আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ডেয়রী ভিত্তিক সমন্বিত খামার (গরু/মহিষ, ফসল, মাছ, মুরগি/হাঁস, ছাগল)
Table of Contents
ডেয়রী ভিত্তিক সমন্বিত খামার (গরু/মহিষ, ফসল, মাছ, মুরগি/হাঁস, ছাগল)
সম্ভাবনা
ডেয়রীভিত্তিক সমন্বিত খামার প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাগুলো নিম্নরূপ-
- বেশি ভূমি, অত্যাধিক পুঁজি ও তুলনামূলকভাবে কম শ্রমিক ব্যবহারে মাঝারি বা বড় কৃষকগণ এ ধরনের সমন্বিত খামার গড়ে তুলতে পারবেন।
- অধিক জমি চারণভূমি এবং ঘাস বা পশুখাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন হয়। চারণভূমি বড় হলে একই স্থানে ছাগল পালন করা সম্ভব।
- গোবর ও গোচনা সংর ণ করে এগুলোর সাথে পশুর উচ্ছিষ্ট খাবার মিশিয়ে কম্পোস্ট তৈরি করা যায়। কম্পোস্ট শাক-সবজি তে বা স্বল্পমেয়াদী ফল বাগানে (কলা, পেঁপে ) উত্তম জৈব সার রূপে ব্যবাহর করা যায়।
- পুকুর থাকলে পচা গোবর মাছের খাদ্য তৈরির জন্য পুকুরে প্রয়োগ করে মাছ চাষ করা সম্ভব।
- পুকুরের উপর হাঁস-মুরগি পালন করা হলে এগুলোর বিষ্ঠা মাছের খাদ্য হয়। শাক-সবজি বা ফলের উচ্ছিষ্ট পশু বা মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা যায়।
- চারণভূমির চারপাশে ফলের গাছ লাগালে ঐসব গাছের পাতা গরু-মহিষ-ছাগলের খাদ্যরূপে দেয়া যায়।
- এরূপ খামার হতে উৎপাদন পেতে হলে অধিক সময় লাগে।
করণীয়
ডেয়রীভিত্তিক সমন্বিত খামারের করণীয়গুলো নিম্নরূপ-
- ডেয়রী খামারে আধানিবড় প্রযুক্তি/ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন বলে প্রশিণ গ্রহণ জরুরী।
পশু-পাখির সময়মতো রোগ প্রতিরোধক টীকা বা ইনজেকশন দেয়া এবং কৃমিনাশক খাওয়ানো উচিত। - ঘাস বা পশুখাদ্য উৎপাদন কাজে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করলে সেখানকার ঘাস / পশুখাদ্য অন্তত ১০ দিন পর পশুকে খাওয়াতে হবে ।
- পশু-পাখির আবাসস্থল সারা বছর শুকনা রাখা উচিত।
- পশু-পাখিকে সর্বদা নলকূপের পানি খাওয়ানো উচিত।
সমন্বয় ধাপসমূহ
একটি ডেয়রীভিত্তিক সমন্বিত খামার যেখানে গরু-মহিষ, ছাগল, ফসল, মাছ ও মুরগি হাঁস থাকবে, সেটি কীভাবে ধাপে ধাপে সমন্বয় করা যায় তা নিচে দেখানো হলো-
উদাহরণ
একটি ডেয়রীভিত্তিক সমন্বিত খামারের সংপ্তি বিবরণ ও আয়-ব্যয় উদাহরণস্বরূপ এখানে দেখানো হলো।
- খামার ব্যবস্থা গরু-ফসল-ছাগল-মাছ- হাঁস
- সম্পদসমূহ পরিবারের লোকসংখ্যা – পুরুষ ১০, মহিলা ৬ জমি – বসতবাড়ি ০.৫০ হে; তে ২.৬০ হে., পুকুর ০.২৪ হে.;
ঘাস জমি ০.২০ হে; শাক-সবজি ০.৩৬ হে.; মোট জমি ৩.৯০ হেক্টর।