকসবজি, নিচু এলাকায় বোনা আমন।

এলাকা ঃ

দেশের শতকরা ৩ ভাগ স্থানে এ মাটি বিদ্যমান। পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ ও জামালপুরের পাহাড়ের পাদদেশের সমভূমি ও পাহাড়ের মধ্যবর্তী উপত্যকা অঞ্চল এ শ্রেণির অন্তর্গত।

 

৯। চুনমুক্ত গাঢ় ধূসর প্লাবন ভূমির মাটি (Non Calcareous Dark Grey Floodplain Soils):

এলাকা :

দেশের শতকরা প্রায় ১০ ভাগ এলাকায় চুনমুক্ত গাঢ় ধূসর প্লাবন ভূমির মাটি বিদ্যমান। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, পদ্মা ও তিস্তার দু’পাশে বিশেষ করে ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা প্রভৃতি স্থানে নিম্ন সমভূমি নিয়ে এ অঞ্চল গঠিত।

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ঃ

বর্ণ ধূসর, গাঢ় ধূসর; বুনট দোআঁশ, এঁটেল-দোআঁশ। বিক্রিয়া অত্মীয় থেকে নিরপেক্ষ, পিএইচ ৫.০-৬.৮ ।

উল্লেখযোগ্য ফসল :

ধান, পাট, গম, শাকসবজি, ডাল, তৈলবীজ প্রভৃতি এ অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য ফসল ।

 

১০। চুনযুক্ত গাঢ় ধূসর প্লাবন ভূমির মাটি (Calcareous Dark Grey Floodplain Soil):

এলাকা ঃ

দেশের শতকরা ৮ ভাগ ভূমি এ এলাকায় আওতাভূক্ত। পদ্মার দু’পাশে এবং মেঘনার আশে পাশে বিশেষ করে রাজশাহী, পাবনা, মানিকগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, ও যশোর অঞ্চলে এ মৃত্তিকা বিদ্যমান ।

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ঃ

বর্ণ বাদামী, ধূসর, গাঢ় ধূসর; বুনট এঁটেল, দোআঁশ। বিক্রিয়া নিরপেক্ষ থেকে সামান্য ক্ষার, পিএইচ ৭.০-৮.০ উর্বরতা মধ্যম। উল্লেখযোগ্য ফসল: ধান, পাট, গম, ডাল, তৈলবীজ প্রভৃতি ।

 

১১। চুনযুক্ত বাদামী প্লাবন ভূমির মাটি (Calcareous Brown Floodplain Soils):

এলাকা ঃ

দেশের শতকরা ৮ ভাগ এলাকা এ অঞ্চলের অন্ত গর্ত। পদ্মা বিধৌত সমতল ভূমির উচ্চ স্থান বিশেষ করে রাজশাহী, পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুর, ঢাকা, বরিশাল ও নোয়াখালীর অংশবিশেষ নিয়ে এ এলাকা গঠিত।

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ঃ

বর্ণ ধূসর, হালকা বাদামী; বুনট দোআঁশ, এঁটেল; বিক্রিয়া নিরপেক্ষ থেকে হালকা ক্ষার, পিএইচ ৭.০-৭.৮। নিচুস্তর ১.০-১.৫ মিটার চুনযুক্ত, তবে উপরিভাগে চুনের আধিক্য লক্ষণীয় নয়। উল্লেখযোগ্য ফসল ঃ ধান, পাট, গম, আলু, শাকসবজি, ফলমুল প্রভৃতি ।

 

১২। চুনমুক্ত বাদামী প্লাবন ভূমির মাটি (Non Calcareous Brown Floodplain Soils):

এলাকাঃ

দেশের শতকরা ৩ ভাগ এলাকায় এ মৃত্তিকা বিদ্যমান। তিস্তা ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র আববাহিকা বিশেষ করে হিমালয়ের পাদদেশ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও দিনাজপুরের পশ্চিমাংশ এ অঞ্চলের অন্ত গর্ত।

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য :

বর্ণ উপরের মাটি হালকা বাদামী এবং নিম্নস্তর ধূসর। বুনট-এঁটেল দোআঁশ, বেলে দোআঁশ; বিক্রিয়া অম্লীয়, পিএইচ ৫.0-6.0 । উল্লেখযোগ্য ফসল: ধান, (আউশ ও বোনা আমন), শাকসবজি, অন্যান্য মাঠ ফসল।

 

১৩। বাদামী পাদভূমির মাটি (Brown Piedmont oils):

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য :

বর্ণ বাদামী ও ধূসর, ঢালের উপরিভাগের মাটি বাদামী ও নিচু অংশের মাটি ধূসর। বুনট বেলে দোআঁশ থেকে এঁটেল দোআঁশ; মৃত্তিকা অম্লীয় প্রকৃতির, পিএইচ ৪.৮

উল্লেখযোগ্য ফসল:

ধান, আনারস, আদা, হলুদ, শাকসবজি, ফলমূল প্রভৃতি।

 

১৪। কালো তেরাই মাটি (Black Terai Soils):

এলাকাঃ

পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও ও দিনাজপুরের উত্তর-পশ্চিম কোণে এ শ্রেণির মাটি বিদ্যমান। বৎসরের অধিকাংশ সময় জলাবদ্ধ থাকে।

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ঃ

বর্ণ কালচে, বুনট-বেলে, দোআঁশ। বিক্রিয়া প্রকট অত্নীয়, পিএইচ ৫.০ ৫.৮; জৈব পদার্থের পরিমাণ গড়ে শতকরা ২ ভাগ।

উল্লেখযোগ্য ফসল ঃ

রোপা আমন, গম, কাউন, শাকসবজি প্রভৃতি।

 

বাংলাদেশের মাটির প্রতিক্রিয়া মানচিত্র, ম্যাপ

 

১৫। বাদামী পাহাড়ী মাটি (Brown Hill Soils):

এলাকা ঃ

দেশের শতকরা ১৩ ভাগ এলাকা নিয়ে এ অঞ্চল বিদ্যমানএ উল্লেখযোগ্য স্থান সমূহ হচ্ছে- পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, সিলেটের ঢালু পাহাড়ী অঞ্চল, ময়মনসিংহ ও জামালপুরের উত্তর পার্শ্ব ।

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ঃ

বর্ণ লাল বা বাদামী; বুনট-বেলে দোআঁশ, এঁটেল দোআঁশ। মাটি অধিক অত্ন, পিএইচ ৪.৩-৫.৫; নিচু স্তরে পলি/বালি পাথর বিদ্যমান।

উল্লেখযোগ্য ফসল ঃ

পাদদেশে ধান; আনারস, মসলা, শাকসবজি, চা, কফি, লেবু প্রভৃতি ।

 

১৬। অগভীর লাল বাদামী সোপান মাটি (Shallow Red Brown Terrace Soils):

এলাকা :

দেশের শতকরা একভাগের কম এলাকা নিয়ে এ মাটি বিদ্যমান। নরসিংদী, আখাউড়া, ভাওয়াল, লালমাই, মধুপুর, উচ্চ বরেন্দ্র এলাকা এর আওতাভূক্ত।

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ঃ

বর্ণ লালমাই ও বাদামী, উপরিভাগ কর্দমপূর্ণ। বুনট-এঁটেল দোআঁশ, দোআঁশ; অত্নধর্মী, পিএইচ ৪.৮-৬.০ ।

উল্লেখযোগ্য ফসল ঃ

আনারস, কলা, মসলা, ধান, গম, শাকসবজি, কাঁঠাল, ফলমূল, গজারী ও শাল বৃক্ষ ।

 

১৭। গভীর লাল বাদামী সোপান মাটি (Deep Red Brown Terrace Soils):

এলাকা ঃ

দেশের শতকরা ৩ ভাগ এলাকায় এ অঞ্চল বিদ্যমান। ভাওয়াল, মধুপুর গড়, বরেন্দ্রভূমি অঞ্চল, কুমিল্লার লালমাই পাহাড়, চট্টগ্রাম ও সিলেটে কিছু স্থান দেখা যায়। মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ঃ বর্ণ লালচে, বাদামী, বুনট-এঁটেল দোআঁশ, বেলে দোআঁশ; অত্ন প্রকৃতির, পিএইচ ৪.৫-৫.৫।

উল্লেখযোগ্য ফসল ঃ

কাঁঠাল, আনারস, শাকসবজি, ধান প্রভৃতি।

 

১৮। বাদামী ছিটদাগ সোপান মাটি (Brown Mottled Terrace Soils):

এলাকা ঃ

দেশের শতকার ২ ভাগ এলাকায় এ অঞ্চল বিদ্যমান। ভাওয়াল, মধুপুর ও বরেন্দ্র অঞ্চলের উত্তর প বাংশে দেখা যায়।

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ঃ

বর্ণ ধূসর, হালকা বাদামী, নিম্ন স্তরে হালকা বাদামী থেকে লাল, ধুসর ও বাদামীর মিশ্রণ বা ছিট দাগ যুক্ত। বুনট এঁটেল, অত্নপ্রকৃতির, পিএইচ ৫.০-৬.০। কাঁদা অবস্থায় নিরপেক্ষ বা প্ৰশম।

উল্লেখযোগ্য ফসল ঃ

রোপা আমন, কাঁঠাল প্রভৃতি।

 

১৯। ধূসর সোপান মাটি (Grey Terrace Soils):

এলাকা ঃ

দেশের শতকরা ৪ ভাগ এলাকায় এ অঞ্চলে বিদ্যমান। মধুপুর, ভাওয়াল, বরেন্দ্র অঞ্চল, উত্তর ময়মনসিংহের কিছু স্থানে দেখা যায় ।

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ঃ

ধূসর সোপান মাটির বর্ণ ভিজে অবস্থার ধূসর, শুকনো অবস্থায় সাদা, মাঝে মাঝে বাদামী ছিট থাকে। বুনট-পলি দোআঁশ থেকে এঁটেল দোআঁশ; শুকনো অবস্থায় অত্ন, পিএইচ ৫.৫-৬.০, ভিজা অবস্থায় নিরপেক্ষ।

উল্লেখযোগ্য ফসল ঃ

রোপা আমন, কাঁঠাল, শাকসবজি প্রভৃতি ।

 

২০। গভীর ধ সর সোপান মাটি (Deep Grey Terrace Soils):

এলাকা :

মধুপুর, ভাওয়ালের সমতল এলাকা, বরেন্দ্র ভূমি, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ের নিচু ঢাল ও পাদভূমি অঞ্চল ।

মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ঃ

বর্ণ ধূসর, ছিটে দাগ রয়েছে। বুনট-পলি দোআঁশ, এঁটেল; অত্নধর্মী, পিএইচ 8.0-6.01

উল্লেখযোগ্য ফসল:

ধান, রবিশস্য, শাকসবজি প্রভৃতি।

 

বাংলাদেশের ভূমিরূপ, ম্যাপ

 

সূত্র:

  • বাংলাদেশের মৃত্তিকার শ্রেণিগত পরিচিতি , পাঠ ৫.২, ইউনিট ৫ , ১২০৪, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, বিএজিএড, বাউবি

Leave a Comment