জমি না থাকলেও মাশরুম চাষে হতে পারেন সফল , প্রকৃতি আমাদের উদ্ভিদ আকারে অনেক ধরনের খাদ্য উপাদান দিয়েছে। মাশরুম তার মধ্যে অন্যতম। খাদ্যগুণে সমৃদ্ধ অত্যন্ত স্বাস্থ্যপ্রদ একটি খাবার ছত্রাক জাতীয় এই উদ্ভিদটি।
মাশরুম চাষে হতে পারেন সফল
মাশরুমের পুষ্টিমান তুলনামূলকভাবে অত্যধিক এবং এর প্রোটিন অতি উন্নতমানের ,যা মানব দেহের জন্য অতিশয় দরকারি। একটি পরিপূর্ণ প্রোটিনের পূর্বশর্ত হলো মানব দেহের অত্যাবশ্যকীয় ৯টি অ্যাসিডের উপস্থিতি। মাশরুমে অতীব প্রয়োজনীয় এই ৯টি অ্যামাইনো অ্যাসিডের সবকটিই বিদ্যমান মাশরুমের মধ্যে। পাশাপাশি এর আছে নানা ঔষধি গুণাগুণ। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের মতো জটিল বহু রোগের মহৌষধ প্রাচীন এই উদ্ভিদটি।
যে কারণে স্বাস্থ্যসচেতন লোকদের খাবারের তালিকায় একেবারে শীর্ষে থাকে মাশরুমের নাম। মাত্র বছর কয়েক আগেও একে বিদেশি একটি খাবার মনে করা হলেও স্বাদ, পুষ্টি ও ঔষধিগুণের জন্য আমাদের দেশেও দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বহু ভেষজ গুণসম্পন্ন খাবারটি। দেশেই এখন চাষ হচ্ছে কয়েক প্রজাতির উন্নত জাতের মাশরুম।
শুধু কি পুষ্টিগুণই মাশরুমের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির একমাত্র কারণ? বাংলাদেশে জমির অপ্রতুলতা, বেকারত্ব, পুষ্টিহীনতা, মাথাপিছু আয়ের স্বল্পতা, মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান, সর্বোপরি দারিদ্র্য বিমোচন ইত্যাদি বহুমুখী বিষয় বিবেচনায় সম্ভাবনাময় একটি ফসল এই মাশরুম । এদেশের আবহাওয়াও মাশরুম চাষের জন্য অত্যান্ত উপযোগী। ছাত্রাক জাতীয় এই উদ্ভিদটি চাষের জন্য কোনো উর্বর জমির প্রয়োজন হয় না বিধায় দেশে মাশরুম উৎপাদন যতই বাড়ানো হোক না কেন তাতে কোনো ফসলেরই উৎপাদন কমার সম্ভাবনা নেই।
এক প্রকারের ছত্রাক হওয়ায় অন্যান্য উদ্ভিদের মতো নিজের খাবার তৈরির জন্য সূর্যের আলোর প্র্যোজন পড়ে না মাশরুমের। ফলে ঘরের ভেতরেও এর চাষ করা যায়। যার মোটেই চাষের জমি নেই তিনিও বসত ঘরের পাশের অব্যবহৃত জায়গায় অনেক পরিমাণ মাশরুম উৎপাদন করতে পারেন। এজন্য ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশে মাশরুমের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি করা অত্যন্ত প্রয়োজন। সব শ্রেণি ও পেশার মানুষই চাষ করতে পারেন এটি। গ্রাম-গঞ্জে, শহরে এমনকি অতিমাত্রায় বিলাসিদের প্রাসাদেও সহজেই স্থান করে নিতে পারে খাবারটি।
মাশরুম চাষ করতে বেশি টাকা খরচ করতে হয়না। ছোট একটু জায়গাতেও এর চাষ করা সম্ভব। সঠিক ভাবে মাশরুম উৎপাদন পদ্ধতি জানা থাকলে এই চাষ এবং ব্যবসা করে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব। কেননা দেশের বাজারে মাশরুমের চাহিদা এখন অনেক বেশি।
তাই কেউ যদি একজন কৃষিপ্রেমী হয়ে থাকেন এবং কম টাকা বিনিয়োগ করে লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে চায়, মাশরুম চাষ হতে পারে তার জন্য ভালো একটি অপশন।
মাশরুম প্রকৃত অর্থে কোন উদ্ভিদ বা বনস্পতি গাছ নয়। যদিও সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে একে উদ্ভিদজাতীয় প্রজাতি হিসাবেই ধরা হয়ে থাকে কিংবা ধরা যায়। অনেক সময় কিছু স্যাঁতসেঁতে ছায়াযুক্ত স্থানে ছাতার আকৃতির সাদা ও বাদামী রঙের এক ধরণের ছত্রাক জন্মাতে দেখা যায়। এগুলোকেই মাশরুম বলা হয়ে থাকে, যদিও এইগুলো খাওয়ার যোগ্য হয়না। খাওয়ার জন্য যে মাশরুম রয়েছে সেটা আলাদা এবং সেই খাওয়ার মাশরুম বিশেষভাবে চাষ করেই উৎপাদন করতে হয়।
বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবে মাশরুমের অনেক চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশি বাজারে এর চাহিদা প্রচুর। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, চাইনিজ-ইতালিয়ানসহ বিভিন্ন ডিসে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাদ্য তৈরি করার জন্য মাশরুমের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই গ্রাহকদের খাওয়ার উপযোগী করে তোলার জন্য এবং গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করার জন্য আলাদা রকমের মাশরুম উৎপাদন করা হয়।
পৃথিবীতে প্রায় ১০ হাজার প্রজাতির ছত্রাক দেখতে পাওয়া যায় । সেগুলোর মধ্যে যেসব ছত্রাক মানুষের খাওয়ার জন্য উপযোগী, বিষমুক্ত এবং পুষ্টিকর সেগুলোকেই মাশরুমের শ্রেণীতে ধরা হয়ে থাকে। সে হিসেবে ওয়েস্টার, মিল্কি, বাটন, শীতাকে, পেডিস্ট্রও নামক মাত্র পাঁচ প্রজাতির মাশরুম কৃত্রিমভাবে চাষের উপযোগী। আমাদের দেশের জলবায়ুতে তিনটি প্রজাতিকে অধিক উপযুক্ত মানা হয়ে থাকে এবং সেগুলো হলো ওয়েস্টার মাশরুম, মিল্কি মাশরুম এবং বাটন মাশরুম।
মাশরুম চাষে প্রয়োজনীয় জমির পরিমাণ
এমনিতে চাইলে মাশরুমের চাষ যে কেউ চাইলে নিজের ঘর থেকেও শুরু করতে পারবেন। এটা একটি অনেক লাভজনক ঘোরোয়া ব্যবসার আইডিয়া। সাধারণত প্রতি বর্গ মিটারে ১০ কেজি মাশরুম চাষ করা যায়। ঘরের ছাদে বা ছায়াযুক্ত কোনো খালি ঘরে মাশরুম উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে।
এছাড়া বড় স্তরে এর চাষ শুরু করতে চাইলে জমিতে বা ঘরের বাইরে মাশরুমের চাষ হতে পারে। সেক্ষেত্রে সেখানে কাঠ এবং ছন বা বাঁশের চালা দিয়ে ঘর তৈরি করে নিতে হবে এবং হাওয়া বাতাস যাতে ঢুকতে না পারে তার ব্যবস্থা রাখতে হবে। কারণ সূর্য্যের আলো পড়লে কিংবা বাইরের হাওয়া বাতাস ঢুকলে মাশরুম খারাপ হয়ে যাবে।
মাশরুম চাষে খরচ
কেউ যদি ছোটস্তরে মাশরুমের চাষ শুরু করতে চান তাহলে তার ১৫-৩০ হাজার টাকার প্রয়োজন হবে। আগ্রহী চাষি যদি ঘর থেকে শুরু করেন এবং সেই ঘর গ্রাম এলাকায় হয় তাহলে এক্ষেত্রে খরচ আরও কিছুটা কম হবে।
কারণ মাশরুম চাষ করার জন্য ব্যবহার হওয়া বাঁশ, ছন, গমের ভুসি, শুকনো খড়, কাঠ ইত্যাদি সামগ্রীগুলো গ্রাম এলাকায় সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়াও বড়স্তরে মাশরুম উৎপাদন শুরু করতে চাইলে এক লাখ টাকা থেকে শুরু করে পরবর্তীতে সক্ষমতা অনুযায়ী বিনিয়োগ বাড়ানো যেতে পারে।
মাশরুম চাষের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সামগ্রী –
১. গমের ভুসি
২. মাশরুম বীজ
৩. খড় ভেজানোর জন্য ড্রাম বা মাটির গামলা
৪. ধানের শুকনো খড়
৫. পলিথিন ব্যাগ
৬. মাশরুম কাটার ছুরি
৭. জলের স্প্রে
কম্পোস্ট তৈরির পদ্ধতি
মাশরুম চাষ করার জন্য প্রথমে কম্পোস্ট খাদ তৈরি করে নেওয়া আবশ্যক।
কেননা এই চাষ সঠিক এবং সফল ভাবে করার জন্য কম্পোস্ট খাদ এর গুরুত্ব অনেক বেশি। কম্পোস্ট বানানোর জন্য ধানের শুকনো খৈল, গমের ভূসি, শস্যের খৈল ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কপোস্ট তৈরি করার জন্য একটি বড় পাত্রে বা ড্রামে ১৫০০ লিটার পানিতে ১.৫ কেজি ফরমালিন এবং ১৫০ গ্রাম বেভিস্টিন মেশাতে হবে। এরপর এক কুইন্টাল এবং ৫০ কেজি গমের ভূষি ও ধানের ভূষি ভিজিয়ে দিয়ে ভালো করে মেশাতে হবে এই মিশ্রনে।
তারপর মিশ্রনটিকে কিছু সময় প্লাস্টিকের ত্রিপাল দিয়ে ভালো করে ঢেকে রাখতে হবে যাতে মিশ্রণটি জীবাণুমুক্ত হয়ে থাকে এবং বাইরের হাওয়া বাতাস ঢুকে রাসায়নের গুণাগুণ নষ্ট করতে না পারে।
মাশরুমের বীজ সংগ্রহ
এমনিতে মাশরুমের বীজ গুলোকে Mushroom Spawnও বলা হয়। আজকাল অনলাইনে বিভিন্ন ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে সহজেই মাশরুমের বীজ কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া বীজের দোকান কিংবা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও মাশরুম বীজ কিনতে পাওয়া যায়। প্রতি কেজি মাশরুম বীজের দাম ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা হতে পারে।
মাশরুমের বীজ রোপণের প্রক্রিয়া
ভূষির মিশ্রণ তৈরি করার পর বীজ লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। মাশরুম রোপন করার আগে ভেজানো ভূষি বাইরের বাতাসে কোনো খোলা জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হয় যাতে ভুষিতে সিক্তভাব না থাকে। এরপর পলিথিন ব্যাগের ভিতরে প্রথমে ভূষি ভরতে হয়। তারপর মাশরুমের বীজ ভালো করে ছড়াতে হয়। এবার আবার ছড়ানো বীজের ওপরে কিছু ভূষি দিয়ে দিতে হবে এবং তার ওপরে মাশরুম এর বীজ আবার ছড়াতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি অন্তত ৪ বার করতে হয়। মাশরুম উৎপাদনের জন্য প্রতি ৩ কেজি ভূষির মিশ্রনে ১০০ গ্রাম বীজ লাগানো যায়। এরপর পলিথিন ব্যাগে ১৫-২০টি ছিদ্র বানিয়ে দিতে হয় যাতে অতিরিক্ত জল ঝরে পড়ে যেতে পারে। যে জায়গায় মাশরুম উৎপাদন করতে চাচ্ছেন সে স্থানে পলিথিন ব্যাগ গুলো রেখে দিতে হয়।
মনে রাখতে হবে, পলিথিন ব্যাগগুলো এমন একটি জায়গায় রাখা দরকার যেখানে হাওয়া বাতাস লাগার সুযোগ অনেক কম। যতদিন এই ছত্রাক তৈরি হয়ে কাটার উপযোগী না হয় ভূষির সিক্তভাব বজায় রাখার জন্য পানি স্প্রে করে যেতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের মাশরুমের রোপন পদ্ধতিতে সামান্য পার্থক্য থাকে।
মাশরুমকে হাওয়া বাতাস থেকে বাঁচানোর উপায়
মাশরুম চাষের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ বিষয়ে সতর্কতা খুবই জরুরী। মাশরুম যেহেতু একধরনের ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ তাই চাষের স্থানটি ছায়াযুক্ত হওয়া দরকার। সে স্থানে যাতে বাইরের কোনো রকম হাওয়া বাতাস কিংবা সূর্য্যের আলো না ঢুকে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তাই চাষের শুরুর দিকে হাওয়া বাতাস থেকে বাঁচানোর জন্য ভূষি ভরা পলিথিন ব্যাগগুলো ঘরে ১৫ -২০ দিনের জন্য রুদ্ধ অবস্থায় রাখতে হবে।
১৫ দিন পর হাওয়া লেগে থাকলেও কোনো ভয় নেই। তাই ১৫ দিন পরেই ঘরের দরজা খোলা যাবে।
১৫-২০ দিন যাওয়ার পর ঘরটি খুলে দিলে দেখা যাবে ভূষির উপর সাদা রঙের ছত্রাকের জাল ছড়িয়ে রয়েছে। এই সময় মাশরুম উৎপাদনের স্থানে যেন হাওয়া দেওয়া যায় তাই একটি ফ্যান এর ব্যবস্থা করে রাখা দরকার।
মাশরুম এর ফসল কাটার সময়
এমনিতে মাশরুম এর ফসল সম্পূর্ণভাবে তৈরি হতে ৩০ থেকে ৪০ দিনের সময় লাগে। এই সময়ের মধ্যে ফসল কাটার জন্য তৈরি হয়ে যাবে।
মাশরুম চাষ করে কতটা লাভ করা যাবে
এমনিতে ভালো করে মাশরুম উৎপাদন করতে পারলে এবং সঠিক সময়ে ফসল কেটে সেগুলোকে বিক্রি করতে পারলে দুই থেকে তিন গুণ লাভ করা সম্ভব।
এই ব্যবসাতে লাভের পরিমান অনেক বেশি। তবে এর জন্য সঠিকভাবে মাশরুমগুলোকে বিক্রি করার কৌশল জানতে হবে। যত অধিক পরিমানে মাশরুম এর উৎপাদন করতে পারবেন ততটাই অধিক মুনাফা আপনার হবে। তাই সবকিছুর আগে মাশরুম চাষ পদ্ধতি সঠিক ভাবে জেনে একটি ভালো এবং সঠিক জায়গাতে মাশরুম উৎপাদন করতে জানতে হবে।
তৈরি হওয়া মাশরুম গুলোর মার্কেটিং করুন
ভালো ফসল ফলিয়েও লাভ নেই যদি না যথোপযোক্ত মার্কেটিং করা না যায়। তাই, সঠিক মার্কেটিং পন্থা অবলম্বন করে উৎপাদিত মাশরুমগুলোকে বিক্রি করার চেষ্টা করতে হবে।
এমনিতে শহরে মাশরুম এর চাহিদা অনেক বেশি, তাই শহরে অনেক তাড়াতাড়ি এগুলোকে বিক্রি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে শহরে এসে মার্কেটিং অবশ্যই করতে হবে।
যদি তৈরি হওয়া মাশরুম গুলো ৭ দিনের অধিক সময় চাষির কাছেই থাকে তাহলে সেগুলো নষ্ট হওয়া শুরু হবে। তাই কম সময়ের মধ্যেই মাশরুমগুলো বিক্রি করতে হবে।
- আসে পাশের শহর গুলোতে গিয়ে সেখানে থাকা বড় বড় দোকান গুলোর সাথে যোগাযোগ করুন।
- খাবারের হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট ইত্যাদির সাথে যোগাযোগ করুন।
- মার্কেটিং এর জন্য দু-চার জন ছেলে রেখে তাদের মাধ্যমে বিক্রি করাতে পারবেন।
- কোনো বড় খাদ্যপণ্য ডিস্ট্রিবিউটারের সাথে যোগাযোগ করুন।
- অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচার বা মার্কেটিং করুন।
- মাশরুম বিক্রি করার নিজের ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
মাশরুম চাষের জন্য প্রশিক্ষণ জরুরি
মাশরুম এর চাষ করাটা একটি অনেক জটিল প্রক্রিয়া। কেবল অনলাইনে আর্টিকেল পড়ে সবটা বুঝা সম্ভব না। মাশরুম চাষে সফল হতে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ জরুরি। তাই ব্যবসা শুরুর আগে দেশের মধ্যে থাকা বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বা কৃষির সাথে জড়িত সংগঠন গুলোর সাথে যোগাযোগ করে সঠিক ভাবে মাশরুম চাষ করার পদ্ধতি শিখে ও জেনে নেয়া উচিত।
এমন না যে, ভালো করে প্রশিক্ষণ না নিয়ে মাশরুম এর চাষ করা যাবে না। কিন্তু সফলতার সম্ভাবনা বেড়ে যায় উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নেয়া থাকলে।