আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় মাত্স্য ভিত্তিক সমন্বিত খামার (মাছ, মুরগি/হাঁস, ফসল)
Table of Contents
মাত্স্য ভিত্তিক সমন্বিত খামার (মাছ, মুরগি/হাঁস, ফসল)
সম্ভাবনা
মাৎস্যভিত্তিক সমন্বিত-খামারের সম্ভাবনাগুলো নিম্নরূপ-
- কম জমির পুকুর, কম পুঁজি ও খুব কম শ্রমিক ব্যবহারে দ্র কৃষকগণ সহজেই এ ধরনের সমন্বিত-খামার গড়ে তুলতে পারেন।
- মাৎস্য চাষের প্রযুক্তি/ ব্যবস্থাপনা তুলনামূলকভাবে কম নিবিড়। তবে রেণু পোনার চাষ নিবিড় ব্যবস্থাপনা নির্ভর।
- রেণু পোনার উৎপাদন তিন মাসে হলেও মাছ চাষে এক বছর লাগে।
- মাছের পুকুর হাঁস-মুরগি একত্রে চাষ করা যায়।
- পুকুরের পচা মাটি ও মাছের উচ্ছিষ্ট পচা শাক-সবজি ও স্বল্পমেয়াদী ফল (কলা, পেঁপে ) চাষে ব্যবহার করা যায়।
- ধান খেতে মাছ/চিংড়ি চাষ করলে উৎপাদন দ্রুত হয়, এতে জমি কিছুটা বেশি লাগে। কম পুঁজিসম্পন্ন উদ্যোক্তাগণ পুকুর/জমি লীজ নিয়ে মাৎস্যভিত্তিক সমন্বিত-খামার শুর— করতে পারেন।
করণীয়
মাৎস্যভিত্তিক সমন্বিত-খামারে নিম্নরূপ পদপে অবলম্বন জরুরী-
- পুকুরের পানিতে মাছের পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক খাদ্য (ফাইটোপ্লাংকটন, জুওপ্লাংকটন) তৈরির জন্য গোবর, চুন ও রাসায়নিক সার সঠিক নিয়ম, সময় ও পরিমাণে দিতে হয়। এজন্য প্রশি ণ দরকার।
- মাছের জাত, পোনার আকার ও সংখ্যা নির্বাচনে বিজ্ঞানভিত্তিক নিয়ম না মানলে মাছ চাষ কম লাভজনক হয় ।
- রেণু পোনার চাষ প্রযুক্তি সঠিকভাবে না মানলে উৎপাদন কমে, লাভও কমে যেতে পারে।
- পুকুরের চারপাশে ছায়াদানকারী ও পাতা পতনশীল গাছ লাগানো বা রাখা উচিত নয় ।
- কীটনাশক যন্ত্র, শিশি, বাসনপত্র প্রভৃতি পুকুরের পানিতে ধোয়া যাবে না। পুকুরে হাঁস-মুরগি পালন করলে তিন বছর পর পুকুরের মাটি শোধন ও পানি নতুন করে দিতে হবে ।
সমন্বয় ধাপসমূহ
একটি মাৎস্যভিত্তিক সমন্বিত-খামার, যেখানে মাছ, হাঁস-মুরগি ও ফসল একত্রে থাকবে, সেটি কীভাবে ধাপে ধাপে সমন্বয় করা যায় তা নিচে দেখানো হলো-
উদাহরণ
একটি মাৎস্যভিত্তিক সমন্বিত-খামারের সংপ্তি বিবরণ ও আয়-ব্যয় উদাহরণস্বরূপ এখানে দেখানো হলো।
- খামার ব্যবস্থা : মাছ-হাঁস-ফসল
- সম্পদসমূহ :পরিবারের লোকসংখ্যা পুরুষ ৩, মহিলা ৩ জমি – বসতবাড়ি ০.০৬ হে, ০.১৬ হে; তে ০.০৮ হে., কলা বাগান ০.১০ হে; মোট জমি ০.৪০ হেক্টর।
উন্নত জাতের হাঁসি ৬৩টি, হাঁসা ৭টি, মুরগি ১০টি, মোরগ ২টি
- কৃষকের প্রকার : দ্র কৃষক
- পুকুরে হাঁস ও মাছের আধানিবিড় মিশ্র চাষের আয়-ব্যয় (বাৎসরিক)