আজকের ক্লাসে আমরা আলোচনা করব কৃষি চর্চার একটি মৌলিক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় “বীজ বপন ও চারা রোপণ” নিয়ে। সুস্থ ও ফলপ্রসূ ফসল উৎপাদনের প্রথম ধাপ হলো সঠিকভাবে বীজ বপন ও চারা রোপণ করা। একটি গাছের শিকড় যত গভীর ও শক্তিশালী হয়, তার ফলন তত বেশি ও মানসম্মত হয়। ঠিক তেমনি, সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতিতে বীজ বপন এবং চারা রোপণ ফসল উৎপাদনের ভিত্তি গড়ে তোলে।
Table of Contents
বীজ বপন ও চারা রোপণ
ফসল চাষে বীজ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। এটি উদ্ভিদের বংশবিস্তারের প্রধান মাধ্যম। ফসল উৎপাদনের সাফল্য অনেকাংশেই নির্ভর করে মানসম্মত ও সঠিক বীজ ব্যবহারের উপর।
তণ্ডুল ফসলের শস্যদানা যেমন—ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি প্রকৃত অর্থে “True Seed” বা প্রকৃত বীজ হিসেবে গণ্য হয়। তবে কৃষি উৎপাদনে শুধুমাত্র জাননিক বীজই ব্যবহৃত হয় না—উদ্ভিদের বিভিন্ন শারীরিক অংশ থেকেও নতুন গাছ জন্মানো যায়, সেজন্য সেগুলোকেও কৃষি বীজ হিসেবে গণ্য করা হয়। যেমন:
- আখের কান্ড,
- গোল আলুর কন্দ (Tuber),
- শাখা কলম,
- রাইজোম (Rhizome),
- বুলবিল,
- গুড়িকন্দ ও কন্দমূল,
- শোষক শিকড়,
- পাতা ও পাতার কলম ইত্যাদি।
এসব উদ্ভিদের অঙ্গ থেকেও নতুন উদ্ভিদ জন্ম দেওয়া সম্ভব হওয়ায় এগুলোকেও বর্ধনযোগ্য বীজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
📌 বপন ও রোপণের পার্থক্য
বীজের ধরন অনুযায়ী তার বপন (Sowing) ও রোপণ (Transplanting) পদ্ধতিতে ভিন্নতা দেখা যায়। যেমন—
- পাটের প্রকৃত বীজ মাঠে ছিটিয়ে বপন করা যায়,
- কিন্তু পাটের ডগা পুনঃরোপণের জন্য রোপণ করতে হয়।
বিভিন্ন প্রকার শস্য ও তাদের উৎপাদন পদ্ধতি অনুযায়ী বীজ স্থাপন বা স্থাপন-পূর্ব প্রক্রিয়ার ধরন আলাদা হতে পারে।
📋 নিচে শস্য অনুযায়ী বপন বা রোপণ পদ্ধতির একটি চিত্র বা ছক প্রদান করা যেতে পারে, যেমন:
শস্যের নাম | বপন পদ্ধতি | রোপণ পদ্ধতি | ব্যবহৃত বীজ/অঙ্গ |
ধান | ছিটিয়ে বা লাইনে | চারা রোপণ | ধান বীজ |
পাট | ছিটিয়ে বপন | ডগা রোপণ | পাট বীজ, ডগা |
আলু | ✖️ | রোপণ | কন্দ (Tuber) |
আখ | ✖️ | রোপণ | কান্ড |
কলমচাষ | ✖️ | রোপণ | শাখা/পাতা/শিকড় |
এইভাবে বীজের ধরন অনুযায়ী কৃষককে বপন ও রোপণের সঠিক পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হয়, যা সরাসরি ফসল উৎপাদনের গুণমান ও পরিমাণে প্রভাব ফেলে।
বীজ বপন
ফসল উৎপাদনের প্রাথমিক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো বীজ বপন। সঠিকভাবে বীজ বপনের ওপরই নির্ভর করে চাষের সফলতা ও ফলনের মান। এজন্য জমি, মাটি, বীজ এবং মৌসুম—all কিছুর সমন্বয়ে বিবেচিত পদ্ধতিতে বীজ বপন করা অত্যন্ত জরুরি।
জমি প্রস্তুতি:
ফসল চাষের আগে জমিকে ভালোভাবে লাঙল ও মই চাষের মাধ্যমে ঝুরঝুরে করে তৈরি করতে হয়। এ সময় লক্ষ্য রাখতে হয়—জমিতে বীজ অঙ্কুরোদগমের জন্য পর্যাপ্ত রস বা ‘জো’ রয়েছে কিনা। মাটিতে যথেষ্ট রস থাকলে বীজ দ্রুত অঙ্কুরিত হয় এবং চারা সবল ও স্বাস্থ্যবানভাবে বৃদ্ধি পায়।
বীজতলা প্রস্তুতি:
বীজের আকার ও আয়তনের ওপর নির্ভর করে বীজতলা তৈরি করতে হয়। সাধারণত:
-
ছোট আকৃতির বীজের জন্য (যেমন পাট, সরিষা, পেঁয়াজ, তামাক): বীজতলা যত পরিপাটি ও মিহি হবে, ততই বীজের অঙ্কুরোদগম ভালো হবে।
-
বড় আকৃতির বীজের জন্য (যেমন ভুট্টা, ছোলা, মটর): তুলনামূলকভাবে কম পরিশ্রমে মাঝারি কর্ষিত জমিতেই বপন করা যায়।
বপনের গভীরতা:
বপনের গভীরতা নির্ভর করে বীজের আকারের উপর:
-
ছোট বীজ: অল্প গভীরতায় বপন করতে হয়।
-
বড় বীজ: তুলনামূলকভাবে কিছুটা গভীরে বপন করা হয়, যেন বীজ ভালোভাবে মাটির সংস্পর্শে থাকে এবং নিরাপদে অঙ্কুরিত হয়।
শুকনো ও ভিজা বীজতলা:
বপনের আগে বীজের ধরন অনুযায়ী বীজতলা তৈরি করতে হয়—শুকনো বীজতলা অথবা ভিজা বীজতলা।
-
খোসা পাতলা ও নরম বীজ (যেমন: পাট, সরিষা, মসুর): এগুলো সাধারণত শুকনো অবস্থায় শুকনো বীজতলায় বপন করা হয়।
-
খোসা শক্ত ও বড় বীজ (যেমন: খেসারি, ছোলা, মটর): এগুলো ১-২ দিন পানিতে ভিজিয়ে বপন করতে হয় যাতে অঙ্কুরোদগম ত্বরান্বিত হয়।
ধান বপনের বিশেষ নিয়ম:
ধানের চাষে মৌসুম অনুযায়ী বীজ ভিজানোর সময় নির্ধারিত থাকে:
-
আউশ ও আমন মৌসুমে: ধানের বীজ ৪৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হয়।
-
বোরো মৌসুমে: প্রায় ৭২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখা উত্তম।
ভিজা বীজতলায় ভিজা বীজ এবং শুকনো বীজতলায় শুকনো বীজ বপন করাই শ্রেয়। এতে বীজ অঙ্কুরোদগমে ব্যাঘাত ঘটে না।
ছিটিয়ে বীজ বপন
হাতের সাহায্যে ছিটিয়ে বোনা
ছিটিয়ে বীজ বপন হলো ফসল চাষের একটি প্রচলিত ও সহজ পদ্ধতি, যেখানে হাতের সাহায্যে বীজ মাটিতে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। সাধারণত একটি পাত্রে বীজ রেখে, মাঠের একদিক থেকে অন্যদিকে হেঁটে, হাতের মুঠোয় বীজ ছিটিয়ে জমিতে বপন করা হয়। এ পদ্ধতিতে বীজ ছিটানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হয় যেন জমির কোনো অংশ বাদ না যায় এবং বীজ সুষমভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
🟢 এই পদ্ধতির সুবিধাসমূহ:
১. ✅ সহজ ও দ্রুত প্রয়োগযোগ্য: খুব সহজেই হাতে বপন করা যায় এবং অল্প সময়ে কাজ শেষ করা যায়।
২. ✅ কম খরচে কার্যকর: কম সময়, কম শ্রমিক এবং কম খরচে বপন কাজ সম্পন্ন হয়।
৩. ✅ যন্ত্র ছাড়াই চাষযোগ্য: যন্ত্রের প্রয়োজন ছাড়াই বীজ বপন সম্ভব, তাই ক্ষুদ্র কৃষকের জন্য উপযোগী।
🔴 এই পদ্ধতির অসুবিধাসমূহ:
১. ❌ বীজ সুষমভাবে ছড়ায় না: হাতে ছিটানোয় বীজ অসমভাবে ছড়ায়—কোথাও বেশি, কোথাও কম বা একেবারে বাদ পড়ে।
২. ❌ বীজের অপচয় বেশি: অধিক পরিমাণে বীজ লাগে, ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।
৩. ❌ আগাছা নিয়ন্ত্রণ কঠিন: ছড়ানো অবস্থায় আগাছা পরিষ্কার করা এবং সার প্রয়োগ জটিল হয়।
৪. ❌ আন্তঃপরিচর্যায় অসুবিধা: সার ছিটানো, নিড়ানী, আগাছা দমন ও অন্যান্য পরিচর্যার জন্য কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে সমস্যা হয়।
৫. ❌ ফসল ও আগাছা একসঙ্গে বেড়ে উঠে: ছিটানো পদ্ধতিতে ফসলের সঙ্গে সংঘবদ্ধ আগাছা দমন করা কঠিন হয়ে পড়ে।
৬. ❌ নাশকতা ও ক্ষতি বেশি: আগাছার আধিক্য হলে অনেক কৃষক ফসল বাদ দিয়ে অন্য ফসলের জন্য জমি প্রস্তুত করেন।
যদিও ছিটিয়ে বীজ বপন পদ্ধতি সহজ, সাশ্রয়ী এবং কম শ্রমনির্ভর, তবে এর বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, বিশেষ করে পরিচর্যা ও আগাছা দমনের ক্ষেত্রে। তাই নির্দিষ্ট ফসল ও জমির উপযোগিতা অনুযায়ী বীজ বপনের পদ্ধতি বেছে নেওয়া উত্তম।
মেশিন অথবা উড়োজাহাজের সাহায্যে বীজ বপন:
বর্তমান কৃষি ব্যবস্থায় সময় ও শ্রম বাঁচানোর জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বীজ বপনের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। মেশিন বা উড়োজাহাজ (Airplane বা Aerial Seeding) ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত ও সমানভাবে বীজ ছড়িয়ে বপন করার আধুনিক পদ্ধতিটি বিশেষত বড় আকারের মাঠ, দুর্গম অঞ্চল বা প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এমন এলাকায় খুবই কার্যকর।
পদ্ধতির বিবরণ:
- মেশিনের সাহায্যে বপন: ট্রাক্টরের সাথে যুক্ত বীজ ছিটানো যন্ত্র বা বুম স্প্রেডার ব্যবহার করে বীজ সুনির্দিষ্ট দূরত্বে ছিটানো হয়।
- উড়োজাহাজ বা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বপন: বায়ুতে উড়ে নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে বীজ ছিটিয়ে দেওয়া হয়, যাতে বীজ নিচে পড়ে ছড়িয়ে যায়।
এই পদ্ধতির সুবিধাসমূহ:
১. ✅ দ্রুত কাজ সম্পন্ন: অল্প সময়ে বিশাল এলাকাজুড়ে বীজ ছিটানো যায়।
২. ✅ কম শ্রমিক প্রয়োজন: মানুষের পরিবর্তে যন্ত্র ব্যবহারে শ্রমিকের প্রয়োজন অনেক কমে যায়।
৩. ✅ অসুবিধাজনক জমিতেও কার্যকর: পাহাড়ি, জলাবদ্ধ বা দুর্গম এলাকায় যেখানে মানুষ প্রবেশ করতে পারে না, সেখানে বপন সম্ভব।
৪. ✅ বীজ ছিটানোতে তুলনামূলক সমতা বজায় থাকে, বিশেষ করে মেশিন ব্যবহার করলে।
এই পদ্ধতির অসুবিধাসমূহ:
১. ❌ উচ্চ ব্যয়বহুল: মেশিন বা উড়োজাহাজ পরিচালনার খরচ তুলনামূলক বেশি।
২. ❌ সব ধরনের ফসলের জন্য উপযোগী নয়: কিছু ফসল বা বিশেষ ধরনের বীজের জন্য এটি কার্যকর নয়।
৩. ❌ বীজ অপচয়ের সম্ভাবনা: বাতাস বা দুর্বল নিয়ন্ত্রণের কারণে বীজ উড়তে পারে বা অসমভাবে পড়তে পারে।
৪. ❌ আন্তঃপরিচর্যা ও সার প্রয়োগে জটিলতা: ছড়িয়ে ছিটিয়ে বপনের ফলে চারা ওঠার বিন্যাস সমান না হওয়ায় পরিচর্যায় সমস্যা হয়।
মেশিন বা উড়োজাহাজের সাহায্যে বীজ বপন আধুনিক কৃষির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এটি বিশেষত বড় খামার, বনজ পুনরায় রোপণ কর্মসূচি (Reforestation), তৃণভূমি উন্নয়ন এবং দুর্যোগপূর্ব অবস্থা পুনরুদ্ধারে ব্যাপক ব্যবহৃত হয়। তবে এ পদ্ধতির অর্থনৈতিক ও কারিগরি দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে সঠিক পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করাই শ্রেয়।
সারিতে বীজ বপন
সারিতে দু’ভাবে বীজবপন করা হয়। হাতের সাহায্যে লাঙল অথবা অন্য কোন টাইন ব্যবহার করে বপন করা অথবা মেসিনের সাহায্যে বপন করা। বর্তমানে বিভিন্ন রকম বীজ-বপন যন্ত্র পাওয়া যায়। আমাদের দেশে বাংলদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কর্তৃক উদ্ভাবিত বীজ-বপন যন্ত্রের সাহায্যে এক বা একাধিক লাইনে ধান, পাট, গম, মটর ইত্যাদি বীজ-বপন করা যায়।
বিদেশে আধুনিক বীজ বপন যন্ত্রের সাহায্যে সুষ্ঠু ও সুষমভাবে বীজ বপন করা যায়। এই পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
সুবিধা
- ফসলের আন্ত:পরিচর্যা যেমন আগাছা বাছাই, সার প্রয়োগ ইত্যাদি যাবতীয় ফসল পরিচর্যার কাজ সহজে সম্পন্ন করা যায় ।
- তুলনামূলক ভাবে বীজের পরিমাণ কম লাগে। সমান গভীরতায় বীজ-বপন নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।
- বীজের অঙ্কুরোদগম ভাল হয়।
- ফসলের সাথে সংঘবদ্ধ আগাছা দমন করা সহজতর হয় ।
- সারিতে অবস্থিত গাছগুলো মোটামুটি সমভাবে আলো, বাতাস ও খাদ্যোপাদান পায় বলে সাধারণত ফলন বেশি হয়।
- ফসল কাটা ও তোলা সহজ হয়।
অসুবিধা
সময় ও শ্রমিক বেশি লাগে বলে খরচ অনেক বেশি। অবশ্য আধুনিক যন্ত্র যেমন স্ট্যান হে প্রেসিশন ড্রিল (Stan Hay Precision drill) ব্যবহার করলে সময় ও শ্রমিকের অপচয় কমে যায়। সারিতে বীজ-বপনের জন্য প্রাথমিক খরচ বেশি হলেও পরবর্তীতে ফসলের আগাছা বাছাই সহ অন্যান্য আন্ত:পরিচর্যা সহজ হয় বলে সর্বসাকুল্যে উৎপাদন খরচ কমে যায় এবং মুনাফা বেড়ে যায়।
বীজ রোপণ
ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষিবীজ রোপণ করতে হয়। আখ, গোলআলু, মিষ্টি আলু ইত্যাদি ফসলের কৃষি বীজ অন্যান্য ফসলের বীজের মত বোনা যায় না। আবার অনেক ফসল যেমন চা, কফি, ধান, তামাক ইত্যাদি ফসলের চারা তৈরি করে জমিতে রোপণ করতে হয়। বিভিন্ন প্রকার বীজ রোপণ পদ্ধতি নিচে বর্ণিত হলো:
ক্লোন রোপণ (Clone planting )
ক্লোন যেমন আদা, হলুদ ইত্যাদির বীজ জমি তৈরি করে সারিতে রোপণ করা হয়। অনেক সময় এলোমেলোভাবেও ক্লোন রোপণ করা হয়।
চারা রোপণ
জমি তৈরি করে প্রয়োজনীয় সার সরবরাহ করে চারা রোপণ করা উচিত। ধান চাষের জন্য প্রথমে বীজতলায় চারা জন্মানো হয়। চারা রোপণের জন্য জমিতে পানি সরবরাহ করে কাদা (Puddling) করতে হয়। নরম কাদাযুক্ত জমিতে নির্দিষ্ট দূরত্বে গোছায় গোছায় কয়েকটি করে চারা একত্রে রোপণ করা হয়।
গর্তে রোপণ (Dibbling):
এ পদ্ধতিতে গর্ত করে বীজ রোপন করা হয়। আউশ ধান অথবা সবজি জাতীয় ফসলের েত্রে গর্ত করে বীজ স্হাপন করা হয়। এভাবে বীজ এলোমেলোভাবে অথবা সারিতে রোপণ করা হয়। বীজ ছিটিয়ে বুনলে যদি আউশ ধানের গাছ হেলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে বীজ গর্তে রোপণ করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।