টীকার ব্যবহার ও সংরক্ষণ পর্যবেক্ষণ

ব্যবহারিক:টীকার ব্যবহার ও সংরক্ষণ পর্যবেক্ষণ

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ব্যবহারিক: টীকার ব্যবহার ও সংরক্ষণ পর্যবেক্ষণ

ব্যবহারিক: টীকার ব্যবহার ও সংরক্ষণ পর্যবেক্ষণ

বিষয় :- ২ টাকার ব্যবহার ও সংরক্ষণ পর্যবেক্ষণ:

উপকরণ

১। বিদ্যালয়ে অথবা নিকটবর্তী পশু হাসপাতালের টাকা সংরক্ষণা গার

২। টাকা সংরক্ষণের যন্ত্রপাতি

(ক) ডিপফ্রিজ

(খ) রেফ্রিজারেটর

(গ) থার্মোফ্রাঙ্ক

(ঘ) খাতা ও কলম।

 

কাজের ধাপ

১।বিভিন্ন প্রকার টাকার সংরক্ষণ পদ্ধতি লক্ষ্য করুন।

২। টাকা সংরক্ষণের জন্য কী ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হয় তা দেখুন এবং যাতায় লিখে নিন।

৩| আলোচনার মাধ্যমে কোন ধরনের টাকা কোন যন্ত্রে কীভাবে এবং কতদিন সংরক্ষণ করা যায় তা জেনে নিন এবং খাতায় লিপিবদ্ধ ক

৪। টাকার গুণাগুণ নষ্ট হওয়ার কারণগুলো আলোচনার মাধ্যমে জেনে নিন এবং খাতায় লিখুন।

৫| কোন রোগের টাকা কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানুন এবং খাতায় লিখুন। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে শিক্ষক বা টিউটরকে দেখান।

 

 

সাবধানতা

কোন যন্ত্রপাতি বিনা অনুমতিতে স্পর্শ করবেন না। সুশৃংখলভাবে সমস্ত বিষয় লক্ষ্য করবেন।

বসন্ত রোগঃ

হাঁস মুরগির বসমত্ম বা ফাউল পক্স ভাইরাস জনিত ছোঁয়াচে রোগ। সব প্রজাতির পাখি এতে আত্রানত্ম হতে পারে।

রোগের লক্ষণঃ 

ক। আক্রামত্ম পাখির মুখমন্ডলে বসমেত্মর গুটি দেখা যায়। খ। আক্রামত্ম পাখির ক্ষুধামন্দা, দৈহিক ওজন হ্রাস ও ডিম উৎপাদন কমে যায়। গ। আক্রান্ত হাঁস-মুরগির জিহবায় ক্ষত দেখা যায়।

রোগ নিয়ন্ত্রণঃ

রোগ প্রতিরোধের জন্য যথাসময়ে হাঁস-মুরগির টিকা প্রযোগ করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ তৈরী এবং মশা-মাছি নিয়ন্ত্রণ জরুর। রোগ থেকে আরোগ্য লাভকারী পাখীতে আজীবনের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মে। টিকাঃ ২১ দিন বয়সের বাচ্চা।

বার্ড ফ্লু রোগঃ

ভাইরাস জনিত তীব্র ছোঁয়াচে রোগ। এ রোগ পাকি থেকে মানুষে সংক্রমিত হতে পারে। রোগের লক্ষণঃ ক। শ্বাস কষ্ট হয়। খ। নাক দিয়ে পানি পড়ে। গ। তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ঘ। ডিমপাড়া মুরগির ডিম উৎপাদন ব্যাপক হারে কমে যায়। ঙ। আক্রান্ত হওয়ার ২/৩ দিনের মধ্যেই খামারে ব্যাপক হারে পাখি মারা যায়। অনেক সময় ঘাড় ও মাথা বাঁকা হয়ে যেতে পারে। রোগ প্রতিরোধঃ জীবনিরাপত্তা বা বায়োসিকিউরিটিই এ রোগ দূরীকরনের একমাত্র উপায়। সবসময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, অতিথি পাখি থেকে হাঁস মুরগি দূরে রাখতে হবে।

 

গামবোরো রোগঃ

গামবোরো বাচ্চা মুরগির মারাত্নক সংক্রামক রোগ। এ রোগকে বার্ড এইডস বা পোল্ট্রি এইডসও বলা হয়। রোগের লক্ষণঃ ক। পালক উসকোখুশকো হযে যায়। খ। সাদা রংয়ের শ্লেষ্মাযুক্ত মল ত্যাগ করে যা মলদ্বারের চারপাশে আঠার  মতো লেগে থাকে। গ। পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার কারনে পানিশুন্যতা দেখা দেয়। ঘ। পাখি ধীরে ধীরে শুকিয়ে  যায় ও দুর্বল হয়ে পড়ে। ঙ। আক্রান্ত মুরগি বেঁচে গেলেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে না। রোগ প্রতিরোধঃ প্রতিরোধই এ রোগ নিয়ন্ত্রনের একমাত্র পন্থা। এ জন্য খামারে সবসময় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। সময় মত টিকা প্রয়োগ করতে হবে। টিকাঃ ব্রয়লার ৮ দিনের এবং লেয়ার  ১৪ দিনের বাচ্চা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *