আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় মাটির বুনট ও আর্দ্রতা অনুসারে মাটির চাষোপযোগিতা নির্ণয়
Table of Contents
মাটির বুনট ও আর্দ্রতা অনুসারে মাটির চাষোপযোগিতা নির্ণয়
মাটির বুনট ও আর্দ্রতা অনুসারে মাটির চাষোপযোগিতা নির্ণয়
প্রাসঙ্গিক আলোচনা
মাটি প্রাকৃতিক বস্তু। মাটি হলো উদ্ভিদ জন্মানোর প্রধান মাধ্যম। এ মাটি খনিজ দ্রব্য, পানি, বায়ু ও জৈব পদার্থের সমন্বয়ে একটি যৌগিক পদার্থ। মাটির উর্বরতা নির্ভর করে মাটির গঠন, বুনট বা গ্রথন, রস ধারণ মতা ইত্যাদির উপর। মাটির বুনট, অম্লত্ব, রিত্ব, দানাবন্ধন এবং জৈব পদার্থের পরিমাণ ইত্যাদির উপর নির্ভর করে মাটিতে কোন্ ফসল চাষ করা যাবে।
ফসল উৎপাদনের সঙ্গে মাটির উর্বরতা ও উৎপাদন মতা নিবিড়ভাবে জড়িত। কৃষি উৎপাদনে সফলতা ও দ তা অর্জনের জন্য মাটির বুনট ও মাটির আর্দ্রতা বিশেষণের মাধ্যমে বুনট ও আর্দ্রতা নির্ধারণ ছাড়াও অভিজ্ঞতা নির্ভর পদ্ধতিতে এ সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব। হাতের অনুভূতির মাধ্যমে এ সম্পর্কে জানার জন্য মাটি পরী া পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো।
সংজ্ঞা:
কোন মৃত্তিকায় বর্তমান বালি, পলি ও কর্দম কণার আপে িক অনুপাতকে মাটির বুনট বলে।জমি চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ মাটির আর্দ্রতাকে মাটির ‘জো’ আসা বলে। কৃষি বিজ্ঞানে একে ‘মাঠ মতা’ (Field capacity) বলে ।
তত্ত্ব (Theory)
১. কোন মাটিতে কোন প্রকারের কণা কী পরিমাণ আছে তা জানতে পারলে এটি কোন শ্রেনীর মাটি তা বুঝা যায়। মাটির বিভিন্ন প্রকার কণা বিভিন্ন অনুপাতে মিশে পারস্পরিক সমন্বয়ে বিভিন্ন শ্রেণির মাটি সৃষ্টি করে। যেমন- দো-আঁশ মাটি, বেলে দো-আঁশ মাটি, এঁটেল দো-আঁশ মাটি ইত্যাদি।
2. মাটির আর্দ্রতা জেনে চাষোপযোগিতা নির্ণয় করা।
কাজের ধারা
মাটির বুনট নির্ণয়
মাঠ থেকে সংগৃহীত নমুনা সম হের প্রত্যেকটির ৫০ গ্রাম করে আলাদা আলাদাভাবে হাতের তালুতে নিয়ে পানি দ্বারা সিক্ত করুন। তারপর এই সিক্ত মাটি হাতের সাহায্যে বল, সোজা স্তম্ভক, চক্র প্রভৃতি আকৃতি দেয়ার চেষ্টা করুন ।
মন্তব্য :
মাটির বুনট নির্ধারণ করে সে অনুসারে ফসল চাষ করলে অধিক ফসল উৎপাদন নিশ্চিত হবে।
মাটির আর্দ্রতা অনুসারে মাটির চাষোপযোগিতা নির্ণয়
এক খন্ড চাষযোগ্য জমিতে গিয়ে এক মুঠি মাটি হাতে নিন। এ মাটি দুই হাতের তালুর সাহায্যে চাপ দিন। যদি এই চাপ দেয়া মাটি চাপ খাওয়া অবস্থায় না থাকে তবে সে মাটিতে ‘জো’ আসে নাই। আর যদি চাপ খাওয়া অবস্থায়ই থাকে তাহলে দুই হাতের তালুর সাহায্যে মাটির বল তৈরি করুন।
এখন মাটির তৈরি এই বলটিকে এক মিটার উঁচু থেকে সাধারণ শক্ত মাটির উপর আস্তে ছেড়ে দিন। ছেড়ে দেবার সময় কোন প্রকার বল প্রয়োগ কিংবা উচ্চতা এক মিটারের কম বা বেশি হওয়া উচিত নয় ।
সিদ্ধান্ত:
‘জো’ আসা অবস্থায় জমি চাষ করলে মাটি সহজে চাষ করা যাবে, মাটিতে বড় বড় টিলা তৈরি হবে না এবং কর্ষণের কাজে সময় কম লাগবে।