ব্যবহারিক: মুরগির রাণীক্ষেত রোগের টীকাদান

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ব্যবহারিক: মুরগির রাণীক্ষেত রোগের টীকাদান

ব্যবহারিক: মুরগির রাণীক্ষেত রোগের টীকাদান

বিষয়-১ : মুরগির রাণীক্ষেত রোগের টীকাদান

উপকরণ

১। টীকা বীজ ভায়েল

২। সিরিজ ও সুই

৩। পরিশ্রুত পানি ২০০ মিলি

৪। গেলিপট (টীকা মেশানোর পাত্র)

৫। তুলা ও স্পিরিট

ব্যবহারিক: মুরগির রাণীক্ষেত রোগের টীকাদান

 

কাজের ধাপ

১। প্রথমে হাত ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।

২। সিরিজ ও অন্যান্য সরঞ্জাম ফোটানো পানিতে জীবাণুমুক্ত করে নিন।

৩। ভায়ালের মুখ খুলে টীকা বীজ গেলিপটে নিন।

৪। গেলিপটে প্রথমে ১ মিলি পানিতে টীকাবীজ মিশিয়ে নিন।

৫। এবার গেলিপটে ৯৯ মিলি পানি নিয়ে টীকা বীজ ভালো করে মিশিয়ে নিন।

৬। এবার ১০০ মিলি তৈরি টীকা হতে সিরিঞ্জ দিয়ে প্রতি মুরগিকে ১ মিলি করে ইনজেকশন হিসেবে রানের মাংসে টীকা দিন।

৭। ইনজেকশন দেওয়ার পর সিরিজ, সুই ও অন্যান্য উপকরণ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।

৮। এবার ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে নিন।

সাবধানতা

১। টাকা বীজ থার্মোফ্রান্তে বরফ দিয়ে ঠাণ্ডা অবস্থায় সংগ্রহ করতে হবে।

২। ঠাণ্ডা ও শীতল স্থানে টাকা মিশ্রণ করতে হবে এবং টাকা দিতে হবে।

৩। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন টাকা দেওয়ার সময় মুরগির হাড়ে সুই না লাগে

৪। দিনের ঠান্ডা সময়ে সকালে বা বিকালে টাকা দিতে হবে।

৫। সাধারণত টাকা গুলানোর এক ঘণ্টার মধ্যে টাকা প্রদান করা নিরাপদ।

৬। সরাসরি সূর্যের আলো বা রৌদ্রে টাকা দেওয়া যাবে না।

 

ব্যবহারিক: মুরগির রাণীক্ষেত রোগের টীকাদান

মুরগির রানীক্ষেত রোগের লক্ষণ

  • হাঁচি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, গলায় ঘড়ঘড় আওয়াজ এ রোগের প্রথম লক্ষণ।
  • শ্বাসযন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র বিশেষভাবে আক্রান্ত হয়। শ্বাসযন্ত্র আক্রান্ত হওয়ায় শ্বাসকষ্ট হয়, ফলে হা করে শ্বাস টানে। স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হওয়ার পরবর্তি পর্যায়ে প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাত দেখা দেয়।
  • সাদা চুনের মত পাতরা পায়খানা করে।
  • ঘাড়, ডানা ও পা অবশ হয়ে পড়ে।
  • কোন কোন রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত মুরগি অস্থির অবস্থায় পেছনের দিকে হেলে পড়ে বা চক্রাকারে ঘুরতে থাকে।
  • খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে আড়ালে গিয়ে মাথা একদিকে বাঁকিয়ে রেখে অথবা পিছন ফিরে ডানায় মাথা গুজেঁ রাখে।
  • উৎপাদন হঠাৎ কমে যায়।

চিকিৎসা ব্যবস্থা বা রোগ দমন

মুরগির রানীক্ষেত রোগের কোন চিকিৎসা নেই। রোগের প্রাদূর্ভাব হওয়ার সাথে সাথে মুরগি গুলোকে লাসোটা ভ্যাকসিন পানির সাথে খাওয়ারে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। সতটা সম্ভব অসুস্থ মোরগ ও মুরগিগুলোকে আলাদা করে রাখতে হবে। ঘরটিকে জীবাণুনাশক দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। খাবার পাত্র ও পানির পাত্র জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

 

ব্যবহারিক: মুরগির রাণীক্ষেত রোগের টীকাদান

 

গৌতম বুদ্ধ দাস, অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, চট্টগ্রাম সরকারী ভেটেরিনারী কলেজ এর একটি পরামর্শ এখানে উল্লেখ করার মত। জেন্টামাইসিন ৫% (ব্রেমমার ফার্মা কর্তৃক প্রস্তুত) ১ মিলি ঔষুধ ১৯ মিলি পরিশোধিত পানিতে মিশিয়ে ১ সিসি করে মুরগিকে ৩ দিন পর্যন্ত রানের মাংসে ইনজেকশন দিলেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

Leave a Comment