আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-দেশী গরুর বৈশিষ্ট্যগুলো জানা ও খাতায় লেখা।
এই পাঠ শেষে আপনি –
দেশী গরুর বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নাম বলতে ও লিখতে পারবেন। দেশী গরুর বৈশিষ্ট্যগুলো বলতে পারবেন।
Table of Contents
প্রাসঙ্গিক তথ্য
দেশী -গরু আমাদের দেশে যদিও পরিচিত, তথাপি এর বিভিন্ন গুণাবলী ও উৎপাদন বৈশিষ্ট্যসমূহ অনেকেরই জানা নেই। আমাদের দেশী- গরুকে উন্নত করতে হলে এর মধ্যে যেসব ভালো অথবা নিম্নমানের গুণাবলী আছে তা জানা দরকার।
দেশী গরুর বৈশিষ্ট্যগুলো জানা ও খাতায় লেখা
প্রয়োজনীয় উপকরণ
একটি ষাঁড় বা গাভী, কলম, পেন্সিল, রাবার, ব্যবহারিক খাতা ইত্যাদি।
কাজের ধাপ
- একটি দেশী- গরু দেখে প্রথমে এর দেহের বিভিন্ন অংশ ও অঙ্গের নাম জানুন।
- নিজ বাড়িতে বা প্রতিবেশীর বাড়িতে যেখানে দেশী- গরু আছে সেখানে যান এবং পাঠ্য বইয়ে উল্লেখিত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নামের সাথে ঐ গরুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো মিলিয়ে নিন।
- ব্যবহারিক খাতায় একটি ষাঁড় ও একটি গাভীর ছবি এঁকে এদের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চিহ্নিত করুন।
- ব্যবহারিক খাতাটি মূল্যায়নের জন্য শিক্ষককে দেখান।
১. পোল, ২. কপাল,৩.এ নাকের বাঁশি, ৪ মুখ, ৫. চোয়াল, ৬. গলা, ৭. কাঁধের অগ্রভাগ, ৮. সিনা , ৯. কনুই, ১০. হাঁটু, ১১. পায়ের পাতা, ১২. নিম্নবক্ষদেশ, ১৩ দুগ্ধকুপ, ১৪ দুগ্ধশিরা, ১৫. ওলানের সম্মুখাংশের সংযোগ, ১৬. ওলানের সম্মুখভাগ, ১৭ ও ১৮. বাঁট, ১৯. খুর, ২০ মুরকব্জি , ২১ লেজের লোম, ২২. হক, ২৩. জংঘা ও খুরের মধ্যস্থল, ২৪ স্টাইফল, ২৫. উরু, ২৬. ওলানের পশ্চাদাংশের সংযোগ, ২৭. কটি, ২৮- লেজ ও লেজের অগ্রভাগ , ২৯. খাল, ৩০. কটির নিম্নদেশ, ৩১ পঙ্গুর, ৩২. পেটের সম্মুখভাগ, ৩৩ চটিফুল, ৩৪ বুকের বেড়, ৩৫. চটি, ৩৬ যায়, ৩৭. শিং।
৭.গলকম্বল, ১৪. দুগ্ধশিরা, ১৫ অবধিত বাঁট ও ১৬. অন্ডকোষ। অন্য অঙ্গগুলো গাভী ও ষাঁড়ের মধ্যে একই রকম।
সতর্কতা
- দেশী- গরুর জাত বৈশিষ্ট্য প্রত্যক্ষ করার সময় সতর্কতার সাথে গরুর কাছে যান।