বীজ উৎপাদন: স্থান নির্বাচন, জমি তৈরি ও সার প্রয়োগ , বীজ ও বীজ প্রযুক্তি ,যে কোন জাতের বীজ উৎপাদনে স্থানীয় এলাকার জলবায়ুর প্রভাব অত্যন্ত বেশি। সুতরাং বীজ উৎপাদনের সময় ঐ এলাকার মাটির প্রকৃতি এবং জলবায়ু, যেমন : তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, সুর্যের আলো, দিবসের দৈর্ঘ্য ( Day length), ভূমির উচ্চতা, বাতাসের আর্দ্রতা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে। যে জাত যে পারিপার্শ্বিকতার উপযোগী এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক এবং ব্যাপক চাহিদা আছে সেই জাতের বীজই সেই এলাকায় উৎপাদন করা উচিত।
বীজ উৎপাদন: স্থান নির্বাচন, জমি তৈরি ও সার প্রয়োগ , বীজ ও বীজ প্রযুক্তি
অধিকাংশ ফসলের ফুলের বৃদ্ধি এবং পরাগায়নের জন্য সূর্যালোকিত শুষ্ক দিন এবং মধ্যম তাপমাত্রার প্রয়োজন। তাই বীজ উৎপাদনের জন্য বাতাসের আর্দ্রতা এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মোটামুটি মাঝারী হলে ভালো হয়। বাতাস অনেক ফসলের পরাগায়নে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে রৌদ্রজ্জল আবহাওয়ার সাথে হালকা বাতাস ভালো বীজ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত পোকামাকড় ও রোগবালাই এর প্রার্দুভাব ঘটায় এবং বীজকর্তন থেকে বীজ শুকানো পর্যন্ত সকল স্তরে অসুবিধার সৃষ্টি করে। তাই উন্নত মানের বীজ উৎপাদনের জন্য প্রচুর সুর্যের আলো, মাঝারী বৃষ্টিপাত, শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়া এবং পরাগায়নের সময় হালকা বাতাস প্রবাহিত হয় এ ধরনের স্থান নির্বাচন করা উচিত।
জমি নির্বাচন
জমি নির্বাচন কালে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে :
(ক) জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ উর্বর দোআঁশ মাটি বীজ উৎপাদনের জন্য উত্তম। কারণ এ ধরনের মাটি পর্যাপ্ত রস ও খাদ্যোপাদান ধারণ এবং অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করতে পারে। বীজ উৎপাদনের জমি সেচ ও নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত হওয়া সমীচীন।
(খ) বীজ ফসলের মাটি রোগ জীবাণু এবং ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ মুক্ত হওয়া একান্তপ্রয়োজন। যথোপযুক্ত শস্য পর্যায় ও আবাদ প্রযুক্তি অনুসরণ এবং পরিচ্ছন্ন চাষাবাদের ব্যবস্হা করেও রোগ ও পোকার আক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
(গ) কোন জমিতে উপর্যুপরি একই জাতের বা পরিবারের সবজি চাষ এবং দুই তিন বৎসরের মধ্যে সমগোত্রীয় সবজির উৎপাদন করা অনুচিত।
(ঘ) বীজ প্লট সমতল হওয়া উচিত।
জমি তৈরি ও সার প্রয়োগ
বীজ উৎপাদনের জন্য নির্বাচিত জমি অবশ্যই উত্তমরূপে তৈরি করতে হবে। ভালোভাবে জমি কর্ষণ করে মাটি ঝুরঝুরে করতে হবে। জমি ভালোভাবে তৈরি করা হলে বীজ ভালোভাবে অঙ্কুরিত হবে। এ ছাড়াও জমি সমতল হওয়ার কারণে নিয়ন্ত্রিত সেচ প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।
বীজের গঠন, পরিপুষ্টি ও ফলন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের প্রয়োজন হয়। বীজ ফসলের সমন্বিত বৃদ্ধির জন্য সঠিক নিয়মে ও সুষম মাত্রায় জৈব ও অজৈব সার প্রয়োগ করা উচিত। সাধারণত নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম বীজ ফসলের সমন্বিত বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাছের বৃদ্ধি ও ফলনের উপর নাইট্রোজেনের প্রভাব অত্যন্ত বেশি। নাইট্রোজেনের সুষ্ঠু প্রয়োগ যেমন এ কাজে সহায়তা করে, অতিরিক্ত প্রয়োগেও তেমনি ফসলের পরিপক্কতা বিলম্বিত হওয়ার কারণে বীজ মানের সাংঘাতিক অবনতি হতে পারে।
তাই গাছের বৃদ্ধি বিবেচনা করে নাইট্রোজেন সার কিস্তিতে প্রয়োগ করা বাঞ্ছনীয়। বীজ বপনের কিছুদিন পর প্রথম এবং ফুল আসার সময় দ্বিতীয় মাত্রার নাইট্রোজেন সার প্রয়োগ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফসলের বীজের ফলন ও মান উন্নয়নে সহায়তা করে। ফসফরাসের সুষম মাত্রা গাছের শিকড় বৃদ্ধি, কান্ডকে শক্ত ও মজবুত, বীজের ফলন ও পরিপক্কতা বৃদ্ধি ও ফসলকে আগে পাকতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম ফুল ও ফলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং রোগ দমন ও বীজের গুণগতমান উন্নয়নে সাহায্য করে।
এ ছাড়াও অন্যান্য খাদ্য উপাদান যেমন : সালফার, বোরন, ম্যাগনেশিয়াম, কপার ও জিংক এর অভাব বীজ পরিপক্কতা ও বীজ গঠনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। তাই মাটি পরীক্ষা করে সুষম সার প্রয়োগ করা উচিত।
বীজ নির্বাচন
বীজ ফসল উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত বীজ অবশ্যই নির্ধারিত মানের (জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত) এবং পরিচিত ও অনুমোদিত উৎস থেকে সংগৃহীত হতে হবে। বীজ কেনার সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো সতর্কতার সাথে পরীক্ষা করা প্রয়োজন :
(ক) নির্ধারিত শ্রেণীর বীজ ক্রয়, যেমন : ভিত্তি বীজ উৎপাদন করতে হলে মৌল বীজ ব্যবহার করতে হবে। তেমনি প্রত্যায়িত বীজ উৎপাদনের জন্য ভিত্তি বীজের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
(খ) ক্রয় করা মৌল বীজ/ভিত্তি বীজের বস্তায় বীজ উৎপাদনকারী ও বীজ প্রত্যয়ন সংস্হার সরবরাহকৃত ট্যাগ ও সিল অক্ষুন্ন থাকতে হবে।
(গ) ব্যবহারের সময়সীমা উত্তীর্ণ হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
(ঘ) ক্রয় করা সকল বীজ একই জাতের কি না তা নিশ্চিত করতে হবে।
বীজ বপন
প্রায় বীজই সারিতে বপন/রোপণ করা ভালো। নির্দিষ্ট দূরত্বে সারিতে বীজ বপন করলে তা যথেষ্ট আলো বাতাস ও খাদ্য পাবে। বীজ ফসলের অন্তবর্তীকালীন পরিচর্যা সুবিধাজনক হবে এবং বীজও কম লাগবে। সারিতে বীজ বপনের জন্য বীজ বপন যন্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তা ব্যবহার করার আগে অবশ্যই পরিস্কার করে নিতে হবে যেন উক্ত যন্ত্রে অন্য কোন জাতের বীজ আটকিয়ে না থাকে।
ফসলকে ভালোভাবে দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য বপনের গভীরতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ছোট ছোট বীজ অল্প গভীরে এবং বড় আকারের বীজ মাটির গভীরে বপন করা হয়। কর্দমাক্ত মাটির চেয়ে বেলে মাটিতে অধিক গভীরে বীজ বপন করতে হয়। শুষ্ক মাটিতে কিছুটা গভীরে বীজ বপন করা হলে মাটির আর্দ্রতার সংস্পর্শে এসে অঙ্কুরিত হতে সাহায্য করবে। বীজ বপনের গভীরতা অনেকটা নির্ভর করে মাটির প্রকৃতি, মাটিতে রসের পরিমাণ এবং বীজের আকারের উপর।
নিরাপদ দূরত্ব
বীজ ফসলকে কলুষিত হওয়ার সম্ভাব্য সকল উৎস থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়। অর্থাৎ ভিন্ন জাতের সাথে যাতে পর পরাগায়ন না ঘটে তার জন্য যথাযথ দূরত্ব অবশ্যই বজায় রাখতে হয়। বীজ ফসলের জন্য এটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যথোপযুক্তভাবে পালন করলে এ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন জাতের মধ্যে পরপরাগায়ন, শস্য সংগ্রহকালীন সংমিশ্রণ এবং সমগোত্রীয় অন্যান্য ফসল থেকে রোগ ও পোকার বিস্তার রোধ করা যায়। যদি কোন কারণে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হয়, তবে বীজ প্লটের চারদিকে একই ফসলের অতিরিক্ত বর্ডার লাইন রোপণ করে বীজ প্লটের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব।
নিরাপদ দূরত্ব নির্ভর করে বিভিন্ন ফসলের বিভিন্ন জাতের এবং কোন শ্রেণীর বীজ তার ওপর। যেমন : ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদনের বেলায় ২০০ মিটারের মধ্যে একই সময়ে বা একই মৌসুমে নিম্নমানের বীজ দ্বারা আবাদকৃত আলু ফসল বা জাব পোকার আশ্রয়দানকারী ফসল গাছ যেমন : তামাক, মরিচ, বেগুন বা অন্য স্হানীয় জাতের আলুর চাষকরা চলবে না। কারণ ভাইরাস রোগ জাব পোকার মাধ্যমে বীজ আলুতে সংক্রমন হতে পারে। নিম্নে বিভিন্ন ফসলের নিরাপদ দূরত্বের এবং পরাগায়নের ধরনের একটি তালিকা দেয়া হলো :
আগাছা দমন
বীজ প্লট সব সময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে। কারণ জমিতে আগাছা থাকলে বীজ ফসল কর্তনের সময় আগাছা মিশ্রিত থাকার ফলে মাড়াই অংগনে ফসলের বীজ এবং আগাছা বীজ একত্রে মিশে বীজের মানের অবনতি ঘটায়। তাছাড়া আগাছা মূল ফসলের সাথে খাদ্য ও পানি গ্রহণে প্রতিযোগিতা করে বিধায় বীজ ফসলের সুষ্ঠু বৃদ্ধি হয় না। আগাছা পোকামাকড় ও রোগজীবাণুর আশ্রয়স্হল। অতএব বীজ প্লটকে সব সময় আগাছামুক্ত রাখতে পারলে মান সম্পন্ন বীজ উৎপাদন সম্ভব হবে।
কীট-পতংগ ও রোগবালাই দমন
রোগ ও পোকার আক্রমণে কেবল ফলনই হ্রাস পায় না, অনেক সময় বীজে সংক্রামক রোগের আক্রমণও ঘটে। তাই বীজ প্লটকে কীট পতংগ ও রোগবালাই এর হাত থেকে রক্ষা করতে পারলে শুধুমাত্র বীজের ফলনই বৃদ্ধি পাবে না, সাথে সাথে রোগমুক্ত ও স্বাস্থ্যবান বীজও পাওয়া যাবে। কীট পতংগ এবং রোগবালাই সময়মত দমন করা না হলে বীজের মান নষ্ট হতে পারে।
কিছু কিছু জীবাণু বীজের মধ্যে থাকে যা খালি চোখে দেখা যায় না। যদি এ সমস্ত রোগ দমন করা না হয় তবে রোগের জীবাণু উৎপাদিত বীজের মধ্যে অনেকদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে যা পরবর্তী মৌসুমে রোগাক্রান্ত গাছের জন্ম দিবে। মান সম্পন্ন বীজ পেতে হলে (ক) ব্যবহৃত বীজ অবশ্যই শোধিত হতে হবে, (খ) পোকামাকড় এবং রোগবালাই দেখা দেয়া মাত্র তা দমনের জন্য নির্ধারিত ঔষধ সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে (গ) রোগাক্রান্ত গাছ তুলে ফেলে রোগ বিস্তার রোধ করতে হবে।
পানি সেচ ও নিষ্কাশন
শুষ্ক আবহাওয়া মান সম্পন্ন এবং রোগমুক্ত বীজ উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী। কিন্তুএই পরিবেশে প্রয়োজনীয় সেচ প্রয়োগ না করলে বীজের ভালো ফলন আশা করা যায় না। জমিতে যথেষ্ট রস না থাকলে বীজ বপনের পূর্বে উপযুক্ত পরিমাণ সেচ দিয়ে যথাযথভাবে জমি তৈরি করে নেয়া প্রয়োজন। জমিতে প্রয়োজনীয় রস না থাকলে বীজের অঙ্কুর বের হয় না। আবার জমিতে অতিরিক্ত রস থাকলে তা বীজের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। মাটি পানি দ্বারা সম্পৃক্ত (Saturated) অবস্হায় চলে গেলে অক্সিজেনের অভাবে বীজ অঙ্কুরিত না হয়ে বরং পচে যেতে পারে।
কাজেই ফসল ও মাটি ভেদে সেচের পরিমাণ ও প্রয়োগ নির্ভর করে। সাধারণত ফুল আসার আগে এক থেকে দুইটি সেচই বীজ ফসলের জন্য প্রয়োজন।
পরিমিত সেচ গাছের খাদ্য উপাদান গুলোকে ব্যবহারপোযোগী করে গাছের বৃদ্ধি, প্রস্বেদন ও শ্বসনে সহায়তা করে। ফসলের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে সেচের প্রয়োজনীয়তা এক নয়। প্রাথমিক পর্যায়ে গাছের শাখা প্রশাখা বৃদ্ধির সময় সেচের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এ সময় মাটিতে রস না থাকলে গাছের বৃদ্ধি থেমে যায় এবং কান্ড শুকিয়ে যায়। পানি পেলে গাছ আবার সজীব হয়ে উঠে। তাই সময়মত প্রয়োজন অনুযায়ী সেচ দেয়া দরকার।
কিছু কিছু বীজ ফসলে সেচ খুবই সংবেদনশীল। সেচ একটু বেশি হলেই বিভিন্ন রোগ ব্যাধির আক্রমণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত সেচ অনেক সময় ফসলের পরিপক্কতাকে বিলম্বিত করে, যা মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদনের জন্য মোটেই উপাযোগী নয়। কিছু কিছু সবজি ও পেঁপে দাঁড়ানো পানি একবারেই সহ্য করতে পারে না। তাই সেচ বেশি হলে বা বৃষ্টির কারণে পানি জমে গেলে তা দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্হা করতে হবে।
বীজ ফসলের জমিতে সাধারণত নিম্নলিখিত তিন পদ্ধতিতে সেচ দেয়া যেতে পারে
(ক) সেচ নালার সাহায্যে মাটির উপরিভাগে
(খ) ফোয়ারা পদ্ধতিতে ফসলের উপরে
(গ) মাটির অভ্যন্তরে গাছের গোড়ায়
যে পদ্ধতিতেই সেচ দেয়া হোক না কেন, ফসলের জমিতে সমানভাবে যাতে সেচ প্রয়োগ করা হয়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিমিত এবং সময়মত সেচ প্রয়োগই সেচের কার্যকারিতাকে ফলপ্রসু করে তোলে। ফসল কাটার ২/৩ সপ্তাহ পূর্বে অবশ্যই সেচ দেয়া বন্ধ করতে হবে।
আরও দেখুন:
- বীজের অংকুরোদগম পরীক্ষা, বীজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা , বীজ ও বীজ প্রযুক্তি ,ব্যবহারিক , ইউনিট-১ , পাঠ-১.৮ , পাঠ-১.৯
- বীজের বিশুদ্ধতা পরীক্ষা , বীজ ও বীজ প্রযুক্তি ,ব্যবহারিক , ইউনিট-১ , পাঠ-১.৭
- বীজের আর্দ্রতা পরীক্ষা , বীজ ও বীজ প্রযুক্তি ,ব্যবহারিক , ইউনিট-১ , পাঠ-১.৬
- বীজের সুপ্ততা ভাঙ্গার উপায় , বীজ ও বীজ প্রযুক্তি , ইউনিট-১ , পাঠ-১.৫
- বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে মৎস্য খাতের ভূমিকা