দেশী জাতের ভেড়ার বৈশিষ্ট্যগুলো জানা ও খাতায় লেখা

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়- দেশী জাতের ভেড়ার বৈশিষ্ট্যগুলো জানা ও খাতায় লেখা। আমাদের দেশী জাতের ভেড়া আকারে ছোট, তবে এদের রোগবালাই কম হয়। বাংলাদেশের যেসব ভেড়া পাওয়া যায় এগুলো মূলত দেশী জাতের ভেড়া। কৃষি পরিবেশগত অবস্থান অনুসারে বাংলাদেশে মোটের উপরে ৩ জাতের ভেড়া পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে বরেন্দ্র এলাকার ভেড়া, যমুনা অববাহিকার ভেড়া ও উপকূলীয় অঞ্চলের ভেড়া।

এই পাঠ শেষে আপনি-

  • দেশী জাতের ভেড়ার আকার, আকৃতি, বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নাম ও দৈহিক বৈশিষ্ট্যসমূহবলতে ও লিখতে পারবেন।

 

দেশী জাতের ভেড়ার বৈশিষ্ট্যগুলো জানা ও খাতায় লেখা

 

 

প্রাসঙ্গিক তথ্য

দেশী ভেড়া অনুন্নত, এদের নির্দিষ্ট কোনো বৈশিষ্ট্য নেই। এই জাতের ভেড়ার গায়ের রঙ সাদা, কালো, বাদামি বা মিশ্র হয়ে থাকে। এদেরকে প্রধানত মাংসের জন্য পালন করা হয়। তাছাড়া বছরে প্রতিটি ভেড়া থেকে গড়ে প্রায় ৫০০ গ্রাম মোটা পশম (উল) পাওয়া যায়৷ এই পশম দিয়ে মোটা কম্বল, কার্পেট, মাফলার ইত্যাদি তৈরি করা যায়।

 

 

প্রয়োজনীয় উপরকণ

একটি দেশী জাতের ভেড়া, কলম, পেন্সিল, রাবার, ব্যবহারিক খাতা ইত্যাদি।

কাজের ধাপ

  • দেশী ভেড়ার দেহের বিভিন্ন অংশ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নাম জেনে নিন।

১. মূন, ২. নাকের ছিদ্র, ৩. পাল, ৪.চোখ, ৬. কান, ৭. গলা ৮. বুক ৯. কাঁধের উপরিভাগ, ১০. পিঠ ১১ কোমর, ১২. কোমরের নিম্নভাগ, ১৩ পাছা, ১৪ ডল, ১৫. উরু, ১৬ হক, ১৭ পেছনের পা ১৮. কাচি ফুল, ১৯. পায়ের পাতা, ২০. পেছন ধার, ২১ লেট, ২২. পাজর, ২০. সমান ধার, ২৪ সামনের পা, ২৪. কাঁধ

  • উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ ভালোভাবে লক্ষ্য করুন।
  • ব্যবহারিক খাতায় একটি ভেড়া এঁকে তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গসমূহ চিহ্নিত করুন৷
  • আপনার পর্যবেক্ষণ ধারাবাহিকভাবে ব্যবহারিক খাতায় লিখুন ও শিক্ষককে দেখান।

By একাডেমিক ডেস্ক, কৃষি গুরুকুল

কৃষি গুরুকুলের একাডেমিক ডেস্ক

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version