জনসংখ্যা ও পরিবেশ দূষণ , কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ , পরিবেশ , ইউনিট ২ , পাঠ-২.৪

জনসংখ্যা ও পরিবেশ দূষণ , কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ , পরিবেশ ,জনসংখ্যা ও দূষণের ধারণা আজ আশঙ্কাজনকভাবে সারা পৃথিবীর জনসংখ্যা বাড়ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার উন্নত বিশ্ব অপেক্ষা অনুন্নত বিশ্বেই অধিক। ক্রমবর্ধমান এ জনসংখ্যার জন্য চাই প্রয়োজনীয় গৃহ সংস্থান, অন্ন ও বস্ত্র। আর আরাম আয়েশের জন্য চাই বিলাস সামগ্রী, ভৌত সুযোগ—সুবিধা ও আরও অনেক কিছু।

জনসংখ্যা ও পরিবেশ দূষণ , কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ , পরিবেশ

পরিবেশ বিজ্ঞানী ই.পি, ওডামের মতে, নগরীর পরিধি যত বাড়ছে পারিপার্শ্বিক এলাকা থেকে তার চাহিদা যোগানের মাত্রাও বাড়ছে। ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হবার আশঙ্কাও প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে। মানুষ তার এসব মৌলিক চাহিদা ও বিলাস সামগ্রীর যোগান দিতে গিয়ে বর্ধিত হারে আহরণ করছে খনিজ ও বনজ সম্পদ। কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রে ঘটিয়েছে বিপ্লব, উদ্ভাবন করেছে নব নব প্রযুক্তির। ফলে সম্পদের উপর বেড়েছে অনাকাঙ্খিত চাপ। ভারসাম্য হারিয়েছে পরিবেশ, দুষিত হয়েছে তার আদি রূপ।

জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ও পরিবেশ দূষণ আজ তাই একে অন্যের পরিপূরক। আর এ বাস্তবতাটি গ্রামাঞ্চল অপেক্ষা শহরাঞ্চলেই বেশি। কারণ, শহরাঞ্চলের মৌলিক চাহিদার যোগান সাধারণভাবে গ্রামাঞ্চল থেকেই হয়ে থাকে। তাই বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী ই.পি, ওডামের  মতে, নগরীর পরিধি যত বাড়ছে পারিপার্শ্বিক এলাকা থেকে তার চাহিদা যোগানের মাত্রাও বাড়ছে। ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হবার আশঙ্কাও প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে। আর এ বিপন্ন পরিবেশই সামাজিক, অর্থনৈতিক, কৃষিজ, বনভূমি ইত্যাদি সংক্রান্ত দূষণের মূল কারণ।

জনসংখ্যা ও পরিবেশ দূষণ , কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ , পরিবেশ

জনসংখ্যাজনিত সামাজিক দূষণ বাস উপযোগী একটি আবাস গৃহ প্রতিটি মানুষেরই অন্যতম মৌলিক অধিকার। এশিয়া প্রশান্তমহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলোতে বিশেষ করে চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে পৃথিবীর মোট ৫.৫ বিলিয়ন জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি লোকের বাস এবং এসব দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও অধিক। সম্পদের স্বল্পতা হেতু এতদঞ্চলে বর্ধিত এ জনসংখ্যার জন্য গৃহায়ণ একটি প্রকট সমস্যা। ফলে নগর ও গ্রামাঞ্চলে মানুষ নিম্নমানের আবাসস্থলে অত্যন্ত অমানবিক অবস্থায় বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে।

শহরাঞ্চল জীবন ধারণের সবচাইতে উপযুক্ত স্থান বলে বিবেচিত। অথচ জনসংখ্যার চাপে ম্যানিলা, ঢাকা, কলিকাতা, বোম্বের ন্যায় এশিয়ার জনবহুল শহরগুলোর এক তৃতীয়াংশের অধিক লোক বস্তিবাসী। তাদের জন্য নেই কোন পরিচ্ছন্ন আলো—বাতাস, পানীয়জল ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃপ্রণালীর ব্যবস্থা। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠছে ময়লা, আবর্জনার স্তুপ। ঘটছে স্বাস্থ্যহানী। বঞ্চিত হচ্ছে লাখো মানুষ জীবনের অধিকার থেকে। এভাবেই বিনষ্ট হচ্ছে সামাজিক পরিবেশ। মানুষ সামাজিক জীব। তাই বহুমুখী চাহিদার যোগাদান দিতে গিয়ে পরস্পরের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। আর এজন্য চাই সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থা।

কিন্তু বর্ধিত জনসংখ্যাজনিত কারণে ভূমি ও সম্পদের উপর প্রচন্ড চাপ থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের মতো খুব কম ভূমি ও সম্পদই এসব এলাকায় অবশিষ্ট থাকে। ফলে জনসংখ্যার চাপে এবং যথাযথ যোগাযোগের অভাবে মহামারী, অগ্নিকান্ড, ঝড়ঝঞ্জা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে পরিমিত সাহায্যের অভাবে মানুষ কোন নিশ্চিত অবলম্বন খুঁজে পায় না। ফলে মাত্রাতিরিক্ত স্থানীয় সম্পদ ব্যবহার করে পরিবেশকে করে তোলে ভারসাম্যহীন।

জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও বায়ু দূষণ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে মানুষের মৌলিক চাহিদা যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি বৃদ্ধি পায় তার ভোগ সামগ্রীর চাহিদা। তাই জনসংখ্যার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে ঘটে চলেছে শিল্প—বিপ্লব। আর জনসংখ্যা ও শিল্প—

আর্দ্র জলাবদ্ধ জমিতে ধান চাষ থেকে নির্গত হচ্ছে মিথেন গ্যাস। এই গ্যাসের গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া ঘটানোর ক্ষমতা CO2 অপেক্ষা ১০ গুণ মতান্তরে হাজার গুণ বেশি। ইতোমধ্যেই বিশ্বের শতকরা ১৭ ভাগ মিথেন ধানের জমি থেকে আসছে। উদ্ভিদ সালোকসংশে­ষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বছরে প্রায় ৪—৯১০১১ কেজি CO2 গ্রহণ করে এবং প্রায় সম পরিমাণ O2 ত্যাগ করে।কারখানা উভয়েই দ্রুত বাড়িয়ে তুলছে শক্তি ব্যবহারের পরিমাণ এবং বায়ু দ ষণের উপকরণ।

জাপানে অবস্থিত বিশ্বপরিবেশ গবেষণা কর্তৃপক্ষ ১৯৯৩ সালে এক সমীক্ষায় প্রকাশ করে যে, এশিয়ার দেশগুলো থেকে নির্গত CO2 এর পরিমাণ বর্তমান দশকেই শতকরা ৩০ ভাগ বৃদ্ধি পাবে এবং আনুপাতিক হারে মিথেন গ্যাসের বৃদ্ধি ঘটবে। আর এদু’টো গ্যাসই বায়ু দূষণের অন্যতম সোপান। বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে ইতোমধ্যেই শতকরা ২৫ ভাগ CO2 এর আধিক্য ঘটেছে। জনসংখা বৃদ্ধিজনিতকারণে CO2 এর পরিমাণ আরও বাড়লে তা বায়ু দষণের ক্ষেত্রে তথাু গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে মারাÍক বিপর্যয় ডেকে আনবে।

কৃষি উৎপাদন ও দূষণ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে মানুষের খাদ্য চাহিদা বাড়ছে। এই বর্ধিত খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য মানুষ উদ্ভাবন করেছে উফশী জাতের ফসল। ফলন বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করছে সার ও কীটনাশক। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে কোন ফসলের উৎপাদন দ্বিগুণ বাড়াতে হলে সার, কীটনাশক ও শক্তি ব্যবহারের পরিমাণ ১০ গুণ বাড়াতে হচ্ছে। ফলে বায়ু ও পানি কলুষিত হচ্ছে। আর্দ্র জলাবদ্ধ জমিতে ধান চাষ থেকে নির্গত হচ্ছে মিথেন গ্যাস। এই গ্যাসের গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া ঘটানোর ক্ষমতা CO2 অপেক্ষা ১০ গুণ মতান্তরে হাজার গুণ বেশি।

ইতোমধ্যেই বিশ্বের শতকরা ১৭ ভাগ মিথেন ধানের জমি থেকে আসছে। আরও জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ধানের উৎপাদন বাড়াতে হবে। সেই সাথে মিথেন উৎপাদনও বেড়ে যাবে। নাইট্রাস অক্সাইড  আরেকটি শক্তিশালী গ্রীন হাউজ গ্যাস। এর পরিমাণ বৎসরে ০.২ থেকে ০.৩ ভাগ হারে বাড়ছে এবং এর গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া ঘটানোর ক্ষমতা CO2 এর চাইতে ১৮০ থেকে ৩০০ ভাগ বেশি। আর অধিকাংশ ঘ২ঙ গ্যাসই নির্গত হয় জৈবিক উৎস থেকে। এর মধ্যে শস্যক্ষেত্রে ব্যবহৃত নাইট্রোজেনজনিত সারের ব্যবহার থেকে সৃষ্টি হয় প্রায় এক পঞ্চমাংশ।

বন নিধন ও জনসংখ্যা জনিত দূষণ

আজ পৃথিবীতে যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে তার চেয়ে অধিক গতিতে বন সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। এর মূলে রয়েছে মানুষের নতুন বসতি, গৃহায়ণ, নগর পত্তন ইত্যাদি কারণ। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বছরে প্রায় ৪—৯১০১১ কেজি CO2 গ্রহণ করে এবং প্রায় সম পরিমাণ C2 ত্যাগ করে। আর এ C2 হচ্ছে সকল প্রাণীর শ্বসনকার্য পরিচালনার উপাদান। সুতরাং অত্যধিক জনসংখ্যার
চাপে বন সম্পদ ধ্বংস হলে তা প্রাণীজ পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনবে।

জনসংখ্যা ও পরিবেশ দূষণ , কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ , পরিবেশ

জনসংখ্যা ও শিল্পায়ন জনিত দূষণ

বায়বীয় পরিবেশ দ ষণের প্রধান উপাদান হিসেবে CO2, ঈঋঈং, মিথেন ইত্যাদিকে দায়ী করা হয় এবং এর অধিকাংশ শিল্পোন্নত দেশের উপজাত বলেই বিবেচিত। কিন্তু বর্তমানে জনসংখ্যাবহুল দেশগুলোতে একদিকে যেমন জনসংখ্যা বাড়ছে অন্যদিকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডও দ্রুততার সাথে বেড়ে চলেছে। চীন ১২০ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা উৎপাদনকারী, ৬ষ্ঠ তেল উৎপাদনকারী এবং ৪র্থ বিদ্যুত উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বিবেচিত। বর্তমানে তার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্বির হার শতকরা প্রায় ৮ ভাগ। মুক্ত বাজার অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের আওতায় চীনকে তার অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বজায় রাখার জন্য অভ্যন্তরীণ শক্তি ঘাটতি মোকাবেলার জন্য আরও কয়লা ও তেল আমদানী করতে হচ্ছে।

১৯৯৩ সালে ব্যাঙ্ককে অনুষ্ঠিত আবহাওয়ার আঞ্চলিক সম্মেলনে উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী চীন ইতোমধ্যেই পৃথিবীর ১১% CO2 উৎপাদনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পরেই তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। এশীয় দেশগুলো ইতোমধ্যে শতকরা ২৫% গ্রীন হাউজ গ্যাস উৎপাদন করে চলেছে যার অর্ধেকই CO2। কিন্তু যে হারে এশিয়ার জনসংখ্যা বাড়ছে এবং শিল্পায়ন ঘটছে তাতে খুব শীঘ্রই এশিয়ান দেশসমূহ আমেরিকা ও ইউরোপীয়দেশসমূহের সম্মিলিত
দূষণ মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জনসংখ্যা সমস্যা ও পরিবেশ দূষণের প্রতিকার/সমাধান

মানুষের সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। আর এটি সীমাবদ্ধ স¤žদের যথাযথ ব্যবস্থাপনা দ্বারাই করতে হবে। এই নীতির ভিত্তিতে এবং বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ও পরিবেশ দ ষণের ভয়াবহ সমস্যা মোকাবেলার জন্য যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে তার সার সংক্ষেপ নিম্নরূপ ঃ

জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে একটি দক্ষ সার ব্যবস্থাপনা নীতির মাধ্যমে অন্তত শতকরা ২৫ ভাগ নাইট্রাস অক্সাইড জনিত দূষণ মুক্ত করা সম্ভব।

১। কেবল কৌশল উদ্ভাবন দ্বারা জনসংখ্যা ও দ ষণ বিমোচন করা যাবেনা। এ জন্য চাই সর্বাগ্রে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ও পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে নৈতিক, অর্থনৈতিক ও আইনগত বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে পূর্ণ সচেতনতা গড়ে তোলা।

২। পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে এবং তা সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখেই করতে হবে।

৩। আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ের নগর পরিকল্পনায় যতটা সম্ভব ‘ওভার ক্রাউডিং’ পরিহার করতে হবে এবং অন্তত মোট এলাকার এক তৃতীয়াংশ স্থান আলো—বাতাস, খেলা—ধুলা বা বিনোদনের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে।

৪। শিল্পায়নের ক্ষেত্রে সংখ্যাধিক্য অপেক্ষা মানস¤žন্ন উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে এবং আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। অধিক ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে কম ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় শিল্প স্থাপন করতে হবে যাতে জনস্বাস্থের জন্য হুমকি হয়ে না দাড়ায়।

জনসংখ্যা ও পরিবেশ দূষণ , কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ , পরিবেশ

৫। উৎপাদিত পণ্যের মাননিয়ন্ত্রণ বোর্ড এবং ভুক্তা সমিতি  গঠনের মাধ্যমে বাজার ও জনস্বাস্থ্য রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

৬। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রেই উপজাত তৈরির নীতি অনুসরণ করতে হবে। এতে একদিকে দূষণ বিমুক্ত হবে, অপর দিকে বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

৭। কৃষিক্ষেত্রে কার্যকরী ও সময় উপযোগী সার ব্যবহার সম্পর্কে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার  মতে একটি দক্ষ সার ব্যবস্থাপনা নীতির মাধ্যমে অন্তত শতকরা ২৫ ভাগ নাইট্রাস অক্সাইড (ঘ২ঙ) জনিত দূষণ মুক্ত করা সম্ভব।

৮। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের ভয়াবহতা ও পরিবেশ দূষণের ব্যাপকতা সম্পর্কে পরিবেশের উপর বিশেষ কোর্স প্রবর্তন করতে হবে।

আরও দেখুন:

 

Leave a Comment