ব্যবহারিক: পুকুরে হাঁস-মুরগি ও মাছের সমন্বিত খামার পরিদর্শন

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ব্যবহারিক: পুকুরে হাঁস-মুরগি ও মাছের সমন্বিত খামার পরিদর্শন বিষয়: পুকুরে হাঁস-মুরগি ও মাছের সমন্বিত খামার পরিদর্শন।

 

ব্যবহারিক: পুকুরে হাঁস-মুরগি ও মাছের সমন্বিত খামার পরিদর্শন

 

উপকরণ:

১। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত অথবা স্থানীয় কোন হাঁস ও মাছ অথবা মুরগি ও মাছের সমন্বিত মার।

২। খাতা, কলম বা পেন্সিল।

 

ব্যবহারিক: পুকুরে হাঁস-মুরগি ও মাছের সমন্বিত খামার পরিদর্শন

 

কাজের ধাপ

১। শিক্ষক বা গাইডের সাথে गा সময় নির্ধারিত খামারে গমন করুন (খামারটি হাঁস মাছ বা মুরগি মাছের সমন্বিত খামার হতে হবে।

২। খামার মালিকের সাথে আলোচনা ক্রমে খামারের প্রাথমিক তথাগুলো জেনে খাতায় লিখে নিন।

৩। সুশৃংখল ভাবে খামারের বিভিন্ন কার্যাবলি লক্ষ্য করুন।

৪। পুকুরের আকার এবং হাঁস-মুরগি মাছের জাত ও সংখ্যা জেনে নিন এবং খাতায় লিখে

৫। মাহ এবং হাঁস- মুরগির খানা, রোগ দমন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে নিন।

৬। পুকুর তৈরি ও মাছ ছাড়া সম্পর্কে জেনে নিন।

৭। এ পদ্ধতিতে কেমন করে লাভবান হওয়া যায় মালিকের সাথে আলাপ করে তা জেনে নিন এবং খাতায় লিখুন।

৮। সমস্ত বিষয়গুলো ধারাবাহিকভাবে লিখে একটি প্রতিবেদন তৈরি করুন।

 

ব্যবহারিক: পুকুরে হাঁস-মুরগি ও মাছের সমন্বিত খামার পরিদর্শন

সাবধানতা

১। পুকুরের হাঁস-মুরগিকে বিরক্ত করবেন না বা ভয় প্রদর্শন করবেন না।

২। সাঁতার না জানলে পানি থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করবেন।

কোন জাতের মাছ নির্বাচন করবেন:

হাঁস চাষ করায় পুকুরে মাছের বিভিন্ন প্রকার খাবারের সৃষ্টি হয়। এজন্য ভিন্ন ভিন্ন খাদ্যাভ্যাসের বিভিন্ন জাতের মাছের চাষ করা উচিৎ। তাছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভিন্ন ভিন্ন স্তরের খাবার খায়। মাছের প্রজাতির মধ্যে সিলভার কার্প ও কাতলা-পানির উপরের স্তরে খাদ্য খায় গ্রাস কার্প-পুকুরের জলজ আগাছা ও ঘাস খায়, কমন কার্প- পুকুরে তলদেশের খাদ্য খায় বলে জানালেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও মৃগেল, কালিবাউশ, মিরর কার্প, সরপুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করতে পারেন।

 

ব্যবহারিক: পুকুরে হাঁস-মুরগি ও মাছের সমন্বিত খামার পরিদর্শন

 

মাছের সম্ভব্য সংখ্যা: 

প্রতি শতকের জন্য সিলভার কার্প- ১০-১৫টি, কাতলা/ব্রিগেড- ৬টি, মৃগেল ৬টি, কালিবাউশ ৩টি, গ্রাস কার্প ৩টি, সরপুঁটি ৭-১০টি। হাঁসের ঘর তৈরি পুকুর পাড়ে কিংবা পুকুরের ওপর ঘরটি তৈরি করতে হবে।

ঘরের উচ্চতা ৫-৬ ফুট হলে ভালো হয়। ঘর তৈরিতে বাঁশ, বেত, টিন, ছন, খড় ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। ঘরটি খোলামেলা হতে হবে এবং সাপ ও ইঁদুর থেকে মুক্ত রাখতে হবে।

উন্নত হাঁসের জাত: 

হাঁসের জাত নির্বাচন করার ক্ষেত্রে যে জাতের হাঁস বেশি ডিম দেয় সে জাতের হাঁস নির্বাচন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান রানার ও খাকি ক্যাম্পেবেল নির্বাচন করা যেতে পারে। এ জাতের হাঁস ৫ মাস বয়স থেকে ২ বছর পর্যন্ত ডিম দেয়। বছরে ২৫০- ৩০০টি ডিম দিয়ে থাকে।

Leave a Comment