Category Archives: ব্যাচেলর অব এগ্রিকালচারাল এডুকেশন ( Bag Ed )

ব্যাচেলর অব এগ্রিকালচারাল এডুকেশন ( Bag Ed )

বাউবি বিএই ২৩০৪ গৃহপালিত পশুপালন সূচিপত্র

বাউবি বিএই ২৩০৪ গৃহপালিত পশুপালন সূচিপত্র। গৃহপালিত পশুপালন বইটি “বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়” এর “ব্যাচেলর অব এগ্রিকালচারাল এডুকেশন” এর “গৃহপালিত পশুপালন” পাঠ্যবই। এই বইটি রচনা করেছেন – ড. মো: আব্দুল হক ( পশুবিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ), শেখ জিনাত আলী ( পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ), ড. আ ন ম আমিনুর রহমান ( কৃষি ও পল্লী উনড়বয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় )।

এই বইটির পিডিএফ ডাউনলোড:

 

বাউবি বিএই ২৩০৪ গৃহপালিত পশুপালন

এই বইটি সম্পাদনা করেছেন – ড. আ ন ম আমিনুর রহমান ( কৃষি ও পল্লী উনড়বয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় )। রচনাশৈলী সম্পাদক ও সমন্বয় করেছেন ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম ( কৃষি ও পল্লী উনড়বয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় )। এই বইএর দ্বিতীয় সংস্করণ সম্পাদনা করেছেন ড. আ ন ম আমিনুর রহমান ( কৃষি ও পল্লী উনড়বয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়)।

‘‘গৃহপালিত পশুপালন’’ বিএজিএড প্রোগ্রামের একটি কোর্সবই। এ কোর্সবইটি দূরশিক্ষণের ছাত্র-ছাত্রীদের উপযোগী করে রচনা করা হয়েছে। কোর্সবইটির বিভিন্ন ইউনিটে গৃহপালিত পশুর গুরুত্ব, গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার জাত ও বৈশিষ্ট্য, বাছুর, গাভী, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া পালন, পশু ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি বিষয়গুলোর ওপর তাত্তি¡ক ও ব্যবহারিক পাঠগুলো অত্যন্ত সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

 

সূচিপত্র

ইউনিট ১ – গৃহপালিত পশুর গুরুত্ব

পাঠ ১.১ বাংলাদেশে পশুপাখি ও উৎপাদিত দ্রব্যের পরিসংখ্যান
পাঠ ১.২ কৃষি কাজে পশুর গুরুত্ব
পাঠ ১.৩ খাদ্য উৎপাদনে পশুর গুরুত্ব
পাঠ ১.৪ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পশুর গুরুত্ব
পাঠ ১.৫ দারিদ্র দূরীকরণ ও আত্মকর্মসংস্থানে পশুর গুরুত্ব

ব্যবহারিক

পাঠ ১.৬ পশু দিয়ে নিজ হাতে হালচাষ করা
পাঠ ১.৭ গরুর দুধ দিয়ে দই বা যে কোনো একটি খাদ্য তৈরি করা

 

ইউনিট ২ – গরুর জাত ও বৈশিষ্ট্য

পাঠ ২.১ দেশী জাতের গরুর বৈশিষ্ট্য
পাঠ ২.২ বিদেশী উন্নত জাতের গরুর বৈশিষ্ট্য
পাঠ ২.৩ সংকর জাতের গরুর বৈশিষ্ট্য

ব্যবহারিক

পাঠ ২.৪ দেশী গরুর বৈশিষ্ট্যগুলো জানা ও খাতায় লেখা
পাঠ ২.৫ উনড়বত সংকর জাতের গরুর বৈশিষ্ট্যগুলো জানা ও খাতায় লেখা

 

ইউনিট ৩ – মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার জাত ও বৈশিষ্ট্য

পাঠ ৩.১ মহিষের জাত ও বৈশিষ্ট্য
পাঠ ৩.২ ছাগলের জাত ও বৈশিষ্ট্য
পাঠ ৩.৩ ভেড়ার জাত ও বৈশিষ্ট্য

ব্যবহারিক

পাঠ ৩.৪ বিভিন্ন জাতের মহিষের বৈশিষ্ট্যগুলো জানা ও খাতায় লেখা
পাঠ ৩.৫ বিভিন্ন জাতের ছাগলের বৈশিষ্ট্যগুলো জানা ও খাতায় লেখা
পাঠ ৩.৬ দেশী জাতের ভেড়ার বৈশিষ্ট্যগুলো জানা ও খাতায় লেখা

 

ইউনিট ৪ – বাছুর পালন

পাঠ ৪.১ বাসস্থান ও পরিচর্যা

পাঠ ৪.২ বাছুরের খাদ্য

পাঠ ৪.৩ বাছুরের রোগব্যাধি দমন

ব্যবহারিক

পাঠ ৪.৪ বাছুরের দানাদার খাদ্যের মিশ্রণ তৈরি করা

 

ইউনিট ৫ – গাভী পালন

পাঠ ৫.১ গাভীর বাসস্থান ও পরিচর্যা
পাঠ ৫.২ গাভীর খাদ্য
পাঠ ৫.৩ গাভীর স্বাস্থ্যসম্মত লালনপালন ও রোগপ্রতিরোধ পদ্ধতি

ব্যবহারিক

পাঠ ৫.৪ গাভীর দানাদার খাদ্য প্রস্তুত করা

 

ইউনিট ৬ – ছাগল পালন

পাঠ ৬.১ ছাগল পালনে বিভিন্ন সুবিধাদি
পাঠ ৬.২ ছাগলের বাচ্চা পালন
পাঠ ৬.৩ ছাগলের বাসস্থান ও পরিচর্যা
পাঠ ৬.৪ ছাগলের খাদ্য
পাঠ ৬.৫ ছাগলের রোগব্যাধি দমন

ব্যবহারিক

পাঠ ৬.৬ ছাগলের বাচ্চাকে খাসি বানানো
পাঠ ৬.৭ ছাগলের জন্য দানাদার খাদ্য প্রস্তুত করা

 

ইউনিট ৭ – মহিষ ও ভেড়া পালন

পাঠ ৭.১ মহিষের বাসস্থান, পরিচর্যা ও স্বাস্থ্যসম্মত লালনপালন ব্যবস্থা
পাঠ ৭.২ মহিষের খাদ্য
পাঠ ৭.৩ মহিষের রোগব্যাধি দমন
পাঠ ৭.৪ ভেড়া পালনে সুবিধাদি, ভেড়ার বাসস্থান ও পরিচর্যা
পাঠ ৭.৫ ভেড়ার খাদ্য ও রোগব্যাধি দমন

 

ইউনিট ৮ – পশু ব্যবস্থাপনা

পাঠ ৮.১ গরুমহিষকে বিভিন্নভাবে আটকানো পদ্ধতি
পাঠ ৮.২ দাঁত দেখে গরুমহিষের বয়স নির্ণয় করা
পাঠ ৮.৩ দাঁত দেখে ছাগল ও ভেড়ার বয়স নির্ণয় করা
পাঠ ৮.৪ গবাদিপশুর শারীরিক ওজন নির্ণয় করা

ব্যবহারিক

পাঠ ৮.৫ নিজ হাতে গরুমহিষকে শোয়ানো
পাঠ ৮.৬ নিজ হাতে বিভিন্ন বয়সের গরুর দাঁত দেখে বয়স নির্ণয় করা ও খাতায় লেখা
পাঠ ৮.৭ নিজ হাতে বিভিন্ন বয়সের ছাগলের দাঁত দেখে বয়স নির্ণয় করা ও খাতায় লেখা
পাঠ ৮.৮ নিজ হাতে একটি গরুর ওজন নির্ণয় করা ও খাতায় লেখা

তথ্যসূত্র ২০৯

 

পাঠ নির্দেশনা:

“গৃহপালিত পশুপালন” কোর্সবইটি বিশেষভাবে কৃষি ও পল্লী উনড়বয়ন স্কুল-এর বিএগএড প্রোগ্রামের ছাত্রদের জন্য লেখা হয়েছে। আপনি জানেন, দূর শিক্ষণে শিক্ষকের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি নেই। তাই পাঠের কোনো কঠিন বিষয় যেন আপনার বুঝতে অসুবিধা না হয় সেদিকে দৃষ্টি রেখেই কোর্সবইটি লেখা হয়েছে। কোর্সবইটির আঙ্গিক ও উপস্থাপনা তাই প্রচলিত পাঠ্যবই থেকে কিছুটা ভিনড়ব ধরনের। যেহেতু সরাসরি শিক্ষকের সাহায্য ছাড়াই কোর্সবইটি আপনাকে নিজে পড়ে বুঝতে হবে, তাই এটি কীভাবে পড়বেন প্রমেই তা জেনে নিন। এতে কোর্সবইটি পড়তে ও বুঝতে আপনার সুবিধা হবে।

 

কোর্সবইটির রূপরেখা:

“গৃহপালিত পশুপালন” কোর্সবইটি আটটি ইউনিটে বিভক্ত। প্রতিটি ইউনিটে একাধিক পাঠ রয়েছে। পাঠ সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিটি ইউনিটের বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে। ইউনিটের পাঠগুলোকে আলাদা করে সাজানো হলেও এদের মধ্যে একটি যোগসূত্র রয়েছে। বইটির ইউনিট ১, ২ ও ৩ লিখেছেন প্রফেসর ড. আব্দুল হক। ইউনিট ৪, ৫ ও ৮ লিখেছেন প্রফেসর শেখ জিনাত আলী এবং ইউনিট ৬ ও ৭ লিখেছেন ডা. আ ন ম আমিনুর রহমান।

 

ইউনিটের ভূমিকা:

প্রতিটি ইউনিটের শুরুতেই রয়েছে একটি ভূমিকা। ভূমিকায় ইউনিটের বিষয়বস্তুর উদ্দেশ্য এবং গুরুত্ব সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে। ইউনিটটিতে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সংক্ষেপে তারও উল্লেখ রয়েছে। এতে আপনি ইউনিটের শুরুতেই জেনে যাচ্ছেন পাঠের মূল আলোচ্যসূচি কী?

 

পাঠের উদ্দেশ্য:

লক্ষ্য করবেন প্রতিটি পাঠের শুরুতে এক বা একাধিক সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য দেয়া আছে। প্রতিটি উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করেই পাঠের বিষয়বস্তু সহজভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। পাঠ শেষে পাঠের উদ্দেশ্যগুলো অর্জন করা সম্ভব হয়েছে কি-না তা নিজে নিজেই মূল্যায়ন করবেন। এর জন্য পাঠ শেষে স্বমূল্যায়ন প্রশড়ব রয়েছে। এতে আপনি পাঠটি কতটুকু বুঝতে পারলেন তা নির্ধারণ করতে পারবেন।

 

আইকনের ব্যবহার:

পাঠের বিষয়বস্তুগুলো একদৃষ্টিতে বুঝে নেয়ার জন্য প্রয়োজন অনুসারে কোর্সবইটির বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের প্রতীক বা আইকন ব্যবহার করা হয়েছে, যা দেখে আপনি সহজেই বিষয়বস্তুর উপস্থাপনা এবং আপনার করণীয় কী তা বুঝতে পারবেন। নিমেড়ব এ কোর্সবইয়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের আইকনের অর্থ নির্দেশ করা হলো-

 

 

বাউবি বিএই ২৩০৩ খামার যন্ত্রপাতি সূচিপত্র

বাউবি বিএই ২৩০৩ খামার যন্ত্রপাতি সূচিপত্র। “খামার যন্ত্রপাতি” বই বা বিষয়টি “উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়” এর “ব্যাচেলর অব এগ্রিকালচারাল এডুকেশন” এর একটি বিষয়। এ কোর্সবইটি রেফারি কর্তৃক নিরীক্ষণের পর বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও পল্লী উনড়বয়ন স্কুল এর ছাত্রদের জন্য মুদ্রিত হয়েছে।

এই বইটির পিডিএফ ডাউনলোড করুন:

 

বাউবি বিএই ২৩০৩ খামার যন্ত্রপাতি সূচিপত্র

এই বইটির লেখক – ড. মোঃ আব্দুস সাত্তার ( প্রফেসর, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ), ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম ( কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়)। বইটি সম্পাদনা করেছেন ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম (কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়), মোঃ সরওয়ার হোসেন চৌধুরী (কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়)। রচনাশৈলী সম্পাদক ও সমন্বয়কারী ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম ( কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়)। দ্বিতীয় সংস্করণ সম্পাদনা করেছেন মোঃ বিলাল হোসেন ( কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়)।

 

 

সূচিপত্র

ইউনিট ১ – খামার শক্তি ইঞ্জিন

পাঠ ১.১ ইঞ্জিনের শ্রেণিবিভাগ ও ক্রমবিকাশের ইতিহাস
পাঠ ১.২ ইঞ্জিনের মূল কর্মপদ্ধতি
পাঠ ১.৩ ডিজেল ইঞ্জিনের প্রধান কার্যকরী অংশসমূহ
পাঠ ১.৪ পেট্রোল ইঞ্জিনের প্রধান কার্যকরী অংশসমূহ
পাঠ ১.৫ ডিজেল ও পেট্রোল ইঞ্জিনের পার্থক্য

ব্যবহারিক:

পাঠ ১.৬ সাধারণ টুলস (রেঞ্চ, প্লায়ার্স, হাতুড়ি, স্ক্রু ড্রাইভার ও করাত)-এর পরিচিতি ও ব্যবহার

 

ইউনিট ২ – ইঞ্জিনের আনুষঙ্গিক সিস্টেমসমূহ

পাঠ ২.১ ইঞ্জিন শীতলীকরণ পদ্ধতি
পাঠ ২.২ ইঞ্জিন তৈলাক্তকরণ পদ্ধতি
পাঠ ২.৩ ইঞ্জিনের জ্বালানি সরবরাহ পদ্ধতি
পাঠ ২.৪ ইঞ্জিনের সাধারণ রক্ষণাবেক্ষণ, ত্রুটিসমূহ ও তার প্রতিকার
পাঠ ২.৫ বৈদ্যুতিক মোটরের প্রকারভেদ ও ব্যবহার

ব্যবহারিক:

পাঠ ২.৬ ডিজেল ইঞ্জিনের প্রধান অংশসমূহ শনাক্তকরণ ও পর্যবেক্ষণ
পাঠ ২.৭ পেট্রোল ইঞ্জিনের প্রধান অংশসমূহ শনাক্তকরণ ও পর্যবেক্ষণ
পাঠ ২.৮ এক ফেজ ও তিন ফেজ বৈদ্যুতিক মোটর পর্যবেক্ষণ

 

ইউনিট ৩ – পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর

পাঠ ৩.১ পাওয়ার টিলারের বিভিন্ন অংশের বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
পাঠ ৩.২ পাওয়ার টিলারের পাওয়ার ট্রান্সশিন পদ্ধতি, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ
পাঠ ৩.৩ ট্রাক্টরের শ্রেণিবিভাগ ও ব্যবহার
পাঠ ৩.৪ ট্রাক্টরের মূল অংশসমূহের বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
পাঠ ৩.৫ ট্রাক্টরের পাওয়ার ট্রান্সমিশন পদ্ধতি, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ

ব্যবহারিক:

পাঠ ৩.৬ পাওয়ার টিলারের বিভিন্ন অংশের পরিচিতি ও পাওয়ার টিলার চালুকরণ
পাঠ ৩.৭ ট্রাক্টরের প্রধান অংশসমূহ শনাক্তকরণ

 

ইউনিট ৪ – জমি কর্ষণ যন্ত্রপাতি

পাঠ ৪.১ কোদাল, দেশী লাঙ্গল ও উন্নত দেশী লাঙ্গলের বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
পাঠ ৪.২ মোল্ডবোর্ড প্লাউ এবং ডিস্ক প্লাউয়ের শ্রেণিবিভাগ, বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
পাঠ ৪.৩ রোটারী প্লাউয়ের বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
পাঠ ৪.৪ ডিস্ক হ্যারো, স্পাইকটুথ হ্যারো এবং ¯িপ্রংটুথ হ্যারোর বিবরণ ও কার্যপ্রণালি

ব্যবহারিক:

পাঠ ৪.৫ দেশী লাঙ্গল, উন্নত দেশী লাঙ্গল, মোল্ডবোর্ড প্লাউ ও ডিস্ক প্লাউয়ের মাঠ পর্যায়ে কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ
পাঠ ৪.৬ রোটারী প্লাউ ও ডিস্ক হ্যারোর বিভিন্ন অংশ শনাক্তকরণ ও মাঠ পর্যায়ে কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ

 

ইউনিট ৫ – রোপণ, আন্তঃপরিচর্যা ও শস্য রক্ষাকারী সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি

পাঠ ৫.১ সিডড্রিল ও ধানের চারা রোপণ যন্ত্র
পাঠ ৫.২ সার ছিটানো যন্ত্র
পাঠ ৫.৩ ঐতিহ্যগত ও আধুনিক নিড়ানী যন্ত্রসমূহ
পাঠ ৫.৪ হস্ত ও শক্তিচালিত ¯েপ্রয়ার

ব্যবহারিক:

পাঠ ৫.৫ সিডড্রিলের মাঠ পর্যায়ে পরিচালনা ও বীজের সঠিক পরিমাণ নিরূপণ
পাঠ ৫.৬ জাপানীজ রাইস উইডারের মাঠ পর্যায়ে পরিচালনা ও কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ
পাঠ ৫.৭ হস্তচালিত ন্যাপস্যাক ¯েপ্রয়ার পর্যবেক্ষণ ও পরিচালনা

 

ইউনিট ৬ – সেচ যন্ত্রপাতি

পাঠ ৬.১ দোন ও সেউতির বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
পাঠ ৬.২ ট্রেডেল, রোয়ার ও ডায়াফ্রাম পাম্পের বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
পাঠ ৬.৩ সেন্ট্রিফিউগাল ও রেসিপ্রোকেটিং পাম্পের বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
পাঠ ৬.৪ রোটারী পাম্প, ভারটিকাল টারবাইন পাম্প ও সাবমারসিবল পাম্পের বিবরণ ও কার্যপ্রণালি

ব্যবহারিক:

পাঠ ৬.৫ ট্রেডেল রোয়ার ও ডায়াফ্রাম পাম্প পর্যবেক্ষণ ও পরিচালনা
পাঠ ৬.৬ সেন্ট্রিফিউগাল ও রেসিপ্রোকেটিং পাম্পের বিভিন্ন অংশ শনাক্তকরণ ও পরিচালনা

 

ইউনিট ৭ শস্য কর্তন, প্রক্রিয়াকরণ এবং মুরগি ও দুগ্ধ খামারের যন্ত্রপাতি

পাঠ ৭.১ প্রচলিত ও আধুনিক শস্য কর্তন ও মাড়াই যন্ত্রপাতি
পাঠ ৭.২ শস্য শুকানোর প্রচলিত ও আধুনিক পদ্ধতি
পাঠ ৭.৩ শস্য গুদামজাতকরণ
পাঠ ৭.৪ মিলিং ও হাস্কিং পদ্ধতি ও যন্ত্রপাতি
পাঠ ৭.৫ মুরগির বাচ্চা ফুটানোর যন্ত্র, ব্রুডার ও দুগ্ধদোহন যন্ত্রপাতি

ব্যবহারিক:

পাঠ ৭.৬ মুরগির বাচ্চা ফুটানোর যন্ত্রপাতি ও ব্রুডারের কার্যপদ্ধতি ও পর্যবেক্ষণ
তথ্যসূত্র

 

 

বাউবি বিএই ১৩০৩ – মাঠ ফসল উৎপাদনের মৌলনীতি ও খামার ব্যবস্থা সূচিপত্র

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় বাউবি বিএই ১৩০৩ – মাঠ ফসল উৎপাদনের মৌলনীতি ও খামার ব্যবস্থা সূচিপত্র

বাউবি বিএই ১৩০৩ – মাঠ ফসল উৎপাদনের মৌলনীতি ও খামার ব্যবস্থা – BAE_1303_full

বাউবি বিএই ১৩০৩ – মাঠ ফসল উৎপাদনের মৌলনীতি ও খামার ব্যবস্থা সূচিপত্র

 

 

সূচিপত্র

ইউনিট – ১ মাঠ ফসল পরিচিতি

পাঠ- ১.১ ফসল পরিচিতি ও পুষ্টিগত গুরুত্ব

পাঠ- ১.২ ফসলের বিভিন্ন শ্রেণিবিভাগ

পাঠ – ১.৩ বিভিন্ন ফসলের ইংরেজি ও উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম

ইউনিট – ২ কৃষি জমি ও ভূমিকর্ষণ

পাঠ- ২.১ কৃষি জমি ও ভূমিকর্ষণের ধারণা ও উদ্দেশ্য

পাঠ ২.২ ভূমিকর্ষণ পদ্ধতি, মাটির আর্দ্রতা ও ভূমিকর্ষণের সময়

ব্যবহারিক

পাঠ ২.৩ মাটির বুনট ও আর্দ্রতা অনুসারে মাটির চাষোপযোগিতা নির্ণয়

ইউনিট – ৩ সাধারণ চাষ প্রণালী

পাঠ। – ৩.১ মাটির প্রকৃতি অনুসারে ভূমিকর্ষণ ও জমি তৈরির নীতিমালা

পাঠ ৩.২ শুকনা ও ভিজা মাটিতে কর্ষণ ও বীজতলা তৈরি

পাঠ ৩.৩ বিভিন্ন ফসলের জন্য জমি তৈরির নীতিমালা

পাঠ- ৩.৪ বীজ বপন, চারা রোপণ

পাঠ- ৩.৫ চারার ঘনত্ব নির্ধারণ ও সম্ভাব্য ফলন

ব্যবহারিক

পাঠ ৩.৬ দেশী লাঙ্গল ও মইয়ের সাহায্যে ভূমিকর্ষণ

পাঠ ৩.৭  বীজতলা তৈরি

ইউনিট – ৪ মাটির উর্বরতা সংরণ

পাঠ ৪.১ জমির উর্বরতা সংজ্ঞা ও ভূমিকা

পাঠ ৪.২ জমির উর্বরতার প্রভাবকসমূহ

পাঠ ৪.৩  মাটিতে জৈব পদার্থের উৎস, জৈব পদার্থের কারণে মাটির গুণাগুণের তারতম্য

পাঠ ৪.৪ মাটিতে জৈব পদার্থ বৃদ্ধির প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা

পাঠ ৪.৫ মাটির উর্বরতা শক্তি বজায় রাখার কৃষিতাত্ত্বিক উপায়

ইউনিট – ৫ জৈব সার

পাঠ – ৫.১ জৈব সার সম্পর্কে ধারণা ও সংজ্ঞা

পাঠ- ৫.২ জৈব সার উৎপাদনকারী উদ্ভিদসমূহ

ব্যবহারিক

পাঠ – ৫.৩ সবুজ সার তৈরি

পাঠ ৫.৪ কম্পোস্ট তৈরি

ইউনিট – ৬ মাঠ ফসলের পরিচর্যা

পাঠ – ৬.১ জমিতে সার প্রয়োগ: সারের মাত্রা, প্রয়োগ সময় ও প্রয়োগ পদ্ধতি

পাঠ – ৬.২ অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা চারা পাতলাকরণ, আগাছা দমন, মালচিং

পাঠ – ৬.৩ সেচ ও নিষ্কাশন

পাঠ – ৬.৪  ফসল সংগ্রহ – সংগ্রহের সময়, সংগ্রহ পদ্ধতি, মাড়াই, ঝাড়াই, শুকানো ও গুদামজাতকরণ

ব্যবহারিক

পাঠ-৬.৫ পাট খেতের চারা পাতলাকরণ ও সার প্রয়োগ

 

 

তথ্যসূত্র

ইউনিট – ১ খামার ব্যবস্থার ধারণা

পাঠ – ১.১ খামারের সংজ্ঞা ও প্রকার

পাঠ – ১.২ খামার ব্যবস্থার ধরন ও বৈশিষ্ট্য

পাঠ – ১.৩ বাংলাদেশের খামার ব্যবস্থার বর্তমান রূপ

পাঠ – ১.৪ খামার ব্যবস্থার অঙ্গসমূহ এবং পারস্পরিক সম্পর্ক

পাঠ – ১.৫ ফসল – পশুপাখি আন্তঃক্রিয়া

পাঠ – ১.৬ ফসল – মাৎস্যসম্পদ আন্তঃক্রিয়া

পাঠ – ১.৭ পশুপাখি-মাৎস্য-কৃষিবন আন্তঃক্রিয়া

পাঠ – ১.৮ ফসল-পশুপাখি-মাৎস্য কৃষিবন আন্তঃক্রিয়া

ইউনিট – ২ খামার বাণিজ্যিকীকরণ ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন

পাঠ- ২.১ খামার বাণিজ্যিকীকরণ

পাঠ- ২.২ উদ্যোক্তার সংজ্ঞা ও ধরন

পাঠ- ২.৩ কৃষিতে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, সমস্যা ও সম্ভাবনা

পাঠ- ২.৪ উদ্যোক্তা উন্নয়নের পথ ও নির্দেশনা – একক পণ্যমুখী ও বহু পণ্যমুখী খামার

ইউনিট – ৩ সমন্বিত খামার ব্যবস্থা ও পরিবেশ কৃষি

পাঠ- ৩.১ সমন্বিত খামার ব্যবস্থা ও কৃষি পরিবেশ

পাঠ- ৩.২ পরিবেশ দূষণ ও য়িষ্ণু কৃষি পরিবেশ

পাঠ- ৩.৩ পরিবেশ কৃষি ও খামার ব্যবস্থার উৎপাদনশীলতা সংরক্ষণ

পাঠ- ৩.৪ সমন্বিত খামারের শর্তাবলী ও ল্য

পাঠ- ৩.৫ পোলট্রি ভিত্তিক সমন্বিত খামার (মুরগি/হাঁস, ফসল, মাছ)

পাঠ- ৩.৬ ডেয়রী ভিত্তিক সমন্বিত খামার (গরু/মহিষ, ফসল, মাছ, মুরগি/হাঁস, ছাগল)

পাঠ- ৩.৭ মাত্‍স্য ভিত্তিক সমন্বিত খামার (মাছ, মুরগি/হাঁস, ফসল)

 

 

পাঠ- ৩.৮ ফসল ভিত্তিক সমন্বিত খামার (ফসল, গরু/মহিষ, ছাগল, মুরগি/হাঁস মাছ, মৌমাছি)

পাঠ- ৩.৯ কৃষি পরিবেশ সংরণে কৃষিজীবের ভূমিকা

 

 

 

বাউবি বিএই ১২০৪ – মৃত্তিকা বিজ্ঞান সূচিপত্র | বিএজিএড

মৃত্তিকা বিজ্ঞান সূচিপত্র। এই পাঠটি “বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়” এর “কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল” এর “মৃত্তিকা বিজ্ঞান” কোর্স যার কোড ১২০৪।

এই বিষয়টির পিডিএফ ডাউনলোড:

 

মৃত্তিকা বিজ্ঞান

 

মৃত্তিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবী সৃষ্টির পর উত্তপ্ত গলিত পদার্থ ক্রমশ ঠান্ডা হয়ে কঠিন শিলার সৃষ্টি হয়। এ সব কঠিন শিলা লক্ষ লক্ষ বছর ধরে তাপ, চাপ, শৈত্য, বায়ু প্রবাহ ইত্যাদি শক্তির প্রভাবে ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পদার্থের সৃষ্টি করে। এরাই মৃত্তিকা গঠনের উৎস বস্তু (Parent material)। এদের সাথে বিভিন্ন জীবজন্তু ও উদ্ভিদের দেহাবশেষের সংমিশ্রণে মৃত্তিকার সৃষ্টি হয়। মৃত্তিকা সৃষ্টিকারী উৎস বস্তুর ধর্ম এবং জলাবায়ুর উপাদানসমূহের প্রভাবের ওপর মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য অনেকাংশে নির্ভরশীল।

মৃত্তিকা উদ্ভিদ ও প্রাণীর খাদ্য উৎপাদনের প্রাকৃতিক মাধ্যম। খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ ও ধরন মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্যের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। সেজন্য বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ফসল উদ্ভিদের প্রাধান্য দেখা যায়। খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যম হিসাবে মৃত্তিকার কোন উপযুক্ত বিকল্প নেই। তাই উৎপাদনের মাধ্যম হিসেবে মৃত্তিকা ব্যবহারের পূর্বে একে ভালোভাবে জানা আবশ্যক। এ ইউনিটে মৃত্তিকা সম্পর্কে ধারণা, মৃত্তিকা গঠনকারী উপাদান, শিলা ও শিলাক্ষয়, মৃত্তিকা গঠন প্রক্রিয়া এবং মৃত্তিকার পার্শ্বচিত্র নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

 

ইউনিট ১ মৃত্তিকা ও মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য

পাঠ ১.১: মৃত্তিকা সম্পর্কে ধারণা
পাঠ ১.২: মৃত্তিকা গঠনের উপাদান
পাঠ ১.৩: শিলা ও খনিজ
পাঠ ১.৪: শিলাক্ষয়
পাঠ ১.৫: মৃত্তিকা গঠন প্রক্রিয়া
পাঠ ১.৬: মৃত্তিকা পার্শচিত্র

 

ইউনিট ২ মৃত্তিকার ভৌত বৈশিষ্ট্য

পাঠ ২.১: মৃত্তিকার ভৌত বৈশিষ্ট্যের ধারনা ও গুরুত্ব
পাঠ ২.২: মৃত্তিকার গঠন ও বুনট
পাঠ ২.৩: মৃত্তিকার সংযুক্তি
পাঠ ২.৪: মৃত্তিকার ঘনত
পাঠ ২.৫: মৃত্তিকার বর্ণ ও তাপমাত্রা

ব্যবহারিক

পাঠ ২.৬: শিলা ও খনিজ পরিচিতি
পাঠ ২.৭: মৃত্তিকা নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ পদ্ধতি
পাঠ ২৮: মৃত্তিকা বুনট পরীক্ষা

 

ইউনিট ৩ মৃত্তিকার রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য

পাঠ ৩.১: মৃত্তিকার রাসায়নিক উপাদান
পাঠ ৩.২: মৃত্তিকা দ্রবণ
পাঠ ৩.৩: অশ্রু ও ক্ষার
পাঠ ৩.৪: মৃত্তিকা কোলয়েড
পাঠ ৩.৫: আয়ন বিনিময় প্রক্রিয়া

ব্যবহারিক

পাঠ ৩.৬: মাটির আর্দ্রতা পরীক্ষা
পাঠ ৩.৭: মাটির অস্রমান পরীক্ষা

 

ইউনিট ৪ মৃত্তিকার জৈবিক বৈশিষ্ট্য

পাঠ ৪.১: মৃত্তিকার জৈবিক উপাদান
পাঠ ৪.২: জৈব পদার্থের গুরুত্ব
পাঠ ৪.৩: মৃত্তিকা জীব
পাঠ ৪.৪: মৃত্তিকা অণুজীব
পাঠ ৪.৫ মৃত্তিকা অণুজৈবিক প্রক্রিয়া

ব্যবহারিক

পাঠ ৪.৬: শিমজাতীয় গাছের শিকড়ের নড়্যুল পরীক্ষা

 

ইউনিট ৫ বাংলাদেশের মৃত্তিকার শ্রেণিকরণ

পাঠ ৫.১: মৃত্তিকার শ্রেণিকরণের প্রয়োজনীয়তা
পাঠ ৫.২: বাংলাদেশের মৃত্তিকার শ্রেণিগত পরিচিতি
পাঠ ৫.৩: মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ
পাঠ ৫.৪: ভূমি সম্পদ ব্যবহার নির্দেশিকা

ব্যবহারিক

পাঠ ৫.৫: মৃত্তিকা সম্পদ ব্যবহার নির্দেশিকা অনুশীলন
পাঠ ৫.৬: মানচিত্রে বাংলাদেশের মৃত্তিকা শ্রেণি প্রদর্শন

 

 

আরও দেখুন:

বাউবি বিএই ১১০২ – বীজ ও বীজ প্রযুক্তি সূচিপত্র

বীজ ও বীজ প্রযুক্তি সূচিপত্র। এই পাঠটি “বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়” এর “কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল” এর “বীজ ও বীজ প্রযুক্তি সূচিপত্র” কোর্স যার কোড ১১০২।

এই বিষয়টির পিডিএফ ডাউনলোড:

 

বাউবি বিএই ১১০২ – বীজ ও বীজ প্রযুক্তি সূচিপত্র

ফসল উৎপাদনে বীজ একটি মৌলিক উপকরণ। কারণ বীজ কেবল ফলন বৃদ্ধিই নয় ফসলের মান উন্নয়ন, কীট-পতঙ্গ ও রোগ প্রতিরোপ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নিদিষ্ট ভূ-প্রাকৃতিক অবম্ছায় জন্মানোর উপযোগীতা নিয়ন্ত্রণ করে। বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া ফসল উৎপাদনের তানুকুল হওয়া সেও এখানে প্রপান খাদ্যশস্য যেমনপান, গম, গোল আলু মিষ্টি আলু তৈল ও ডাল বীজের হেক্টর অপ্রতুলতা এবং কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির অভাব। হেক্টরপ্রতি ফলন বৃদ্ধি এবং চাহিদা মোতাবেক উৎপাদন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভালো বীজ ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।

আর ভালো বীজ বাংলাদেশে বর্তমানে কমবেশি ৭০টি ফসলের চাষ হচ্ছে এবং এসব ফসল চাষ করার জন্য বছরে প্রায় ৭ লক্ষ টন বীজের প্রয়োজন হয় যার মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। ৭০টি ফসলের মধ্য রেবল ধান, গম, পাট, আলু কিছু সবজি, ডাল ও তৈলবীজ সরকারী ব্যবস্হাপনায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

 

ইউনিট ১ – বীজ:

পাঠ ১.১ : বীজের সংজ্ঞা, প্রকৃত ও কৃষি বীজের মধ্যে পার্থক্য এবং বীজের গুরুত

পাঠ ১.২ : বীজের শ্রেণীবিভাগ ও বীজের অপরিহার্য অঙ্গসমূহ

পাঠ ১.৩ :  বীজমান বৈশিষ্ট্যসমূহ

পাঠ ১.৪ : বীজের সুষ্ততা এবং সুন্ততার কারণসমূহ

পাঠ ১.৫ :  বীজের সুপ্ততা ভাঙ্গার উপায়

ব্যবহারিক

পাঠ ১.৬ : বীজের আর্দ্রতা পরীক্ষা

পাঠ ১.৭ : বীজের বিশুদ্ধতা পরীক্ষা

পাঠ ১.৮ , পাঠ ১.৯ : বীজের অংকুরোদগম পরীক্ষা , বীজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা

 

 

 

ইউনিট ২ – বীজ উৎপাদন:

পাঠ ২.১ : বীজ উৎপাদন: স্থান নির্বাচন, জমি তৈরি ও সার প্রয়োগ, বীজ নির্বাচন, বীজ বপন, নিরাপদ দ রতৃ ও পরিচর্যা

পাঠ ২.২ : আগাছা দমন ও রোগিং

পাঠ ২.৩ : বীজ ফসল উত্তোলন/কর্তন

 

 

ইউনিট ৩ – বীজ প্রযুক্তি

পাঠ ৩.১ : বীজ প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা

পাঠ ৩.২ : বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ

পাঠ ৩.৩ : বীজমান নিয়ন্ত্রণ

 

 

 

বাউবি বিএই ১২০১ – কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ সূচিপত্র

কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ সূচিপত্র । এই পাঠটি “বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়” এর “কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল” এর “কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ” কোর্স যার কোড ১২০১।

কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ

কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ – বাউবি বিএই ১২০১ – বই PDF ডাউনলোড

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের অর্থনীতি কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই এদেশের সমস্ত কর্মকান্ড ও উন্নয়ন কৃষিকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নতি ও সমৃদ্ধি কৃষি উন্নয়নের সংগে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে এদেশে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও উত্তরাঞ্চল থেকে আগত নদ—নদীর ঢলে কোন কোন বছর বন্যা দেখা দেয়। বর্ষাকালে প্রতি বছর নদ—নদী বিধৌত অঞ্চলে প্রচুর পলি পরে। ফলে নদ—নদী বিধৌত অঞ্চলের মাটি স্বভাবতঃই বেশি উর্বর। বাংলাদেশের জলবায়ু সমভাবাপন্ন।

প্রায় সারা বছরই কোন না কোন ফসল জন্মে। বছরের কোন সময় কী ধরণের ফসল জন্মাবে তা জলবায়ুর বিভিন্ন উপাদানের উপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে ফসল উৎপাদনের জন্য জমি চাষ, বীজ বপন বা চারা রোপণ, নিড়ানী দেয়া, সেচ প্রয়োগ, আপদনাশক ছিটানো থেকে শুরু করে ফসল কর্তন, মাড়াই, প্রক্রিয়াজাতকরণ, ইত্যাদি কাজগুলোকে আবহাওয়া প্রভাবান্বিত করে। আবহাওয়ার তারতম্যের ভিত্তিতে ফসল উৎপাদন খরিপ—১, খরিপ—২ ও রবি — এই তিন মৌসুমে বিভক্ত করা হয়। খরিপ মৌসুমের সব ফসলই বৃষ্টি নির্ভর। রবি মৌসুমে সেচ প্রয়োগের মাধ্যমে বোরো ধান ও গমের আবাদ করা হয়।

 

কৃষি পরিচিতি:

ইউনিট — ১ বাংলাদেশের কৃষি: ভূমি, জলবায়ু ও ফসল উৎপাদন 

পাঠ — ১.১ কৃষির ধারণা ও গুরুত্ব এবং বাংলাদেশের ভূমির প্রকৃতি
পাঠ — ১.২ বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান
পাঠ — ১.৩ জীবজন্তু ও গাছপালার উপর জলবায়ুর প্রভাব
পাঠ — ১.৪ ভূমি ব্যবহার ও ফসল পরিসংখ্যান
পাঠ — ১.৫ কৃষি উপকরণ ব্যবহারের বর্তমান অবস্থা
পাঠ — ১.৬ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ফসলের অবদান

 

ইউনিট — ২ পশু—পাখি, মৎস্য ও বন সম্পদ 

পাঠ — ২.১ বাংলাদেশের পশুপাখির পরিচিতি, পশুপাখির পরিসংখ্যান
পাঠ — ২.২ পশুপাখির জাত পরিচিতি, জাতীয় অর্থনীতিতে পশুপাখির অবদান
পাঠ — ২.৩ বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের পরিচিতি ও পরিসংখ্যান
পাঠ — ২.৪ বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য সম্পদের অবদান
পাঠ — ২.৫ বাংলাদেশের বনজ সম্পদের গুরুত্ব

 

ইউনিট — ৩ কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, খাদ্য পরিচিতি, আমদানি ও রপ্তানি 

পাঠ — ৩.১ বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের গুরুত্ব
পাঠ — ৩.২ মাঠ ফসল, হাঁস—মুরগি, গবাদিপশু ও মৎস্য খামারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি।
পাঠ — ৩.৩ বাংলাদেশের খাদ্যের বর্তমান অবস্থা
পাঠ — ৩.৪ বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানিযোগ্য কৃষি পণ্যের তালিকা ও পরিমাণ
পাঠ — ৩.৫ বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় কৃষি পণ্যের উৎপাদনের পরিমাণ

 

 

পরিবেশ :

ইউনিট — ১ পরিবেশ ও ইকোসিস্টেম 

পাঠ — ১.১ পরিবেশ সম্পর্কিত ধারণা, পরিবেশের উপাদান
পাঠ — ১.২ ইকোসিস্টেমের সংজ্ঞা, উদ্ভিদ, প্রাণী ও ইকোসিস্টেম
পাঠ — ১.৩ বিভিন্ন ধরনের ইকোসিস্টেম
পাঠ — ১.৪ পরিবেশের ওপর উদ্ভিদ ও বনায়নের প্রভাব
পাঠ — ১.৫ বাংলাদেশের পরিবেশ নীতি ও পরিবেশগত অবস্থা
পাঠ — ১.৬ বাংলাদেশের কৃষি পরিবেশ অব্জলসমূহের পরিচিতি

 

ইউনিট — ২ পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার 

পাঠ — ২.১ পরিবেশ দূষণের ধারণা ও প্রকারভেদ
পাঠ — ২.২ বায়ু দূষণ
পাঠ — ২.৩ পানি দূষণ
পাঠ — ২.৪ জনসংখ্যা ও পরিবেশ দূষণ
পাঠ — ২.৫ মৃত্তিকা দূষণ

 

ইউনিট — ৩ গ্রীন হাউজ ইফেক্ট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

পাঠ — ৩.১ গ্রীন হাউজ ইফেক্ট
পাঠ — ৩.২ গ্রীন হাউজ গ্যাসসমূহ ও এদের উৎস
পাঠ — ৩.৩ জীব জগৎ ও গ্রীন হাউজ ইফেক্ট
পাঠ — ৩.৪ ওজোন স্তরের ক্ষয় এবং জীবজগতে এর প্রভাব
পাঠ — ৩.৫ বায়োগ্যাস ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

 

Bag Ed – ব্যাচেলর অব এগ্রিকালচারাল এডুকেশন

Bag Ed – ব্যাচেলর অব এগ্রিকালচারাল এডুকেশন। ১৯৯৭ সালে সার্ডে এ প্রোগ্রামটি চালু হয়। এ প্রোগ্রামের লেভেল হলো কৃষি শিক্ষায় স্নাতক ও বিএড সমমান। বিএজিএড ডিগ্রীধারীগণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়/ দাখিল মাদ্রাসায় কৃষি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করলে তারা বিএড ডিগ্রীধারীগণের ন্যায় সমান বেতন স্কেল এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।

এছাড়া বিএজিএড ডিগ্রীধারীগণের এমএড করার এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার সুযোগ রয়েছে।

Bag Ed – ব্যাচেলর অব এগ্রিকালচারাল এডুকেশন

 

কোর্সের মেয়াদ:

বিএজিএড প্রোগ্রামটি ০৩ (তিন) শিক্ষাবর্ষ বা ০৬ (ছয়) সিমেস্টার মেয়াদী। প্রতিটি সিমেস্টারের ব্যাপ্তি ০৬ (ছয়) মাস। ভর্তিকৃত একজন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ সর্বোচ্চ ০৬ (ছয়) শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ ভর্তির সিমেস্টার থেকে শুরু করে পরবর্তী ১২ (বার) সিমেস্টার পর্যন্ত্ বহাল থাকবে। তবে কোন শিক্ষার্থী ০৬ (ছয়) শিক্ষাবর্ষে প্রোগ্রামের সকল কোর্সে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে মেয়াদ শেষ হওয়ার ২ বছরের মধ্যে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল পুনরায় ০২ (দুই) শিক্ষাবর্ষের জন্য তাকে ভর্তির অনুমতি দিবে। এ ধরনের ভর্তি রেজিস্ট্রেশনকে পুনঃরেজিস্ট্রেশন (De-novo Registration) হিসাবে গণ্য করা হবে এবং আবেদনকারীকে আবেদনের পূর্বে প্রোগ্রামের শতকরা সত্তর ভাগ (৭০%) কোর্স সফলভাবে সমাপ্ত করেছেন মর্মে স্কুলকে নিশ্চিত করতে হবে।

 

কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা:

এইচএসসি (বিজ্ঞান/কৃষি গ্রুপ অথবা কৃষি বিজ্ঞান বিষয়সহ যে কোন গ্রুপ) অথবা চার বা তিন বছর মেয়াদি কৃষি ডিপোমা/সমমানের সার্টিফিকেটধারী এবং ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ বা জিপিএ ২.০ (দুই) প্রাপ্ত হতে হবে। যে কোন পেশা ও বয়সের ব্যক্তি এ প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত প্রার্থীর বেলায় ৩য় বিভাগ গ্রহণযোগ্য। আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সংশিষ্ট ভর্তি কমিটির নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।

কোর্সের মোট ক্রেডিট:

সর্বমোট ক্রেডিট হলো ৯৫ (পঁচানব্বই)। প্রতি ক্রেডিট ১৫ ঘন্টার লেকচার + ১৫ ঘন্টার পাঠ বা ৩০ ঘন্টার শিক্ষা কার্যক্রমের সমতুল্য হবে।

 

প্রগ্রামের কোর্স সমুহ:

প্রথম সিমেস্টারের কোর্সসমূহ:

ক্রম কোর্স কোড বাংলা নাম ইংরেজী নাম   ক্রেডিট
বিএই ১২০১ কৃষি পরিচিতি পরিবেশ Introductory Agriculture & Environment
বিএই ১১০২ বীজ বীজ প্রযুক্তি Seed & Seed Technology
বিএই ১৩০৩ মাঠ ফসল উৎপাদনের মৌলনীতি খামার ব্যবস্থা Technology Basic Principles of Field Crop Production & Farming Systems
বিএই ১২০৪ মৃত্তিকা বিজ্ঞান Soil Science
বিএই ২৩০৩ খামার যন্ত্রপাতি Farm Machinaries
বিএই ১৩০৬ মাছের চাষ ব্যবস্থাপনা Aquaculture & Management
বিএই ২৩০৪ গৃহপালিত পশুপালন Husbandry of Domestic Animals

 

মোট ক্রেডিট = ১৭

 

 

দ্বিতীয় সিমেস্টারের কোর্সসমূহ:

 

ক্রম কোর্স কোড বাংলা নাম ইংরেজী নাম   ক্রেডিট
বিএই ২৩০১ মাঠ ফসল উৎপাদনের কৌশল Techniques of Field Crop Production
বিএই ২২০২ উদ্ভিদ পুষ্টি সার Plant Nutrition & Fertilizer Management
বিএই ২১০৬ ব্যবস্থাপনা বন জীব বৈচিত্র্য Forest & Biodiversity Fish Feed & Nutrition
২২০৫ মাছের খাদ্য পুষ্টি Husbandry of Domestic Birds &
১৩০৫ গৃহপালিত পাখি পালন হাঁসমুরগির হ্যাচারি ব্যবস্থাপনা Hatchery Management
বিএই ৫২০৭ পরিসংখ্যান Statistics
বিএই ৩২০৬ শিক্ষা মনোবিজ্ঞান Educational Psychology 1

 

মোট ক্রেডিট = ১৫

 

 

তৃতীয় সিমেস্টারের কোর্সসমূহ:

 

ক্রম কোর্স কোড বাংলা নাম ইংরেজী নাম   ক্রেডিট
বিএই ৫২০১ ফসলের রোগ আগাছা Crop Diseases & Weeds
বিএই ৬২০৪ ফুল সুদৃশ্য গাছের চাষাবাদ Cultivation of Ornamental Plants
বিএই ৪৩০১ ফল চাষ Fruit Culture
বিএই ৩২০২ সেচ পদ্ধতি ব্যবস্থাপনা Irrigation System & Management
বিএই ৩২০৩ বনায়ন Afforestation
বিএই ৪৩০৩ গৃহপালিত পশুর রোগ প্রতিকার Diseases & Remedies of Domestic Animals
বিএই ৪২০৭ শিক্ষা মনোবিজ্ঞান Educational Psychology 2

 

 

মোট ক্রেডিট ১৬

 

 

চতুর্থ সিমেস্টারের কোর্সসমূহ:

 

ক্রম কোর্স কোড বাংলা নাম ইংরেজী নাম   ক্রেডিট
বিএই ৪৩০২ ফসলের পোকা মাকড় ইঁদুর দমন Control of Crop Insects, Mites & Rats
বিএই ৬২০২ কৃষি অর্থনীতি Agricultural Economics
বিএই ৫২০৩ মাছের স্বাস্থ্য পরিচর্যা Fish Health Care
বিএই ৫২০২ গৃহপালিত পাখির রোগ প্রতিকার Diseases & Remedies of Domestic Birds
বিএই ৩৩০৭ শিক্ষানীতি Principle of Education 1
বিএই ৪২০২ শিক্ষা মূল্যায়ন নির্দেশনা Educational Evaluation & Guidance 1
বিএই ৫২০৬ শিক্ষার ইতিহাস History of Education 1

 

মোট ক্রেডিট ১৬

 

 

পঞ্চম সিমেস্টারের কোর্সসমূহ:

 

ক্রম কোর্স কোড বাংলা নাম ইংরেজী নাম   ক্রেডিট
বিএই ৩৩০১ সবজি চাষ Vegetable Culture
বিএই ৩২০৪ বনজ নার্সারী Forest Nursery
বিএই ৬২০৩ মৎস্য আহরণ সংরক্ষণ Fish Harvesting and Preservation
বিএই ৪১০৪ গাভীর জাত উন্নয়ন দুগ্ধ খামার স্থাপন Dairy Breed  Improvement and Establishment of Dairy Farm
বিএই ১২০৭ মাতৃভাষা বাংলা Mother Tongue Bangla
বিএই ২২০৭ ইংলিশওর্যাল কম্যুনিকেশন এন্ড স্টাডি  স্কিলস English-Oral  Communication & Study Skills
বিএই ৪২০৫ শিক্ষানীতি Principle of Education 2
বিএই ৫২০৫ শিক্ষা মূল্যায়ন নির্দেশনা Educational Evaluation & Guidance 2

 

মোট ক্রেডিট ১৬

 

 

ষষ্ঠ সিমেস্টারের কোর্সসমূহ:

 

ক্রম কোর্স কোড বাংলা নাম ইংরেজী নাম   ক্রেডিট
বিএই ৬২০১ কৃষি সম্প্রসারণ Agricultural Extension
বিএই ৫২০৮ কম্পিউটার পরিচিতি ব্যবহার  Introduction to Computer and its uses
বিএই ৩২০৫ ইংলিশরিডিং এন্ড রাইটিং স্কিলস্ English-Reading & Writing Skills
বিএই ৫২০৪ শিক্ষানীতি Principle of Education 3
বিএই ৬২০৬ শিক্ষার ইতিহাস History of Education 2
বিএই ৬২০৫ শিক্ষা প্রশাসন ব্যবস্থাপনা Educational Administration and Management
বিএই ৬৩০৭ শিক্ষা মনোবিজ্ঞান Educational Psychology 3

 

মোট ক্রেডিট ১৫

মৃত্তিকা পার্শচিত্র

মৃত্তিকা পার্শচিত্র নিয়ে আজকের আলোজনা। আমরা জানি, পঙ্গুলিকরণ, ল্যাটেরাইজিকরণ ও চুনীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মৃত্তিকা সৃষ্টি হয়। পুকুর খনন, খাল খনন কিংবা নির্মাণ কাজের জন্য ভূমি খনন আপনারা নিশ্চয় দেখে থাকবেন। এসব খন কাজের সময় লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, ভূপৃষ্ঠে উপর থেকে যতই গভীরে যাওয়া যায় মাটির বর্ণ ততই পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ উপরের স্তরের মাটির বর্ণ নিচের স্তরের মতো নয়। গভীরতার সাথে সাথে বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন বর্ণের মাটি দেখা যায়। সূতরাং মাটিকে লম্বচ্ছেদ করলে উপর থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে নানা বৈশিষ্ট্য ও গুণাগুণ সম্পন্ন বিভিন্ন গভীরতা বিশিষ্ট অনেকগুলো স্তর দেখা যায়। এ স্তরগুলোকে একত্রে মৃত্তিকা পার্শ্বচিত্র (Soil Profile) বলে।

 

 

মৃত্তিকা পার্শচিত্র

একটি মৃত্তিকা পার্শ্বচিত্রে সাধরণতঃ ২-৩ টি স্তর দেখা যায়। এরা ভূ-পৃষ্ঠের সমান্তরালে একটির পর একটি বিন্যস্ত থাকে। স্তরগুলো একটি হতে অপরটি এক বা একাধিক ধর্ম যেমনঃ বুনট, সংযুক্তি, বৰ্ণ, স্তরের পুরুত্ব ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে পৃথকীকৃত। বুনট হলো কোন মৃত্তিকায় অবস্থিত বালি, পলি ও কর্দম কণার আপেক্ষিক অনুপাত। আর মৃত্তিকার দলা গঠনের ক্ষমতাকে সংযুক্তি বলে। মৃত্তিকার বুনট ও সংযুক্তি নিয়ে পরবর্তী ইউনিটে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

মৃত্তিকার পার্শ্বচিত্রে বিভিন্ন স্তরের বুনট, গভীরতা, বর্ণ ও রাসায়নিক প্রকৃতি প্রভৃতি মৃত্তিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যাবলীর নিয়ন্ত্রণ করে। এসব বৈশিষ্ট্যাবলীর ওপর ভিত্তি করে কৃষি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে মৃত্তিকার গুরুত্ব নির্ধারিত হয়। মৃত্তিকার পার্শ্বচিত্র সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকলে মৃত্তিকা সম্পদের সুষ্টু ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।

 

 

হরাইজন কী (What is Horizon):

মৃত্তিকাকে লম্বচ্ছেদ করলে নানা বৈশিষ্ট্য ও গুণাগুণ সম্পন্ন এবং বিভিন্ন গভীরতাবিশিষ্ট কতগুলো স্তর দেখা যায় যারা ভূ-পৃষ্ঠের সমান্তরালে একটির পর একটি বিন্যস্ত থাকে, এ সকল স্তরের প্রত্যেকটিকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে হরাইজন (Horizon) বলে। নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে হরইজনগুলো একটি অন্যটি থেকে পৃথক থাকে।

ক) স্তরের বুনট

খ) সংযুক্তি

গ) বর্ণ

ঘ) স্তরের পুরুত্ব

একটি আদর্শ মৃত্তিকা প্রোফাইলের বিভিন্ন স্তরের বর্ণনা :

আলোচনা ও বর্ণনার সুবিধার্থে মৃত্তিকা গঠন প্রক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন স্তরগুলোকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ O, A, B ও C স্তর। নিম্নে এদের বর্ণনা করা হলো :

(১) o স্তর বা জৈব স্তর :

এটি খনিজ স্তরের উপরের স্তর। কোন কোন প্রোফাইলে এ স্তর দেখা যায়, আবার কোন কোন প্রোফাইলে দেখা যায় না। উদ্ভিদ ও প্রাণী দেহের অবশেষ জমা হয়ে স্তর সৃষ্টি হয়। সাধারণতঃ বন অঞ্চলে এই স্তর দেখা যায়। কিন্তু তৃণ ভূমিতে তা দেখা যায় না। এ স্তরের আবার দু’টি উপস্তর আছে। উপস্তর গুলো নিম্নরূপ ঃ

(ক) 0, উপস্তর : একে Aoo স্তরও বলা হয়। এ জৈব স্তরে উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষের প্রকৃত গঠন খালি চোখে সহজেই শনাক্ত করা যায়।

(খ) O2 উপস্তর : একে Ao স্তরও বলা হয়। O স্তরের সংলগ্ন এবং কিছুটা নিচে অবস্থিত। এখানে প্রাণী ও উদ্ভিদ দেহবাশেষের প্রকৃত গঠন ততটা আলাদাভাবে শনাক্ত করা যায় না।

(২) A স্তর :

একে ‘এলুভিয়েল স্তর’ ও (Eluvial layer) বলা হয়। একটি খনিজ স্তর যাহা ভূপৃষ্ঠে অথবা ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি। অবস্থান করে। এ স্তর হতে বিভিন্ন প্রকার খনিজের চুয়ানী বা এলুভিয়েশন’ ঘটে। খনিজ স্তরের উপরের দিক হতে ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে স্তরকে যথাক্রমে A1, A2, A3 ইত্যাদি উপস্তরএ বিভক্ত করা যায়। যেমনঃ

(ক) A উপস্তর :

খনিজ স্তরের সবচেয়ে উপরের স্তর। ইহা প্রচুর হিউমাস মিশ্রিত জৈব পদার্থ ধারণ করে। ফলে এই উপস্তর নিচের স্তরগুলো অপেক্ষা গাঢ় বর্ণ ধারণ করে।

 

 

(খ) A, উপস্তর ঃ

এই উপস্তর হতে কদম, লৌহ,, অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড ইত্যাদি সবচেয়ে বেশি। পরিমাণে চুয়ানী বা এলুভিয়েশন ঘটে। A2 উপস্তর সাধারণত Ar অপেক্ষা হালকা বর্ণের হয়।

(গ) A3 উপস্তর :

এটি A ও B স্তরের সংযোগকারী একটি স্তর। তথাপি ইহা B স্তর অপেক্ষা A ও A2 উপস্তরের ধর্মাবলী বেশি প্রদর্শন করে। কোন কোন প্রোফাইলে এই উপস্তরটি অনুপস্থিত থাকে।

 

(৩) B স্তর :

একে ইলুভিয়েল স্তর (Illuvial layer) ও বলা হয়। স্তরের Fe, A1 এর যৌগ কাদা ও হিউমাসের সাথে মিশ্রিত অবস্থায় থাকে। যৌগগুলো সাধারণত A স্তর হতে চুয়ানীর মাধ্যমে আসে। অনেক সময় শুকনো ও উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে CaCO3, CaSO ও অন্যান্য লবণ এ স্তরের নিচের দিকে জমতে দেখা যায়। স্তর আবার B1, B2 ও B3 উপস্তরে বিভক্ত।

(ক) B, উপস্তর :

এটি A ও B স্তরের সংযোগকারী স্তর এবং ধর্মাবলী A স্তরের এর তুলনায় B স্তরের সাথে বেশি সাদৃশ্য বহন করে। কোন কোন প্রোফাইলে এই স্তরটি অনুপস্থিত থাকে।

(খ) B2 উপস্তর :

A2 ও তার নিচের স্তর হতে নেমে আসা কর্দম কণা, লৌহ ও অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডের অধিকাংশই এ স্তরে জমা হয়। জৈব বস্তু ধারণ ক্ষমতা A2 স্তরের তুলনায় অধিক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এদের সংযুক্তি ব্লকী অথবা প্রিজমেটিক অথবা উভয়ই হয়ে থাকে।

(গ) B3 উপ স্তর : এ স্তর B এবং C স্তরের মাঝামাঝি। এর ধর্ম C স্তর অপেক্ষা অনেকটা B ও B2 স্তরের কাছাকাছি।

 

(8) C স্তর :

এটি বিকৃত শিলা দ্বারা গঠিত সোলামের (Solum) [ A ও B স্তর] নিচের স্তর। এটি উৎস বস্তুর অনুরূপ হতে অথবা নাও হতে পারে। এ স্তরে অণুজৈবিক কার্যাবলী অনুপস্থিত এবং আয়তনী ঘনত্ব বেশি। ইহার উপরের স্তর শিলাক্ষয় প্রক্রিয়ায় কালক্রমে সোলামের (প্রকৃত মাটি) অংশ তৈরি করে।

(৫) D স্তর / R স্তর :

একে ভূগর্ভস্থ শিলা স্তরও বলা হয়। এই স্তরের উৎস বস্তুর (Parent material) যেমন : বেলে পাথর, চুনা পাথর, গ্র্যানাইট প্রভৃতির সমন্বয়ে গঠিত। সব মৃত্তিকা প্রোফাইলে সব স্তর নাও থাকতে পারে। কারণ ভূমিক্ষয়ের দরুন উপর হতে দু’একটি স্তর বা উপস্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে।

 

সোলাম কী? (What is Solum):

উৎস দ্রব্যের (Parent material) উপরে অবস্থিত মৃত্তিকা প্রোফাইলের উপরের অংশ যেখানে মৃত্তিকা গঠনের প্রক্রিয়া গুলো সংঘটিত হয় তাকে সোলাম (Solum) বলে। উন্নত মাটিতে এটি A ও B স্তর নিয়ে গঠিত। একে প্রকৃত মাটিও বলা হয়। শিলাক্ষয় প্রক্রিয়ায় উৎস বস্তুর বা C স্তরের উপরের অংশ কালক্রমে পরিবর্তিত হয়ে এ সোলামের অংশ তৈরি হয়।

 

 

রিগোলিথ কী (What is regolith):

মৃত্তিকা পার্শ্বচিত্রে A, B ও C স্তর মিলে যে গঠন প্রাপ্ত হয় তাকে রিগোলিথ বলে। C স্তর সামান্য বিকৃত শিলা দ্বারা গঠিত বলে রিগোলিথে বিকৃত শিলা দেখা যায়। সেজন্য একে উৎসদ্রব্য বা আদি উপাদানের স্তরও বলা হয়৷
সোলাম ও রিগোলিথের মধ্যে পার্থক্য (Differences between solum and regolith) সোলাম ও রিগোলিথের মধ্যে নিম্নলিখিত পার্থক্যগুলো পরিলক্ষিত হয়।

সূচি:

  • মৃত্তিকা পার্শচিত্র ,পাঠ ১.৬, ইউনিট ১ , ১২০৪, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, বিএজিএড, বাউবি

 

শিলা ও খনিজ

শিলা ও খনিজ নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি উন্মক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান ১২০৪ বই এর ১ নং ইউনিটের ১.৩ নম্বর পাঠ।

শিলা ও খনিজ

 

সিলিকন (খনিজ)

 

শিলা কী (What is Rocks) ?:

সিলেটের জাফলং বা শ্রীপুর থেকে আগত পাথর ভর্তি ট্রাক কিংবা আমাদের সড়ক ও রেলপথ তৈরির পাথর সবাই দেখে থাকবেন। বনভোজন কিংবা ভ্রমণের জন্য যারা জাফলং কিংবা শ্রীপুরে গিয়েছেন তারা পাহাড়ী ঝরণায় পাথরের আগমন দৃশ্য নিশ্চয় অবলোকন করেছেন। ভূ-তত্ত্ববিদদের মতে, পাহাড়ী ঝরণা ধারায় নেমে আসা এ সব পাথরকে শিলা বলে। তাপ, চাপ ও রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে এরা ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে উঁচু পাহাড়ী এলাকা থেকে পানির স্রোতে গড়িয়ে নিচের দিকে নেমে আসে।

গড়িয়ে গড়িয়ে নিচের দিকে আসার ফলে ঘর্ষণের কারণে এরা মসৃন ও সুন্দর আকার প্রাপ্ত হয়। সুতরাং ভূ-তত্ত্ববিদদের মতে, শিলা হলো দুই বা ততোধিক খনিজের সংমিশ্রণ বা দলা যা ভূত্বকের অপরিহার্য অংশসমূহ গঠন করেছে এবং যাদের ধর্ম ধারণকৃত খনিজের ভিত্তিতে পরিবর্তনশীল। যেমনঃ গ্র্যানাইট, চুনাপাথর ইত্যাদি। (According to the Geologists rock is a mixture or aggregate part of the earth’s crust, the properties of which will vary on the basis of minerals they contain. Such as granite, limestone etc.)।

 

শিলা

 

শিলার প্রকারভেদ (Classification of rocks):

গঠন ও উৎস অনুসারে শিলাকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায় :

  • আগ্নেয় শিলা ( Igneous rocks)
  • পাললিক শিলা (Sedimentary rocks)
  • রূপান্তরিত শিলা (Metamorphic rocks)

 

আগ্নেয় শিলা (Igneous rocks):

পৃথিবীর আদিম অবস্থার উত্তপ্ত ও গলিত লাভা কিংবা আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের সময় উত্থিত উত্তপ্ত গলিত লাভা ঠান্ডা হয়ে যে শিলার সৃষ্টি হয় তাকে আগ্নেয় শিলা বলে।

 

পাললিক শিলা (Sedimentary Rock)

 

আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্য:
  • উত্তপ্ত গলিত অবস্থা হতে ঠান্ডা হয়ে এ জাতীয় শিলার উৎপত্তি হয় বলে আগ্নেয় শিলায় কোন স্তর থাকে না।
  • উত্তপ্ত গলিত পদার্থের মধ্যে জীব-জন্তুর অস্তিত্ব অসম্ভব। বৃক্ষলতাও তাতে জন্মে না। এ কারণে আগ্নেয়শিলার ভিতর জীবাশা দেখতে পাওয়া যায় না।
  • গলিত অবস্থা হতে তাপ বিকিরণ করে ক্ষেত্র বিশেষে এ জাতীয় শিলা কেলাসিত হয় বা নির্দিষ্ট আকার ধারণ করে।
  • উত্তপ্ত গলিত পদার্থ ভূ-পৃষ্ঠে ঠান্ডা হলে তাকে বহিঃজ আগ্নেয় শিলা (Extrusive igneous rocks) বলে। অপর পক্ষে উত্তপ্ত গলিত পদার্থ ভূ-পৃষ্ঠে আসতে না পেরে পৃথিবীর অভ্যন্তরেই ধীরে ধীরে তাপ বিকিরণ করে ঠান্ডা হয়ে কঠিন আকার ধারণ করে। এ রূপে গঠিত আগ্নেয় শিলাকে অন্তঃজ (Intrusive) আগ্নেয় শিলা বলে।

ব্যাসল্ট, পিউমিকস্টোন, লাপিলি ইত্যাদি হলো বহিঃজ আগ্নেয় শিলা। অন্যদিকে গ্র্যানাইট, গ্যারো, সায়েনাইট, পরিফাইরি ইত্যাদি অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা।

 

পাললিক শিলা (Sedimentary rocks):

তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ, হিমবাহ, সাগরতরঙ্গ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে আগ্নেয় শিলা ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ছোট ছোট নুড়ি, কাকর ও বালিতে পরিণত হয়। অতঃপর অংশসমূহ উল্লিখিত প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা বাহিত হয়ে সমুদ্র, হ্রদ বা উপমহাদেশের তলদেশে পলল বা তলানীরূপে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়। পরে তা বায়ুর চাপে জমে শক্ত ও দৃঢ় আকার প্রাপ্ত হয়। এ ধরনের শিলাকে পাললিক শিলা বলে। পলল বা তলানী হতে এ শিলা গঠিত হয় বলে একে পাললিক শিলা বলে। আবার স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয় বলে এ শিলাকে স্তরীভূত (Stratified) শিলা বলে। ইহা অকেলাসিত ।

 

পাললিক শিলা (Sedimentary Rock)

 

পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য:
  • এ শিলা মূল শিলার (Older rocks) ক্ষয়প্রাপ্ত অংশ হতে সৃষ্টি হয়।
  • পাললিক শিলা স্তরে স্তরে সৃষ্টি হয় বলে এর মধ্যে স্তর থাকে।
  • এ শিলার মধ্যে জীবাশা দেখা যায়। ইহা উত্তপ্ত অবস্থা হতে সৃষ্ট নয় বলে অকেলাসিত ।
  • ইহা গৌণ বা মাধ্যমিক (Secondary) শিলা নামে পরিচিত।
  • ইহা ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক প্রক্রিয়ায় উন্নত (Developed ) হতে পারে। বালিপাথর (Sand stone), শেল (Shale), ডলোমাইট (Dolomite), সিল্ট স্টোন (Silt stone), চুনাপাথর (Lime. stone) ইত্যাদি পাললিক শিলার উদাহরণ।

 

রূপান্তরিত শিলা (Metamorphic rocks):

প্রচন্ড তাপ ও চাপের যৌথ প্রভাবে মূল আগ্নেয় ও পাললিক শিলা কালক্রমে পরিবর্তিত হয়ে অধিকতর কঠিন ও স্ফটিকাকার যে নতুন শিলার সৃষ্টি হয় তাকে রূপান্তরিত শিলা বলে। এ ভাবে চুনাপাথর (পাললিক শিলা) রূপান্তরিত হয়ে মার্বেলে, বেলেপাথর (পাললিক শিলা) পরিবর্তিত হয়ে কোয়ার্টজাইট, কাদা পরিবর্তিত হয়ে স্লেটে (Slate), গ্র্যানাইট (আগ্নেয় শিলা) পরিবর্তিত হয়ে নীসে ( Gneisses) পরিণত হয়।

আগ্নেয়শিলা পরিবর্তিত হয়ে রূপান্তরিত শিলায় রূপান্তরিত হলে তাকে আগ্নেয় রূপান্তরিত শিলা বলে। যেমন : গ্র্যানাইট নীসে ( Gneisses ), পরিণত হওয়া। অনুরূপভাবে পাললিক শিলা পরিবর্তিত হয়ে রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হলে তাকে পাললিক রূপান্তরিত শিলা বলে। যেমনঃ বেলে পাথর পরিবর্তিত হয়ে কোয়ার্টজাইট পরিণত হওয়া।

 

কোয়ার্টজাইট, এক ধরনের রূপান্তরিত শিলা (Metamorphic Rock)

 

রূপান্তরিত শিলার বৈশিষ্ট্য:

আগ্নেয় ও পাললিক শিলা উভয় শিলা পরিবর্তিত হয়ে রূপান্তরিত শিলার সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ ইহা আগ্নেয় ও পাললিক শিলার জাতক। প্রচন্ড তাপ ও চাপের যৌথ প্রভাবে এ নতুন প্রকৃতির শিলার সৃষ্টি হয়। ইহা কেলাসিত হয় বলে ইহাকে পাললিক শিলা থেকে পৃথক করা যায়। এ জাতীয় শিলার খনিজ উপাদানগুলি সমান্তরাল থাকে বলে আগ্নেয় শিলা থেকে সহজে পৃথক করা যায়।

 

খনিজ (Minerals) কী?

প্রাকৃতিক অজৈব প্রক্রিয়ায় তৈরি সমসত্ব স্ফটিকাকার বস্তু যার সুনির্দিষ্ট আণবিক গঠন ও রাসায়নিক সংযুক্তি রয়েছে তাকে খনিজ বলে। দুই বা ততোধিক খনিজ একত্রিত হয়ে শিলা গঠন করে। সুতরাং খনিজ হলো শিলা গঠনের উপাদান।

 

খনিজ প্ৰধানত দু’প্রকার :

প্রাইমারী খনিজ (Primary minerals) : উত্তপ্ত গলিত ম্যাগমা শীতল ও কঠিন হওয়ার ফলে সৃষ্ট খনিজকে প্রাইমারী খনিজ বলে। যেমনঃ কোয়ার্টজ (SiO2) অর্থোক্লেজ ( KAISiO3) মাস্কোভাইট [KAl Si O 10 (OH)2], বায়োটাইট ( KAI (Mg-Fe), Si, O 10 (OH)2], ইত্যাদি প্রাইমারী খনিজ।

সেকেন্ডারী খনিজ (Secondary minerals) : তাপ, চাপ ইত্যাদি প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে প্রাথমিক খনিজ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যে খনিজ সৃষ্টি হয় তাকে সেকেন্ডারী খনিজ বলে। যেমনঃ ক্যালসাইট (CaCO3), জিপসাম (CaSO4, 2H2O), লিমোনাইট, (Fe2O3, 3H2O), ডলোমাইট [(CaMg (CO3)2] শিলা ও খনিজের মধ্যে পার্থক্য ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মে শিলা ও খনিজ পদার্থে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। নিচে শিলা ও খনিজের উল্লেখযোগ্য পার্থক্য তুলে ধরা হলো।

 

সালফার (খনিজ)

 

সূত্র:

  • শিলা ও খনিজ, পাঠ ১.৩, ইউনিট ১ , ১২০৪, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, বিএজিএড, বাউবি

 

 

মৃত্তিকা গঠনের উপাদান

মৃত্তিকা গঠনের উপাদান নিয়ে আজকের আলোচনা। কঠিন শিলা থেকে বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে মৃত্তিকার সৃষ্টি হয়। শিলা থেকে প্রথমে খনিজের সৃষ্টি হয়। শিলা ও খনিজ থেকে মাটি সৃষ্টি হতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। দীর্ঘ সময় ব্যাপিয়া শিলা ও খনিজের উপর বিভিন্ন ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক পরিবর্তন সাধিত হয়ে মৃত্তিকায় পরিণত হয়। বিশেষ করে তাপমাত্রা, বারিপাত (Precipitation), বিভিন্ন রকমের উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর চলমান ক্রিয়ায় শিলা ও খনিজ নির্দিষ্ট সময় পর মৃত্তিকায় পরিণত হয়।

মৃত্তিকা গঠনের উপাদান

সুতরাং যেসব উপাদান নতুন মৃত্তিকা গঠনের জন্য দায়ী তাদেরকে মৃত্তিকা গঠনের উপাদান বলে। ঐসব উপাদানের যৌথ ক্রিয়ার ফলে মৃত্তিকা প্রোফাইল গঠিত হয়। ভূত্বকের কোন স্থানের মৃত্তিকা প্রধানত পাঁচটি উপাদানের যুগপৎ ক্রিয়ার ফলে গঠিত হয়। এ পাঁচটি উপাদান হলো ঃ

১। মৃত্তিকার উৎস বস্তু (Parent material)

২। জলবায়ু (Climate )

৩। জীবসত্ত্বা (Biosphere)

৪। ভূমির বন্ধুরতা (Topography)

৫। সময় (Time)

জেনীর সমীকরণ (Jenny’s equation):

মৃত্তিকা গঠন প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকা গঠনকারী উপাদানগুলোর প্রভাব ভিন্ন ভিন্ন উপায় ও তীব্রতায় সংঘটিত হয়। সবগুলো উপাদানই আবশ্যকভাবে পরস্পর নির্ভরশীল। তবে নির্দিষ্টস্থানে বিশেষ কোন উপাদান মৃত্তিকা গঠনের কাজে অধিক সক্রিয় হতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্যান্য উপাদানগুলো অবশ্যই সক্রিয় থাকবে তবে তা তুলনামূলকভাবে কম সক্রিয় হতে পারে। মৃত্তিকা গঠনকালে ভিন্ন ভিন্ন উপাদানের সক্রিয়তার তারতম্যের উপর মৃত্তিকার ধর্ম নির্ভরশীল। বিজ্ঞানী Jenny মৃত্তিকা গঠনকারী উপাদানসমূহ এবং মৃত্তিকার ধর্মের মধ্যে সম্পর্ক দেখিয়ে একটি সাধারণ সমীকরণ প্রকাশ করেছেন। ইহা জেনীর সমীকরণ নামে পরিচিত। সমীকরণটি নিম্নরূপ ঃ

S=f (p, cl, b, r, t…………)।

এখানে ঃ
S =মৃত্তিকার ধর্ম (Any soil property)
f= ক্রিয়া (Function of )
P= উৎস বস্তু (Parent material)
cl =জলবায়ু (Climate)
b = জীবসত্ত্বা (Biosphere)
r= বন্ধুরতা (Relief)
t= সময় (Time)

 

মৃত্তিকা গঠনকারী উপাদানসমূহের শ্রেণিবিভাগ:

মৃত্তিকা বিজ্ঞানী Joffe মৃত্তিকা গঠনকারী উপাদানগুলোকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন। যথা :

  • সক্রিয় উপাদান (Active factor)
  • অক্রিয় উপাদান (Passive factor)

উৎস বস্তু শিলা (Parent material) এবং ভূনিম্নস্থ শিলার (Bed rock) উপর কাজ করে মৃত্তিকা গঠন করিবার জন্য যে সমস্ত উপাদান শক্তি সরবরাহ করে থাকে তাদেরকে সক্রিয় উপাদান (Active factor) বলে। মৃত্তিকা গঠনের পাঁচটি উপাদানের মধ্যে জলবায়ু (Climate) ও জীবসত্ত্বা (Biosphere) হলো সক্রিয় উপাদান। অপরপক্ষে, উৎস বস্তু, ভূমির বন্ধুরতা (Topography/relief) এবং সময় এরা মৃত্তিকা গঠনে সরাসরি কোন শক্তি সরবরাহ করে না বলে তাদেরকে অক্রিয় উপাদান বলে।

মৃত্তিকা গঠনে উৎস দ্রব্য (Parent material):

মৃত্তিকা গঠন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অঘনীভূত ও রাসায়নিকভাবে কম বেশি ক্ষয় প্রাপ্ত যে সকল খনিজ ও শিলা দ্রব্য থেকে মৃত্তিকা প্রোফাইল উৎপন্ন হয় তাকে মাটির উৎস দ্রব্য বলে।

মৃত্তিকা বিজ্ঞানী Jenny’র মতে, S = f(p) { cl, b, c, ….. }

এ সমীকরণে মাটির গুণের সহিত মৃত্তিকা গঠনকারী উপাদান উৎস দ্রব্য (Parent material) বা P এর কাজের ফাংশন বুঝানো হয়েছে যখন cl. b. . . ……. স্থির থাকে। ভূতাত্বিক প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্টের বিভিন্ন উৎস দ্রব্য হতে মৃত্তিকার উৎপত্তি হয়। উৎস দ্রব্যের প্রকৃতির ওপর উদ্ভূত মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ মাটির বুনট উৎস দ্রব্যের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, যা মৃত্তিকায় পানির নিম্নমূখী প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলশ্রুতিতে সূক্ষ্ম মৃত্তিকা কলা ও উদ্ভিদ পুষ্টি উপাদানের সঞ্চায়ন (illuviation) এবং চুয়ীসরন (eluviation) প্রভাবিত হয়। শিলাক্ষয় (Weathering) প্রক্রিয়া ও এর গতি প্রকৃতি উৎস বস্তুর (Parent material) রাসায়নিক ও খনিজ উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে, যা উৎপন্ন উদ্ভিদরাজির প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করে।

উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে, লাইম স্টোন সমৃদ্ধ উৎস বস্তু হতে সৃষ্ট মৃত্তিকার প্রোফাইল সৃষ্টি হতে দীর্ঘ সময় লাগে, যা আর্দ্র আবহাওয়া দ্বারা ত্বরান্বিত হয়। শক্ত বিশুদ্ধ চুনাপাথর হতে গভীর বালি প্রধান মাটি তৈরি হয়। অপরদিকে মিশ্রিত নরম চুনাপাথর হতে গভীর ও সূক্ষ্ম বুনট সম্পন্ন মাটি তৈরি হয়। উষ্ণ এশিয়ার অধিকাংশ মাটি গ্রানাইট, নীস, বেসন্ট, বালিপাথর, চুনাপাথর, শেইল ও পলিজ অধঃক্ষেপ হতে উৎপন্ন হয়েছে।

ক্লে কর্দমের গুণগত বৈশিষ্ট্যাবলী ও মৃত্তিকা পার্শ্বচিত্র সমভাবে উৎস বস্তু দ্বারা প্রভাবিত হয়। আগ্নেয় শিলা, স্থুল কোয়ার্টজ নুড়ি, বালিপাথর ইত্যাদি ধীর গতিতে ক্ষয় প্রাপ্ত হয় এবং সাধারণ অনুর্বর মাটি গঠন করে। ইহাতে কেওলিনাইট জাতীয় কর্দম কণা উপস্থিত থাকে এবং ক্ষারীয় দ্রবা কম থাকে। অধিকাংশ ক্ষারীয় আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে সূক্ষ্ণ বুনট সম্পন্ন এবং ক্ষারক সম্পন্ন উর্বর মাটি গঠন করে। এতে মন্টমরিলোনাইট জাতীয় কর্দম কণা বেশি থাকে।

জলবায়ু (Climate ):

Jenny’ র মতে, S = f (cl) {p, b, r, ……) এ সমীকরণে মাটির গুণের সাথে মৃত্তিকা গঠনকারী উপাদান জলবায়ু বা এর কাজের ফাংশানকে বুঝানো হয়েছে, যখন অন্যান্য উপাদান অপরিবর্তিত থাকে। জলবায়ু হলো মৃত্তিকা গঠনের প্রত্যক্ষ এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। একটি মৃত্তিকা প্রোফাইল শত শত বছর ধরে মৃত্তিকা গঠনকারী উপাদানসমূহের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্রিয়ার ফল। জলবায়ু সাধারণত বৃষ্টিপাত এবং তাপমাত্রার মাধ্যমে মৃত্তিকা গঠনে প্রভাব বিস্তার করে।

বৃষ্টিপাত:

বৃষ্টিপাত নানাভাবে মাটি গঠনে অংশ গ্রহণ করে। বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি চুয়ানোর মাত্রা বৃদ্ধি পায় ফলে ক্ষারীয় পদার্থ ক্রমেই চুইয়ে নিচে চলে যায়। তখন মাটি অয় হয় এবং সেখানে Fe এবং Al এর প্রাধান্য দেখা যায়। অল্প বৃষ্টি হলে উপরের স্তর হতে CaCO3 ও MgCO3 নিচে নেমে মধ্য স্তরে জমা হয়। ফলে চুন সমৃদ্ধ একটা হরাইজন (Horizon) এর সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া বৃষ্টিপাত কম হলে বাষ্পীভবন বেশি হয় ফলে নিচের ক্ষারীয় উপাদান বাষ্পীভবনজনিত টানে পানির সাথে উপরে উঠে। আর পানি বাষ্প হয়ে উড়ে গেলে সে পদার্থগুলো মাটির উপরের স্তরে জমা হয় এবং তখন মাটি ক্ষারীয় বিক্রিয়া প্রদর্শন করে।

বৃষ্টিপাত উদ্ভিদের বৃদ্ধিকে বাড়ায়, ক্ষুদ্র জীবাণুর বংশবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং তাদের কর্মতৎপরতাকে উৎসাহিত করে। ফলে মাটিতে বেশি পরিমাণে জৈবপদার্থের বিয়োজন হয়ে মৃত্তিকা গঠনের কাজ তরান্বিত করে।
বৃষ্টিপাত ঢালু জমিতে প্রাকৃতিক ভূমিকম্পের মাধ্যমে মাটির প্রোফাইলকে আক্রান্ত করে, ফলে মৃত্তিকা ধাপ (Steep) এ পাতলা মাটির স্তর এবং পাহাড়ের পাদদেশে মৃত্তিকা পদার্থের পুরু স্তর জমা হয়।
বৃষ্টির পরিশ্রুত পানি মৃত্তিকার উৎস বস্তু গঠনকারী পদার্থগুলোকে দ্রবীভূত করে এবং অন্যত্র নিয়ে জমা করে মাটি গঠনে সহায়তা করে। বাংলাদেশে নদীজনিত ভূমিক্ষয় ও পানি জমাটের মাধ্যমে সামুদ্রিক উপকূল অঞ্চলে নতুন মৃত্তিকা গঠিত হয়।

তাপমাত্রা:

মৃত্তিকা গঠনের ক্ষেত্রে তাপমাত্রার প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি ১০° সে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে মৃত্তিকার রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্বিগুণ হয়। মেরু অঞ্চলে তাপমাত্রা হচ্ছে মৃত্তিকা গঠনের বিরোধিতাকারী একটি শক্তি। নিচু তাপমাত্রার কারণে সেখানে কোন পরিস্কার রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে না। শুষ্ক অঞ্চলেও পরিস্রবনের পরিমাণ কম। যার কারণ হচ্ছে অধিক বাস্পীভবন। উঁচু পর্বত অঞ্চলে শীতকাল দীর্ঘ হওয়ায় মৃত্তিকা প্রোফাইল এর ভিতর দিয়ে পরিস্রবনের পরিমাণ কম হয়। ফলে হ্রদ জলভূমি পাট গঠিত হয়।

নিচু তাপমাত্রায় অণুজীবের কার্যকলাপ সীমিত হওয়ায় জৈব পদার্থ সঞ্চিত হতে থাকে। ফলে এসব অঞ্চলে জৈব পদার্থের স্তর বেশ বিস্তৃত হয় এবং পিটের নিচে কোন মৃত্তিকা স্তর গঠিত হয় না। অপরপক্ষে, আর্দ্র গ্রীষ্মমন্ডল ও উপ-গ্রীষ্মমণ্ডল অঞ্চলে উদ্ভিদ প্রচুর পরিমাণে জন্মে এবং অবশেষে বিগলিত হওয়ার ফলে Ao স্তরে জৈবপদার্থ খুব কম হয়।

যে সব এলাকায় উত্তাপ ও আর্দ্রতা বেশি সেখানে মাটিতে কর্দম কণা বেশি দেখা যায় কারণ অবক্ষয় প্রক্রিয়া বেশি মাত্রায় হয়। কিন্তু হীম ও শুষ্ক বা হীম ও আর্দ্র এলাকায় ইহা কম হয়। তাপমাত্রা বেশি ও বৃষ্টিপাত কম হলে মৃত্তিকার ধনাত্মক আয়ন বেশি ধরে রাখতে পারে এবং চুয়ানী পানির পরিমাণ কম হয়।

জীব সত্ত্বা (Biosphere):

Jenny’ র মতে, S=f (b) (cl, p, r, t…..} । এই সমীকরণে b দ্বারা জীব সত্ত্বা (Biosphere) বুঝানো হয়েছে যা সবুজ আণুবীক্ষনিক বা অপেক্ষাকৃত বড় জীবসমূহ এবং মানুষের সমন্বয়ে গঠিত। এটি মৃত্তিকা গঠন পদ্ধতিকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। উদ্ভিদ কী প্রকৃতির এবং কী পরিমাণ জৈব পদার্থ প্রদান করিবে তাহার ওপর মৃত্তিকার গঠন নির্ভরশীল। মৃত্তিকার রং, বর্ণ, সংযুক্তি ইত্যাদি ভৌত অবস্থা উদ্ভিদ জাতীয় জৈব পদার্থ দ্বারা পরিবর্তিত হয়। বিশেষ করে উপরের স্তরের ঘাসী জমির মাটিতে জৈব পদার্থ (Organic matter) তুলনামূলকভাবে বনাঞ্চলের মাটি হতে বেশি থাকে।

উচ্চ জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ মাটি গাঢ় বর্ণের যার পানি ও ক্যাটায়ন ধারণ ক্ষমতা বনাঞ্চলের মাটি হতে বেশি। মৃত্তিকা গঠনও ঘাসী উদ্ভিদরাজি দ্বারা প্রভাবিত হয়। এছাড়া মৃত্তিকার অম্লত্ব ও ক্ষারকত্বও উদ্ভিদরাজি দ্বারা প্রভাবিত হয় পার্বত্য এলাকার মাটির চাইতে নিম্নভূমির মাটিতে গাছের বৃদ্ধি এবং জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি হয়।

ভূমির বন্ধুরতা (Topography):

Jenny’র মতে, S = f (r) { cl, b, p. …… | এ সমীকরণে মাটির গুণের সাথে মৃত্তিকার বন্ধুরতার বা এর কাজের ফাংশানকে বুঝানো হয়েছে যখন অন্যান্য উপাদান অপরিবর্তিত থাকে। কোন স্থানের ভূমির বন্ধুরতা বলতে সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে উক্ত স্থানের উচ্চতাকে বুঝায়। মৃত্তিকা গঠনে ভূমির বন্ধুরতা সাধারণত নিম্নরূপ প্রভাব বিস্তার করে থাকে :
ভুমির বন্ধুরতা জলবায়ুর প্রভাবকে ত্বরান্বিত করে বা বিলম্বিত করে। অসমতল জমি অপেক্ষা সমতল জমি থেকে অতিরিক্ত পানি কণা বেশি অপসারিত হয়। কোন স্থানে সারা বছর বা বছরের অধিকাংশ সময় পানি জমা থাকলে উহাতে জলবায়ূর প্রভাব ততটা কার্যকর হয় না।

পাড়ের তীক্ষ্ণঢালে সহজে ভূমিক্ষয় হয় এবং পানি মাটির প্রোফাইলে খুবই কম পরিমাণে প্রবেশ করে। এজন্য কম দৈর্ঘ্যের প্রোফাইল গঠিত হয়। ভূমির বন্ধুরতা নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও মাটির পানির স্তরের উচ্চতা নির্ধারণ করে। বন্ধুরতা বা ঢাল মৃদু হলে অধিক পরিমাণ পানি মৃত্তিকা প্রোফাইলে প্রবেশ করে ফলে অধিক দৈর্ঘ্যের প্রোফাইল প্রতিষ্ঠিত হয়।

কম ঢালবিশিষ্ট প্রোফাইলটিতে অধিক জৈব পদার্থ থাকে। ভূ-পৃষ্টের অসমতলতা সমুদ্রপৃষ্ট হতে উচ্চতা বৃদ্ধি করে জলবায়ু অধিকতর শীতল হয়। মাঝে মাঝে অধিক আর্দ্রতাসম্পন্ন হয় যা মৃত্তিকা গঠনে প্রভাব ফেলে। বন্ধুরতা ফসলী জমির ব্যবহার বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে জমির ব্যবহারের উপর প্রভাব ফেলে যা মাটি গঠনের সহায়ক।

সময় (Time):

Jenny’র মতে S = f (t) { cl, b, p, r} | এ সমীকরণে মাটির গুণের সাথে মৃত্তিকা গঠনকারী উপাদান সময় বা এর কাজের ফাংশানকে বুঝানো হয়েছে, যখন অন্যান্য উপাদান যেমন : cl,b, pr… স্থির থাকে। শিলা হতে মাটি সৃষ্টি হওয়ার জন্য একটা ন্যূনতম সময়ের দরকার। শিলা ও খনিজ পদার্থের ক্ষয় হতে কী পরিমাণ সময় ব্যয়িত হয়েছে তার ওপর মাটির প্রকৃতি নির্ভর করে।

উৎস বস্তু সৃষ্টির পর সময়ের ব্যবধানে সৃষ্ট মাটির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক গুণাবলীর পরিবর্তন ঘটে। যদিও সময়ের এ প্রয়োজনীয়তা জলবায়ু, Parent material এর প্রকার, প্রাণী ও উদ্ভিদের কার্যাবলী ও নিষ্কাশন (Drainage) এর উপর ঘনিষ্টভাবে নির্ভরশীল। সাধারণত একটি পরিণত বা সম্পূর্ণ মাটি (Mature soil) তৈরি হতে দুইশত থেকে কয়েক হাজার বছর লাগতে পারে।

নিম্নলিখিত কারণে মাটি তৈরির কাজ বিলম্বিত হয়।

(ক) কম বৃষ্টিপাত

(খ) কম আপেক্ষিক আর্দ্রতা

(গ) অধিক চুন সম্পন্ন উৎস বস্তু

(ঘ) অধিক বালি

(ঙ) অধিক কর্দম কণা

(চ) ক্ষয়রোধী উৎস বস্তু

(ছ) তীব্র ঢাল

(জ) উচ্চ পানি স্তর

(ঝ) সতত মৃত্তিকা দ্রব্যের অপসারণ

(ঞ) তীব্র বায়ু ও পানি ভূমি ক্ষয়

(ট) অধিক গর্ত খননকারী প্রাণী, ইত্যাদি

 

সূত্র:

মৃত্তিকা গঠনের উপাদান ,পাঠ ১.২, ইউনিট ১ , ১২০৪, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, বিএজিএড, বাউবি