ব্যবহারিক : বাণিজ্যিক ডেইরি ফার্ম পরিদর্শন ও প্রতিবেদন তৈরি , গর্ভবতী গাভী শনাক্তকরণ -এই পাঠটি বাউবির “কৃষি শিক্ষা ২য় পত্র” বিষয়ের ইউনিট – ১৪ , পাঠ – ১৪.৭ , পাঠ – ১৪.৮। বাণিজ্যিক গাভী পালন করতে হলে গাভীর জন্য ভাল বাসস্থান প্রয়োজন। বাণিজ্যিক খামার বড় রাস্তার পাশে উঁচু জায়গায় করতে হয় যাতে বৃষ্টির পানি না জমে এবং দুধ দোহনের পর তাড়াতাড়ি স্থানান্তর করা যায়।
Table of Contents
বাণিজ্যিক ডেইরি ফার্ম পরিদর্শন ও প্রতিবেদন তৈরি , গর্ভবতী গাভী শনাক্তকরণ ।
ব্যবহারিক
প্রোটিনের চাহিদা পূরণে দুধের কোন বিকল্প নেই। আর তার জন্য প্রয়োজন পযার্প্ত পরিমাণে উন্নত জাতের দুধাল গাভী পালন। ব্যবহারিক পাঠের এ অংশে একটি বাণিজ্যিক ডেইরি খামার পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে উন্নত জাতের গাভী পালনের জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।
বাণিজ্যিক ডেইরি ফার্ম পরিদর্শন ও প্রতিবেদন তৈরি:
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
১. একটি বাণিজ্যিক খামর
২. খাতা, কলম ইত্যাদি
কাজের ধারা:
১. প্রথমে শ্রেণীশিক্ষরের সাথে কয়েকজন ছাত্র মিলে একটা দল গঠন করে কলেজের নিকটবতীর্ কোন বাণিজ্যিক ডেইরি খামর পরিদর্শনে বের হন।
২. খামার বিভিন্ন জাতের গাভী এবং তাদের ঘর পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করে খাতায় নোট করুন।
৩. খামারের গাভীর খাদ্য প্রদান ও অন্যান্য লালন পালন ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে খাতায় লেখুন।
৪. গাভীর রোগ— ব্যাধির চিবিৎসা ও টিকা প্রদান সম্বন্ধে খামার তত্ত্ববধায়কের নিকট থেকে জেনে নিন।
৫. খামারের দৈনিক কার্যক্রম, উৎপাদন, আয় ও খরচের হিসাব রেজিস্টার খাতা দেখে বুঝে নিন এবং নোট করুন।
৬. খামারের দুধ দোহন পদ্ধতি ও পরিমাণ জেনে নিন।
৭. খামারের অন্যান্য স্বাস্থ্যসম্মত পালন ব্যবস্থা খাতায় নোট করুন।
সাবধানতা:
১. খামার তত্ত্বাবধায়কের অনুমতি ছাড়া খামারের কোন জিনিসপত্রে হাত না দেওয়া বা ব্যবহার না করা।
২. গবাদি পশুগুলোকে অযথা বিরক্ত না করা। খামারের সমস্ত কার্যক্রম দক্ষতার সাথে পর্যবেক্ষণ করা।
গর্ভবতী গাভী শনাক্তকরণ:
প্রাকৃতিক উপায়ে বা কৃত্রিম পদ্ধতিতে গাভীকে প্রজনন করার পরও অনেক সময় গর্ভধারণ সম্বন্ধে সন্দেহথেকে যায়।কারন গর্ভধারণের কাল পাঁচ মাসের কম হলে বাইরের লক্ষণের উপর পেু রাপুরি বিশ^াস করা যায় না। তাই গর্ববতী গাভী নির্ধারণ সত্যিই একটি কঠিন ব্যপার। ব্যবহারিক পাঠের এ অংশে আপনারা লক্ষণ দেখে একটি গর্ভবতী গাভী কি ভাবে শনাক্ত করা যায়, তা শিখতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
১. একটি গর্ভবতী গাভী
২. খাতা, কলম ইত্যাদি
কার্যপদ্ধতি:
গাভীকে শান্তভাবে দাঁড় করে নাও এবং নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করুন।
১. গাভী ষাঁড়ের কাছে থাকতে পছন্দ করে কিনা।
২. গাভীর পেট স্বাভাবিকের চেয়ে বড় কিনা লক্ষ করুন।
৩. তিন মাস বয়সের পর থেকে পেটের ভেতর কিছু নড়াচড়া করে কিনা।
৪. দুধ ধীরে ধীেও কমে যায় কিনা।
৫. যৌনাঙ্গ ফলে যায়, ঝুলে পড়ে এবং নরম হতে থাকে কিনা খেয়াল করুন।
৬. খয়েরী রঙের মল ত্যাগ করে কিনা দেখুন।
৭. বাঁট ধরে টান দিলে কলার কসের মত আঠালো পদার্থ বের হয় কিনা পরীক্ষা কর।
৮. দূর্বা ঘাসের উপর কয়েকদিন প্র¯্রাব করালে ঘাস হলুদ হয়ে যায় কিনা।
এসব লক্ষণগুলো যদি নির্বাচিত গাভীর সাথে মিলে যায় তবে বুঝে নিতে পারেন যে গাভটি গর্ভবতী।
সাবধানতা:
১. গাভীটি শান্ত করে নিয়ে খুঁটির সাথে বেঁধে নিন।
২. খুব সাবধানে লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে যাতে কেও বাচ্চার কোন ক্ষতি না হয়।