আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-উন্নত সংকর জাতের গরুর বৈশিষ্ট্যগুলো জানা ও খাতায় লেখা। উন্নত জাতের গরু বাছাই খুবই জরুরী। উন্নত জাতের গরু বাছাই না করলে সারা বছর ফার্মে রোগবালাই লেগে থাকবে। সংকর জাতের গাভী এই দেশের আবহাওয়ায় চমৎকার ভাবে খাপ খাওয়াতে পারে।
এই পাঠ শেষে আপনি-
সংকর- জাতের গরুর আকার ও আকৃতি বলতে পারবেন। সংকর- জাতের গরুর উৎপাদন ক্ষমতা ও অন্যান্য গুণাগুণ লিখতে পারবেন।
Table of Contents
উন্নত সংকর জাতের গরুর বৈশিষ্ট্যগুলো জানা ও খাতায় লেখা
প্রাসঙ্গিক তথ্য
সংকর -জাতের গরু দু’টি ভিন্ন জাতের গাভী ও ষাঁড়ের মিশ্রণে জন্ম নেয়। আমাদের দেশে সাধারণত উন্নত জাতের ষাঁড়ের সাথে দেশী গাভীর মিলন ঘটিয়ে সংকর- জাত সৃষ্টি করা হয়। উন্নত জাতের ষাঁড় উৎপাদন ক্ষমতা অনুযায়ী যে কোনো জাতের হতে পারে। যেমন- দুধ উৎপাদন, মাংস উৎপাদন বা শক্তি উৎপাদন প্রভৃতি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
একটি সংকর- জাতের গাভী, কলম, পেন্সিল, রাবার, ব্যবহারিক খাতা ইত্যাদি।
কাজের ধাপ
- আপনার বা আপনার প্রতিবেশীর কাছে যদি কোনো সংকর- জাতের গরু থাকে তবে সেটিকে একটু ভালোভাবে প্রত্যক্ষ করুন।
- ব্যবহারিক খাতায় আপনার প্রত্যক্ষ করা সংকর -জাতের গরুটির ছবি আঁকুন এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও অংশ চিহ্নিত করুন।
- এই সংকর- জাতের গরুটি কোন্ কোন্ জাত থেকে সৃষ্টি হয়েছে তা জেনে নিন। এরপর লক্ষ্য করে দেখুন ঐ জাতগুলোর বৈশিষ্ট্যসমূহ এ সংকর -জাতের গরুটির মধ্যে কতটুকু এসেছে।
- সংকর -জাতের গরু ও দেশী গরুর মধ্যে যেসব পার্থক্য আছে তা লক্ষ্য করুন।
- ব্যবহারিক খাতায় সংকর -জাতের গরুর বৈশিষ্ট্যসমূহ ধারাবাহিকভাবে লিপিবদ্ধ করুন এবং শিক্ষককে দেখান।
মন্তব্য
দেশী গাভী ও হলস্টেইন-ফ্রিজিয়ান ষাঁড়ের মধ্যে সংকরায়নের ফলে সৃষ্ট সংকর গরুর বৈশিষ্ট্যসমূহ হলস্টেইন-ফ্রিজিয়ান গরুর মতোই হয়। এদের গায়ের রঙ সাদা-কালো, চুট নেই ও গলকম্বল ছোট।