আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-টীকা সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা। সংক্রামক রোগ হতে পরাদিপশুকে বাঁচানোর জন্য সুস্থ অবস্থায় নিয়মিত টীকা প্রদান করা হয়। আমাদের দেশে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির নিম্নে বর্ণিত টীকা উৎপাদন করা হয়।
Table of Contents
টীকা সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা
গবাদি পশুর টীকা :
১। গো-বসন্ত রোগের টীকা:
২। ক্ষুরা রোগের টীকা:
৩। জলাতঙ্ক রোগের টীকা:
৪। তড়কা রোগের টীকা:
৫। বাদলা রোগের টীকা:
৬। গলা ফুলা রোগের টাকা।
টাকা সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও পরিবহন না করলে টাকার কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। ফে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না। টীকা সংরক্ষণের নিয়ম ও মেয়াদ টীকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে জেনে নিতে হয়। কোন কোন টাকা শুধু শুষ্ক স্থানে রাখলে চলে। আবার কোন কোন টীকা হিমায়িত অবস্থায় রাখতে হয়।
গবাদি পশুর বিভিন্ন টাকা বীজ সংরক্ষণের নিয়ামাবলি
টীকার নাম সংরক্ষণ পদ্ধতি সংরক্ষণের মেয়াদ
১। ক্ষুরা রোগ 8-80 সেলসিয়াস ৩৬ মাস
২। গো-বসন্ত ২০০ সেঃ, ৪-৮০ সেঃ ১ বছর, ১ মাস
৩। জলাতঙ্ক -২০ সেঃ, ০০ সেঃ ১ বছর, ৪৮ ঘণ্টা
৪। তড়কা ৪-৮০ সেঃ ৬ মাস
৫। বাদলা ৪-৮০ সেঃ ৬ মাস
৬। গলা ফুলা ৪-৮০ সেঃ ৬ মাস
টীকা ব্যবহারের সাধারণ নিয়ামাবলি
১। প্রতিষেধক টাকা সব সময়ই সুস্থ্য পশু-পাখিতে প্রয়োগ করতে হয়।
২। সংক্রামক রোগ বা কৃমিতে আক্রান্ত পশু-পাখিকে টাকা প্রয়োগ করা উচিত নয়। তাতে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয় না।
৩। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গর্ভবর্তী পশুকে টাকা দেওয়া উচিত নয়।
৪। টাকা বীজ কোন অবস্থাতেই সূর্যালোকের সংস্পর্শে আনা ঠিক নয়। ছায়ায় বা ঘরের মধ্যে ঠান্ডা জায়গায় টীকা গুলাতে ও প্রয়োগ করতে হয়।
৫। ব্যবহারের সময় মিশ্রণ ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে পাত্র, সিরিজ-নিডল, ডাইলিউশনের জন্য ব্যবহৃত তরল পদার্থ, টীকা ব্যবহারকারীর হাত ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত হওয়া প্রয়োজন।
৬। জীবাণুমুক্তকরণের জন্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা উচিত নয়।
৭। প্রতিষেধক টীকা সকালে বা সন্ধ্যার সময় প্রয়োগ করা উত্তম।
৮। বোতলের টাকা ব্যবহার আরম করলে ১ ঘণ্টার মধ্যে তা ব্যবহার করে ফেলতে হবে।
টীকা পরিবহনের নিয়ম
গুণাগুণ ঠিক রাখার জন্য সঠিকভাবে টাকা পরিবহন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টাকা হিম শীতল ভ্যানে করে অথবা ফ্রান্সে বা ছোট ছোট বাক্সে বরফ ভর্তি করে পরিবহন করতে হয়। টাকা সংরক্ষণ, পরিবহন এবং ব্যবহারের সময় যাতে সরাসরি সূর্য কিরণ না লাগে সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হয়। অন্যথায় টাকার গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
টীকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার কারণ
১। সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে।
২। মেয়াদ উত্তীর্ণ টাকা ব্যবহার করলে।
৩। সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও পরিবহন না করলে।
৪। যথাস্থানে ও যথা নিয়মে টাকা না দিলে ।
৫। একই সময়ে ২টি ভিন্ন ভিন্ন রোগের টাকা দিলে । ৬। সঠিক রোগের টাকা না দিলে।
সারমর্ম
সংক্রামক রোগের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সুস্থ পশুকে নিয়মিত টাকা প্রদান করতে হয়। টীকা সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও পরিবহন না করলে টাকার কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। টীকা হিম শীতল ভ্যানে বা ফ্রাঙ্কে বরফ দিয়ে পরিবহন করতে হয়। টীকা ব্যবহারের নিয়মাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে ভালো ফল পাওয়া যায় না। এ টাকা সংরক্ষণ, পরিবহন ও ব্যবহারের সময় যাতে সূর্য কিরণ বা তাপ না লাগে সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হয়।