মৃত্তিকা বুনট পরীক্ষা – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়” এর “স্কুল অব এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট” এর “বিএজেড” স্তরের “বাউবি বিএই ১২০৪ – মৃত্তিকা বিজ্ঞান” এর “ইউনিট ২” এর “বাংলাদেশের কৃষি” এর পাঠ – ২.৮।
মৃত্তিকা বুনট পরীক্ষা (ব্যবহারিক)
ক) মাঠ পদ্ধতিতে মৃত্তিকা নমুনার বুনট নির্ণয়:
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
১। সংগৃহীত মৃত্তিকা নমুনা (পূর্ববর্তী পাঠে উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসারে মৃত্তিকা নমুনা সংগ্রহ করুন)।
২। পানি।
কাজের ধাপ:
১। প্রথমে আধ মুঠো গুঁড়ো করা মৃত্তিকা নমুনা নিন।
২। মৃত্তিকা নমুনার সাথে পরিমিত পানি মেশান।
৩। হাত দিয়ে ভিজা মৃত্তিকার দলা বানানোর চেষ্টা করুন। অতঃপর দলা পর্যবেক্ষণ করুন এবং নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত নিন।
- হাতের চাপে দলা সৃষ্টি না হলে অর্থাৎ মৃত্তিকা কণা আলগা থেকে গেলে নমুনার বুনট বালি হবে। বড় দলা না হয়ে ছোট দলা তৈরি হলে নমুনার বুনট দো-আঁশ বালি হবে।
- মৃত্তিকা নমুনাকে চ্যাপ্টা রিবন বানাতে গেলে যদি তা টুকরা টুকরা হয়ে ভেঙ্গে যায় তবে নমুনার বুনট বেলে দো-আঁশ হবে। নমুনাকে আংটি বানাতে গেলে তা যদি ভেঙ্গে যায় সেই নমুনার বুনট দো-আঁশ ও পলি দো-আঁশ হবে।
- নমুনাকে যদি ফাঁটল যুক্ত আংটি বানানো যায় তবে নমুনার বুনট এঁটেল দোআঁশ হবে।
- মৃত্তিকা নমুনাকে দিয়ে ভাল রকম আংটি বানানো গেলে তা হবে এঁটেল বুনট সম্পন্ন মৃত্তিকা।
৪। আপনার পরীক্ষীত নমুনার ফলাফলসহ বিবরণী ব্যবহারিক খাতায় লিপিবদ্ধ করে যথাসময়ে নির্ধারিত টিউটরকে দেখিয়ে স্বাক্ষর নিন।
খ) গবেষণাগার পদ্ধতিতে মৃত্তিকার বুনট নির্ণয়
গবেষণাগারে দুটি পদ্ধতিতে মৃত্তিকা বুনট নির্ণয় করা হয়।
১।পিপেট পদ্ধতি
২।হাইড্রোমিটার পদ্ধতি
পিপেট পদ্ধতিটি বেশি জটিল। তবে এটি অধিকতর সূক্ষ্ণ এবং ফলাফল বেশি সঠিক। কিন্তু জটিলতার কথা বিবেচনা করে হাইড্রোমিটার পদ্ধতিটি আলোচনা করা হলো। কারণ হাইড্রোমিটার পদ্ধতিটি সহজ ও তুলনামূলক দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
সংগৃহীত মৃত্তিকা নমুনা (পূর্ববর্তী পাঠে উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসারে মৃত্তিকা নমুনা সংগ্রহ করুন) পানি।
কাজের ধাপ
- প্রথমে আধ মুঠো গুঁড়ো করা মৃত্তিকা নমুনা নিন। মৃত্তিকা নমুনার সাথে পরিমিত পানি মেশান।
- হাত দিয়ে ভিজা মৃত্তিকার দলা বানানোর চেষ্টা করুন। অতঃপর দলা পর্যবেক্ষণ করুন এবং নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত নিন।
- হাতের চাপে দলা সৃষ্টি না হলে অর্থাৎ মৃত্তিকা কণা আলগা থেকে গেলে নমুনার বুনট বালি হবে। বড় দলা না হয়ে ছোট দলা তৈরি হলে নমুনার বুনট দো-আঁশ বালি হবে।
- মৃত্তিকা নমুনাকে চ্যাপ্টা রিবন বানাতে গেলে যদি তা টুকরা টুকরা হয়ে ভেঙ্গে যায় তবে নমুনার বুনট বেলে দো-আঁশ হবে। নমুনাকে আংটি বানাতে গেলে তা যদি ভেঙ্গে যায় সেই নমুনার বুনট দো-আঁশ ও পলি দো-আঁশ হবে।
- নমুনাকে যদি ফাঁটল যুক্ত আংটি বানানো যায় তবে নমুনার বুনট এঁটেল দোআঁশ হবে।
- মৃত্তিকা নমুনাকে দিয়ে ভাল রকম আংটি বানানো গেলে তা হবে এঁটেল বুনট সম্পন্ন মৃত্তিকা।
- আপনার পরীক্ষীত নমুনার ফলাফলসহ বিবরণী ব্যবহারিক খাতায় লিপিবদ্ধ করে যথাসময়ে নির্ধারিত টিউটরকে দেখিয়ে স্বাক্ষর নিন।
খ) গবেষণাগার পদ্ধতিতে মৃত্তিকার বুনট নির্ণয়
গবেষণাগারে দুটি পদ্ধতিতে মৃত্তিকা বুনট নির্ণয় করা হয়। পিপেট পদ্ধতি হাইড্রোমিটার পদ্ধতি পিপেট পদ্ধতিটি বেশি জটিল। তবে এটি অধিকতর সূক্ষ্ণ এবং ফলাফল বেশি সঠিক। কিন্তু জটিলতার কথা বিবেচনা করে হাইড্রোমিটার পদ্ধতিটি আলোচনা করা হলো। কারণ হাইড্রোমিটার পদ্ধতিটি সহজ ও তুলনামূলক দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়।
পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলকে নিচের উদাহরণের ন্যায় হিসেব করে মৃত্তিকা নমুনার বালি, পলি ও কর্দম কণার শতকরা হার বের করুন। অতঃপর তা মৃত্তিকা বুনট নির্ণয়ের Marshall’s Triangular Co-ordinates এ বসিয়ে আপনার নমুনার বুনট শ্রেণি নির্ণয় করুন।