কৃষি তথ্য ও সেবা প্রাপ্তির উৎস-তথ্য সার্ভিস, কৃষি সম্প্রসারণ এবং এনজিও এবং কৃষি উপকরণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটির ক্রম ১.৬।
Table of Contents
কৃষি তথ্য ও সেবা প্রাপ্তির উৎস-তথ্য সার্ভিস, কৃষি সম্প্রসারণ, এনজিও এবং কৃষি উপকরণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান
কৃষি তথ্য সার্ভিস (Agricultural Information Service) :
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান।
১৯৬১ সনে কৃষি তথ্য সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর ১৯৮০ সনে কৃষি তথ্য সংস্থাকে কৃষি তথ্য সার্ভিস নামকরণ করা হয়। সংস্থাটি জন্মলগ্ন থেকে নিরলসভাবে গণমাধ্যমের সাহায্যে কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি তৃণমুল পর্যন্ত দ্রুত বিস্তার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। কৃষি তথ্য সার্ভিসের সদর দপ্তর খামারবাড়ি, ফামগেট ঢাকায় অবস্থিত। মাঠ পর্যায়ে ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশালসহ মোট এগারটি আঞ্চলিক কার্যালয় ও কক্সবাজারে দুটি লিয়াজেঁা অফিস রয়েছে। (তথ্যসূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস)
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত আধুনিক লাগসই কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি সহজ সরল ও সাবলীলভাবে অভীষ্ট দলের কাছে বোধগম্য আকারে পেঁাছানোর ব্যবস্থা করা কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রধান লক্ষ্য। (তথ্যসূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস)
কৃষি সম্প্রসারন :
কৃষি সম্প্রসারণ একটি ফলিত কৃষি বিজ্ঞান। কৃষি জ্ঞান ও কৃষি গবেষণা থেকে এর জ্ঞান আহরিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ মূলত: নতুন জ্ঞানের বি¯তৃতি। এটি এক দিকে কৃষকদের সমস্যা সমাধানের জন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান হতে প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক তথ্যাবলী সরবরাহ করে ও তাদের প্রয়োগ করতে সাহায্য করে। অন্য দিকে এটা কৃষকদের সমসস্যাবলী সংগ্রহ করে সমাধানের জন্য গবেষণাগারে প্রেরণ করে। এজন্য এটাকে দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়া বলা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (১৯৮৫) কৃষি সম্প্রসারণের সংজ্ঞায় বলেছেন, কৃষি সম্পসারণ একটি প্রক্রিয়া বা সেবা যা শিক্ষা পদ্ধতি মাধ্যমে কৃষকদের খামার পদ্ধতি ও প্রয়োগ কৌশলের উন্নয়নসহ উৎপাদন ক্ষমতা ও আয় বৃদ্ধি ও সহায়তা করে এবং পরিশেষে পল্লী জনগণের জীবন মান উন্নয়নে সহায়তা দান করে। কৃষি সম্প্রসারণের লক্ষ্য হচ্ছে কৃষকদের উৎপাদন সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করা সমস্যার বিশ্লেষণে তাদেরকে সাহায্য করা, কি উপায়ে সমস্যার সমাধান করা যায় তা শিক্ষা দেয়া এবং কৃষকদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা যাতে তারা দক্ষতার সাথে কৃষিকাজ করে তাদের আয় বাড়াতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণের উদ্দেশ্য :
কৃষি সম্প্রসারণের এমন কিছু উদ্দেশ্য থাকে যাতে কৃষকের শিক্ষা দীক্ষা ও আর্থিক স্বচ্ছলতা এনে দেয়ার পূর্ণ স্বীকৃতি থাকে। তবে বিশেষ করে সম্প্রসারণ শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য স্থির করে। এই শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যগুলো হচ্ছে কৃষকদের জ্ঞানে, দক্ষতায়, মনোভাবে এবং কর্মে পরিবর্তন এনে দেয়া। কৃষি সম্প্রসারণের নিম্নোক্ত উদ্দেশ্যাবলী গৃহীত হয়েছে। ড় কৃষকদের কৃষি উৎপাদন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে তাদেরকে গবেষণালব্ধ আধুনিক কলাকৌশল সম্পর্কে জ্ঞান দান করা। ড় প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারে এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
ড় কৃষক পরিবারের সকল সদস্যের উপযুক্ত কৃষি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। ড় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের স্বাবলম্বী করে তোলা। ড় বিভিন্ন অধিদপ্তর হতে প্রাপ্য তথ্য কৃষকদের সরবরাহ করা এবং কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা গবেষণাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা।
কৃষি সম্প্রসারণ প্রতিষ্ঠান :
যে সকল প্রতিষ্ঠান কৃষির প্রযুক্তিসমূহ কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে এবং কৃষকদের যথাযথভাবে প্রযুক্তিব্যবহারে সাহায্যে করে এবং কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যাবলী সমাধানের জন্য গবেষণাগারে প্রেরণ করে সেগুলোকে কৃষি সম্প্রসারণ প্রতিষ্ঠান বলে। কৃষি সম্প্রসারণ প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে—
১. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
২. প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর
৩. মৎস্য অধিদপ্তর
৪. পাট অধিদপ্তর
৫. তুলা উন্নয়ন বোর্ড
৬. বন অধিদপ্তর
নিম্নে কয়েকটি প্রধান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচিতি দেয়া হলো:
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর :
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অধিদপ্তর। এ অধিদপ্তরের অধীনে ৯টি উইং রয়েছে। উইংসমূহ হচ্ছে—
(১) প্রশাসন এবং পার্সোনেল উইং, (২) সরেজমিন উইং, (৩) খাদ্যশস্য উইং (৪) অর্থকরী ফসল উইং (৫) উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং, (৬) প্রশিক্ষণ উইং, (৭) পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন উইং, (৮) পানি ব্যবস্থাপনা ও (৯) কৃষি প্রকৌশল উইং উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী ড় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণার ফলাফলসমূহ কৃষকদের নিকট পেঁৗছে দেয়া। ড় আধুনিক কৃষি কলাকৌশল ও উৎপাদন প্রযুক্তি গ্রহণে কৃষকদের উৎসাহিত ও সাহায্য করা। ড় কৃষকদের চাহিদা, সম্পদ ও সামর্থ অনুযায়ী সর্বোচ্চ উৎপাদন লাভে সহায়তা করা।
কৃষি উপকরণসমুহের সুষ্ঠুভাবে এবং যথাসময়ে কৃষকদের কাছে সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে
যোগাযোগ রাখা। ড় কৃষি অফিসারগণের চাকরীকালীন প্রশিক্ষণদানের ব্যবস্থা করা।
কৃষি সংক্রান্ত জরুরী বার্তা ও তথ্য সামগ্রী যেমন পোষ্টার, লিফলেট, পুস্তিকা যথাসময়ে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা। ড় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে গবেষণালব্ধ প্রযুক্তি সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করা। ড় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
কৃষি উন্নয়নে কৃষি সম্প্রসারণ প্রয়োজনীতা :
কৃষি উন্নয়ন বলতে কৃষির পুরাতন ও অনুন্নত প্রযুক্তির পরিবর্তন ঘটিয়ে অধিক উৎপাদনক্ষম আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারকে বুঝায়। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকদের ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং উন্নত পদ্ধতি অবলম্বন করে হাঁস—মুরগী ও গবাদি পশু পালন করে অধিক ডিম, মাংস ও দুধ উৎপাদন সম্ভব। উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহারে একক ফসলের পরিবর্তে বহুমুখী ফসল, নতুন ফসলের প্রবর্তন, নতুন খামার পদ্ধতি, সঠিক মাত্রায় সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, নতুন জাত এবং আধুনিক পদ্ধতিতে গবাদি পশু, হাস—মুরগী ও মাছের চাষাবাদ ইত্যাদি কৃষি উন্নয়নের প্রথম ধাপ। নিচে
কৃষি উন্নয়নে কৃষি সম্প্রসারণের প্রয়োজনীতা বর্ণনা করা হল।
১. প্রযুক্তি শিক্ষায় কৃষি সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা :
কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে যে সব প্রযুক্তি কৃষি গবেষণা থেকে উদ্ভাবিত হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ সেগুলো কৃষকদের হাতে কলমে শিক্ষা দিয়ে থাকে। গাছের বৃদ্ধি ও উন্নয়নে জৈব পদার্থের ভূমিকা ও জৈব সারের ব্যবহারের ফলে কি পরিমাণ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, খাদ্য হিসেবে সারের প্রয়োজনীয়তা, কোন সময়ে কোন সার প্রয়োগ করতে হয় কোন ফসলে কোন সার কি মাত্রায় প্রয়োগ করতে হয়, কোন প্রকার খামার পদ্ধতি অনুসরণ করা বেশি লাভজনক হবে, কোন জাতের কোন ফসল কোন সময়ে চাষ করতে হবে,
কোন সময়ে কোন ফসলে পোকার আক্রমণ বেশি, কি ব্যবস্থা গ্রহণ করলে পোকার আক্রমণ থেকে ফসলকে রক্ষা করা যাবে ইত্যাদি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কর্মীরা কৃষকদেরকে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। সম্প্রসারণের এই শিক্ষার ফলে কৃষকদের কৃষি জ্ঞান উন্নত হয় এবং আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণে তারা আরও আগ্রহশীল হয়।
২. কৃষি উপকরণের জনপ্রিয়তা সৃষ্টিতে সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা :
কৃষি উপকরণের ব্যবহার হচ্ছে কৃষি উন্নয়ন প্রক্রিয়ার অন্যতম ধাপ। কিন্তু সেই উপকরণগুলোর প্রতি আগ্রহ বা জনপ্রিয়তা না থাকলে সেগুলো তারা ব্যবহার করতে ইচ্ছা প্রকাশ করে না। তাই সম্প্রসারণের দায়িত্ব হচ্ছে কৃষি উপকরণগুলোর জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করা। এর ফলে বীজ, সার, কীটনাশক, ছত্রাকনাশক, আগাছানাশক, সেচ যন্ত্রপাতি ইত্যাদি কৃষি উৎপাদনের উকরণগুলোর ব্যবহার কৃষকসমাজে দিন দিন বেড়েই চলেছে। কৃষি স¤প্রসারনের শিক্ষামূলক প্রচারের মাধ্যমে কৃষকদের দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে এবং উপকরণগুলোর জনপ্রিয়তা বহুগুণে বেড়েছে।
৩. প্রযুক্তি বিস্তারে কৃষি সম্পসারণের প্রয়োজনীতা :
কৃষি সম্প্রসারণ কৃষি প্রযুক্তি শিক্ষা দেওয়াসহ কৃষক গোষ্ঠীর মধ্যে প্রযুক্তির পূর্ণ বিস্তার ঘটিয়ে থাকে। সম্প্রসারণ কর্মীরা প্রযুক্তি সম্পর্কে কৃষকদেরকে এমনভাবে জ্ঞানদান করে যাতে তারা প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্যগুলো ভালোভাবে বিবেচনা করে
ব্যবহারের বা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সম্প্রসারণ কর্মীদের মাধ্যমে কৃষি গবেষণা হতে উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলো দ্রুত বিস্তার ঘটে চলেছে। আধুনিক ধানের জাত লাইন পদ্ধতিতে চাষ, প্রত্যেক ফসলে সুষম সার ব্যবহার ইত্যাদি প্রযুক্তির বিস্তার সম্প্রসারণের শিক্ষার ফলে ঘটে থাকে।
৪. স্থানীয় সম্পদ পূর্ণ ব্যবহারে কৃষি সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা
কৃষি সম্প্রসারণ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের নিজের যে সম্পদ আছে বা উপকরণ আছে তারই সুষ্ঠু ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেয়। কৃষকগণ নিজের সম্পদ ব্যবহার করে অনেক ভাবে লাভবান হতে পারে। কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষকদের গোবর সংরক্ষণ ও ব্যবহার, কম্পোষ্ট তৈরি ও ব্যবহার, নিজস্ব কৃষি যন্ত্রপাতির উন্নয়ন সাধন, পশু সম্পদের উন্নয়ন, করনীয় পদ্ধতি’ তে পোকামাকড় দমন, জমির উর্বরতার জন্য জৈব সারের ব্যবহার ইত্যাদি স্থানীয় সম্পদ পূর্ণ ব্যবহারে শিক্ষা দিয়ে থাকে।
৫. স্থানীয়’ নেতৃত্বের উন্নয়নে কৃষি সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা
কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে স্থানীয় নেতৃত্বের উন্নয়ন ঘটে থাকে। স্থানীয় নেতারা যাতে কৃষি ও অন্যান্য সমস্যা কৃষি সম্পসারণের নজরে আনতে পারে এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।

বেসরকারী সংস্থা বা এনজিও (NGO)
সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন নয় কিন্তু সরকারের উন্নয়ন নীতিমালা অনুসরণ করে কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সমূহকে বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও বলে। মূলত গ্রামীণ দরিদ্র কৃষক ও মহিলাদের নানামুখী কল্যান সাধন করাই এনজিও গুলোর উদ্দেশ্য। বাংলাদেশে অনেক এনজিও কাজ করে এবং এরা কৃষকদের তথ্য ও সেবা প্রদান করে কৃষি উন্নয়নে যথেষ্ট অবদান রাখছে।
বাংলাদেশে কৃষি নিয়ে কাজ করে এমন কিছু এনজিও হল টি এম এস এস (ঞগঝঝ), ব্র্যাক (ইজঅঈ), আরডিআরএস (জউজঝ) প্রশিকা, গ্রামীণ ব্যাংক, কারিতাস, কেয়ার, ভোসড ইত্যাদি।
এনজিওর কার্যক্রম :
বাংলাদেশে এনজিওগুলো কৃষি বিষয়ক নিম্নোক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে—
১। কৃষকদের কৃষি উপকরণ ও কষি ঋণ সরবরাহ কৃ রে।
২। কৃষকদের কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
৩। কৃষি সমস্যার সমাধান দেয়।
৪। উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহ করে।
৫। উচ্চফলনশীল জাতের ফসল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে।
৬। কৃষি বিষয়ক তথ্য সরবরাহ করে।
৭। সেচ কার্যক্রমে সহায়তা করে।
৮। বীজ ও চারা উৎপাদন করে কৃষকদের সরবরাহ করে।
৯। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য আপদকালীন সময়ে কৃষকদের সহায়তা প্রদান করে।
কৃষি উপকরণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান :
যে সকল উপকরণ বা দ্রবাদি কৃষি উৎপাদনের প্রয়োজন হয় তাদেরকে কৃষি উপকরণ বলে। যেমন—বীজ, কীটনাশক, সার, কৃষিজ যন্ত্রপাতি, হাঁস—মুরগির খাদ্য, মাছের সম্পূরক খাদ্য, ইত্যাদি। এসব উপকরণ ব্যবসায়িক লাভের উদ্দেশ্য বাজারজাত করা সহ এসব কৃষি উপকরণ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান উৎপাদন করে থাকে।
এসব উপকরণ উৎপাদনের ধরণ ও ভিন্ন ভিন্ন। যেমন বীজ কৃষকদের দিয়ে উৎপাদন করা হয়। হাইব্রিড বীজ বিদেশ থেকে আমদানি করে সরবরাহ করা হয় অথবা নিজস্ব খামারে বর্ধন করে। আবার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কারখানা স্থাপন করে উৎপাদন করা হয়। জৈব সার দেশেই উৎপাদন করে সরবরাহ করে, রাসায়নিক সারের মধ্যে ইউরিয়া, টিএসপি ও গন্ধক সার দেশে উৎপাদন করে এবং অন্যান্য রাসায়নিক সার আমদানি করা হয়। কৃষি উপকরণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষকের কাছে উপকরণ সরবরাহ করে ও নতুন উপকরণ ও তথ্য দিয়ে কৃষকদের সেবা করে থাকে। কিছু উল্লেখযোগ্য কৃষি উপকরণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হলো:
সারাংশ :
কৃষি সম্প্রসারণ কার্যক্রম কৃষকদের কৃষি বিষয়ক শিক্ষা দেয় এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে অনুপ্রাণিত করে। কৃষি উপকরণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষকদের প্রয়োজনীয় সকল কৃষি উপকরণ সরবরাহে মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন তরান্বিত করছে। এছাড়াও কৃষক তথা কৃষি উন্নয়নে বিভিন্ন এনজিও এর অবদান ও যথেষ্ট।