ব্যবহারিক: গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে সাইলেজ তৈরিকরণ

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ব্যবহারিক: গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে সাইলেজ তৈরিকরণ. – যা কৃষি উপকরণ : গৃহপালিত পশু-পাখির আবাসন ও খাদ্য এর অন্তর্ভুক্ত ।

ব্যবহারিক: গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে সাইলেজ তৈরিকরণ

 

ব্যবহারিক: গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে সাইলেজ তৈরিকরণ

 

ঘাসের পুষ্টিমানের কোন পরিবর্তন না করে পচনশীল সবুজ ঘাস প্রাথমিক অবস্থার মতো করে সংরক্ষণ করাকে সাইলেজ বলে। যে মৌসুমে সবুজ ঘাসের অভাব হয়, সে মৌসুমে এই সাইলেজ ব্যবহার করে গো-খাদ্যের অভাব অনেকাংশেই পূরণ করা যায়। সাইলেজে সবুজ ঘাসের মান অক্ষুন্ন থাকে বলে এটি খাওয়ালে গরুর মাংস ও দুধ উৎপাদন ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

১. কাঁচা ঘাস (যেমন:- প্যারা, ভুট্টা, নেপিয়ার, গিনি ইত্যাদি)
২. একটি পাকা সাইলোপিট (৩ মিটার x ২ মিটার x ১০ মিটার)
৩. শক্ত পলিথিন কাগজ (প্রয়োজনীয় পরিমাণ)
৪. কিছু এঁটেল মাটি
৫. সামান্য পরিমাণ খড় বা নিম্নমানের ঘাস

কাজের ধাপ

১. প্রথমে নির্বচিত ঘাস (ছোট হলে সম্পূর্ণ ও বড় হলে ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে) সাইলোপিটে রেখে পা দিয়ে ভালো করে চেপে চেপে ভর্তি করুন যাতে কোন ফাঁক না থাকে। কারণ, ফাঁক দিয়ে বাতাস ঢুকলে ঘাস নষ্ট হয়ে যায়।

২. কাঁচা ঘাস দিয়ে সাইলোপিট পুরোপুরি ভরার পর তার উপর খড় বা নিম্নমানের ঘাস বিছিয়ে ঢেকে দিন।

৩. এবার সাইলোপিটের মুখটি পুরোপুরি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিন ।

৪. প্রয়োজনে পলিথিনের উপর মাটি দিয়ে মাটিচাপা দেওয়া যায়। এতে বৃষ্টির পানি পিটে না ঢুকে সহজেই গড়িয়ে যেতে পারে। প্রয়োজনে পিটের উপর তিন-চার মাস এভাবে রাখার পর যখন ঘাসের অভাব হয়, তখন পিট থেকে সাইলেজ বের করে গবাদিপশুকে খেতে দিন।

৫. সবশেষে কাজের ধাপগুলো ধারাবাহিকভাবে ব্যবহারিক খাতায় লিখুন ও টিউটরকে দেখান ।

সাবধানতা

১. সাইলোপিট বায়ুরোধী করে তৈরি করতে হবে যাতে বাতাস ঢুকে ঘাস পঁচিয়ে না দেয়। ২. ঘাসের মধ্যে যেন কোনভাবেই পানি ঢুকতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

 

ব্যবহারিক: গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে সাইলেজ তৈরিকরণ

 

চূড়ান্ত মূল্যায়ন

সৃজনশীল প্রশ্ন

১. আজিমউদ্দিন বয়েজ হাইস্কুলের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শ্রেণির কাজের ও ব্যবহারিক কাজের অংশ হিসেবে হাঁস- মুরগির আবাসন তৈরির পদ্ধতি সরেজমিনে দেখার জন্য সাভারে হাঁস-মুরগির খামার পরিদর্শন করলেন। পরে তারা এ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন লিখে ক্লাসে উপস্থাপন করলেন।

ক) হ্যাচারি ঘর কী?

(খ) হাঁস-মুরগির খামারে কোন কোন ঘর রাখতে হয় ।

গ) শিক্ষার্থীদের দেখা আবাসন তৈরির পদ্ধতির ক্ষেত্রে যে উদ্দেশ্যগুলো সামনে রাখতে হয় তা লিখ ।

ঘ) “উক্ত আবাসন তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা প্রয়োজন”- বিশ্লেষণ করুন ।

নীলফামারী জেলার পঞ্চপুকুর গ্রামের নাজমুল সাহেবের হাঁস-মুরগির খামারের কথা কে না জানে? তিনি প্রশিক্ষিত ২ জন কর্মচারী নিয়ে নিজেই ভূট্টারগুড়া, সরিষার খৈল, শুঁটকি মাছের গুড়া ও সয়াবিন তেল মিশিয়ে ব্রয়লার মুরগির খামারের মুরগির জন্য মিশ্রিত খাদ্য তৈরি করেন । নাজমুল সাহেব বলেন, “১ম সপ্তাহে যে পরিমান খাদ্যের প্রয়োজন হবে ৮ম সপ্তাহে তার চেয়ে অনেক বেশি খাদ্যে প্রয়োজন হবে। ” নাজমুল সাহেবের খামারে ব্রয়লার মুরগির সংখ্যা ২০০টি ছিল।

ক) মুরগির খামার পরিচালনায় মোট খরচের শতকরা কত ভাগ খাদ্য বাবদ খরচ হয় ?

খ) মুরগির রসদ তৈরিতে খাদ্য উপকরনের একটি তালিকা তৈরি করুন।

গ) নাজমুল সাহেবের খাদ্য তৈরির কৌশল ব্যাখ্যা করুন।

ঘ) উদ্দীপকে উল্লেখিত নাজমুল সাহেবের উক্তিটি বিশ্লেষণ করুন ।

৩. আমশোলা গ্রামের জসিম ও হাসিম দু’জনে মিলে একটি হাঁসের খামার তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে তারা ৩ সপ্তাহ বয়সের ৫০টি এবং ৮ সপ্তাহ বয়সের ৫০টি হাঁসের বাচ্চা নিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করেন। তারা হাঁসগুলোকে প্রতিদিন সুষম খাবার প্রদান করেন। বর্তমানে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল এবং তাদের এক কর্মকান্ড দেখে গ্রামবাসী উদ্বুদ্ধ হয়েছে।

 

ক) বয়সভেদে হাঁসকে কত ধরনের রসদ প্রদান করা হয়?

খ) হাঁসকে জলজ পাখি বলা হয় কেন?

গ) জসিম ও হাসিম হাঁসগুলোকে প্রতিদিন কি পরিমান খাবার সরবরাহ করতেন তা উল্লেখ করুন ।

ঘ) উদ্দীপকে উল্লেখিত খামারটি গ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নের একটি প্রতিক বিশ্লেষণ করুন।

 

Leave a Comment