লাউ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কিত তথ্য, লাউ জনপ্রিয় সবজি, যা অনেকের কাছেই প্রিয় খাবার। এটি সাধারণত শীতকালে বসতবাড়ির আশপাশে চাষ হয়। বর্তমানে প্রায় সারা বছরই লাউ চাষ হয়। একইসঙ্গে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর সবজি লাউ। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের শাকের মধ্যে সহজলভ্য লাউ শাক। ঘরের কোণে, উঠানে বা খেতখামারে, যেখানেই লাগান না কেন; লাউ গাছ বাড়তে থাকে। অন্যদিকে লাউয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান ও পানি থাকার পাশাপাশি এতে উপকারী ফাইবার। লাউ-মাছের তরকারি, লাবড়া, নিরামিষ, ভাজি, বড়া কিংবা সালাদ হিসেবেও বেশ সমাদৃত।
লাউয়ের পাতা সবুজ ও নরম। লাউ প্রধানত শীত মৌসুমের। এটি উচ্চতাপ ও অতিবৃষ্টি সহিষ্ণু হওয়ায় সারা বছরও ফলানো যায়। পুরুষ ফুল রোপণের ৪২-৪৫ এবং স্ত্রী ফুল ৫৭-৬০ দিনের মধ্যে ফুটে। হালকা সবুজ রঙয়ের ফলের আকৃতি লম্বা ৪০-৪৫ এবং বেড় প্রায় ৩০-৩৫ সেমি। লাউয়ের ওজন ১.৫-২ কেজি। প্রতি গাছে গড়ে ১০-১২টি লাউ ধরে। চারা রোপণের ৬০-৭০ দিনের মধ্যে প্রথম ফল তোলা যায়। শীতকালে চাষের জন্য ভাদ্রের প্রথমে আগাম ফসল চাষ করা যাবে।
Table of Contents
লাউ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কিত তথ্য
জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দো-আঁশ এঁটেল, দো-আঁশ মাটি লাউ চাষের জন্য উত্তম। লাউয়ের জীবনকাল গড়ে ১৬৫-১৮৫ দিন। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বীজ বোনার উপযুক্ত সময়। তবে বীজ উৎপাদনের জন্য অক্টোবরের শেষ দিকে বীজ বোনা উত্তম। বিঘাপ্রতি ৭০০-৮০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। বীজবাহিত রোগ প্রতিরোধ এবং সবল সতেজ চারা উৎপাদনে বীজ শোধন জরুরি। কেজিপ্রতি ২ ভিটাভেক্স/ক্যাপটান ব্যবহার করে বীজ শোধন করা যায়।
লাউয়ের চারা উৎপাদন ও বীজতলা তৈরি
লাউ চাষের জন্য নার্সারিতে পলিব্যাগে চারা উৎপাদন করে নিতে হবে। এজন্য আলো-বাতাস স্বাভাবিকভাবে পাওয়া যায় এমন জায়গায় ২০-২৫ সেমি উঁচু বেড করে নিতে হবে। বেড়ের ওপর ৪-৫.২ মিটার আকৃতির ঘর তৈরি করে নিতে হবে। ঘরের কিনারা বরাবর মাটি হতে ঘরের উচ্চতা হবে ০.৬ মিটার এবং মাটি হতে ঘরের মধ্যভাগের উচ্চতা হবে ১.৭ মিটার। ঘর তৈরির জন্য বাঁশ, বাঁশের কঞ্চি লাগেবে। এছাড়া ছাউনির জন্য প্লাস্টিক এবং বাঁধার জন্য দড়ি রাখতে হবে।
লাউয়ের বীজ বপন:
বীজ বপনের জন্য ৮x১০ সেমি বা তার থেকে কিছুটা বড় আকারের পলিব্যাগ ব্যবহার করা যায়। প্রথমে অর্ধেক মাটি ও অর্ধেক গোবর মিশিয়ে মাটি তৈরি করে নিতে হবে। মাটিতে বীজ গজানোর জন্য ‘জো’ নিশ্চিত করতে হবে। মাটি ‘জো’ না থাকলে পানি দিয়ে করে নিতে হবে। এরপর তা পলিব্যাগে ভরতে হবে। এরপর প্রতি ব্যাগে দুটি করে বীজ বুনতে হবে।
বীজতলায় লাউয়ের চারা পরিচর্যা:
নার্সারিতে চারার প্রয়োজনীয় পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে। বেশি শীতে বীজ গজানোর সমস্যা হয়। এজন্য শীতকালে চারা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বীজ গজানোর পূর্ব পর্যন্ত প্রতি রাতে প্লাস্টিক দিয়ে পলিব্যাগ ঢেকে রাখতে হবে এবং দিনে খোলা রাখতে হবে। চারায় প্রয়োজন অনুসারে পানি দিতে হবে তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে চারার গায়ে পানি না পড়ে। পলিব্যাগের মাটি চটা বাঁধলে তা ভেঙে দিতে হবে।
লাউয়ের জমি নির্বাচন ও জমি তৈরি:
এসব ফসল চাষে সেচ ও নিষ্কাশনে উত্তম সুবিধাযুক্ত এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায় এমন জমি নির্বাচন করতে হবে। একই জমিতে বার বার একই ফসলের চাষ পরিহার করতে পারলে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কমানো যাবে। ব্যাপক শিকড় বৃদ্ধির জন্য জমি এবং গর্ত ভালোভাবে তৈরি করতে হবে।
লাউয়ের বেড তৈরি ও দূরত্ব:
বেডের উচ্চতা হবে ১৫-২০ সেমি, প্রস্থ ২.৫ মিটার এবং লম্বা জমির দৈর্ঘ্য অনুসারে নিতে হবে। এভাবে পরপর বেড তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি ২টি বেডের মাঝখানে ৬০ সেমি ব্যাসের সেচ নালা থাকবে এবং প্রতি ২ বেড পর ৩০ সেমি প্রশস্ত শুধু নিষ্কাশন নালা থাকবে।
লাউয়ের মাদা তৈরি এবং দূরত্ব:
মাদার আকার হবে ব্যাস ৫০-৫৫ সেমি, গভীরতা ৫০-৫৫ এবং তলদেশ ৪৫-৫০ সেমি। বেডের যেদিকে ৬০ সেমি প্রশস্ত সেচ ও নিষ্কাশন নালা থাকবে সেদিকে বেডের কিনারা হতে ৬০ সেমি বাদ দিয়ে মাদার কেন্দ্র ধরে ২ মিটার পর পর এক সারিতে মাদা তৈরি করতে হবে। একটি বেডের যে কিনারা হতে ৬০ সেমি বাদ দেওয়া হবে তার পার্শ্ববর্তী বেডের ঠিক একই কিনার থেকে ৬০ সেমি বাদ দিয়ে মাদার কেন্দ্র ধরে একই নিয়মে মাদা করতে হবে
লাউয়ে সারের পরিমাণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি:
এসব ফসল দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে এবং অনেক লম্বা সময়ব্যাপী ফল দিয়ে থাকে। কাজেই এসব ফসলের সফল চাষ করতে হলে গাছের জন্য পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত খাবার সংগ্রহের জন্য এর শিকড় অঞ্চল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত করে।
লাউ ফসলে সারের মাত্রা ও প্রয়োগ পদ্ধতি:
জমি তৈরির সময় সারের যে মাত্রা বলা হয়েছে, তার মধ্যে গোবর চাষের পর এবং টিএসপি, এমপি, জিপসাম ও বোরক্স সার শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। মাদায় চারা রোপণের যে সারের মাত্রা সুপারিশ করা হয়েছে তা দেওয়ার পর পানি দিয়ে মাদার মাটি ভালোভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে। তারপর ‘জো’ এলে ৭-১০ দিন পর চারা লাগাতে হবে।
লাউয়ের চারা রোপণ:
বীজ গজানোর পর ১৬-১৭ দিন বয়সের চারা মাঠে লাগানোর জন্য উত্তম। চারাগুলো রোপণের আগের দিন বিকালে পানি দিয়ে ভালোভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে। পরের দিন বিকেলে রোপণ করতে হবে। চারাগুলো নার্সারি থেকে ট্রলি বা টুকরি করে মাঠে নিয়ে যেতে হবে। মাঠে প্রস্তুত মাদাগুলোর মাটি ভালোভাবে ওলটপালট করে, এক কোপ দিয়ে চারা লাগানোর জন্য জায়গা করে নিতে হবে। এরপর পলিব্যাগের ভাঁজ বরাবর ব্লেড দিয়ে কেটে পলিব্যাগ সরিয়ে মাটির দলাসহ চারাটি নির্দিষ্ট জায়গায় লাগিয়ে চারপাশে মাটি দিয়ে ভরাট করে দিতে হবে। চারা লাগানোর পর গর্তে পানি দিতে হবে। পলিব্যাগ সরানোর সময় এবং চারা রোপণের সময় সাবধান থাকতে হবে যাতে চারার শিকড় ক্ষতিগ্রস্ত হলে গাছের বৃদ্ধি দেরিতে শুরু হবে।
লাউয়ের পরবর্তী পরিচর্যা:
লাউ ফসল পানির প্রতি খুবই সংবেদনশীল। প্রয়োজনীয় পানির বেশি হলে ফল ধারণ ব্যাহত হবে এবং ফল আস্তে আস্তে ঝরে যাবে। কাজেই সেচনালা দিয়ে প্রয়োজন অনুসারে নিয়মিত সেচ দিতে হবে। লাউয়ের জমিতে কখনো সব জমি ভিজিয়ে প্লাবন সেচ দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র সেচ নালায় পানি দিয়ে আটকে রাখলে গাছ পানি টেনে নেবে। শুষ্ক মৌসুমে লাউ ফসলে ৪-৫ দিন পর পর সেচ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
লাউয়ের আগাছা দমন:
কিছু নির্দিষ্ট প্রজাতির ঘাস লাউতে বোটল গোর্ড মোজাইক ভাইরাস নামে যে রোগ হয় তার হোস্ট। কাজেই চারা লাগানো থেকে শুরু করে ফল সংগ্রহ পর্যন্ত জমি সব সময়ই আগাছামুক্ত রাখতে হবে। এ ছাড়াও গাছের গোড়ায় আগাছা থাকলে তা খাদ্যোৎপাদন ও রস শোষণ করে নেয়।
লাউয়ে সার প্রয়োগ:
লাউ চাষের জন্য জমি তৈরির সময় হেক্টর প্রতি ৫০-৬০ টন গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে। হেক্টর প্রতি ৫০ কেজি নাইট্রোজেন ও ৬০ কেজি ফসফরাস দিতে হবে।
লাউয়ের বিশেষ পরিচর্যা:
গাছের গোড়ার দিকে ছোট ছোট ডালপালা হয়। সেগুলোকে শোষক শাখা বলা হয়। এগুলো গাছের ফলনে এবং যথাযথ শারীরিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটায়। কাজেই গাছের গোড়ার দিকে ৪০-৪৫ সেমি পর্যন্ত ডালপালা কেটে অপসারণ করতে হবে।
লাউয়ের ফলন:
বারি লাউ-১ এবং বারি লাউ-২ চাষ করলে হেক্টরপ্রতি ৩৫-৪০ টন এবং বিঘাপ্রতি প্রায় ৪.৫-৫.০টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।
লাউয়ের বীজ উৎপাদন:
বীজের জন্য অবশ্যই ভালোভাবে পরিপক্ব ফল সংগ্রহ করতে হবে। দুটি উপায়ে ফলের পরিপক্বতা বুঝা যাবে। ফল নাড়ালে ভেতরে বীজের শব্দ পাওয়া যাবে। ফলের খোসা শুকিয়ে যাবে এবং শক্ত হয়ে যাবে কিন্তু ভেতর শুকাবে না। এই অবস্থায় বীজের সংগ্রহের আগে পরিপক্বতার জন্য ফল ২-৩ সপ্তাহ রেখে দিতে হবে।
লাউয়ের রোগ বালাই ও দমন:
লাউয়ের মাছি পোকা রোগ:
এ পোকা লাউয়ের ফলের মধ্যে প্রথমে ডিম পাড়ে। পরবর্তীতে ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে ফলের ভেতরে খেয়ে নষ্ট করে ফেলে।
দমন ব্যবস্থা:
মাছি পোকার কীড়া আক্রান্ত ফল দ্রুত পচে যায় এবং গাছ থেকে ঝরে পড়ে। পোকা আক্রান্ত ফল কোনোক্রমেই জমির আশেপাশে ফেলে রাখা উচিত নয়।
লাউয়ের ক্ষেতে সেক্স ফেরোমন ও বিষটোপ ফাঁদের যৌথ ব্যবহার:
কিউলিওর নামক সেক্স ফেরোমন ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণে মাছি পোকার পুরুষ পোকা আকৃষ্ট করা সম্ভব। পানি ফাঁদের মাধ্যমে ওই ফেরোমন ব্যবহার করে আকৃষ্ট মাছি পোকাগুলোকে মেরে ফেলা যায়। বিষটোপ ফাঁদে পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী ও পুরুষ মাছি পোকা আকৃষ্ট হয় এবং ফাঁদে পড়ে মারা যায়। ১০০ গ্রাম পাকা মিষ্টি কুমড়া কুচি কুচি করতে হবে।
![লাউ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কিত তথ্য 6 সেক্স ফেরোমন ফাঁদ [ Sex Pheromone Trap ]](https://agrogoln.com/wp-content/uploads/2023/08/সেক্স-ফেরোমন-ফাঁদ-Sex-Pheromone-Trap-5-300x225.jpg)
সেটা থেঁতলিয়ে এতে ০.২৫ গ্রাম মিপসিন, ৭৫ পাউডারে এবং ১০০ মিলি পানি মিশিয়ে ছোট মাটির পাত্রে রেখে দিতে হবে। এরপর তিনটি খুঁটি দিয়ে এমনভাবে স্থাপন করতে হবে, যাতে বিষটোপের পাত্রটি মাটি থেকে ০.৫ মিটার উঁচুতে থাকে। বিষটোপ তৈরির পর ৩-৪ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করে তা ফেলে দিয়ে আবার নতুন করে তৈরি বিষটোপ ব্যবহার করতে হয়। সেক্স ফেরোমন ও বিষটোপ ফাঁদ কুমড়া জাতীয় ফসলের জমিতে ক্রমানুসারে ১২ মি. দূরে দূরে স্থাপন করতে হবে।
লাউয়ের পামকিন বিটল রোগ:
এই পোকা চারাগাছের পাতায় ফুটো করে। পাতার কিনারা থেকে শুরু করে সম্পূর্ণটা খেয়ে ফেলে। বয়স্ক গাছের পাতার শিরা-উপশিরা রেখে বাকি সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। এ পোকা ফুল ও কচি ফলে আক্রমণ করে। এটি শিকড় বা মাটির নিচে থাকা কাণ্ড ছিদ্র করে। ফলে গাছ ঢলে পড়ে। শেষে শুকিয়ে মারা যায়।
দমন ব্যবস্থা:
চারা অবস্থায় আক্রান্ত হলে হাত দিয়ে পূর্ণবয়স্ক পোকা ধরে মেরে ফেলতে হবে। ক্ষেত সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। চারা বের হওয়ার পর থেকে ২০-২৫ দিন পর্যন্ত মশারির জাল দিয়ে চারাগুলো ঢেকে রাখলে এ পোকার আক্রমণ থেকে চারাগুলো বেঁচে যায়। আক্রমণের হার বেশি হলে চারা গজানোর পর প্রতি মাদার চারদিকে মাটির সঙ্গে চারাপ্রতি ২-৫ গ্রাম অনুমোদিত দানাদার কীটনাশক (কার্বফুরান জাতীয় কীটনাশক) মিশিয়ে গোড়ায় পানি সেচ দেয়।
লাউয়ের মোজাইক রোগ:
চারা অবস্থায় বীজ গজানোর পর বীজপত্র হলুদ হয়ে যায় এবং পরে চারা নেতিয়ে পড়ে। বয়স্ক গাছের পাতায় হলুদ-সবুজ ছোপ ছোপ মোজাইকের মতো দাগ দেখা যায়। দাগগুলো অসম আকারের। দ্রুত বড় হয়। আক্রান্ত পাতা ছোট, বিকৃত ও নিচের দিকে কোঁকড়ানো, বিবর্ণ হয়ে যায়। শিরা-উপশিরাও হলুদ হয়ে যায়। ফুল কম আসে এবং অধিক আক্রমণে পাতা ও গাছ মরে যায়। আক্রান্ত ফল বেঁকে যায় ও গাছের কচি ডগা জটলার মতো দেখায়। ফলের উপরি অংশ এবড়ো থেবড়ো দেখা যায়।
প্রতিকার ব্যবস্থা: আক্রান্ত গাছ দেখলেই প্রাথমিকভাবে তা তুলে ধ্বংস করা। ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার রাখা। ক্ষেতে বাহক পোকা উপস্থিতি দেখা দিলে অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগ করে তা দমন করা। রোগাক্রান্ত গাছ থেকে কোনও বীজ সংগ্রহ ও ব্যবহার না করা।