দাম কমেগেছে লবনের ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা | সারা সপ্তাহের খবর

কৃষি গুরুকুল নিউজ আপডেটে আপনাকে স্বাগত। আমরা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো সংকলন করে আপনাদের সামনে নিয়ে আসছি। যারা নিয়মিত সংবাদপত্র বা অন্য মাধ্যমের খবরগুলোতে চোখ রাখার সময় পান না। তাদেরকে এই আয়োজনটি হালনাগাদ থাকতে সাহায্য করবে।

আজকের আলোচনার বিযয় : দাম কমেগেছে লবনের ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা, ৪৬ মণ পেঁয়াজ, খেতে রয়েছে আরও ৫০ মণ এই সবি তুলা হয়েছে গণভবনের আঙিনা থেকে, ‘জমির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিন’ তা না হলে ‘বিষ দিন’, শর্ষের ফলনে চারিদিকে খুশীর আমেজ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে তৈরি হয়েছে৫৫ হাজার কৃষিবিদ, দেশের মোট ১৯ শতাংশ  চা উৎপাদনই আসছে সমতল থেকে 

দাম কমেগেছে লবনের ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা | সারা সপ্তাহের খবর

দাম কমেগেছে লবনের ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা | সারা সপ্তাহের খবর

 

দাম কমেগেছে লবনের , ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা

হঠাৎ করে দাম কমে গেছে কক্সবাজার উপকূলে উৎপাদিত লবণের দাম। সিন্ডিকেট করে লবণ মিলমালিকেরা প্রতি মণ লবণের দাম ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২৫০ টাকায় নিয়ে এসেছেন। এভাবে চলতে থাকলে লোকসান গুনতে হবে বলে মনে করছে জেলার ৪০ হাজার প্রান্তিক চাষিরা । প্রতি মণ লবণ ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া উপজেলায় । কিছু এলাকায় প্রতি মণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়।

এতে লবণ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ৪০ হাজার প্রান্তিক চাষি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন । বিসিক এর তথ্য অনুযায়ী চলতি মৌসুম – ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত– টেকনাফ, কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, রামু ও বাঁশখালী উপজেলার লবণ উৎপাদন হচ্ছে ৬৬ হাজার ২৯১ একর জমিতে। এসব জমিতে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন। 

বিসিক সূত্র জানায়, এখন কক্সবাজার উপকূলে দৈনিক উৎপাদিত হচ্ছে ১০ হাজার মেট্রিক টন লবণ। সাত দিন আগেও প্রতি মণ লবণ বেচাবিক্রি হয়েছিল ৪৮০-৫০০ টাকায়। এ ক্ষেত্রে ১০ হাজার টন লবণের বাজারমূল্য দাঁড়ায় ১২০ কোটি টাকা। কিন্তু কয়েক দিন ধরে অর্ধেকে নেমে আসে লবনের দাম । তাতে হতাশ হচ্ছেন চাষিরা। 

৪৬ মণ পেঁয়াজ, খেতে রয়েছে আরও ৫০ মণ। এই সবি তুলা হয়েছে গণভবনের আঙিনা থেকে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক খাদ্যসংকট মোকাবিলা করবার জন্য দেশের জনগণকে প্রতি ইঞ্চি জমিতে আবাদ করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন । পুরো গণভবনকে প্রায় একটি খামারবাড়িতে পরিণত করে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। 

প্রধানমন্ত্রী গণভবনের বিশাল আঙিনায় হাঁস, মুরগি, কবুতর ও গরু পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ধরনের ধান, শাকসবজি, ফুল-ফল, মধু ও মাছ চাষ করছেন। পেঁয়াজএর পাশাপাশি তিল-শর্ষের ও চাষ করেছেন তিনি।

গণভবন জানায়, রোববার গণভবনে মোট চাষের প্রায় অর্ধেক জমির পেঁয়াজ তোলা হয়েছে। এতে ফলন পাওয়া গেছে ৪৬ মণ। বাকি জমিতে আরও ৫০ মণের বেশি পেঁয়াজ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক খাদ্যসংকট মোকাবিলায় দেশের জনগণকে প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলানোর আহ্বান জানিয়ে আসছেন। এর ধারাবাহিকতায় তিনি নিজে গণভবন আঙিনার পতিত প্রতি ইঞ্চি জমিকে উৎপাদনের আওতায় এনেছেন। জনগণের প্রতি তাঁর যে আহ্বান, তাকে তিনি বাস্তবে রূপদান করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

‘জমির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিন’ তা না হলে ‘বিষ দিন’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের চরনারায়ণপুর মৌজায় একটি প্রভাবশালী মহল ফসলি জমির পাশে বেড়িবাঁধ দিচ্ছে। এতে পানিনিষ্কাশন বন্ধ হয়ে শত শত বিঘা জমির চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়বে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় কৃষকেরা। এই বাঁধের কারণে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে গত সপ্তাহে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় সাত কৃষক।

বেড়িবাঁধের কারণে ওই এলাকার জমিগুলোয় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাব সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে শত শত বিঘা কৃষিজমি চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী কৃষকেরা প্রতিবাদ করলেও প্রভাবশালীরা তাঁদের কথা শুনছেন না।

স্থানীয় বাসিন্দা মিলন বলেন, ‘এখানে একটি খাল ছিল। একটি প্রভাবশালী মহল খালে মাটি ফেলে বেড়িবাঁধ দিয়েছেন। আমরা বাধা দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সেই বাধা মানেনি। তারা বলেছিল, ব্রিজ করে দেবে। কিন্তু ব্রিজ করে দেয়নি। এ জন্য জমির পানিনিষ্কাশন হয় না। আমরা অনেক কষ্টের মধ্যে আছি।’

 

দাম কমেগেছে লবনের ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা | সারা সপ্তাহের খবর

 

শর্ষের ফলনে চারিদিকে খুশীর আমেজ

এবার যশোরে শর্ষের ফলন ভালো হয়েছে। মৌসুমজুড়ে আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। এ জন্য এ বছর জেলায় শর্ষের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে শর্ষের দামও ভালো। শর্ষে চাষ করে এবার খুশি জেলার কৃষকেরা।

আগের বছর (২০২১-২২) রবি মৌসুমে শর্ষে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৫ হাজার হেক্টর জমি। চাষ হয়েছিল ১৫ হাজার ২৮১ হেক্টর জমিতে। চলতি রবি মৌসুমে (২০২২-২৩) শর্ষে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার হেক্টর জমি। কিন্তু আবাদ হয়েছে ২৪ হাজার ৩০২ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ গত বছরের চেয়ে এবার ৯ হাজার ২১ হেক্টর বেশি জমিতে শর্ষের চাষ হয়েছে।

চলতি মৌসুমের শুরুতে শর্ষে চাষে উৎসাহী করতে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। জেলার ৩১ হাজার ৫০০ কৃষককে ১ কেজি করে বারি শর্ষে-১৪, বারি শর্ষে-১৭, বারি শর্ষে-১৮ ও বিনা শর্ষে-৯ জাতের বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি (ডাই–অ্যামোনিয়াম ফসফেট) ও ১০ কেজি করে এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) সার দেওয়া হয়েছে। উচ্চফলনশীল (উফশী) ও স্থানীয় দুই ধরনের জাতের শর্ষের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে টরি-৭, টরি-১০, বারি শর্ষে-১৪, বারি শর্ষে-১৭, বারি শর্ষে-১৮ ও বিনা শর্ষে-৯ জাতের চাষ বেশি জমিতে হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে তৈরি হয়েছে৫৫ হাজার কৃষিবিদ।

ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে হলো অষ্টম সমাবর্তন। সবকিছু ঠিক থাকলে ৬ হাজার ৫২২ জন স্নাতকের সমাবর্তন হবে।  বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের কৃষি বিষয়ক একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত। দেশের কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

 

দাম কমেগেছে লবনের ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা | সারা সপ্তাহের খবর

 

দেশের মোট ১৯ শতাংশ  চা উৎপাদনই আসছে সমতল থেকে 

সিলেট ও চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের পর দেশের উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলা দেশের তৃতীয় বৃহত্তম চা অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে (২০২২) চা উৎপাদনের হিসাবে পার্বত্য অঞ্চলকে পেছনে ফেলে টানা দুইবার দ্বিতীয় অবস্থান দখল করেছে উত্তরাঞ্চল। এ মৌসুমে পাঁচ জেলার সমতল ভূমিতে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা জাতীয় উৎপাদনের ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে সারা দেশে মোট ৯ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার কেজি চা (মেড টি বা তৈরি চা) উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলের সমতল ভূমিতে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা আগের মৌসুমের চেয়ে ৩২ লাখ ১৯ হাজার ২২৬ কেজি বেশি। এর আগে ২০২১ সালে চা উৎপাদিত হয়েছিল ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার কেজি। ২০২০ সালে ১ কোটি ৩ লাখ কেজি, ২০১৯ সালে ৯৫ লাখ ৯৯ হাজার কেজি, ২০১৮ সালে ৮৪ লাখ ৬৭ হাজার কেজি ও ২০১৭ সালে ৫৪ লাখ ৪৬ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment