ব্যবহারিক:বিভিন্ন রোগাক্রান্ত মাছ শনাক্তকর

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ব্যবহারিক:বিভিন্ন রোগাক্রান্ত মাছ শনাক্তকর

ব্যবহারিক:বিভিন্ন রোগাক্রান্ত মাছ শনাক্তকরণ

বিষয়: বিভিন্ন রোগাক্রান্ত মাছ শনাক্তকরণ

উপকরণ

১। লেজ ও পাখনা পচা মাছ

২। ফুলকা পচা মাছ

৩। ক্ষতরোগে আক্রান্ত মাছ।

৪। উকুন আক্রান্ত মাছঃ

৫। টে

৬। আতশী কাঁচ

৭। চিমটা

৮। খাতা ও পেন্সিল :

৯। ফরমালিন:

১০। বড় মুখওয়ালা বোতল বা জার।

 

ব্যবহারিক:বিভিন্ন রোগাক্রান্ত মাছ শনাক্তকর

 

কাজের ধাপ

১। সব সময় রোগাক্রান্ত মাছ পাওয়া নাও যেতে পারে, সেজন্য ফরমালিন দিয়ে মাছগুলোকে বোতলে রাখুন।

২। ব্যবহারিক ক্লাসে রোগাক্রান্ত মাছগুলো ট্রেতে রাখুন।

৩। আতশী কাচ দিয়ে এর অঙ্গ-প্রতঙ্গ দেখুন।

৪। রোগাক্রান্ত অঙ্গ পর্যবেক্ষণ করুন।

৫। লক্ষণগুলো ভালোমত লক্ষ্য করুন।

৬। ব্যবহারিক খাতায় রোগাক্রান্ত মাছের চিত্র আঁকুন।

৭। রোগের নাম লিখুন এবং লক্ষণগুলো লিপিবদ্ধ করুন।

৮। নিকটস্থ কোন পুকুরে রোগাক্রান্ত মাছের খবর পেলে সেই পুকুরে যান।

৯। পুকুর থেকে রোগাক্রান্ত -মাছ তোলার ব্যবস্থা করুন এবং লক্ষণগুলো দেখুন।

 

ব্যবহারিক:বিভিন্ন রোগাক্রান্ত মাছ শনাক্তকর

 

ক্ষতরোগ

বাংলাদেশে প্রায় ৩২ প্রজাতির মাছ এ রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়। এ রোগে আক্রান্ত মাছের গায়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। অঢ়যধহড়সুপবং নামক ছত্রাক সংক্রমণে এ রোগ হয়। পরে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এরোগ সৃষ্টি হয়।

এ রোগে মাছের গায়ে ছোট ছোট লাল দাগ দেখা যায়। লাল দাগের স্থানে গভীর ক্ষত হয়। মাছ দ্রুত মারা যায়। চোখ নষ্ট হতে পারে। ক্ষত স্থান থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। মাছ খাদ্য গ্রহণ করে না। ক্ষতে চাপ দিলে দুর্গন্ধ ও পুঁজ বের হয়। মাছ দুর্বল হয় এবং ভারসাম্যহীনভাবে চলাফেরা করে। আক্রান্ত বেশি হলে লেজ ও পাখনা পচে খসে পড়ে।

প্রতিরোধ ও প্রতিকার : 

শুকনো মৌসুমে পুকুরের তলা শুকাতে হবে। শীতের শুরুতে প্রতি শতাংশে ১ কেজি চুন ও ১ কেজি লবণ একত্রে প্রয়োগ করতে হবে। পোনা মজুদের আগে ২-৩% লবণ পানিতে পোনা গোসল করানো। জৈবসার প্রয়োগ সীমিত করা।

জাল রোদে শুকিয়ে পুকুরে ব্যবহার করা। প্রতি কেজি খাবারের সাথে ৬০-১০০ মিলিগ্রাম টেরামাইসিন বা ১ গ্রাম ক্লোরোমাইসিটিন ওষুধ মিশিয়ে পরপর ৭-১০ দিন প্রয়োগ করতে হবে। আক্রান্ত মাছকে ৫ পিপিএম পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণে ১ ঘণ্টা অথবা ১ পিপিএম তুঁতের দ্রবণে ১০-১৫ মিনিট গোসল করাতে হয়।

 

ব্যবহারিক:বিভিন্ন রোগাক্রান্ত মাছ শনাক্তকর

 

ড্রপসি-উদরফোলা-শোঁথরোগ

রোগের কারণ :

ব্যাকটেরিয়া দিয়ে এ রোগ হয়। আর লক্ষণ হলো : মাছের পেটে তরল পদার্থ জমে পেট ফুলে যায়। মাছ চিৎ হয়ে ভেসে উঠে। ভারসাম্যহীন চলাফেরা করে। হলুদ বা সবুজ রঙের পিচ্ছিল তরল পদার্থ বের হয়। দেহের পিচ্ছিল পদার্থ থাকে না।

প্রতিরোধ ও প্রতিকার :

হাত দিয়ে পেট চেপে তরল পদার্থ বের করা। জৈব সার প্রয়োগ করা। চুন প্রয়োগ করা। টেরামাইসিন গ্রুপের ওষুধ খাদ্যের সাথে খাওয়াতে হবে অথবা ইনজেকশন দিতে হবে।

Leave a Comment