মাটির উর্বরতা শক্তি বজায় রাখার কৃষিতাত্ত্বিক উপায়

আজকের আলোচনার বিষয় মাটির উর্বরতা শক্তি বজায় রাখার উপায়। এটি “বাউবি বিএই ১৩০৩” কোর্সের মাঠ ফসল উৎপাদনের মূলনীতি ও খামার ব্যবস্থা বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত।

জমির উর্বরতা ধরে রাখতে হলে কিছু নির্দিষ্ট কৃষিতাত্ত্বিক কৌশল অনুসরণ করতে হয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো—নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফসলের ধরন পরিবর্তন করা, অর্থাৎ ফসল পর্যায়ক্রম (crop rotation) অনুসরণ করা।

ফসল পর্যায়ক্রম অনুসরণে মাটির উর্বরতা রক্ষা ও এর উপকারিতা:

  • আগাছা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: নির্দিষ্ট এক ধরনের ফসল বারবার ফলালে নির্দিষ্ট প্রজাতির আগাছা বেশি হয়। কিন্তু ফসল পরিবর্তনের মাধ্যমে আগাছার বংশবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়।

  • পোকামাকড় দমন সহজ হয়: এক ধরনের ফসলে বিশেষ পোকামাকড় বারবার আক্রমণ করে। ফসল পরিবর্তনে তাদের জীবনচক্র ব্যাহত হয়।

  • রোগবালাই হ্রাস পায়: একই কারণে নির্দিষ্ট রোগের বিস্তারও কমে যায়।

  • মাটির পুষ্টি সুষম থাকে: বিভিন্ন ফসল মাটির বিভিন্ন স্তর থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে, ফলে কোনো একটি উপাদান অতিরিক্ত হ্রাস পায় না।

  • ফসলের ফলন বৃদ্ধি পায়: সার্বিকভাবে জমির স্বাস্থ্য ভালো থাকে, যার প্রভাবে ফলন বাড়ে।

ফসল পর্যায়ক্রম ছাড়াও জৈব সার প্রয়োগ, সবুজ সার ব্যবহার, কম্পোস্টিং, ও খামারের পরিপূর্ণ ব্যবস্থাপনা মাটির উর্বরতা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মাটির উর্বরতা শক্তি বজায় রাখার কৃষিতাত্ত্বিক উপায়

 

মাটির উর্বরতা শক্তি বজায় রাখার কৃষিতাত্ত্বিক উপায়

 

মাটির উর্বরতা শক্তি বজায় রাখার কৃষিতাত্ত্বিক উপায়:

বাংলাদেশের মাটি স্বাভাবিকভাবে উর্বর হলেও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে কৃষিজমি অতিরিক্তভাবে ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে শস্য উৎপাদনের জন্য জমির উপর চাপ বেড়েছে। অপরদিকে, অপরিকল্পিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের ফলে আগের মতো বন্যার পানির সঙ্গে পালিমাটি জমিতে জমা হচ্ছে না। এই পালিমাটি ছিল জমির উর্বরতা বজায় রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এর অনুপস্থিতিতে বর্তমানে মাটির উর্বরতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে, শুধুমাত্র মাটির উর্বরতা বজায় রাখাই যথেষ্ট নয়, বরং তা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করাও জরুরি। একটি পদ্ধতির চেয়ে একাধিক কৌশলের সম্মিলিত প্রয়োগে অধিকতর কার্যকারিতা পাওয়া যায়।

নিচে মাটির উর্বরতা রক্ষা ও বৃদ্ধির জন্য গ্রহণযোগ্য কিছু কৃষিতাত্ত্বিক উপায় উল্লেখ করা হলো:

 

সুষম সারের ব্যবহার:

জমির উর্বরতা শক্তি সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সুষম সার ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম। সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থার মধ্যে সুষম সার প্রয়োগ একটি দ্রুত এবং তুলনামূলকভাবে কম খরচে কার্যকর পদ্ধতি।

সুষম সার বলতে সেই সকল সারে বোঝায়, যেগুলোর মধ্যে ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় প্রধান খাদ্যোপাদান—নাইট্রোজেন (N), ফসফরাস (P) ও পটাসিয়াম (K)—উপযুক্ত অনুপাতে বিদ্যমান থাকে। একটি বা দুটি খাদ্যোপাদান সরবরাহকারী সার প্রয়োগ যথেষ্ট নয়; বরং ফসলের চাহিদা অনুযায়ী সবগুলো উপাদান নির্দিষ্ট অনুপাতে প্রয়োগ করা আবশ্যক।

কেন সুষম সার প্রয়োজন?

মাটিতে যদি খাদ্যোপাদানের মধ্যে একটি মাত্র উপাদানেরও অভাব ঘটে, তাহলে ফসলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং জমির উর্বরতা বজায় থাকে না। যদিও কিছু ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি সার ব্যবহারে অল্প সময়ে ফলন কিছুটা ভালো দেখা যায়, তবে দীর্ঘমেয়াদে সেটি মাটি ও ফসলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা

১৯৫০-এর দশকে সরকার কৃষকদের মধ্যে এমোনিয়াম সালফেট, টিএসপি ও এমপি সার বিতরণ করলেও কৃষকরা কেবল এমোনিয়াম সালফেট সার বেশি ব্যবহার করতেন। এতে জমির অম্লত্ব (অ্যাসিডিটি) বেড়ে যায়, যা মাটির উর্বরতা ও ফসল উৎপাদনের ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

এমনকি সে সময় সরকার চাষিদের চুন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করলেও, অনেকেই সার সংগ্রহের পর রাস্তার ধারে চুন ফেলে দিতেন এবং শুধু সার নিয়ে যেতেন। এর কারণ ছিল—সার ও চুনের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে চাষিদের অজ্ঞতা।

সচেতনতা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম

পরবর্তীতে কৃষি সম্প্রসারণ কার্যক্রমের মাধ্যমে চাষিদের চুন ব্যবহারের গুরুত্ব বোঝানো হলে, অনেকেই তা অনুসরণ করেন এবং জমির উর্বরতা রক্ষা করতে সক্ষম হন। এই অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, মাটির উর্বরতা রক্ষায় কৃষকদের সচেতন করা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমানে, সরকার এমোনিয়াম সালফেট সার বাজারজাত করছে না কারণ এটি মাটির অম্লতা বাড়ায়। পরিবর্তে ইউরিয়া ও ডাইঅ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে, কারণ এরা মাটির অম্লতা নিরসনে সহায়ক।

 

জৈব সার
জৈব সার

 

জৈব সার প্রয়োগ:

জৈব উৎস থেকে প্রাপ্ত বা প্রস্তুতকৃত সারই হলো জৈব সার। রাসায়নিক সারের ব্যবহারে মাটির সংযুক্তির অবনতি ঘটে যা জৈব সার প্রয়োগে সংশোধন করা সম্ভব। জৈব পদার্থ গোবর, কম্পোস্ট ও সবুজ সারের মাধ্যমে প্রয়োগ করা যেতে পারে। গোবর আজকাল জ্বালানি ও অন্যান্য কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহারের ফলে জমিতে সার হিসেবে ব্যবহারের জন্য পাওয়া খুবই কঠিন।

বর্তমানে জ্বালানির অভাব প্রকট হওয়াতে গাছের পাতা বা ফসলের পরিত্যক্ত অংশও গরীব লোকজন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে। তাই বিকল্প হিসেবে কম্পোস্ট ও সবুজ সারের মাধ্যমেই জৈব পদার্থ মাটিতে যোগ করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করার উপর জোর বেশি দিতে হবে।

 

শস্য পর্যায় অবলম্বন:

একই ভূখন্ডে পর্যায়ক্রমে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে বিভিন্ন ফসলের চাষ করাকে শস্য পর্যায় বলে। শস্য পর্যায় অবলম্বন করলে নিম্নবর্ণিত উপায়ে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি ও সংর িত হয়। শস্য পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে গভীরমূলী (পাট, তূলা) ও অগভীরমূলী (ধান, গম) ফসল, ডাল-কলাই, তণ্ডুল ফসল (ধান, গম, ভুট্টা, চীনা, কাউন), পরিচ্ছন্ন কর্ষণ ফসল (তামাক, আলু), মাটি আচ্ছাদনকারী ফসল (খেসারী, মাসকলাই, মসুর),

শাকসবজি, সবুজ সার ফসল (ধৈঞ্চা, শনপাট) ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকার জন্য জমির সব স্তরের খাদ্যোপাদান সমভাবে পরিশোষিত হয়। পরিচ্ছন্ন কর্ষণ ফসল থাকায় জমিতে আগাছা জন্মাতে পারে না এবং একই সঙ্গে ভূমিরস বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ায় নষ্ট না হয়ে জমিতে থেকে যায় যা ফসলের কাজে লাগে।

একজাতীয় ফসল বারবার না করায় উক্ত ফসলের অতিরিক্ত চাহিদার খাদ্যোপাদান যেমন- সবজি ফসলের জন্য নাইট্রোজেন, দানা বা বীজ ফসলের জন্য ফসফরাস, আঁশ বা মূল জাতীয় ফসলের জন্য পটাসিয়াম ইত্যাদি অল্প দিনের মধ্যে শেষ হবার সম্ভবনা থাকে না।

ডাল জাতীয় ফসল চাষের ফলে জমিতে মিথোজীবি রাইজোবিয়াম ব্যাক্টেরিয়া কর্তৃক বাতাসের নাইট্রোজেন এবং সবুজ সার ফসল কর্তৃক প্রচুর পরিমাণে জৈব পদার্থ মাটিতে জমা হবার ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়, ভৌত অবস্থার উন্নতি হয়, মাটিতে বায়ু চলাচল, পানি ধারণ মতা বৃদ্ধি পায় এবং উপকারী অণুজীবের বংশ বৃদ্ধি ও কার্যকলাপ বৃদ্ধি পায়। শস্য পরিকল্পনা বিষয়ে বিস্তারিত দেখুন।

 

আগাছা দমন

আগাছা (অনাকাঙ্খিতভাবে জন্মানো গাছ) ফসলের পানি, খাদ্যোপাদান ও আলো বাতাসে ভাগ বসিয়ে ফসলের ফলন কমিয়ে দেয় এবং মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট করে দেয়। কাজেই আগাছা জন্মানো মাত্রই জমি থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। আগাছা অবশ্যই ফুল-ফল ধরার আগে হাতে টেনে, নিড়ি বা কোন যন্ত্রের সাহায্যে উপড়ে ফেলে দিতে হবে।

উঠানো আগাছা জমির ওপরে বিছিয়ে দিলে জমিতে গাছের খাদ্যোপাদানসহ কিছু জৈব পদার্থও যোগ করবে যা উর্বরতা রার সহায়ক। তবে ল্য রাখা উচিত, আগাছা যাতে পুনরায় শিকড় গজিয়ে জন্মাতে না পারে ।

 

পানি ব্যবস্থাপনা:

জমিতে বিদ্যমান গাছের খাদ্যোপাদান যথেষ্ট পারিমাণে থাকলেও সেগুলো গাছের গ্রহণযোগ্য আকারে আসার জন্য মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রস থাকা প্রয়োজন। ভূমিরসের উৎস বৃষ্টি বা ভূগর্ভস্থ পানি না পাওয়া গেলে সেচের মাধ্যমে জমিতে পানি সরবরাহ করা যেতে পারে।

অন্যদিকে জমি বেশি দিন জলাবদ্ধ অবস্থায় থাকলে কিছু কিছু খাদ্যোপাদান (যেমন- গন্ধক, দস্তা) গাছের অগ্রহণযোগ্য অবস্থায় চলে যায়। এ অবস্থায় অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে জমি থেকে বের করে দিতে হবে। তাই উর্বরতা র তার স্বার্থে জমিতে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহের এবং অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা অপরিহার্য।

 

মাটির বিক্রিয়া (p” মান) নিয়ন্ত্রণ:

মাটির বিক্রিয়া (অম্লত্ব বা রত্ব) নিরূপনের মাপকাঠিতে (pH মিটার) ০-১৪ পর্যন্ত মাপ থাকলেও বাস্তবে ৩.৫ থেকে ১০.৫ এর বেশি বা কম অম্লত্বের বারিত্বের মাটি পাওয়া যায় না। মাটির p মান যখন ৭ হয় তখন তাকে নিরপে মাটি বলা হয় অর্থাৎ এটি অম্লধর্মীও নয়, ারধর্মীও নয়। p মান ৭ এর ওপরে গেলে হয় ারীয় মাটি আর এর নিচে নামলে হয় অম্লীয় মাটি।

অধিকাংশ ফসল নিরপে বা হালকা অম্লীয় থেকে হালকা ারীয় মাটি (pH ৬.৫-৭.৫) পছন্দ করে। এর ব্যতিক্রমও মাঝে মধ্যে চোখে পড়ে। চা গাছ কিছুটা অম্ল-মাটি পছন্দ করে আবার লেবু গাছের পছন্দ কিছুটা ার মাটি। তাই চা বাগানে অম্লতাবর্ধক এমোনিয়াম সালফেট সার ব্যবহার করা যুক্তিযুক্ত, কিন্তু লেবুগাছের আশপাশে প্রয়োজনবোধে কিছু পরিমাণ চুন প্রয়োগ করতে হয়। এভাবেই মাটির বিক্রিয়ার নিরপে তা বজায় রাখা যায়।

 

লবণাক্ততা দূরীকরণ:

নিরপে (অর্থাৎ pH মান ৭ এর কাছাকাছি) লবণ সমৃদ্ধ মাটিকে লবণাক্ত মাটি বলা হয়। এখানে মাটির বিক্রিয়ার মান প্রায় । ত্রেই ৭ এর খুব কাছাকাছি। অতিরিক্ত লবণাক্ততা গাছ সহ্য করতে পারে না। তাই মাটির লবণাক্ততা দূরীভূত করে উর্বরতা সংর ণ করতে হয়।

প্লাবণ সেচের (Flood irrigation) মাধ্যমে জমিতে পানি সরবরাহ করা হলে পানিতে লবণ দ্রবীভূত হয় এবং নিষ্কাশনের মাধ্যমে লবণাক্ত পানি অপসারণ করে জমিকে লবণাক্ততা থেকে মুক্ত করা হয়। লবণাক্ততা দূরীকরণে রাসায়নিক দ্রব্যও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

 

ভূমি ক্ষয় রোধ:

মাটি একস্থান থেকে কোন এজেন্টের (পানি, বায়ু ইত্যাদি) মাধ্যমে অন্যস্থানে চলে যাবার প্রক্রিয়াকে ভূমি য় (Soil erosion) বলে। ভূমি য় বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। মাটির ওপরের পাতলা একস্তর অন্যত্র চলে গেলে তাকে “শীট ভূমি য়” (Sheet erosion) বলে। আবার পানি গড়িয়ে যাবার সময় মাটি কেটে নিয়ে আঙ্গুলের ছাপের মত গভীর তের সৃষ্টি হলে তাকে “রিল ভূমি য়” (Reel erosion) বলে ।

পানি প্রবাহের প্রচন্ড স্রোতে মাটি কেটে যখন খাদ বা নালা সৃষ্টি হয় তখন তাকে বলে “গালি ভূমি য়” (Gulley erosion)। ভূমি য় যে ধরনেরই হোক কোনটিই মাটির জন্য ভাল নয়। যেহেতু মাটির ওপরের স্তর সবচেয়ে বেশি উর্বর এবং সব ধরনের ভূমি য় প্রক্রিয়াতে ওপরের মাটিই সবার আগে চলে যায়, তাই এর রণাবেণ অতি গুরুত্বপূর্ণ।

মাটিতে সবসময় ফসল থাকলে, ভূমি আচ্ছাদনকারী ফসল যেমন- খেসারী, মাসকলাই, মসুর ইত্যাদির চাষ করা হলে, প্রচুর পরিমাণে জৈব পদার্থ প্রয়োগের মাধ্যমে মাটির বন্ধন দৃঢ় করলে শীট ভূমি য় রোধ করা যেতে পারে। রিলের মধ্যে আবর্জনা ফেলে রিল মাটি য় বন্ধ করা যেতে পারে। গালি ভূমি য় রোধের জন্য অবশ্য গাালির মুখে বাঁধ দিয়ে পানির স্রোত আটকিয়ে দিতে হবে।

 

মাটির উর্বরতা শক্তি বজায় রাখার কৃষিতাত্ত্বিক উপায়

 

তাছাড়াও উঁচুনিচু মাটির জন্য রয়েছে কন্টোর চাষ (Contour cultivation), সোপান চাষ (Terrace cultivation) এবং জমিতে কিছু দূর পরপর বাতাসের গতিবেগ রোধক লম্বা গাছের সারির সৃষ্টি।

 

Leave a Comment