বাংলাদেশের বনজ সম্পদের গুরুত্ব – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ” বিষয়ের “পরিবেশের উপাদান” বিষয়ের ইউনিট ২ এর ২.৫ নং পাঠ। বাংলাদেশের বনজ সম্পদ জাতীয় অর্থনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। প্রাথমিকভাবে বনজ সম্পদ হতে আমরা কাঠ, খুটি, জ্বালানী কাঠ ও শিল্পের কাচাঁমাল পেয়ে থাকি। বন বিভিন্ন বন্যপ্রাণী ও পাখির আশ্রয় কেন্দ্র।
Table of Contents
বাংলাদেশের বনজ সম্পদের গুরুত্ব

এছাড়া গাছপালা ঝড় প্রতিরোধ করে, বাতাসের ক্ষতিকারক উপাদান গুলোকে শোষন করে মানুষ ও পশু পাখির জন্য নির্মল বায়ু সরবরাহ করে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা উদ্ভিদের এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বন পরিবেশতন্ত্রের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা ঐ এলাকায় জৈব ও অজৈব উপাদানের মাঝে সমতা রক্ষা করে। কোন দেশের সুষম কৃষি শিল্পায়নসহ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সে দেশের স্থলভাগের কমপক্ষে ২৫% জমি বন দ্বারা আচ্ছাদিত থাকা বাঞ্ছনীয়। বাংলাদেশে বর্তমানে মোট বনভূমি ১৮% এবং প্রকৃত বনভূমি ১২% এর নীচে বলে অনুমিত হচ্ছে।
কোন দেশের সুষম কৃষি ও শিল্পায়নসহ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সে দেশের স্থলভাগের কমপক্ষে ২৫% জমি বন দ্বারা আচ্ছাদিত থাকা বাঞ্ছনীয়। বনের সাথে পরিবেশের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। কেননা আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, মাটি ও পানির বৈশিষ্ট্যাবলীর উপর বনের প্রভাব অপরিসীম। বাংলাদেশের সঠিক বনভূমির পরিসংখ্যান বলা কষ্টসাধ্য। তবে বনসম্পদ যে ধ্বংস হচ্ছে তা সহজেই চোখে পড়ে। কাগজে কলমে বনসম্পদ উজাড় হবার পরিমাণ কম হলেও বাস্তবে তা অনেক বেশি।

স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও টাঙ্গাইলের বহু বন—সম্পদ ধ্বংস করা হয়। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে বহিরাগত ও উপজাতিরা পাহাড় ও টিলার জঙ্গল পরিস্কার করে চাষের জমি তৈরি করে। বর্তমানে সেসব জায়গা ধান, আনারস, পান, সুপারি, আদা, রশুন ও বিভিন্ন সব্জি চাষের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে মোট বনভূমি ১৮% এবং প্রকৃত বনভূমি ১২% এর নিচে বলে অনুমিত হচ্ছে। বন—সম্পদ ও পরিবেশ ধ্বংস করার ফলে বাংলাদেশে বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা যাচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে গাছপালা কাটার কারণে জমির উর্বরতা শক্তি ও মাটির আর্দ্রতা হ্রাস পাচ্ছে।
তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত ও বায়ুমন্ডলীয় জলীয় বাে¯žর তারতম্য ঘটায় সর্বত্র কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ইতিমধ্যে মরুকরণ শুরু হয়েছে এবং দিন দিন এর বি¯ ৃতি ঘটছে। সবুজ গাছপালা ও নানাবিধ জীবজন্তু অত্যধিক হারে ধ্বংস করার ফলে এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক ও জৈবিক পরিবেশ দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে এদেশে শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগই নয় নানা ধরনের নতুন নতুন রোগের প্রাদুর্ভাবও ঘটছে। আভিধানিক অর্থে কৃষিজ বনায়ন হলো কৃষির পাশাপাশি বা কৃষির সাহচর্যে বনায়ন গড়ে তোলা।
একদিকে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরদিকে ব্যাপক বনাঞ্চল হ্রাস এবং সেই সাথে বিভিন্ন প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ প্রজাতির বিলুপ্তিতে বাংলাদেশের পরিবেশগত ভারসাম্য আজ এক মারাত্বক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। বন সৃষ্টি করার মত ফাঁকা জায়গা পাওয়া মুশকিল। ইচ্ছা করলেও ফসল উৎপাদন বাদ রেখে সেখানে বনাঞ্চল সৃষ্টি করা প্রায় অসম্ভব যদিও গাছপালার অবদান অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তাই বৃক্ষ রোপনের জন্য দরকার সরকারের সঠিক নীতি ও কর্মকৌশল এবং বিজ্ঞানসম্মত কর্মসূচি গ্রহন। কৃষিজ বনায়ন এর মাধ্যমে এ সমস্যা হতে উত্তরণ সম্ভব এবং একাজ ইতিমধ্যেই এদেশে শুরু হয়েছে। আভিধানিক অর্থে কৃষিজ বনায়ন হলো কৃষির পাশাপাশি বা কৃষির সাহচর্যে বনায়ন গড়ে তোলা। একে তিন ধারায় ভাগ করা যেতে পারে —
১. কৃষিজ বনায়ন ধারা :
ক. কাষ্ঠল উদ্ভিদের সাথে ফসলের চাষ
খ. বৃক্ষের সারির সাথে অথবা বৃক্ষের নীচে ফসলের চাষ
গ. বসতবাটীস্থ বাগান
২. বনায়ন চারণ ধারা ঃ
ক. বহু বর্ষজীবি উদ্ভিদের মাঝে পশু পালন
খ. কাষ্ঠল উদ্ভিদের সাথে চারণ উদ্যান
গ. কাষ্ঠল উদ্ভিদের সাথে মুক্ত মুরগির চাষ
৩.কৃষিজ বনায়ণ চারণ ধারা ঃ
ক. একসাথে বহু বর্ষজীবি কাষ্ঠল উদ্ভিদ, পশু এবং ফসলের চাষ
খ.বসত বাটীস্থ বাগান যে সব স্থানে কৃষিজ বনায়ন করা যেতে পারে সে স্থানগুলো হলো ঃ
ক. পতিত ভূমি ও বালিময় নীচু ও উঁচু এলাকা
খ. রাস্তা, রেলপথ ও বাঁধের দু’ধার
গ. নদীর তীর ও পুকুর পাড়
ঘ. সর্ব সাধারণের ব্যবহারযোগ্য স্থান যথা হাট, বাজার ইত্যাদি
ঙ. অফিস, কলকারখানা, স্কুল, কলেজ ও উপাসনালয় প্রাঙ্গণ
চ. বসত বাড়ির আঙ্গিনা
ছ. মাঠ ফসলের ক্ষেত

পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন বৃক্ষের পরিচিতি পরিবেশের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বৃক্ষের অবদান অপরিসীম। ঘরের খুটি, আসবাব পত্র, নৌকা, গরুর গাড়ী, খেলনা, শিল্পের কাচামাল, জ্বালানি এবং মাটিতে জৈব পদার্থ যোগান দেয়া ইত্যাদি বহুবিধ কাজে বৃক্ষের ব্যবহার ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাছাড়া কিছু কিছু গাছ রং উৎপাদন, কিছু গাছ ঔষধ, আঠা ও রজন তৈরিতে এবং রাবার গাছ রাবার উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতার উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের বন সৃষ্টি হয়েছে।
এগুলো হলো পাহাড়ী বন, ম্যানগ্রোভ বন এবং শালবন। এসব বনাঞ্চলে যেসব উদ্ভিদ জন্মে সে সম্বন্ধে নিম্নে আলোচনা করা হলো। পাহাড়ী বন গ্রীষ্মমন্ডলীয় এই চিরসবুজ ও আধা চিরসবুজ বন প্রধাণতঃ গর্জন, সিভিট ও জারুল, ইত্যাদি জাতীয় বৃক্ষের সমন্বয়ে গঠিত। এ বন চট্টগাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত। এখানকার বৃক্ষের মধ্যে সেগুন, গামার, জারুল, পিতরাজ, চাম, কড়ই, লোহা কাঠ, গর্জন, তেলসুর, বয়লাম, পিটলি, বহেরা, ছাতিম, কামদেব, গুটগুটিয়া, হারগোজা, বাজরং, সিভিট, রতা, ডালি, উদল, কুমড়া, বাদি, খার্পাত, অজুর্ন, চম্পক, পানিসাজ, বাটনা, ময়না, নিওল, ভাদি, কুসুম, হিংগুরি, বুরুনা, ঢাকওয়া, হোলা, মালাগিরি, চিকরাসি, ধর্মরা, বনসুম, রক্তোন, কালদা, ছেলফোই, কোম, কাইনজল, বাহাল, কাহিবাং, ডাকরুম, বন্দর ফেলা ইত্যাদি উলেখযোগ্য। এ ছাড়া এসব অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে বাঁশও জন্মে।
ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরী, গেওয়া প্রভৃতি ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ সমৃদ্ধ এ বনাঞ্চল খুলনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম সমুদ্রতট এলাকায় বিস্তৃত। এখানকার প্রধান বৃক্ষ হলো সুন্দরী, গেওয়া, গোরান, কেওরা, ভারা, পশুর, ক্যাংকারা, বোয়েন, গরান, দুন্দাল, গোলপাতা ইত্যাদি। শালবন শাল বা গজারী বৃক্ষ এবং অন্যান্য চিরসবুজ ও পত্র পতনশীল বৃক্ষ সমন্বয়ে সৃষ্ট বন প্রধানতঃ গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ জেলায় এবং বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো রংপুর ও দিনাজপুর জেলায় বিরাজমান। কাঠ উৎপাদক গাছ শাল, কড়ই, সোনালু, শিশু, খয়ের, বহেরা, হরিতকী, ছামি, কাঁঠাল, জাম, জামরুল, বাবুল, বেল, মহুয়া, কদম, শিমুল, আম, নিম, তেতুল, ইত্যাদি এখানে ভাল জন্মে ।
অর্থনৈতিকভাবে মূল্যবান কোন গাছ কী কাজে ব্যবহৃত হয় তার কিছু উদাহরণ নিম্নে দেওয়া হলো: কাঠ ও জ্বালানি উৎপাদক বৃক্ষ অর্জুন, অশোক, নিম, আম, আমলা, আমরা, ইপিল ইপিল, ইউক্যালিপটাস, কথবেল, কড়ই, কদম, কনক চাঁপা, কপুর্র, কাঠচাপা, কামরাঙ্গা, কাঠাল, কাঞ্চণ, কুকুর চিতা, কুম্ভি, কুল, গর্জন, গাব, গামার, গেওয়া, গোলমহর, চাঁপা, চালতা, ছাতিম, জাম, জারুল, জিওল, ডেউয়া, তাল, তেতুল, নিম, নিসিন্দা, পিতরাজ, পিটালি, পেয়ারা, বট, বরুন, বহেরা, বাবুল, বাঁশ, বেল, মান্দার, মেহগিনি, রঞ্জন, রিঠা, লিচু, শাল, শিমুল, শিশু, শিরিশ, শ্যাওড়া, সুপারি, সুন্দরী, সেগুন, হরিতকী, হিজল ইত্যাদি।
বিভিন্ন শিল্প ও অন্যান্য কার্যে ব্যবহৃত গাছ:
বাড়ীঘর তৈরিতে গাছ :
সেগুন, কড়ই, জারুল, সুন্দরী, গামার, গর্জন, চাপলাশ, বইলাস, সোনালু, পসুর, শিশির, আম, জাম, কাঠাল, শিশু, তাল ইত্যাদি।
ঠেলা ও গরুর গাড়ী তৈরিতে গাছ :
বাবুল, শিশু, সুন্দরী, গর্জন, পিতরাজ, শাল, জাম, কুসুম, জারুল, খয়ের, নাগেশ্বর, বহেরা, হরিতকী, কড়ই, দেবদারু, বাঁশ, ইত্যাদি।
নৌকা তৈরিতে গাছ :
সেগুন, আম, জারুল, তেলসুর, গামার, শাল, বাবুল, কড়ই, শিশু, খয়ের, চাম্পা, ইত্যাদি।
কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরিতে গাছ :
বাবুল, জাম, শিশু, কড়ই, কুল, গাব, তেতুল , আম, লোহা কাঠ, কুসুম, শাল, জারুল,ইত্যাদি।
প্যাকিং বাক্স তৈরিতে গাছ :
ছাতিম, শিমুল, চাপলাশ, আমড়া, আম, তুন, চাম্পা, সিভিট, রক্তন, ময়না, সেলকোই, বাঁশ, ইত্যাদি।
নিউজপ্রিন্ট তৈরিতে গাছ :
গেওয়া , বাঁশ, নলখাগড়া, ইত্যাদি।
ম্যাচ বক্স তৈরিতে গাছ :
শিমুল, ছাতিম, পিটালী, নারিকেল, ইত্যাদি।
যন্ত্রাদীর হাতল, বাট তৈরিতে গাছ :
শিশু, বাবুল, সেগুন, সুন্দরী, গামার, কুল, ইত্যাদি।
বাদ্যযন্ত্র তৈরিতে গাছ :
সেগুন, তুন, গামার, শিশু, শিরিশ, ইত্যাদি। পেন্সিল
ছাতার বাট, ছড়ি ও বিবিধ তৈরিতে গাছ :
ভূতুম, তুন, নিম, সিভিট, ইত্যাদি।
কুটির শিল্প দ্রব্য তৈরিতে গাছ :
শিশু, কুল, তাল, নারিকেল, বেত, বাঁশ, খেজুর, শিমুল, মনাগিরি, গামার, কাঞ্চন, ভূতুম, বেল, আম, গিনারি, কুটেশ্বর, ইত্যাদি। রং উৎপাদনকারী গাছ রং ও ট্যানিন উৎপাদনকারী গাছের মধ্যে লটকন, খয়ের, নীল, বোককান, জাফরান, কুসুমফুল, বকম, ডিভি, সুপারি, গাব, আমলকি, বকুল, বহেরা, হরতকী ইত্যাদি উলেখযোগ্য।
রবার, আঠা ও রজন উৎপাদনকারী গাছ:
রবার, সফেদা, বুলেট বৃক্ষ, ওয়াক্স পাম, কলম্বিয়া ওয়াক্স পাম, গাম বেঞ্জামিন, বাবলা, অ্যাকাসিয়া, কাফিলা, ইত্যাদি ।
ঔষধি গাছ:
গাছরা বাসক, কালমেঘ, আপাঙ্গ, হাড়জোড়া, কাফিলা, আম, আমড়া, আতা, শরিফা, ছাতিম, কুচি, স্বর্পগন্ধ, কোহিলা, আকন্দ, অনন্তমূল, বাঁশ, সোনা, গলগল, চালমুগরা, শিমুল, বোহারি, খরপাত, বকফুল, জয়ন্তি, কুঁচ, জল করমচা, শিশু, মান্দার, পলাশ, অশোক, তেঁতুল, বোককান, বাঁদর লাঠি, কাঞ্চন, বরুণ, বহেরা, হরিতকী, অজুর্ন, চিল, চালতা, গাব, ভেরেন্ডা, আমলকি, কুকুর চিতা, তেজপাতা, হিজল, জারুল, নিম, বট, গোলাপজাম, কামরাঙ্গা, তাল, নারিকেল, সুপারি, লিচু, বকুল, সেগুন,গামার। এ ছাড়াও গুল্ম জাতীয় অনেক গাছ ঔষধি গাছরূপে ব্যবহৃত হয়।

বনের অবদান:
১৯৯২—৯৩ অর্থ বছরে বন হতে ৮১.২২ লক্ষ ঘণফুট কাঠ, ৬৬.৬৩ লক্ষ ঘণফুট জ্বালানিকাঠ, ৬৭ হাজার মেট্রিক টন গোলপাতা, ১১.৯২ কোটি বাঁশ, ১.৮২ লক্ষ মেট্রিক টন মধু এবং ৩৬ হাজার মেট্রিক টন মোম পাওয়া যায় । বন হতে প্রাপ্ত দ্রব্যাদীর খতিয়ান নিম্নে দেয়া হলো। দেশের মোট অভ্যন্তরীণউৎপাদন (এউচ) —এর শতকরা প্রায় পাঁচ ভাগ বন এলাকা হতে আসে বলে অনুমিত। দেশের মোট শিল্প শ্রমিকের প্রায় শতকরা ২৫ ভাগ বন শিল্পে নিয়োজিত।