মাটির অস্রমান পরীক্ষা , ব্যবহারিক

আজ দেখবো মাটির অস্রমান পরীক্ষা এর ব্যবহারিক ক্লাস। এই পাঠটি বাউবি’র মৃত্তিকা বিজ্ঞান – ১২০৪ কোর্সের ইউনিট ৩ এর,  ৩.৭ নম্বর পাঠ। বাউবি’র মৃত্তিকা বিজ্ঞান – ১২০৪ কোর্সের প্রতিটি অধ্যায় শেষেই এইরকম ব্যবহারিক ক্লাসের উদাহরণ রয়েছে।

মাটির অস্রমান পরীক্ষা

মানচিত্রে বাংলাদেশের মৃত্তিকা শ্রেণি প্রদর্শন ব্যবহারিক

মৃত্তিকা পরিবেশ ও প্রকৃতির মহামূল্যবান সম্পদ। মানুষ মৃত্তিকাকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে। ইহা গাছপালা জন্মানোর বাহক। চারদিকে মৃত্তিকার সাধারণ বিস্তৃতি, আকার, আকৃতি ও বাস্থবচিত্র দেখে ইহার রাসায়নিক গুণাবলীর কথা চোখে ভাসে না। কৃষি ক্ষেত্রেই মাটির ব্যবহার সবচেয়ে অধিক, এবং এ সর্বোত্তম ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে হলে মৃত্তিকার রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যসমূহ নিয়ে জ্ঞান লাভ প্রয়োজন মৃত্তিকার রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য সমূহ মাটির উর্বরতা, মৃত্তিকাস্থিত পানির গুণাবলী ও গাছপালার পুষ্টিমান নিয়ন্ত্রণে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে।

শিলা ও খনিজ পরিচিতি , ব্যবহারিক , মৃত্তিকা বিজ্ঞান ,মৃত্তিকা একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রাকৃতিক মিশ্র পদার্থ। ক্ষয়ীভূত শিলা ও খনিজ দ্রব্যের সাথে বিভিন্ন রকম জৈবদ্রব্য পানি ও বায়ুর মিশ্রণই মৃত্তিকা। ফলে বিভিন্ন স্থানের মৃত্তিকার গুণাবলীতে বিরাট পার্থক্য দেখা যায়। কণার আকার, বুনট, সংযুক্তি, ঘনত্ব, বর্ণ, বায়ুচলাচল, তাপমাত্রা প্রভৃতি মৃত্তিকার ভৌত বৈশিষ্ট্য। বুনট ও সংযুক্তি মৃত্তিকার দুটি মৌলিক ধর্ম কারণ এ দুটি উপাদান মৃত্তিকার উর্বরতা ও উৎপাদনক্ষমতা বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া মৃত্তিকার ঘনত্ব, রক্ত পরিসর, দৃঢ়তা, তাপমাত্রা, বর্ণ ইত্যাদি সামগ্রিকভাবে মৃত্তিকায় ফসল উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে।

 

মৃত্তিকা পিএইচ নির্ণয় পদ্ধতি:

তিনটি পদ্ধতিতে মৃত্তিকা পিএইচ নির্ণয় করা যায়, যথা

১। মাঠ পদ্ধতি (Field method)

২ । লভিবক্ত পদ্ধতি (Lovibond comparator method)

৩। গ্যাস ইলেকট্রোড পদ্ধতি (Glass electrode method )

মাটির অস্রমান পরীক্ষা , ব্যবহারিক , মৃত্তিকা বিজ্ঞান , ইউনিট ৩ , পাঠ ৩.৭

 

গ্যাস ইলেকট্রোড পদ্ধতিতে মৃত্তিকার পিএইচ বা অম্লমান নির্ণয় প্রয়োজনীয় উপকরণ:

১। ৫০ মি.লি. মাপের বিকার

২। বাফার দ্রবণ

৩। পিএইচ মিটার

8। পরিশোধিত পানি

৫ । কাঁচের দন্ড

৬। নমুনা মাটি

৭। ৫০ মি.মি. সিলিন্ডার
মাটির অস্রমান পরীক্ষা , ব্যবহারিক , মৃত্তিকা বিজ্ঞান , ইউনিট ৩ , পাঠ ৩.৭

কাজের ধাপ :

১ । ৫০ মি.লি. মাপের একটি পরিস্কার বিকার নিন 1

২। নিক্তিতে প্রদত্ত নমুনা থেকে ১০ কিংবা ২০ গ্রাম মৃত্তিকা নিন ।

৩। মাটি বিকারে ঢেলে দিন।

8। সিলিন্ডারের সাহায্যে ১০ গ্রাম মাটিতে ২৫ মি.লি. (২০ গ্রাম হলে ৫০ মিলি) পরিশোধিত পানি যোগ করুন (মাটি ও পানির অনুপাত ১:২.৫)।

৫ । একটু পর পর কাঁচের দন্ড দিয়ে ২০-৩০ মিনিট পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।

৬।  টেবিলের উপর এক ঘন্টা রাখুন যাতে ভাল তলানী জমে।

৭। সাবধানে বিকার পিএইচ মিটারের কাছে নিয়ে যান।

৮। বাফার দ্রবণ দিয়ে পিএইচ মান ঠিক করুন।

৯। এবার দ্রবণে ইলেকট্রোড ঢুকিয়ে মৃত্তিকার পিএইচ মান লক্ষ করুন।

ফলাফল : প্রাপ্ত মৃত্তিকার সঠিক পিএইচ মান লিখে নিন।

 

সাবধানতা:

১। বাফার দ্রবণের সঠিক ফলাফলে নিশ্চিত হউন ।

২। অসংখ্য নমুনা (Sample) থাকলে একটু পর পর বাফার দিয়ে পিএইচ মান ঠিক করুন।

৩। মাটি ও পানির অনুপাত ঠিক রাখুন।

8। সর্বদাই কাজ শেষে গ্যাস ইলেকট্রোড ও রেফারেন্স ইলেকট্রোড উত্তম রূপে ধৌত করুন।

৫ । সন্দেহজনক ফল আসলে আবারন তন করে কাজ শুরুকরুন।

উল্লেখিত সকল কার্যক্রম আপনার ব্যবহারিক খাতায় লিপিবদ্ধ করুন।

মাটির অস্রমান পরীক্ষা , ব্যবহারিক , মৃত্তিকা বিজ্ঞান , ইউনিট ৩ , পাঠ ৩.৭

সূত্র:

  • মাটির অস্রমান পরীক্ষা , ব্যবহারিক , পাঠ ৩.৭, ইউনিট ৩ , ১২০৪, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, বিএজিএড, বাউবি।

 

Leave a Comment