আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ব্যবহারিক:পলিব্যাগে বীজ বপন ও চারা উৎপাদন
ব্যবহারিক:পলিব্যাগে বীজ বপন ও চারা উৎপাদন
বিষয়- ২: পলিব্যাগে- বীজ বপন ও চারা উৎপাদন
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১. দো-আঁশ মাটি
২. গোবর অথবা কম্পোস্ট সার
৩.১৫০০ ১০ সেমি আকারের পলিব্যাগ,
8. পানি দেবার
৫. বৃক্ষের বীজ,
6. ব্যবহারিক খাতা, কলম, পেন্সিল ইত্যাদি।
কাজের ধাপ
১. মাটিকে ভেঙ্গে ঝুরঝুরে করুন। আগাছা ও পাথরের টুকরা ভালোভাবে মাটি থেকে বেছে নিন। মাটি খুব ভিজা হলে প্রয়োজনমত রোদে শুকিয়ে নিন।
২. গোবর বা কম্পোস্ট সারকে অনুরূপ গুঁড়া করুন। তরুনা ও সমতল জায়গায় তিন ভাগ মাটির সাথে একভাগ পরিমাণ গোবর বা কম্পোস্ট সার ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
৩. পলিব্যাগ ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখে নিন যাতে, ছিড়া কিংবা ফাটা না থাকে। অতঃপর তলাসহ দুই সারিতে সাবধানে ৮টি ছিদ্র করুন। লক্ষ্য রাখুন ছিদ্রগুলো দ্বারা যাতে শুধুমাত্র অতিরিক্ত পানি বেরুতে পারে।
8. পলিব্যাগে গোবর বা কম্পোস্ট মিশ্রিত মাটি ভর্তি করুন। বারবার সাবধানে আঁকুনি দিয়ে এমনভাবে মাটি ভর্তি করুন যেন মাটিপূর্ণ পলিব্যাগে কোন রকম ভাঁজ না পড়ে। প্রয়োজনে হাত দিয়ে চেপে মাটি ভর্তি করুন।
৫. সমতল ও কিছুটা ছায়াযুক্ত স্থানে বা পলিব্যাগের জন্য তৈরি বীজতলায় মাটি ভর্তি পলিব্যাগগুলো খাড়াভাবে সারিবদ্ধ করে সাজিয়ে রাখুন।
৬. মাটি ভর্তি প্রতিটি পলিব্যাগে আঙ্গুল যারা ছোট গর্ত করুন। বীজের আকার এবং উদ্ভিদ প্রজাতি অনুযায়ী গর্তের গভীরতা কম বেশি হতে পারে।
৭. প্রতিটি গর্তে একটি করে বীজ বসিয়ে দিন।
৮. হাত যারা গর্তগুলো ভরাট করে আলতোভাবে মাটি চেপে দিন।
৯. কাকরি যারা পরিমিত পানি প্রতিটি পলিব্যাগে ছিটিয়ে দিন।
১০. প্রতিদিন সকাল ও বিকেল বেলায় ঝাঁঝরি দিয়ে পলিব্যাগে পরিমিত পানি দিন এবং বীজের অঙ্কুরোদগম পর্যবেক্ষণ করুন।
১১. অঙ্কুরোদগমের পর চারার যত্ন নিন এবং প্রয়োজনে আগাছা পরিষ্কার করুন।
১২. চারার উচ্চতা ১০-১৫ সে.মি. হবার পর অপেক্ষাকৃত দুর্বল চারাটি সাবধানে ভুলে চারাবিহীন (মোটিতে একটি চারাও গজায়নি) পলিব্যাগে স্থানান্তরিত করুন।
১৩. পলিব্যাগ থেকে ভূমিতে রোপণের পূর্ব পর্যন্ত চারার প্রয়োজনীয় যত্ন নিন।
১৪. যাবতীয় কার্যক্রম আপনার খাতায় লিখুন এবং আপনার টিউটরকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নিন ।