আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ব্যবহারিক: ধানের শুকনো বীজতলা তৈরি
ব্যবহারিক: ধানের শুকনো বীজতলা তৈরি
বিষয় ১- : ধানের শুকনো বীজতলা তৈরি
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- বীজ
- জমি
- লাঙ্গল
- মই
- কোদাল
- মুগুর
- কাজের ধারা
১। ছায়া পড়ে না ও বৃষ্টির পানি জমে থাকে না এমন দো-আঁশ মাটি সম্পন্ন উঁচু জমি নির্বাচন করুন।
২। জমির গো অবস্থায় ৪-৬ টি আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে, নরম ও সমান করে তৈরি করুন।
৩। উর্বর মাটি হলে সার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। তবে উর্বর কম হলে সেক্ষেত্রে পচা গোবর বা আবর্জনা পচাসার প্রতি বর্গমিটারে ২ কেজি হারে চাষের সময় প্রয়ো করুন।
৪। সেচ, নিকাশ ও পরিচর্যার সুবিধের জন্য ১২৫ সে.মি. চওড়া যে কোন দৈর্ঘ্যের বেড বা জমি খন্ড চিহ্নিত করুন।
৫। দুটো বেডের মাঝে ৫০ সে.মি. এবং বেড ও জমির আইলের মাঝে ২৫ সে.মি. জায়গা ফাঁকা রাখুন।
৬। এবার এই ফাঁকা জায়গাগুলো থেকে গভীরভাবে ১০- ১৫ সে.মি, মাটি তুলে বেডের উপর দিন। এতে ফাঁকা জায়গাগুলোতে সেচ বা নিকাশের জন্য নালা সৃষ্টি হবে।
৭। এখন বেডের মাটি সমান করার পর প্রতি বর্গমিটার জায়গার জন্য ৭৫ ৮৫ গ্রাম হারে শুকনো বীজ ভালোভাবে ছিটিয়ে দিন এবং মাটি নাড়াচাড়া করে বীজ ঢেকে দিন। এই অবস্থায় নালাগুলো পানি দ্বারা ভর্তি করে রাখুন।
৮। বেডে বা বীজতলায় চারা গজানোর পর আগাছা জন্মালে নিড়ানি দিয়ে তা পরিষ্কার করে দিন।
৯। পোকামাকড় ও রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে কৃষিকর্মীর পরামর্শ মোতাবেক তা দমনের ব্যবস্থা নিন ১০। ধানের চারা হলুদ হয়ে গেলে প্রতি বর্গমিটারে ৭-১০ গ্রাম হারে ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিন।
১১। ধানের চারা উঠানের আগে বীজতলার মাটি পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। এতে মাটি নরম হওয়াতে চারা সহজে উঠে আসবে। এসময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে পাতা বা কাণ্ড ছিড়ে বা ভেঙ্গে না যায়।
১২। এবার ধানের শুকনো বীজতলা তৈরির কাজটি অনুশীলন করুন এবং বীজতলা তৈরি থেকে শুরু করে চারা উঠানো পর্যন্ত কার্যধারা আপনার ব্যবহারিক খাতায় লিপিবদ্ধ করুন।