আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ধান/পার্ট ফসলের বিভিন্ন উপকারি ও অপকারি কীটপতঙ্গ সংগ্রহ এবং অ্যালবাম তৈরি – যা কৃষিজ উৎপাদন: সবজি, ফুল, ফল চাষ এর অন্তর্ভুক্ত । পোকামাকড়ের আক্রমণও বৃদ্ধি পায়। ১৯৮৫ সালে এ দেশে ধান ফসলের জন্য ক্ষতিকর ১৭৫ প্রজাতির পোকাকে শক্ত করা হয় (করিম ১৯৮৫)। পরবর্তীতে২০০৩ সালে ২৬৬টি প্রজাতির পোকাকে ধানের ক্ষতিকর পোকা হিসেবে শনাক্ত করা হয়(ইসলাম ও অন্যান্য ২০০৩)।এর মধ্যে সব পোকা সব মৌসুমে বা সব জায়গার ধান ফসলে ক্ষতি করে না।২০ প্রজাতির পোকাকে ধান ফসলের সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতিকর পোকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে বাংলাদেশে মাজরা, পামরি, বাদামী গাছ ফড়িং ধানের প্রধান তিনটি ক্ষতিকর পোকা।
Table of Contents
ধান/পার্ট ফসলের বিভিন্ন উপকারি ও অপকারি কীটপতঙ্গ সংগ্রহ এবং অ্যালবাম তৈরি
উদ্দেশ্য: ধান/পাট পোকা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে অনিষ্টকারী পোকা শনাক্ত করা।
উপকরণ:
১. পোকা ধরার হাত জাল, ২. পোকা রাখার ১টি জার ৩. কাগজ ও ৪. পেন্সিল।
কাজের ধারা:
১. একটি হাত জাল ও একটি জার নিয়ে বিদ্যালয়ের পাশের ধান এবং পাট খেতে যাই ।
২. উভয় খেত থেকে জাল টেনে পোকা সংগ্রহ করি।
৩. পোকাগুলো জারে রাখি ও জারের মুখ ঢাকনা দ্বারা বন্ধ করি । ৪. জারে রক্ষিত পোকা শ্রেণিকক্ষে আনি ।
৫. পোকাগুলো একটি একটি করে বোর্ডে বইয়ের তাত্ত্বিক অংশে দেওয়া পোকার বর্ণনার সাথে মিলাই ।
৬. এবার অপকারী পোকাগুলো বোর্ড বাইয়ে দেওয়া ছবির সঙ্গে মিলিয়ে নাম ক্ষতির লক্ষণ ও প্রতিকার ভালোভাবে জেনে নিই ৷
সাবধানতা:
১. পোকাগুলো সংগ্রহের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে পোকাগুলোর দেহের কোন অংশ নষ্ট না হয়।
২. পোকাগুলো ধরার ক্ষেত্রে খালি হাত ব্যবহার না করে টিমটা ব্যবহার করতে হবে।