মাঠ ফসল, হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু ও মৎস্য খামারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি

মাঠ ফসল, হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু ও মৎস্য খামারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ” বিষয়ের “পরিবেশের উপাদান” বিষয়ের ইউনিট ৩ এর ৩.২ নং পাঠ।

Table of Contents

মাঠ ফসল, হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু ও মৎস্য খামারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি

আমাদের দেশে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির নাম নিম্নে দেয়া হলো ঃ

 

আমাদের দেশে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির নাম নিম্নে দেয়া হলো ঃ

 

১। চাষের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি —

* দেশী লাঙ্গল

* মোল্ডবোর্ড লাঙ্গল

* পাওয়ার টিলার

* ট্রাক্টর প্লাউ * ডিস্ক প্লাউ

* হ্যারো

* রোটোভেটর

* গরুর কাঁধে বাঁধার জন্য জোয়াল

* কোদাল (কোন কোন ক্ষেত্রে )

মাঠ ফসল, হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু ও মৎস্য খামারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি। কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ , ইউনিট ৩ , পাঠ-৩.২

 

২. জমি সমান করার যন্ত্রপাতি —

* মই

* রোলার

* হ্যারো

* মুগুর (ঢিলা ভাঙ্গার জন্য)

 

৩। বীজ বপনের যন্ত্রপাতি —

* সিড ড্রিল

* ফারোয়ার

 

৪। আঁচড়া দেয়ার যন্ত্রপাতি —

* হ্যান্ড র‌্যাক বা গার্ডেন র‌্যাক

* ফিল্ড র‌্যাক বা বিদা বা অঁাচড়া

 

৫। নিড়ানী দেয়ার যন্ত্রপাতি —

* নিড়ি বা খুরপি

* জাপানিজ রাইস উইডার

* হ্যান্ড হো বা হুইল হো

 

৬। সেচ যন্ত্রপাতি —

* সেউতি

* দোন

* ঝাঝড়া

* টিউবওয়েল

* ট্রেডেল পাম্প

* পাওয়ার পাম্প

* অগভীর নলকূপ

* গভীর নলকূপ

 

৭। আপদনাশক ব্যবহারের যন্ত্রপাতি —

* নেপসেক স্প্রেয়ার

* পাওয়ার স্প্রেয়ার

* সিড ড্রেসার

* এরোপ্লেন

 

৮। কর্তন, মাড়াই, ঝাড়াই ইত্যাদি যন্ত্রপাতি

* কাস্তে * চালনি

* কোদাল * ডালি

* পেডেল থ্রেসার * ঝাটা

* ঘানি * গ্রেইন কালেক্টর

* ইক্ষু মাড়াই কল * কর্ণ সেলার

* কুলা

 

হাঁস—মুরগির খামারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি হাঁস—মুরগির খামারে যে সব প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ব্যবহৃত হয় সেগুলো হলো ঃ

* মুরগিকে খাবার দেয়ার জন্য খাবার পাত্র * থামোর্মিটার

* পানির পাত্র * কাঁকর ও ঝিনুকের খোসা রাখার পাত্র

* ডিম পাড়ার বা* * স্প্রেয়ার

* ওজন করার ব্যালেন্স * হারিকেন বাতি

* ডিম গ্রেডিং এর যন্ত্র * ওজন মাপার যন্ত্র

* মুরগি স্থানান্তরের খাঁচা * কোদাল

* ডিম রাখার পাত্র * খুরপি

* খাদ্য মিশানোর যন্ত্র * বালতি

* হাইগ্রোমিটার * ঠেঁাট কাটার যন্ত্র।

 

খামারে ডিম ফুটানোর যন্ত্রপাতি

* ইনকিউবেটর

* জেনারেটর

* ড্রাই বাল্ব ওয়েট বাল্ব থার্মোমিটার

 

ব্রয়লার খামারের যন্ত্রপাতি

* ব্রুডার বা তাপায়নের যন্ত্র

* চিকগার্ড

* ডিম পরীক্ষার বাতি

* ডিম মাপার ব্যালেন্স

* টেবিল

 

গবাদি পশুর খামারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি

গবাদি পশুর খামারে নিম্নলিখিত যন্ত্রপাতি থাকা আবশ্যক ঃ

* মিল্কিং পেইল * ম্যানুয়েল গ্রাস্ চপিং মেশিন

* দুধ মাপার বাকেট * সার্ভিস ষ্টকার

* দুধের বড় বাকেট * পানি তাপ দেয়ার হিটার

* দুধ মাপার ব্যালেন্স * স্টাজ পাম্প

* নাড়ন কাঠি * ঘর্ণায়নমান ক্রেনূ

* ড্রাম বা দুধ পাত্র * পেডেল থ্রেসার

* ছাঁকনি * কর্ণ সেলার

* দুধ দোহনের যন্ত্র * খাদ্য বহনের ট্রলি

* রি*া বা ভ্যানগাড়ী * পশু মাপার যন্ত্র

* ফিডিং বোতল * হোস পাইপ

* হুইল বারো * পানির পাত্র

* ইলেকট্রিক গ্রাস্ চপিং মেশিন * খাদ্য মাপার যন্ত্র

* দানা খাদ্য মিশানোর যন্ত্র

 

ভেড়ার শেয়ারিং করার যন্ত্রপাতি ডিহর্ণিং করার যন্ত্রপাতি

* পাওয়ার ড্রাইভেন শেয়ারিং মেশিন * ইলেকট্রিক ডি হর্ণার

* ক্লিপার বা হ্যান্ড শেয়ার * হর্ণ শেয়ার

 

খোজা করার যন্ত্রপাতি

* বার্ডিজোস ক্যাস্ট্রেটর * ডাইলেটর

* ধারালো চাকু * ফরসেপ

* রাবার রিং * রেজার গরু বা ঘোড়াকে নাল বা জুতা পরানোর যন্ত্রপাতি

* বাসপ্

* হাতুরি

* ড্রইং নাইফ

* চিমটা * টোইং নাইফ

* বাকার

 

মৎস্য খামারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি

* জেনারেটর

* অ*িজেন মিটার

* পি. এইচ. মিটার

* এয়ারেটর

 

মাছের কৃত্রিম প্রজননে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি

* ইনজেকশনের সিরিঞ্জ এবং নিড্ল

* প্লাষ্টিকের গামলা মৎস্য প্রজনন হ্যাচারিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি

* ৩ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপযুক্ত অগভীর নলকুপ

* ইলেকট্রিক পাম্প — ২২০ ভোল্ট, ১.৫ অশ্ব শক্তি, ১৫ মিটার উচ্চতায় ১২০ লিটার পানি তুলতে সক্ষম।

* অ*িজেন টাওয়ার মাছ ধরার যন্ত্রপাতি

* বেহুন্দি জাল

* বড়শি

* ভাসান জাল

* ফিডিং ট্রে

* স্প্রে মেশিন

* রিফ্রেক্ট্রোমিটার

* এ*েল পাম্প

* হোমোজিনাইজার

* সেন্ট্রিফিউজ

* ইনকিউবেশন বোতল

* পানির ট্যাঙ্ক বা জলাধার

* পানির চৌবাচা

* হাপা

* ঝাকি জাল * ঠেলা জাল

* চাই

* শিব জাল বা ধর্ম জাল।

মাঠ ফসল, হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু ও মৎস্য খামারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি। কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ , ইউনিট ৩ , পাঠ-৩.২

 

বাংলাদেশের বিভিন্ন সেচ প্রকল্প:

গঙ্গা – কপোতাক্ষ প্রকল্প :

কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারার কাছে পদ্মা নদী থেকে পানি তুলে খালের সাহায্যে বৃহত্তর কুষ্টিয়া, যশোর ও খুলনা জেলাসমূহের ব্যাপক অঞ্চলে সেচ দেয়ার উদ্দেশ্যে গঙ্গাকপোতাক্ষ প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য পানি সেচ হলেও বন্যা নিয়ন্ত্রণণ ও যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারার কাছে পদ্মা নদী থেকে পানি তুলে খালের সাহায্যে বৃহত্তর কুষ্টিয়া, যশোর ও খুলনা জেলাসমূহের ব্যাপক অঞ্চলে সেচ দেয়ার উদ্দেশ্যে এ প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে ৮৪ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্য উৎপন্ন হবে।

এ প্রকল্পটি তিনটি ইউনিটে বিভক্ত। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে পদ্মাতীরে ভেড়ামারার কাছে একটি পাম্প ষ্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। এই পাম্প গুলো পরিচালনার জন্য ৮২০০ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য পানি সেচ হলেও বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।

 

কর্ণফুলী বহুমুখী প্রকল্প :

কর্ণফুলী বহুমুখী প্রকল্প প্রধানত বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প হলেও এর সাহায্যে কর্ণফুলী নদীর নিম্নাঞ্চলের বন্যা নিয়ন্ত্রণ, প্রায় ৬৫০ি কলোমিটার নৌচলাচলের সুব্যবস্থা এবং ৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া যায়। এটি একটি বহুমুখী প্রকল্প। এটি প্রধানত বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প হলেও এর সাহায্যে কর্ণফুলী নদীর নিম্নাঞ্চলের বন্যা নিয়ন্ত্রণ, প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার নৌচলাচলের সুব্যবস্থা এবং ৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া যায়। পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীর উপর ৪৬.৬ মিটার উঁচু, ৬৬০ মিটার দীর্ঘ এবং ২৪০ মিটার চওড়া একটি বাঁধ দিয়ে এ প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে। এ কৃত্রিম হ্রদের পানির সাহায্যে রাঙ্গুনিয়া অঞ্চলে বছরে বর্তমানে দু’টি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। এ হ্রদ থেকে বর্তমানে প্রতি বছর ৫ হাজার টনেরও বেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে।

 

উত্তরবঙ্গ গভীর নলকূপ প্রকল্প:

এ প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের উত্তরাঞ্চলে চারটি বৃহত্তর জেলা — রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া ও দিনাজপুরে ৩৬০ টি গভীর নলকূপ এবং ৭৬০ টি পাওয়ার পাম্পের সাহায্যে মহানন্দা ও বড়াল নদীর পানি দিয়ে ১ লক্ষ হেক্টর জমিতে পানির সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ অঞ্চলে বাৎসরিক বৃষ্টিপাত কম এবং শীতকালে নদীতে পানি খুব কম পরিমাণে থাকে। তাই এ এলাকায় সেচের জন্য গভীর নলকূপ এবং পাওয়ার পাম্পই বেশি কার্যকরী। এছাড়াও ১০,৫০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বিশিষ্ট একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও চাষের জমিতে পানি সরবরাহের উপযোগী নালা, প্রধান নালা থেকে ফিল্ড নালা এবং প্লট নালাও এ প্রকল্পের অন্তভূর্ক্ত।

 

চাঁদপুর সেচ প্রকল্প

এটি কুমিল­া—চট্টগ্রাম বহুমুখী প্রকল্পের অংশ বিশেষ। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য চাঁদপুর এলাকার কৃষকদের দীর্ঘদিনের অসুবিধাসম হের অবসান ঘটানো এবং তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি সাধন। চাঁদপুর প্রকল্প উত্তর দক্ষিণে দু’ভাগে বিভক্ত। উত্তরাংশে রয়েছে ফরিদগঞ্জ, রায়পুর থানা, রামপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার অংশবিশেষ। এ বহুমুখী প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে বন্যা নিরোধ বাঁধ নিমার্ণ এবং বহু সংখ্যক পাম্পিং ষ্টেশন। এ পাম্পিং ষ্টেশনের কাজ প্রয়োজনের সময় জমিতে সেচ প্রদান করা এবং বর্ষার সময় অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করা। এ প্রকল্পের অধিনে জমির পরিমাণ প্রায় ৭৫ হাজার হেক্টর।

 

মাঠ ফসল, হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু ও মৎস্য খামারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি। কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ , ইউনিট ৩ , পাঠ-৩.২

 

উপকূলীয় বাঁধ পুনর্বাসন প্রকল্প

এটি একটি বহুমুখী প্রকল্প। বন্যা প্রতিরোধের জন্য এখানে উপক ল বরাবর ৩৯ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। úুইস গেইটের মাধ্যমে এখানে পানি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ১৯৬৮ সনে এ প্রকল্প চালু হয় এবং ৪৭,০০০ হেক্টর জমি পুনরুদ্ধার করে সেচ প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসল উৎপন্ন করা হয়।

 

গোমতী প্রকল্প

গোমতী নদীর বন্যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে প্রতি বছর নদী তীরবর্তী অঞ্চল সমূহের মানুষের জীবন ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছিল। এ অবস্থা নিরসনকল্পে প্রায় ৩০০ বছর পূর্বে লর্ড কর্ণওয়ালিসের সময় গোমতীর তীরে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এ বাঁধ প্রথম দিকে প্রায়ই ভেঙ্গে যায় ফলে গোমতী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এটি একদিকে বন্যা নিরোধ এবং অন্যদিকে সেচ প্রকল্প হিসেবে কাজ করে। এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে প্রায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদান করা যাবে।

 

ঢাকা—নারায়ণগঞ্জ—ডেমরা সেচ প্রকল্প

এ প্রকল্প ঢাকা শহরের দক্ষিণ—পূর্বে অবস্থিত। এ প্রকল্প এলাকার পূর্বে শীতলক্ষ্যা নদী, দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ শহর, পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদী এবং উত্তরে ধোলাইখাল। এ প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার হেক্টর চাষাবাদের উপযোগী। এ উদ্দেশ্যে প্রতি সেকেন্ডে ১২৮ ঘনফুট পানি তোলার ক্ষমতা বিশিষ্ট ৪টি পাম্প বসানো এবং ১১ কিলোমিটার লম্বা সেচ খালের উপর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তিস্তা বাঁধ প্রকল্প এ প্রকল্প অনুযায়ী রংপুর জেলার গাদামারী নামক স্থানে তিস্তা নদীতে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।

এ প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া জেলার প্রায় সাত লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচ প্রদান করা যাবে। এতে কতকগুলো úুইস গেইট দিয়ে পানির উচ্চতা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সেচের প্রয়োজন হলে úুইস গেইট বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।

এই পানি তখন নালা দিয়ে জমিতে গিয়ে পড়ে। ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিরোধ বাঁধ প্রকল্প রংপুর,বগুড়া ও পাবনা জেলার এক বিস্তির্ণ অঞ্চল প্রায় প্রতি বছরই তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙ্গনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ অবস্থা নিরসনকল্পে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিরোধ বাঁধ পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এই বাঁধের ফলে প্রায় ২ লক্ষ হেক্টর জমি বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে।
এই বাঁধের বিভিন্ন স্থানে পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য আটটি রেগুলেটর বসানো হয়েছে।

 

বরিশাল সেচ প্রকল্প

জমিতে সেচ দিয়ে ফসল উৎপাদনের জন্যই এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ১৯৮০ সন হতে ৫৬,৬৬০ হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৯৮৫ সন হতে আরও ৪৮,৫৬০ হেক্টর জমিতে এ প্রকল্পের মাধ্যমে সেচ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়।

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment