আজকে আমরা ব্যবহারিকঃ গরম হওয়া বকনা বা গাভী শনাক্তকরণ আলোচনা করবো। এটি কৃত্রিম প্রজনন ও খামার স্থাপন এর গাভীর জাত উন্নয়ন ইউনিটের ব্যবহারিক অংশের অন্তর্গত।
Table of Contents
ব্যবহারিকঃ গরম হওয়া বকনা বা গাভী শনাক্তকরণ
বয়ঃপ্রাপ্তির পর (Sexual maturity) বকনা বা গাভী জাতীয় গবাদিপশু হঠাৎ করে একদিন কামোদ্দীপ্ত হয়ে উঠে অর্থাৎ ষাঁড়ের সাথে মিলিত হবার ইচছা প্রকাশ করে । এই কামোদ্দীপনাকেই আমরা ‘গরম হওয়া’ বা ডাকে আসা এস্ট্রাস (Estrous) নামে অভিহিত করে থাকি ।
এটি একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যা বকনা বা গাভীর প্রজননতন্ত্রের বিভিন্ন অংশে পর্যায়ক্রমিকভাবে শারীরবৃত্তীয় ও আকৃতিগত পরিবর্তন আনে । এই সাময়িক পরিবর্তনগুলো পরবর্তীতে গরম হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে চলতে থাকে এবং এই সময়কালকেই ঋতুচক্র (Estrous cycle) বলে। তবে গরম হওয়ার পর ষাঁড়ের সাথে মিলনের ফলে যদি গর্ভবতী হয় তবে বাচ্চা প্রসবের পূর্ব পর্যন্ত বকনা বা গাভী আর গরম হয় না ।
প্রাসঙ্গিক তথ্য
বকনা বা গাভী গরম হলে বিভিন্ন ধরনের স্বভাবগত ও শারীরবৃত্তীয় লক্ষণ ও পরিবর্তন দেখা দেয়। সঠিকভাবে প্রজননের জন্য গাভী গরম হয়েছে কিনা তা নির্ণয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । গাভী গরম হওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রজনন না করালে গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা খুব কম থাকে । সাধারণত গাভী গরম হওয়ার ৮ থেকে ১৮ ঘন্টার মধ্যে প্রজনন ক্রিয়া সম্পন্ন করাতে হয় । এজন্যই গাভী কখন গরম অবস্থায় এসেছে তা জানা এবং বোঝা খুবই প্রয়োজন ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১. গরম অবস্থায় এসেছে এমন ধরনের বকনা বা গাভী ।
২. গ্লোভস, স্পেকুলাম ।
৩. কলম, ব্যবহারিক খাতা ।
কাজের ধারা
- গরম হওয়া বকনা বা গাভীতে যে ধরনের বাহ্যিক লক্ষণ থাকা উচিত সেগুলো প্রকাশ পেয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করুন ।
- হাতে গ্লোভস পড়ে গাভীর যোনিমুখ সামান্য ফাঁক করে ভেতরটা পর্যবেক্ষণ করুন ।
- স্পেকুলামের সাহায্যে সার্ভিক্সের মুখ পর্যবেক্ষণ করুন ।
- আপনার পর্যবেক্ষণগুলো ব্যবহারিক খাতায় লিপিবদ্ধ করুন ।
- পর্যবেক্ষণকৃত গাভীটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য লিখুন ।
- আপনার ব্যবহারিক খাতাটি টিউটরকে দেখান এবং তাতে সই নিন ।