২৬৮৬ এসএসসি বাউবি কৃষি শিক্ষা সূচিপত্র – কৃষি শিক্ষা কোর্সটি “বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়” এর “সেকেন্ডারী স্কুল সার্টিফিকেট প্রোগ্রাম (এস এস সি প্রোগ্রাম)” এর একটি কোর্স। এই “কৃষি শিক্ষা” বিষয়টির কোর্স কোড : এসএসসি ২৬৮৬ ।
এই বইটি রচনা করেছেন – ড. শিরিন সুলতানা, অধ্যাপক ড. মো: আবু তালেব, অধ্যাপক ড. মো: শাহ আলম সরকার, অধ্যাপক ড. আ,ন,ম, আমিনুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো: আবদুল ওয়াদুদ, ড. মোহাম্মদ শরীফ রায়হান। বইটি সম্পাদনা করেছেন অধ্যাপক ড. জি.এম. মুজিবুর রহমান। বইটির সমন্বয়কারী ড. শিরিন সুলতানা। বইটির প্রকাশ কাল : জানুয়ারি, ২০১৯।
বইটির প্রকাশনায় রয়েছে – প্রকাশনা, মুদণ্র ও বিতরণ বিভাগ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর-১৭০৫। বইটির প্রচ্ছদ তৈরি করেছেন কাজী সাইফুদ্দীন আব্বাস, কাভার গ্রাফিক্স করেছেন আবদুল মালেক। বইটির অক্ষর বিন্যাস ও পেইজ লে-আউট করেছেন শাহাবুদ্দিন মোল্লা
বইটির মুদণ করেছে মাস্টার সিমেক্স পেপার লি:, ৬৫/২/১ বক্স কালভাটর্ রোড, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
কোর্স পরিচিতি:
জাতীয় জীবনের উন্নয়নে ও গতিশীল জাতি গঠনে শিক্ষার বিকল্প নেই। সুশিক্ষিত জনশক্তি ছাড়া দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। মাধ্যমিক শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীর অন্তর্নিহিত মেধা ও সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশে সাহায্য করা ও প্রাথমিক স্তরের অর্জিত শিক্ষার মৌলিক জ্ঞান ও দক্ষতা সম্প্রসারিত ও সুসংহত করার মাধ্যমে উচ্চতর শিক্ষার যোগ্য করে তোলা।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রনে দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, প্রযুক্তিগত উন্নতি, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, সমকালীন চাহিদা ও পরিবেশগত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কৃষির স্বতঃস্ফূর্ত প্রয়োগের দিকটি মাথায় রেখে কৃষি শিক্ষা শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে যাতে অন্যান্য ক্ষেত্রের মত বিজ্ঞানেও নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করে দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরি করা যায়।
এ শিক্ষাক্রমকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা দৈনন্দিন জীবনে কৃষি শিক্ষার জ্ঞান প্রয়োগ করতে পারে, হাতে কলমে কাজ করে বিষয়বস্তুকে সহজে অনুধারন ও বিশ্লেষণ করতে পারে। মুখস্থ বিদ্যা নিরুৎসাহিত করে কৃষি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করার জন্য কৃষি শিক্ষার জ্ঞানকে আরও জীবনঘনিষ্ঠ এবং কৃষি শিক্ষা অধ্যয়ন সহজতর ও আনন্দদায়ক করার কৌশল প্রয়োগ করা হয়েছে ।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে মাধ্যমিক স্তরের দূরশিক্ষণ পদ্ধতির শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রেখে মাধ্যমিক স্তরের স্ব-শিখন পাঠসামগ্রী হিসেবে কৃষি শিক্ষা মডিউলটি রচনা করা হয়েছে। উক্ত মডিউল প্রণয়নে শিক্ষার্থীদের সামর্থ্য, প্রবণতা ও পূর্ব অভিজ্ঞতা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। যেহেতু, এখানে মডিউল একই সংগে পাঠ্যসামগ্রী ও শিক্ষকের ভূমিকা পালন করবে, তাই মডিউলটির বিষয়বস্তু যতদূর সম্ভব নিজে পড়ে বোঝার উপযোগী করে রচনা করা হয়েছে।
মডিউলটির বিষয় নির্বাচন ও উপস্থাপনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ সাধনের দিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটের শুরুতে ভূমিকা, ইউনিট সম্পৰ্কীয় নির্দেশনা ও ইউনিট বিভাজন: (পাঠ) দেয়া হয়েছে। আবার, প্রতিটি পাঠের শুরুতে ঐ পাঠের শিখনফল যুক্ত করা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থী শিখনফল অনুযায়ী জ্ঞান অর্জিত হলো কি না তা যাচাই করতে পারে।
শিক্ষার্থীর কাছে পাঠটিকে আকর্ষণীয়, আনন্দদায়ক ও সহজতর করার জন্য বিষয় আলোচনার সময় মাঝে মাঝে শিক্ষার্থীর কাজ সংযোজন করা হয়েছে। প্রয়োজন মাফিক ছবি, ডারগ্রাম, চার্ট, গ্রাফ, ছক ইত্যাদি সংযোজন করা হয়েছে। প্রতিটি পাঠ আলোচনার শেষে ঐ পাঠের গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় সংক্ষিপ্ত আকানের (সারসংক্ষেপ) দেয়া হয়েছে যাতে শিক্ষার্থী পাঠটি পুনরায় ঝালিয়ে নিতে পারে।
শিক্ষার্থীর স্ব-মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে প্রতিটি পাঠের শেষে পাঠোত্তর মূল্যায়নে বহু নির্বাচনি প্রশ্ন-উত্তর এবং ইউনিটের শেষে সৃজনশীল রচনামূলক প্রশ্ন নেয়া হয়েছে। স্ব-শিখন পাঠসামগ্রী হিসেবে দূরশিক্ষণ শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকটি আনন্দিত পাঠ ও প্রত্যাশিত দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করবে বলে আশা করি।
কোর্সবই অনুসরণ করার নির্দেশনা:
এ মডিউলটি দূরশিক্ষণ পদ্ধতির শিক্ষার্থীদের জন্য রচিত হয়েছে। দূরশিক্ষণ পদ্ধতির মূল কথাই হল স্বনির্ভর পাঠ ব্যবস্থাপনা। এ পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নিজ দায়িত্বে নিজের সুবিধামত সময়ে শেখার কাজে নিয়োজিত হন। পাঠসামগ্রী উপস্থাপনায় এ পদ্ধতি মড্যুলার পদ্ধতি নামে পরিচিত।
এখানে মডিউল একসাথে পাঠ্যসামগ্রী ও শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে। এতে শিক্ষার্থীগণ টিউটরের সরাসরি সহায়তা ছাড়া নিজেই পড়াশোনা করতে পারেন। এ কারণেই বইটির বিষয়বস্তু যতদূর সম্ভব নিজে পড়ে বোঝার উপযোগী করে রচনা করা হয়েছে। মডিউলটির ভাবগত ঐক্য রক্ষা করে পাঠের। বিষয়বস্তুকে কতগুলো ইউনিটে ভাগ করা হয়েছে। আবার ইউনিটগুলোকে কতগুলো পাঠে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি পাঠের শেষে আপনি নিজেই নিজের পাঠের অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে পারবেন। এজন্য পাঠের শেষে পাঠোত্তর মূল্যায়ন এবং ইউনিটের শেষে চূড়ান্ত নৃত্যায়ন রয়েছে । শিক্ষার্থীরা যাতে এ মডিউলটি পড়ে অধিকতর সুফল লাভ করতে পারেন। সোনা নিচে কিছু নির্দেশনা তুলে ধরা হল :
ইউনিটের শিরোনাম ও ভূমিকা পড়ে সম্ভাব্য বিষয়বস্তু কী হতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা করুন।
প্রথম পাঠের সবগুলো উদ্দেশ্য’ পড়ে এই পাঠ থেকে কী কী শিখতে পারবেন তা জেনে নিন ।
এরপর ইউনিটের বিষয়বস্তু ভালোভাবে অধ্যয়ন করুন ও আপনার জন্য নির্ধারিত শিক্ষার্থীর কাজগুলো করুন। বিষয়বস্তু অধ্যয়ন শেষে শিখনফলগুলো অর্জিত হলো কি না তা ভালোভাবে যাচাই করুন। যদি শিখনফল অর্জিত না হয় তাহলে বিষয়বস্তু পুনরায় অধ্যয়ন করুন । কোথাও চিত্র থাকলে চিত্রের সাথে বিষয়বস্তু মিলিয়ে পড়ুন ।
কোন মডিউলের বিষয়বস্তু অধ্যয়নের সময় যে বিষয়গুলো অপেক্ষাকৃত কঠিন দুর্বোধ্য মনে হয়েছে তা চিহ্নিত করে আপনার নোট খাতায় লিপিবন্ধ করুন এবং কঠিন বিষয়গুলো সমাধানের জন্য বিষয়বস্তু পুনরায় অধ্যয়ন করুন।
প্রতিটি ইউনিটের বিষয়গুলো ভালোভাবে বোঝার জন্য প্রতিটি ইউনিটের প্রতিটি পাঠে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার্থীর কাজ সংযোজন করা হয়েছে। ইউনিটের বিষয়বস্তু ভালভাবে অধ্যয়ন করে শিক্ষার্থীর কাজগুলো সম্পন্ন করুন।
পাঠশেষে পাঠোত্তর মূল্যায়নের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করুন । ইউনিটের শেষে দেয়া উত্তরমালার সাথে আপনার উত্তর মিলিয়ে দেখুন। সবগুলো প্রশ্নের উত্তর সঠিক না হলে এই পাঠটি আবারও ভালো করে পড়ুন এবং প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিতে চেষ্টা করুন । এরপর চূড়ান্ত মূল্যায়ন অংশের সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা আছে কিনা দেখুন । জানা না থাকলে সংশ্লিষ্ট অংশ আবারও পড়ুন।
টিউটোরিয়াল ক্লাস সম্পর্কিত পরামর্শ:
ওপেন স্কুলের এ মডিউলটি ছাড়াও স্থানীয় স্টাডি সেন্টারে আপনার জন্য প্রতি মাসে টিউটোরিয়াল ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে । আপনি প্রথমেই আপনার কৃষি শিক্ষা বিষয়ে কতটি টিউটোরিয়াল ক্লাস পাবেন তা আপনার স্টাডি সেন্টার থেকে জেনে নিন এবং আপনার স্টাডি সেন্টারের প্রতিটি টিউটোরিয়াল ক্লাসে অংশ গ্রহণ করুন।
টিউটোরিয়াল সার্ভিসকে কার্যপোযোগী করতে আপনার মডিউলটির সব ইউনিটকে টিউটোরিয়াল ক্লাসের সম সংখ্যক অংশে ভাগ করে নিন । প্রথম টিউটোরিয়াল ক্লাসে যাওয়ার আগে আপনার ভাগকৃত প্রথম অংশটি ভালোভাবে অধ্যয়ন করুন। অধ্যয়নের সময় যে বিষয়গুলো অপেক্ষাকৃত কঠিন/দুর্বোধ্য মনে হয়েছে তা চিহ্নিত করান প্রয়োজনে আপনার নোট খাতায় লিপিবদ্ধ করুন। টিউটোরিয়াল ক্লাসে আপনার চিহ্নিত কঠিন/দুর্বোধ্য বিষয়গুলো সমাধানে টিউটরের (শিক্ষকের) সহায়তা নিন।
একই পদ্ধতি অনুসরণ করে ইউনিটের সবগুলো পাঠ অধ্যয়ন শেষ করুন।
এসএসসি বাউবি ২৬০৭ কৃষি শিক্ষা সূচিপত্র – কৃষি শিক্ষা কোর্সটি “বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়” এর “সেকেন্ডারী স্কুল সার্টিফিকেট প্রোগ্রাম (এস এস সি প্রোগ্রাম)” এর একটি কোর্স। এই “কৃষি শিক্ষা” বিষয়টির কোর্স কোড : এসএসসি ২৬০৭।
এই কোর্সটির বই রচনা করেছেন : ড. গুলশান আরা লতিফা ( অধ্যাপক, প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ), ড. মোঃ আবু তালেব ( অধ্যাপক, স্কুল অব এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট,বাউবি), ড. এম. আবদুল করিম ( সহকারী অধ্যাপক, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ), ডা. কাজী আব্দুল ফাত্তাহ ( সাবেক মহাপরিচালক, প্রাণি সম্পাদ অধিদপ্তর, খামারবাড়ী, ঢাকা)।
এই বিষয়টি সম্পাদনা করেছেন – ড. গুলশান আরা লতিফা ( অধ্যাপক, প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ) ড. এম. আবদুল করিম ( সহকারী অধ্যাপক, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), মোঃ আনোয়ারুল হক বেগ ( অধ্যাপক, পশুপালন বিভাগ, শেরবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা)।
এই বিষয়টির রচনাশৈলী সম্পাদক – ড. মোঃ নাসিরুল ইসলাম ( সহযোগী অধ্যাপক, ওপেন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ), ড. এম. আবদুল করিম ( সহকারী অধ্যাপক, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)। এই বিষয়টি রচনা ও প্রকাশনার “সমন্বয়কারী” হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন – মোছাঃ শিরিন সুলতানা (সহকারী অধ্যাপক, ওপেন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় )।
বইটির প্রচ্ছদ করেছেন কাজী সাইফুদ্দীন আব্বাস, চিত্রাঙ্কন করেছেন মাসুদ মাহমুদ মল্লিক ও কাজী সাইফুদ্দীন আব্বাস, কভার গ্রাফিকস করেছেন আবদুল মালেক, কম্পিউটার কম্পোজ করেছেন শাহাবুদ্দিন মোল্লা। এই বইটি প্রথম প্রকাশ কাল : জানুয়ারি, ১৯৯৭। এরপর পুনর্মূদ্রণ হয়েছে : ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০১, ২০০২, ২০০৩, ২০০৪, ২০০৫, ২০০৬, ২০০৭, ২০০৮, ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালে। বইটির মুদ্রণ করেছে স্বরবর্ণ প্রিন্টিার্স ( ঠিকানা : ১৮/২৬/৪, শুকলাল দাস লেন, ঢাকা-১১০০)। এই বইটি প্রকাশনায় রয়েছে – প্রকাশনা, মুদ্রণ ও বিতরণ বিভাগ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর-১৭০৫।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সর্বস্তরের শিক্ষাকে দূরশিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সকল স্তরের জনগনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকার অদূরে গাজীপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন অনুযায়ী ১৯৯২ সালের ২০ অক্টোবর বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়-এর জন্ম। এটি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অন ক্যাম্পাস (সিটি ক্যাম্পাস, ঢাকা) ও আউটার ক্যাম্পাস (স্টাডি সেন্টার সমূহ) দুই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। বহুমুখী শিক্ষা প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সৃজন, চর্চা ও বিকাশকে অধিকতর গণমুখী ও জীবন-ঘনিষ্ঠ করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে একটি সুশিক্ষিত ও আত্মনির্ভরশীল জাতি গড়ে তুলতে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ঢাকা শহরের উত্তরে গাজীপুর জেলার বোর্ড বাজারে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাম্পাস অবস্থিত। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সংগঠনের জন্য সারা দেশে রয়েছে ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র, ৮০টি কো অর্ডিনেটিং আফিস এবং ১০০০টিরও অধিক টিউটোরিয়াল কেন্দ্রের বিশাল নেটওয়ার্ক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রয়েছে সাতটি একাডেমিক অনুষদক বা স্কুল এবং ১১টি প্রশাসনিক বিভাগ।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আইন (১৯৯২) অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকাণ্ড বোর্ড অব গভর্নরস, একাডেমিক কাউন্সিল, স্কুল, পাঠ্যক্রম কমিটি, অর্থ কমিটি প্রভৃতি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত।
বাউবি বিএই ২৩০৪ গৃহপালিত পশুপালন সূচিপত্র। গৃহপালিত পশুপালন বইটি “বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়” এর “ব্যাচেলর অব এগ্রিকালচারাল এডুকেশন” এর “গৃহপালিত পশুপালন” পাঠ্যবই। এই বইটি রচনা করেছেন – ড. মো: আব্দুল হক ( পশুবিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ), শেখ জিনাত আলী ( পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ), ড. আ ন ম আমিনুর রহমান ( কৃষি ও পল্লী উনড়বয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় )।
এই বইটি সম্পাদনা করেছেন – ড. আ ন ম আমিনুর রহমান ( কৃষি ও পল্লী উনড়বয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় )। রচনাশৈলী সম্পাদক ও সমন্বয় করেছেন ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম ( কৃষি ও পল্লী উনড়বয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় )। এই বইএর দ্বিতীয় সংস্করণ সম্পাদনা করেছেন ড. আ ন ম আমিনুর রহমান ( কৃষি ও পল্লী উনড়বয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়)।
‘‘গৃহপালিত পশুপালন’’ বিএজিএড প্রোগ্রামের একটি কোর্সবই। এ কোর্সবইটি দূরশিক্ষণের ছাত্র-ছাত্রীদের উপযোগী করে রচনা করা হয়েছে। কোর্সবইটির বিভিন্ন ইউনিটে গৃহপালিত পশুর গুরুত্ব, গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার জাত ও বৈশিষ্ট্য, বাছুর, গাভী, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া পালন, পশু ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি বিষয়গুলোর ওপর তাত্তি¡ক ও ব্যবহারিক পাঠগুলো অত্যন্ত সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
“গৃহপালিত পশুপালন” কোর্সবইটি বিশেষভাবে কৃষি ও পল্লী উনড়বয়ন স্কুল-এর বিএগএড প্রোগ্রামের ছাত্রদের জন্য লেখা হয়েছে। আপনি জানেন, দূর শিক্ষণে শিক্ষকের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি নেই। তাই পাঠের কোনো কঠিন বিষয় যেন আপনার বুঝতে অসুবিধা না হয় সেদিকে দৃষ্টি রেখেই কোর্সবইটি লেখা হয়েছে। কোর্সবইটির আঙ্গিক ও উপস্থাপনা তাই প্রচলিত পাঠ্যবই থেকে কিছুটা ভিনড়ব ধরনের। যেহেতু সরাসরি শিক্ষকের সাহায্য ছাড়াই কোর্সবইটি আপনাকে নিজে পড়ে বুঝতে হবে, তাই এটি কীভাবে পড়বেন প্রমেই তা জেনে নিন। এতে কোর্সবইটি পড়তে ও বুঝতে আপনার সুবিধা হবে।
কোর্সবইটির রূপরেখা:
“গৃহপালিত পশুপালন” কোর্সবইটি আটটি ইউনিটে বিভক্ত। প্রতিটি ইউনিটে একাধিক পাঠ রয়েছে। পাঠ সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিটি ইউনিটের বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে। ইউনিটের পাঠগুলোকে আলাদা করে সাজানো হলেও এদের মধ্যে একটি যোগসূত্র রয়েছে। বইটির ইউনিট ১, ২ ও ৩ লিখেছেন প্রফেসর ড. আব্দুল হক। ইউনিট ৪, ৫ ও ৮ লিখেছেন প্রফেসর শেখ জিনাত আলী এবং ইউনিট ৬ ও ৭ লিখেছেন ডা. আ ন ম আমিনুর রহমান।
ইউনিটের ভূমিকা:
প্রতিটি ইউনিটের শুরুতেই রয়েছে একটি ভূমিকা। ভূমিকায় ইউনিটের বিষয়বস্তুর উদ্দেশ্য এবং গুরুত্ব সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে। ইউনিটটিতে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সংক্ষেপে তারও উল্লেখ রয়েছে। এতে আপনি ইউনিটের শুরুতেই জেনে যাচ্ছেন পাঠের মূল আলোচ্যসূচি কী?
পাঠের উদ্দেশ্য:
লক্ষ্য করবেন প্রতিটি পাঠের শুরুতে এক বা একাধিক সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য দেয়া আছে। প্রতিটি উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করেই পাঠের বিষয়বস্তু সহজভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। পাঠ শেষে পাঠের উদ্দেশ্যগুলো অর্জন করা সম্ভব হয়েছে কি-না তা নিজে নিজেই মূল্যায়ন করবেন। এর জন্য পাঠ শেষে স্বমূল্যায়ন প্রশড়ব রয়েছে। এতে আপনি পাঠটি কতটুকু বুঝতে পারলেন তা নির্ধারণ করতে পারবেন।
আইকনের ব্যবহার:
পাঠের বিষয়বস্তুগুলো একদৃষ্টিতে বুঝে নেয়ার জন্য প্রয়োজন অনুসারে কোর্সবইটির বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের প্রতীক বা আইকন ব্যবহার করা হয়েছে, যা দেখে আপনি সহজেই বিষয়বস্তুর উপস্থাপনা এবং আপনার করণীয় কী তা বুঝতে পারবেন। নিমেড়ব এ কোর্সবইয়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের আইকনের অর্থ নির্দেশ করা হলো-
বাউবি বিএই ২৩০৩ খামার যন্ত্রপাতি সূচিপত্র। “খামার যন্ত্রপাতি” বই বা বিষয়টি “উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়” এর “ব্যাচেলর অব এগ্রিকালচারাল এডুকেশন” এর একটি বিষয়। এ কোর্সবইটি রেফারি কর্তৃক নিরীক্ষণের পর বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও পল্লী উনড়বয়ন স্কুল এর ছাত্রদের জন্য মুদ্রিত হয়েছে।
এই বইটির লেখক – ড. মোঃ আব্দুস সাত্তার ( প্রফেসর, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ), ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম ( কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়)। বইটি সম্পাদনা করেছেন ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম (কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়), মোঃ সরওয়ার হোসেন চৌধুরী (কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়)। রচনাশৈলী সম্পাদক ও সমন্বয়কারী ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম ( কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়)। দ্বিতীয় সংস্করণ সম্পাদনা করেছেন মোঃ বিলাল হোসেন ( কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়)।
সূচিপত্র
ইউনিট ১ – খামার শক্তি ইঞ্জিন
পাঠ ১.১ ইঞ্জিনের শ্রেণিবিভাগ ও ক্রমবিকাশের ইতিহাস
পাঠ ১.২ ইঞ্জিনের মূল কর্মপদ্ধতি
পাঠ ১.৩ ডিজেল ইঞ্জিনের প্রধান কার্যকরী অংশসমূহ
পাঠ ১.৪ পেট্রোল ইঞ্জিনের প্রধান কার্যকরী অংশসমূহ
পাঠ ১.৫ ডিজেল ও পেট্রোল ইঞ্জিনের পার্থক্য
ব্যবহারিক:
পাঠ ১.৬ সাধারণ টুলস (রেঞ্চ, প্লায়ার্স, হাতুড়ি, স্ক্রু ড্রাইভার ও করাত)-এর পরিচিতি ও ব্যবহার
ইউনিট ২ – ইঞ্জিনের আনুষঙ্গিক সিস্টেমসমূহ
পাঠ ২.১ ইঞ্জিন শীতলীকরণ পদ্ধতি
পাঠ ২.২ ইঞ্জিন তৈলাক্তকরণ পদ্ধতি
পাঠ ২.৩ ইঞ্জিনের জ্বালানি সরবরাহ পদ্ধতি
পাঠ ২.৪ ইঞ্জিনের সাধারণ রক্ষণাবেক্ষণ, ত্রুটিসমূহ ও তার প্রতিকার
পাঠ ২.৫ বৈদ্যুতিক মোটরের প্রকারভেদ ও ব্যবহার
ব্যবহারিক:
পাঠ ২.৬ ডিজেল ইঞ্জিনের প্রধান অংশসমূহ শনাক্তকরণ ও পর্যবেক্ষণ
পাঠ ২.৭ পেট্রোল ইঞ্জিনের প্রধান অংশসমূহ শনাক্তকরণ ও পর্যবেক্ষণ
পাঠ ২.৮ এক ফেজ ও তিন ফেজ বৈদ্যুতিক মোটর পর্যবেক্ষণ
ইউনিট ৩ – পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর
পাঠ ৩.১ পাওয়ার টিলারের বিভিন্ন অংশের বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
পাঠ ৩.২ পাওয়ার টিলারের পাওয়ার ট্রান্সশিন পদ্ধতি, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ
পাঠ ৩.৩ ট্রাক্টরের শ্রেণিবিভাগ ও ব্যবহার
পাঠ ৩.৪ ট্রাক্টরের মূল অংশসমূহের বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
পাঠ ৩.৫ ট্রাক্টরের পাওয়ার ট্রান্সমিশন পদ্ধতি, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ
ব্যবহারিক:
পাঠ ৩.৬ পাওয়ার টিলারের বিভিন্ন অংশের পরিচিতি ও পাওয়ার টিলার চালুকরণ
পাঠ ৩.৭ ট্রাক্টরের প্রধান অংশসমূহ শনাক্তকরণ
ইউনিট ৪ – জমি কর্ষণ যন্ত্রপাতি
পাঠ ৪.১ কোদাল, দেশী লাঙ্গল ও উন্নত দেশী লাঙ্গলের বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
পাঠ ৪.২ মোল্ডবোর্ড প্লাউ এবং ডিস্ক প্লাউয়ের শ্রেণিবিভাগ, বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
পাঠ ৪.৩ রোটারী প্লাউয়ের বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
পাঠ ৪.৪ ডিস্ক হ্যারো, স্পাইকটুথ হ্যারো এবং ¯িপ্রংটুথ হ্যারোর বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
ব্যবহারিক:
পাঠ ৪.৫ দেশী লাঙ্গল, উন্নত দেশী লাঙ্গল, মোল্ডবোর্ড প্লাউ ও ডিস্ক প্লাউয়ের মাঠ পর্যায়ে কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ
পাঠ ৪.৬ রোটারী প্লাউ ও ডিস্ক হ্যারোর বিভিন্ন অংশ শনাক্তকরণ ও মাঠ পর্যায়ে কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ
ইউনিট ৫ – রোপণ, আন্তঃপরিচর্যা ও শস্য রক্ষাকারী সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি
পাঠ ৫.১ সিডড্রিল ও ধানের চারা রোপণ যন্ত্র
পাঠ ৫.২ সার ছিটানো যন্ত্র
পাঠ ৫.৩ ঐতিহ্যগত ও আধুনিক নিড়ানী যন্ত্রসমূহ
পাঠ ৫.৪ হস্ত ও শক্তিচালিত ¯েপ্রয়ার
ব্যবহারিক:
পাঠ ৫.৫ সিডড্রিলের মাঠ পর্যায়ে পরিচালনা ও বীজের সঠিক পরিমাণ নিরূপণ
পাঠ ৫.৬ জাপানীজ রাইস উইডারের মাঠ পর্যায়ে পরিচালনা ও কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ
পাঠ ৫.৭ হস্তচালিত ন্যাপস্যাক ¯েপ্রয়ার পর্যবেক্ষণ ও পরিচালনা
ইউনিট ৬ – সেচ যন্ত্রপাতি
পাঠ ৬.১ দোন ও সেউতির বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
পাঠ ৬.২ ট্রেডেল, রোয়ার ও ডায়াফ্রাম পাম্পের বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
পাঠ ৬.৩ সেন্ট্রিফিউগাল ও রেসিপ্রোকেটিং পাম্পের বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
পাঠ ৬.৪ রোটারী পাম্প, ভারটিকাল টারবাইন পাম্প ও সাবমারসিবল পাম্পের বিবরণ ও কার্যপ্রণালি
ব্যবহারিক:
পাঠ ৬.৫ ট্রেডেল রোয়ার ও ডায়াফ্রাম পাম্প পর্যবেক্ষণ ও পরিচালনা
পাঠ ৬.৬ সেন্ট্রিফিউগাল ও রেসিপ্রোকেটিং পাম্পের বিভিন্ন অংশ শনাক্তকরণ ও পরিচালনা
ইউনিট ৭ শস্য কর্তন, প্রক্রিয়াকরণ এবং মুরগি ও দুগ্ধ খামারের যন্ত্রপাতি
পাঠ ৭.১ প্রচলিত ও আধুনিক শস্য কর্তন ও মাড়াই যন্ত্রপাতি
পাঠ ৭.২ শস্য শুকানোর প্রচলিত ও আধুনিক পদ্ধতি
পাঠ ৭.৩ শস্য গুদামজাতকরণ
পাঠ ৭.৪ মিলিং ও হাস্কিং পদ্ধতি ও যন্ত্রপাতি
পাঠ ৭.৫ মুরগির বাচ্চা ফুটানোর যন্ত্র, ব্রুডার ও দুগ্ধদোহন যন্ত্রপাতি
ব্যবহারিক:
পাঠ ৭.৬ মুরগির বাচ্চা ফুটানোর যন্ত্রপাতি ও ব্রুডারের কার্যপদ্ধতি ও পর্যবেক্ষণ
তথ্যসূত্র
আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল, নিম্নের আর্টিকেলে এই সম্পর্কে সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। পরবর্তী আপডেট এর জন্য আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন।
কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল
স্কুল (School) পরিচিতি
যে কোন ধরনের যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বহুমুখী পন্থায় শিক্ষাকে গণমূখীকরণ ও সর্বসাধারণের নিকট শিক্ষার মান উন্নীত করে দক্ষ জনগোষ্ঠী সৃষ্টির প্রত্যয় নিয়ে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) আইনের ২৩(১) ধারার ক্ষমতা বলে সদর দপ্তর গাজীপুরে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কৃষি ও পলী উন্নয়ন স্কুল [স্কুল অব এগ্রিকালচার এন্ড র রাল ডেভেলপমেন্ট (সার্ড)]। কোন দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান বাহন হচ্ছে তার প্রায়োগিক শিক্ষা ব্যবস্থা।
কৃষি প্রধান বাংলাদেশে এ প্রায়োগিক শিক্ষা ব্যবস্থার মূল হাতিয়ার হলো কৃষি বিষয়ক শিক্ষা। কেননা এদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, বাজার ব্যবস্থা, শিল্প ইত্যাদি মূলতঃ কৃষিকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়ে থাকে। তাই কৃষি শিক্ষার ক্রমবর্ধমান চাহিদা উপলব্ধি করে দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশে দক্ষ কৃষি গ্র্যাজুয়েট তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। বর্তমানে বাউবিতে সার্ডের অধীনে ০৪টি আনুষ্ঠানিক (Formal) প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। এগুলো হলোঃ
সার্ডের তত্ত্বাবধানে বাউবি’র একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত আরো ০৩টি আনুষ্ঠানিক প্রোগ্রাম চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। প্রোগ্রামগুলো হলো ঃ
১। ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন এগ্রিকালচার (বিএসসিএজি)
২। মাস্টার্স অব সায়েন্স (এমএস) ইন ডিফারেন্ট ফিল্ডস্ অব এগ্রিকালচারাল সায়ন্সেস
৩ । মাস্টার্স ইন সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল লাইভলিহুড
এছাড়া উপানুষ্ঠানিক (Nonformal) প্রোগ্রামগুলো হল :
১। সুস্থ বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ
২। মাঠ ফসল উৎপাদন ও সংরক্ষণ
৩। নার্সারী, উদ্যান উন্নয়ন, বনায়ন ও সেচ ব্যবস্থাপনা
৪। ফসলের রোগ ও পোকামাকড় ৫। মাৎস্য চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ
৬। মাছের রোগ ও প্রতিকার
৭। হাঁস মুরগি ও গবাদিপশু পালন
৮। গবাদিপশুর রোগবালাই ও প্রতিকার ৯। পরিবার ও সমাজ গঠনে কৃষিজীবী নারী
১০। কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে ইমাম এবং শিক্ষক সমাজের ভূমিকা
দেশ ও বিদেশ হতে কৃষি বিষয়ক উচ্চ শিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষকগণ বর্তমানে সার্ভে কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষকদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য কোর্সবই ডেভেলপ ও মিডিয়া প্রোগ্রাম (রেডিও ও টেলিভিশন) সার্ডের সংশিষ্ট বিষয় বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের মাধ্যমে তৈরি করা হয়ে থাকে।
সার্ডের শিক্ষকমন্ডলী প্রোগ্রাম পরিচালনার পাশাপাশি নানামুখী গবেষণা কার্যক্রমও অব্যাহত রেখেছেন। গবেষণালব্ধ এসব ফলাফল সার্ডের জার্নাল, প্রসিডিংস ও অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে থাকে । কৃষি বিষয়ক উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সার্ডের নিজস্ব ল্যাবরেটরী ও খামার স্থাপনের করা হয়েছে।
স্কুলের শিক্ষকবৃন্দের পরিচিতি
১ । ড. মোঃ ফরিদ হোসেন
অধ্যাপক (কৃষি) ও ডীন
ই-মেইল : faridhossain04@yahoo.com
২। ড. মোঃ আবু তালেব
অধ্যাপক (কৃষি) ই-মেইল : : prof_taleb@yahoo.com
৩। ড. মোঃ শাহ আলম সরকার
অধ্যাপক (মাৎস্য) ই-মেইল : sarkeralam@yahoo.com
8| ড. মোঃ রকিবুর রহমান
সহযোগী অধ্যাপক (পোল্ট্রি সায়েন্স) ই-মেইল : rokibur76@yahoo.com
৫ ৷ এ কে এম আশরাফুল আলম সহযোগী অধ্যাপক (উদ্যানতত্ত্ব)
ই-মেইল : kazalashraf@gmail.com
৬। ড. আবুল হাসনাত মোহাঃ শামীম
সহযোগী অধ্যাপক (মৃত্তিকা বিজ্ঞান) ই-মেইল : abulhasnats@yahoo.com
০৭| ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম
সহযোগী অধ্যাপক (কৃষি প্রকৌশল) ই-মেইল : seraz_bou@yahoo.com
৮৷ ড. মোঃ তৌহিদুল ইসলাম
সহকারী অধ্যাপক (কৃষি)
ই-মেইল : islamtuhin@yahoo.com
৯। ড. সুকুমার দেবনাথ
সহকারী অধ্যাপক (মাৎস্য) ই-মেইল : sukumar_bou@yahoo.com
১০। ড. মোহাম্মদ আব্দুস সোবাহান
সহকারী অধ্যাপক (কৃষি)
ই-মেইল : sobahan_74@yahoo.com
১১। ড. মো: আনোয়ারুল হক
সহকারী অধ্যাপক (কৃষি)
ই-মেইল : haquejp@gmail.com
১২। ড. মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ
সহকারী অধ্যাপক (পশুপালন) ই-মেইল : hamidethu@yahoo.com
সার্ডে ডীনের দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষকবৃন্দ :
স্কুলের বিভিন্ন প্রোগ্রাম:
কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুলের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আনুষ্ঠানিক প্রোগ্রামসমূহের বিস্তারিত বর্ণনা নিম্নে উল্লেখ করা হলো :
১। ব্যাচেলর অব এগ্রিকালচারাল এডুকেশন ( Bag Ed ):
১৯৯৭ সালে সার্ডে এ প্রোগ্রামটি চালু হয়। এ প্রোগ্রামের লেভেল হলো কৃষি শিক্ষায় স্নাতক ও বিএড সমমান। বিএজিএড ডিগ্রীধারীগণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়/ দাখিল মাদ্রাসায় কৃষি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করলে তারা বিএড ডিগ্রীধারীগণের ন্যায় সমান বেতন স্কেল এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।
এছাড়া বিএজিএড ডিগ্রীধারীগণের এমএড করার এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার সুযোগ রয়েছে।
মেয়াদ
বিএজিএড প্রোগ্রামটি ০৩ (তিন) শিক্ষাবর্ষ বা ০৬ (ছয়) সিমেস্টার মেয়াদী। প্রতিটি সিমেস্টারের ব্যাপ্তি ০৬ (ছয়) মাস। ভর্তিকৃত একজন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ সর্বোচ্চ ০৬ (ছয়) শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ ভর্তির সিমেস্টার থেকে শুরু করে পরবর্তী ১২ (বার) সিমেস্টার পর্যন্ত্ বহাল থাকবে। তবে কোন শিক্ষার্থী ০৬ (ছয়) শিক্ষাবর্ষে প্রোগ্রামের সকল কোর্সে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে মেয়াদ শেষ হওয়ার ২ বছরের মধ্যে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল পুনরায় ০২ (দুই) শিক্ষাবর্ষের জন্য তাকে ভর্তির অনুমতি দিবে। এ ধরনের ভর্তি রেজিস্ট্রেশনকে পুনঃরেজিস্ট্রেশন (De-novo Registration) হিসাবে গণ্য করা হবে এবং আবেদনকারীকে আবেদনের পূর্বে প্রোগ্রামের শতকরা সত্তর ভাগ (৭০%) কোর্স সফলভাবে সমাপ্ত করেছেন মর্মে স্কুলকে নিশ্চিত করতে হবে।
ভর্তির যোগ্যতা
এইচএসসি (বিজ্ঞান/কৃষি গ্রুপ অথবা কৃষি বিজ্ঞান বিষয়সহ যে কোন গ্রুপ) অথবা চার বা তিন বছর মেয়াদি কৃষি ডিপোমা/সমমানের সার্টিফিকেটধারী এবং ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ বা জিপিএ ২.০ (দুই) প্রাপ্ত হতে হবে। যে কোন পেশা ও বয়সের ব্যক্তি এ প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত প্রার্থীর বেলায় ৩য় বিভাগ গ্রহণযোগ্য। আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সংশিষ্ট ভর্তি কমিটির নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।
মোট ক্রেডিট
সর্বমোট ক্রেডিট হলো ৯৫ (পঁচানব্বই)। প্রতি ক্রেডিট ১৫ ঘন্টার লেকচার + ১৫ ঘন্টার পাঠ বা ৩০ ঘন্টার শিক্ষা কার্যক্রমের সমতুল্য হবে।
প্রগ্রামের কোর্স সমুহ
প্রথম সিমেস্টারের কোর্সসমূহ
ক্রম
কোর্স কোড
বাংলা নাম
ইংরেজী নাম
ক্রেডিট
১
বিএই ১২০১
কৃষি পরিচিতি ও পরিবেশ
Introductory Agriculture & Environment
২
২
বিএই ১১০২
বীজ ও বীজ প্রযুক্তি
Seed & Seed Technology
১
৩
বিএই ১৩০৩
মাঠ ফসল উৎপাদনের মৌলনীতি ও খামার ব্যবস্থা
Technology Basic Principles of Field Crop Production & Farming Systems
৩
৪
বিএই ১২০৪
মৃত্তিকা বিজ্ঞান
Soil Science
২
৫
বিএই ২৩০৩
খামার যন্ত্রপাতি
Farm Machinaries
৩
৬
বিএই ১৩০৬
মাছের চাষ ও ব্যবস্থাপনা
Aquaculture & Management
৩
৭
বিএই ২৩০৪
গৃহপালিত পশুপালন
Husbandry of Domestic Animals
৩
মোট ক্রেডিট = ১৭
দ্বিতীয় সিমেস্টারের কোর্সসমূহ
ক্রম
কোর্স কোড
বাংলা নাম
ইংরেজী নাম
ক্রেডিট
১
বিএই ২৩০১
মাঠ ফসল উৎপাদনের কৌশল
Techniques of Field Crop Production
৩
২
বিএই ২২০২
উদ্ভিদ পুষ্টি ও সার
Plant Nutrition & Fertilizer Management
২
৩
বিএই ২১০৬
ব্যবস্থাপনা বন ও জীব বৈচিত্র্য
Forest & Biodiversity Fish Feed & Nutrition
১
৪
২২০৫
মাছের খাদ্য ও পুষ্টি
Husbandry of Domestic Birds &
২
৫
১৩০৫
গৃহপালিত পাখি পালন ও হাঁস-মুরগির হ্যাচারি ব্যবস্থাপনা
Hatchery Management
৩
৬
বিএই ৫২০৭
পরিসংখ্যান
Statistics
২
৭
বিএই ৩২০৬
শিক্ষা মনোবিজ্ঞান ১
Educational Psychology 1
২
মোট ক্রেডিট = ১৫
তৃতীয় সিমেস্টারের কোর্সসমূহ
ক্রম
কোর্স কোড
বাংলা নাম
ইংরেজী নাম
ক্রেডিট
১
বিএই ৫২০১
ফসলের রোগ ও আগাছা
Crop Diseases & Weeds
২
২
বিএই ৬২০৪
ফুল ও সুদৃশ্য গাছের চাষাবাদ
Cultivation of Ornamental Plants
২
৩
বিএই ৪৩০১
ফল চাষ
Fruit Culture
৩
৪
বিএই ৩২০২
সেচ পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা
Irrigation System & Management
২
৫
বিএই ৩২০৩
বনায়ন
Afforestation
২
৬
বিএই ৪৩০৩
গৃহপালিত পশুর রোগ ও প্রতিকার
Diseases & Remedies of Domestic Animals
৩
৭
বিএই ৪২০৭
শিক্ষা মনোবিজ্ঞান ২
Educational Psychology 2
২
মোট ক্রেডিট ১৬
চতুর্থ সিমেস্টারের কোর্সসমূহ
ক্রম
কোর্স কোড
বাংলা নাম
ইংরেজী নাম
ক্রেডিট
১
বিএই ৪৩০২
ফসলের পোকা মাকড় ও ইঁদুর দমন
Control of Crop Insects, Mites & Rats
৩
২
বিএই ৬২০২
কৃষি অর্থনীতি
Agricultural Economics
২
৩
বিএই ৫২০৩
মাছের স্বাস্থ্য পরিচর্যা
Fish Health Care
২
৪
বিএই ৫২০২
গৃহপালিত পাখির রোগ ও প্রতিকার
Diseases & Remedies of Domestic Birds
২
৫
বিএই ৩৩০৭
শিক্ষানীতি ১
Principle of Education 1
৩
৬
বিএই ৪২০২
শিক্ষা মূল্যায়ন ও নির্দেশনা ১
Educational Evaluation & Guidance 1
২
৭
বিএই ৫২০৬
শিক্ষার ইতিহাস ১
History of Education 1
২
মোট ক্রেডিট ১৬
পঞ্চম সিমেস্টারের কোর্সসমূহ
ক্রম
কোর্স কোড
বাংলা নাম
ইংরেজী নাম
ক্রেডিট
১
বিএই ৩৩০১
সবজি চাষ
Vegetable Culture
৩
২
বিএই ৩২০৪
বনজ নার্সারী
Forest Nursery
২
৩
বিএই ৬২০৩
মৎস্য আহরণ ও সংরক্ষণ
Fish Harvesting and Preservation
২
৪
বিএই ৪১০৪
গাভীর জাত উন্নয়ন ও দুগ্ধ খামার স্থাপন
Dairy Breed Improvement and Establishment of Dairy Farm
১
৫
বিএই ১২০৭
মাতৃভাষা বাংলা
Mother Tongue Bangla
২
৬
বিএই ২২০৭
ইংলিশ-ওর্যাল কম্যুনিকেশন এন্ড স্টাডি স্কিলস
English-Oral Communication & Study Skills
২
৭
বিএই ৪২০৫
শিক্ষানীতি ২
Principle of Education 2
২
৮
বিএই ৫২০৫
শিক্ষা মূল্যায়ন ও নির্দেশনা ২
Educational Evaluation & Guidance 2
২
মোট ক্রেডিট ১৬
ষষ্ঠ সিমেস্টারের কোর্সসমূহ
ক্রম
কোর্স কোড
বাংলা নাম
ইংরেজী নাম
ক্রেডিট
১
বিএই ৬২০১
কৃষি সম্প্রসারণ
Agricultural Extension
২
২
বিএই ৫২০৮
কম্পিউটার পরিচিতি ও ব্যবহার
Introduction to Computer and its uses
২
৩
বিএই ৩২০৫
ইংলিশ-রিডিং এন্ড রাইটিং স্কিলস্
English-Reading & Writing Skills
২
৪
বিএই ৫২০৪
শিক্ষানীতি ৩
Principle of Education 3
২
৫
বিএই ৬২০৬
শিক্ষার ইতিহাস ২
History of Education 2
২
৬
বিএই ৬২০৫
শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা
Educational Administration and Management
২
৭
বিএই ৬৩০৭
শিক্ষা মনোবিজ্ঞান ৩
Educational Psychology 3
৩
মোট ক্রেডিট ১৫
DIPLOMA IN YOUTH DEVELOPMENT WORK (DYDW)
This programme has been designed to train the trainers of Youth Development Department and the youth workers of the country. This programme was sponsored by the Commonwealth Youth Programme (CYP) and jointly co-ordinated by the Bangladesh Open University (BOU) and the University of Huddersfield, UK from 1999 to 2014. From 2015, this programme has been started as own proramme of BOU following the curricula and course materials of CYP.
TOTAL CREDIT
Total credit is 41. Each credit consists of 15 to 20 lessons. Each lesson will need approximately 45 minutes to 1 hour study.
DURATION
One and half years (three semesters).
The duration of each semester is six months.
ADMISSION REQUIREMENT
Bachelor degree or equivalent.
REGISTRATION VALIDITY
Three years.
COURSES IN THE PROGRAMME
First Semester
SL
Course Code
Name of Course
Credit
1
DYDW 1301
Commonwealth Values in Youth Development Work
3
2
DYDW 1302
Young People and Society
3
3
DYDW 1303
Principles and Practice of Youth Development Work
3
4
DYDW 1304
Working with People in Their Communities
3
5
DYDW 3203
Youth and Health
2
Total Credit 14
Second Semester
SL
Course Code
Name of Course
Credit
1
DYDW 2301
Gender and Development
3
2
DYDW 2302
Learining Processes
3
3
DYDW 2303
Management Skills
3
4
DYDW 2304
Project Planning, Monitoring and Evaluation
3
5
DYDW 2305
Policy Planning and Implementation
3
Total Credit 15
Third Semester
SL
Course Code
Name of Course
Credit
1
DYDW 3301
Conflict Resolution Strategies and Skills
2
DYDW 3302
Promoting Enterprise and Economic Development
3
DYDW 3204
Sustainable Development and Environmental Issues
4
DYDW 3207
New HRD Module on Action Research
5
*DYDW 3205
Popoulation and Family Life Education
6
*DYDW 3206
Personality Development and Communication
Total Credit 12 of 14
*Optional 1 of 2 courses.
REGIONAL AND STUDY CENTRES
No.
Name and Address of Regional Centre
Name and Address of Study Centre
1
Regional Centre, Dhaka Bagladesh Open University 7. Mirpur Road, Dhanmondi Dhaka-1205 Tel: (02) 9673669
Sheikh Hasina National Youth Centre, Department of Youth Development, Savar, Dhaka Tel: (02) 7708391, 7708200
2
Regional Centre, Bogra Bagladesh Open University Bishwa Road, Banani Bogra. Tel: (051) 62794
Bogra Regional Youth Centre Dept. of Youth Development Tin Matha, Rail Gate, Puraton Bogra, Bogra- 5800. Tel: (051) 66198
৩। সার্টিফিকেট ইন লাইভস্টক এন্ড পোল্ট্রি (CLP)
পরিবার তথা সমাজ বা দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর জন্য মাংস, দৃগ্ধ ও উপজাত দ্রব্যের প্রথাগত বা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পোল্ট্রি ও গবাদি পশুর খামার স্থাপনের লক্ষ্যে কারিগরি জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন জনবল তৈরি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করাই হলো এ প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য।
ভর্তির যোগ্যতা
ন্যূনতম এস.এস.সি. বা সমমান।
প্রোগ্রামের মেয়াদ
CLP প্রোগ্রামটি এক সিমেস্টার মেয়াদী (ছয় মাস)। বছরে দুই বার জানুয়ারি-জুন ও জুলাই-ডিসেম্বর সিমেস্টার অর্থাৎ প্রতি ছয় মাস পর পর এ প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যায় ।
রেজিস্ট্রেশন মেয়াদ
(ক) ভর্তিকৃত একজন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন মেয়াদ ০১ (এক) বছর ০৬ (ছয়) মাস, অর্থাৎ ভর্তিকৃত সিমেস্টারসহ তিন সিমেস্টার পর্যড় বহাল থাকবে।
(খ) কোন শিক্ষার্থী ৩ সিমেস্টারে প্রোগ্রামের সকল কোর্স সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে মেয়াদ শেষ হওয়ার ২ বছরের মধ্যে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল পুনরায় ১ সিমেস্টারের জন্য তাকে ভর্তির অনুমতি দিবে। এ ধরণের ভর্তি রেজিস্ট্রেশনকে পুনঃরেজিস্ট্রেশন (De-novo Registration) হিসাবে গণ্য করা হবে এবং আবেদনকারীকে আবেদনের পূর্বে প্রোগ্রামের শতকরা ৭০ ভাগ কোর্স সফলভাবে সমাপ্ত করেছেন মর্মে স্কুলকে নিশ্চিত করতে হবে।
ক্রেডিট ও কোর্স সংখ্যা
CLP প্রোগ্রামের মোট ক্রেডিট হলো ১৬। প্রতি ক্রেডিট ১৫-২০টি পাঠ নিয়ে গঠিত এবং প্রতি পাঠ ৪৫ মিনিট থেকে ০১ ঘন্টার একটি লেকচারের সমতুল্য। সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য মোট ০৭টি কোর্স সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হতে হবে ।
এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে যুবক ও উদ্যোগী ব্যক্তিরা মাৎস্য বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাবেন। এ প্রোগ্রামের বিভিন্ন কোর্সগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য এমনভাবে রচনা করা হয়েছে যাতে করে তারা মাৎস্য চাষ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় হাতে কলমে শিখে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে পারে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে উঠা বিভিন্ন মৎস্য ও চিংড়ি হ্যাচারিতে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে পারে।
ভর্তির যোগ্যতা
ন্যূনতম এস.এস.সি. বা সমমান।
প্রোগ্রামের মেয়াদ
CPFP প্রোগ্রামটি এক সিমেস্টার মেয়াদী (ছয় মাস)। বছরে দুই বার অর্থাৎ জানুয়ারি-জুন ও জুলাই-ডিসেম্বর সিমেস্টারে এ প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যায়।
রেজিস্ট্রেশন মেয়াদ
(ক) ভর্তিকৃত একজন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন মেয়াদ ০১ (এক) বছর ০৬ (ছয়) মাস, অর্থাৎ ভর্তিকৃত সিমেস্টারসহ তিন সিমেস্টার পর্যন্ত্ বহাল থাকবে।
(খ) কোন শিক্ষার্থী ৩ সিমেস্টারে প্রোগ্রামের সকল কোর্স সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে মেয়াদ শেষ হওয়ার ২ বছরের মধ্যে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল পুনরায় ১ সিমেস্টারের জন্য তাকে ভর্তির অনুমতি দিবে।
এ ধরণের ভর্তি রেজিস্ট্রেশনকে পুনঃরেজিস্ট্রেশন (De-novo Registration) হিসাবে গণ্য করা হবে এবং আবেদনকারীকে আবেদনের পূর্বে প্রোগ্রামের শতকরা ৭০ ভাগ কোর্স সফলভাবে সমাপ্ত করেছেন। মর্মে স্কুলকে নিশ্চিত করতে হবে।
ক্রেডিট ও কোর্স সংখ্যা
CPFP প্রোগ্রামের মোট ক্রেডিট হলো ১৫। প্রতি ক্রেডিট ১৫- ২০টি পাঠ নিয়ে গঠিত এবং প্রতি পাঠ ৪৫ মিনিট থেকে ০১ ঘন্টার একটি লেকচারের সমতুল্য। সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য মোট ০৬টি কোর্স সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হতে হবে।
প্রগ্রামের কোর্স সমুহ
ক্রম
কোর্স কোড
বাংলা নাম
ইংরেজী নাম
ক্রেডিট
১
CPFP ১৩০১
মাৎস্য চাষ
Pisciculture
৩
২
CPFP ১২০২
মাছের পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি
Fish Nutrition and feed Technology
২
৩
CPFP ১৩০৩
সমন্বিত মৎস্য খামার ব্যবস্থাপনা
Integrated Fish Farm Management
৩
৪
CPFP ১২০৪
মাছের রোগ ও প্রতিকার
Fish Diseases and Control
২
৫
CPFP ১৩০৫
মৎস্য হ্যাচারি ব্যবস্থাপনা
Fish Hatchery Management
৩
৬
CPFP ১২০৬
মাৎস্য আহরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ
Harvesting and Processing of Fish
২
মোট ক্রেডিট ১৫
ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া (সকল প্রোগ্রাম)
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রতি বছর দু’বার অর্থাৎ জানুয়ারি-জুন ও জুলাই-ডিসেম্বর টার্মে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় এবং টার্ম শুরুর পূর্বেই বাউবি’র ওয়েবসাইটে ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বাউবি’র ওয়েবসাইটের ঠিকানা হলো www.bou.edu.bd।
আবেদন পত্র সংগ্রহ ও জমাদান
বাউবি কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংকের শাখায় নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিয়ে আঞ্চলিক কেন্দ্র বা উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে অফিস চলাকালীন সময়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আঞ্চলিক কেন্দ্র বা উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করা হবে, সেই কেন্দ্রেই আবেদনপত্রটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে ।
ভর্তির আবেদনপত্রের সাথে প্রার্থীকে নিম্নোক্ত ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে :
* বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত সদ্য উঠানো ০৩ (তিন) কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি।
* শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও নম্বরপত্রের সত্যায়িত কপি।
* চেয়ারম্যান/প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা/সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত চারিত্রিক সনদপত্র।
প্রার্থী ভর্তি
স্কুল অথবা সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি কর্তৃক শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া নির্ধারিত হবে ।
ভর্তি কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সনদপত্রসমূহ যাচাই-বাছাই পূর্বক ভর্তির জন্য মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
নির্ধারিত আসন সংখ্যার বেশি আবেদন জমা পড়লে সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফল এবং সংশ্লিষ্ট পেশাগত অভিজ্ঞতা প্রার্থী নির্বাচনে বিবেচনা করা হবে।
প্রার্থী মনোনয়নের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সূচক পয়েন্ট হবে নিম্নরূপ:
• ভর্তিকৃত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ভর্তির সময়ে একটি নির্দিষ্ট আইডি নম্বর দেয়া হবে যা রেজিস্ট্রেশন নম্বর হিসেবেও বিবেচিত হবে। শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সকল যোগাযোগের জন্য শিক্ষার্থী আইডি নম্বর/রেজিস্ট্রেশন নম্বরের উলেখ থাকতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
• বিভিন্ন ব্যাচে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীবৃন্দকে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টার্মভিত্তিক অগ্রবর্তী/পরবর্তী সিমেস্টারে প্রতি কোর্সের জন্য নির্ধারিত হারে নির্বাচিত ব্যাংকে ফি জমা দিয়ে উহার রশিদ বাউবি’র সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কেন্দ্রে/উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রে জমা প্ৰদান সাপেক্ষে রেজিস্ট্রেশন ফরম ও শিক্ষার্থী কার্ড গ্রহণ করতে হবে।
প্রার্থীকে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণের নিয়ম আঞ্চলিক কেন্দ্র/ উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে জেনে নিতে হবে এবং তদানুযায়ী ফরম পূরণ করতে হবে ।
• পূরণকৃত রেজিস্ট্রেশন ফরমের সাথে প্রার্থীকে নিম্নোক্ত কাগজপত্র জমা প্রদান করতে হবে :
ভর্তির সময় বা পূর্বে রেজিস্ট্রেশনের সময় ইস্যুকৃত শিক্ষার্থী আইডি কার্ডের কপি।
আবেদনপত্রের ক্রমিক সংখ্যা সম্বলিত ফি জমাদানের রশিদ।
ভর্তি/রেজিস্ট্রেশনের পর প্রাপ্য সুবিধাসমূহ
শিক্ষার্থীর ছবি সম্বলিত একটি শিক্ষার্থী আইডি কার্ড। সিমেস্টারভিত্তিক ক্লাশ রুটিন ও কোর্স সামগ্রী
প্রতি কোর্সের TMA প্রশ্নপত্র।
স্টাডি সেন্টারভিত্তিক টিউটোরিয়াল সার্ভিস ।
আঞ্চলিক বা উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র হতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ। নিবন্ধিত কোর্সের পরীক্ষায় একবার অংশগ্রহণ।
সিমেস্টারের নম্বরপত্র/ট্রান্সক্রিপ্ট।
যে সব কারণে শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন/ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে
প্রোগ্রামের মেয়াদকালীন সময়ের মধ্যে সকল কোর্স সফলভাবে শেষ করতে না পারলে;
ভর্তি ফরমে প্রদত্ত তথ্যাবলী মিথ্যা ও সংযুক্ত কাগজপত্র ভূয়া প্রমাণিত হলে;
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থের পরিপন্থী কোন কাজে জড়িত হলে;
শৃঙ্খলা কমিটি কর্তৃক চূড়ান্তভাবে বহিস্কৃত হলে।
কেন্দ্র সমন্বয়কারী নিয়োগ
(i) আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রস্তাবের আলোকে স্কুলের সুপারিশের ভিত্তিতে উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে প্রতিটি স্টাডি সেন্টারের জন্য একজন করে কেন্দ্র সমন্বয়কারী নিয়োগ করা হবে। কেন্দ্র সমন্বয়কারী নিয়োগের ক্ষেত্রে বাউবি নীতিমালা অনুসৃত হবে।
কেন্দ্র সমন্বয়কারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য
(i) সিমেস্টার অনুযায়ী টিউটোরিয়াল ক্লাশ পরিচালনার জন্য কোর্সভিত্তিক টিউটর ও ল্যাব এটেনডেন্ট/ফিল্ডম্যানের তালিকা সম্বলিত প্রস্তাব ক্লাশ শুরুর পূর্বেই তা অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট বাউবি আঞ্চলিক কেন্দ্র/উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রে জমা দিবেন। আঞ্চলিক কেন্দ্র/উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্ৰ এসএসএস বিভাগের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিবেন। (ii) ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী এবং টিউটরদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন এবং
সমাপনী ক্লাসের আয়োজন করা। (iii) ক্লাশ রুটিন অনুসারে টিউটোরিয়াল ক্লাসের সমন্বয় ও সুযোগ-
সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করা। (iv) ব্যবহারিক ক্লাশসমূহে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখার
প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। (v) ক্লাশ রুটিন সিডিউল অনুযায়ী টিউটোরিয়াল ক্লাশসমূহ মনিটর করা।
(vi) নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের নিকট হতে টিএমএ সংগ্রহ ও মূল্যায়নের জন্য টিউটরদের নির্দেশ প্রদান করা।
(vii) টিউটর ও সহায়তাদানকারী স্টাফদের কাজের মূল্যায়নপূর্বক ডীন বরাবর রিপোর্ট প্রদান করা।
(viii) সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনার সকল দায়িত্ব সম্পাদন করা । (ix) পরীক্ষা গ্রহণ ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
(x) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত হারে টিউটরদের প্রাপ্য সম্মানী ও সহায়তাদানকারী স্টাফদের প্রাপ্য বিল আঞ্চলিক পরিচালক বরাবর সুপারিশসহ প্রত্যয়ন করা। (xi) টিউটরদের নিকট হতে প্রাপ্ত সকল কোর্সের TMA নম্বরপত্র
একত্রিত করে যথাসময়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বাউবি বরাবর প্রেরণ করা।
(xii) বিভিন্ন কোর্সের ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সকল কোর্সের নম্বর ফর্দ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(xiii) বিভিন্ন কোর্সের চূড়ান্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দ্রুত উত্তরপত্র যথাযথভাবে প্যাকেট করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা । (xiv) বাউবি কর্তৃক অর্পিত ‘প্রোগ্রাম সংশ্লিষ্ট’ অন্যান্য কাজে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা
টিউটর নিয়োগ
টার্মভিত্তিক প্রত্যেক সিমেস্টারে ন্যূনতম ১৫ (পনের) জন শিক্ষার্থী ভর্তির পরিপ্রেক্ষিতে টার্মভিত্তিক প্রতি সেমিস্টারে প্রতিটি কোর্সের ক্লাস পরিচালনার জন্য নির্বাচিত স্টাডি সেন্টারে (টিউটোরিয়াল কেন্দ্রে) বাউবি কর্তৃক একজন করে টিউটর নিয়োগ দেয়া হবে। তবে ব্যবহারিক ক্লাশ পরিচালনার জন্য টিউটর নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী সংখ্যার কোন বাধ্যবাধকতা থাকবে না ।
টিউটর নিয়োগের ক্ষেত্রে সার্ড ও বাউবি কর্তৃক প্রণীত টিউটর নিয়োগ নীতিমালা অনুসৃত হবে।
টিউটরের দায়িত্ব ও কর্তব্য
(ক) ওরিয়েন্টেশন সমাপনী ক্লাশে উপস্থিত থেকে පි শিক্ষার্থীদেরকে কোর্স বিষয়ক প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান করা ।
(খ) নির্ধারিত ক্লাশ সিডিউল অনুযায়ী তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক টিউটোরিয়াল ক্লাশ পরিচালনা করা ।
(গ) শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে নির্ধারিত সময়ে টিএমএ গ্রহণ ও মূল্যায়ন করে নম্বরপত্র যথাসময়ে কেন্দ্র সমন্বয়কারীর নিকট প্রেরণ করা।
(ঙ) পরীক্ষা পরিচালনায় কেন্দ্র সমন্বয়কারীকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা ।
টিউটোরিয়াল সার্ভিস
স্বশিখন পাঠ সামগ্রীর মাধ্যমে কার্যকর পাঠ গ্রহণ ও অনুশীলনীমূলক কাজে সহায়তা করার জন্য বাউবি কর্তৃক অনুমোদিত নির্ধারিত স্টাডি সেন্টারে প্রত্যেক মাসের নির্ধারিত সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শিক্ষার্থীদের জন্য টিউটোরিয়াল সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে।
টিউটোরিয়াল ক্লাসের সিডিউল স্কুল কর্তৃক নির্ধারিত হবে ।
প্রয়োজনবোধে ক্লাশ রুটিনের বাহিরে যে কোন ছুটির দিন টিউটোরিয়াল ক্লাশ পরিচালনার জন্য স্কুল সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সমন্বয়কারীকে অনুরোধ করতে পারবে।
শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট স্টাডি সেন্টারে টিউটোরিয়াল সার্ভিস চলাকালীন সময়ে পাঠ সমন্ধে সমস্যাসমূহ বুঝে ও সমাধান করে নিতে পারবেন ।
কোনো সিমেস্টারে কোর্সভিত্তিক ন্যূনতম ১৫ (পনের) জন শিক্ষার্থী ভর্তি হলে টিউটোরিয়াল সার্ভিস প্রদান করা হবে। অন্যথায় উক্ত টিউটোরিয়াল কেন্দ্র শুধুমাত্র ব্যবহারিক ক্লাশ পরিচালনা এবং পরীক্ষা গ্রহণের অনুমতি প্রাপ্ত হবে।
কোনো শিক্ষার্থীর কোনো কোর্সের ব্যবহারিক ক্লাশে শতকরা ৭৫ ভাগ উপস্থিতি না থাকলে তাকে ঐ কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে না ।
মিডিয়া প্রোগ্রাম
প্রোগ্রামের কোর্সভিত্তিক মিডিয়া অনুষ্ঠান সার্ভের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বাউবি’র আধুনিক মিডিয়া সেন্টারে ধারণ করা হয়।
সপ্তাহের নির্ধারিত দিনে নির্দিষ্ট সময়ে বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে সার্ভের অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ বেতারে বর্তমানে সপ্তাহের প্রতি বুধবার সন্ধ্যা ৭:০৫ টায় এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনে সকালের অধিবেশনে ৭:৩০ টায় সার্ডের বিভিন্ন প্রোগ্রাম প্রচার করা হয়ে থাকে ।
বিশেষ প্রয়োজনে অনুষ্ঠান প্রচারের সময়সূচী পরিবর্তন হতে পারে ।
শিক্ষার্থী ID নম্বর
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সব রকম যোগাযোগের জন্য শিক্ষার্থী আইডি কার্ডের শিক্ষার্থী নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
কেন্দ্র পরিবর্তন
কেবল বিশেষ কারণে যেমন- চাকুরীতে যোগদান, চাকুরীতে বদলীসহ বাসস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কারণ ও প্রমাণপত্র বিবেচনা সাপেক্ষে কেন্দ্র পরিবর্তন করা যাবে। কেন্দ্র পরিবর্তনের আবেদন সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক/উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রের সুপারিশের ভিত্তিতে বাউবি’র স্টুডেন্ট সাপোর্ট সার্ভিস (এসএসএস) বিভাগ অনুমোদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পরীক্ষা
পরীক্ষার ভাষা
বাংলায় রচিত কোর্সসমূহের জন্য বাংলা অথবা ইংরেজি ভাষায় পরীক্ষা দেয়া যাবে।
ইংরেজিতে রচিত কোর্সসমূহে অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় পরীক্ষা দিতে হবে।
কোর্সভিত্তিক পরীক্ষার নম্বর বন্টন
প্রতিটি কোর্সের ১০০ (একশত) নম্বরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক ।
যেসব কোর্সের ব্যবহারিক আছে সেসব কোর্সের নম্বর বন্টন হলো নিম্নরূপ-
লিখিত : ৭০ নম্বর
ব্যবহারিক : ২০ নম্বর
টিএমএ (২টি) : ৫×২=১০ নম্বর
যেসব কোর্সের ব্যবহারিক নেই সেসব কোর্সের নম্বর বন্টন হলো নিম্নরূপ-
লিখিত : ৯০ নম্বর
টিএমএ (২টি) : ৫×২=১০ নম্বর
Tutor’s Marked Assignment (TMA)
উন্মুক্ত শিক্ষায় এসাইনমেন্ট প্রস্তুত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাউবি’র সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কেন্দ্র/উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র হতে সাধারণত কোর্স বই বিতরণের সময় একই সাথে TMA প্রশ্নপত্রও বিতরণ করা হয়। এছাড়া বাউবি’র ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
TMA এর প্রশ্নগুলো মূলতঃ বিশ্লেষণধর্মী হয়ে থাকে। এর যথাযথ প্রস্তুতিতে শিক্ষার্থীর Brain Storming এর সুযোগ থাকবে যা শিক্ষার্থীদেরকে পাঠে আরও মনোযোগী হতে এবং অধিক নম্বর পেতে সাহায্য করবে। প্রতিটি কোর্সের TMA-এর জন্য ১০ (দশ) নম্বর বরাদ্দ আছে।
TMA-01-এর জন্য ০৫ নম্বর এবং TMA-02-এর জন্য ০৫ নম্বর থাকে । তাই টিএমএ জমা না দিলে শিক্ষার্থীবৃন্দ শুধু নম্বর থেকেই বঞ্চিত হবেন না বরং ঐ কোসের্র TMA তে অনুপস্থিতির কারণে তাকে অকৃতকার্য ঘোষণা করা হবে।
তাই নির্ধারিত টিউটোরিয়াল কেন্দ্রের কোর্স টিউটরের নিকট নির্ধারিত সময়ে সিমেস্টারভিত্তিক প্রতি কোর্সের জন্য TMA – 01 ও TMA-02 পৃথক পৃথকভাবে তৈরি করে জমা প্রদান করতে হবে অর্থাৎ টিএমএ তৈরি করে জমা প্রদান বাধ্যতামূলক।
শিক্ষার্থী কর্তৃক টিএমএ জমা দেয়ার প্রমাণপত্রে সংশ্লিষ্ট টিউটর স্বাক্ষর প্রদান করবেন। পুনঃপরীক্ষার্থীদেরকেও একইভাবে পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রতিটি কোর্সের টিএমএ আলাদা আলাদাভাবে তৈরি করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোর্স টিউটরের নিকট জমা দিতে হবে ।
পরীক্ষার কেন্দ্র ও সময়সূচি
সাধারণত অনুমোদিত স্টাডি সেন্টারই হবে পরীক্ষা কেন্দ্র। তবে কোন কারণে সংশ্লিষ্ট স্টাডি সেন্টারে পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব না হলে পরিবর্তিত পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম ও ঠিকানা পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের যথাসময়ে জানিয়ে দেয়া হবে।
পরীক্ষার সময়সূচি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কেন্দ্র/উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র, স্টাডি সেন্টারে জানিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া বাউবি’র ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা
রেজিস্ট্রেশন মেয়াদ থাকা;
নির্ধারিত ফি জমা প্রদান করা;
তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক ক্লাশে উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকা;
শৃঙ্খলা কমিটি কর্তৃক চূড়ান্তভাবে বহিস্কৃত বা অযোগ্য না হওয়া ।
গ্রেস মার্ক
(ক) কোনো সিমেস্টারে কোনো শিক্ষার্থী ১টি কোর্সে অকৃতকার্য হলে তাকে সর্বোচ্চ ৫ নম্বর (৫ নম্বর×১=৫), ২টি কোর্সে অকৃতকার্য হলে তাকে সর্বোচ্চ ৪ নম্বর (২ নম্বর x ২ = ৪) এবং ৩টি কোর্সে অকৃতকার্য হলে তাকে সর্বোচ্চ ৩ নম্বর (১ নম্বর×৩=৩) গ্রেস প্রদান করা হবে।
(খ) যদি কোনো সিমেস্টারে কোনো শিক্ষার্থীর কোনো কোর্সে/কোর্সসমূহে ০১ (এক) নম্বরের জন্য লেটার গ্রেড বা গ্রেডিং পয়েন্ট কমে যায় তবে প্রতি কোর্সে ০১ (এক) নম্বর করে অটো গ্রেস প্রদান করা হবে ।
গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ (GPA) বা গড় মান নির্দেশক
শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রতিটি কোর্সের লেটার গ্রেড ও গ্রেড পয়েন্ট নিম্নে উল্লেখিত ছকানুসারে হিসাব করা হবেঃ
CGPA নির্ণয়ের সূত্র
শিক্ষার্থী কর্তৃক সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের নির্ধারিত কোর্সসমূহ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর নিম্নে বর্ণিত সূত্রের সাহায্যে সিজিপিএ (CGPA = Cumulative Grade Point Average) নির্ণয় করে শিক্ষার্থীদের সর্বশেষ চূড়াড় ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
সিজিপিএ = (ক্রেডিট× জিপি) এর সমষ্টি
————————————————————–
ক্রেডিটের সমষ্টি
পরীক্ষার ফলাফল
পরীক্ষা শেষ হবার পর ন্যূনতম সময়ের মধ্যে পরীক্ষা বিভাগ হতে প্রকাশিত ফলাফল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কেন্দ্র বা উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট স্টাডি সেন্টারে উক্ত ফলাফল প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।
পরীক্ষার্থীবৃন্দকে ভর্তিকৃত স্টাডি সেন্টার হতে ফলাফল সংগ্রহ করতে হবে।
প্রকাশিত ফলাফলের ব্যাপারে কোন অভিযোগ থাকলে তা লিখিত আকারে পরীক্ষা বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (সাধারণতঃ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের তারিখ হতে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর জানাতে হবে।
শৃঙ্খলা কমিটি
কেন্দ্রীয়ভাবে গঠিত শৃঙ্খলা কমিটি পরীক্ষা সংক্রান্ত অপরাধ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক সমুদয় কার্য পরিচালনা করবে।
প্রশংসাপত্র
প্রোগ্রামভিত্তিক সবগুলো কোর্সে উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রশংসাপত্র পেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে বাউবি নির্বাচিত ব্যাংকে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ডীন, সার্ড বরাবর প্রশংসাপত্রের জন্য সাদা কাগজে আবেদন করতে হবে। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে ডীন সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে প্রশংসাপত্র প্রদান করবেন।
ট্রান্সক্রিপ্ট
সিমেস্টার ট্রান্সক্রিপ্ট
সিমেস্টারভিত্তিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর নির্দিষ্ট ফি জমা সােেক্ষ পরীক্ষা বিভাগ কর্তৃক একটি সিমেষ্টার মার্কশীট দেয়া হবে ।
প্রোগ্রাম ট্রান্সক্রিপ্ট
প্রোগ্রামভিত্তিক সকল ক্রেডিট সম্পন্ন করার পর ঐ প্রোগ্রামের একটি পূর্ণাঙ্গ ট্রান্সক্রিপ্ট দেয়া হবে যা পরীক্ষা বিভাগ সরবরাহ করবে। তবে প্রোগ্রাম ট্রান্সক্রিপ্টের জন্য নির্ধারিত ফি নির্বাচিত ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
কোর্স ও অন্যান্য ফি*
সাময়িক সনদপত্র
কৃতিত্বের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের সকল কোর্স সম্পন্ন করার পর পরীক্ষা বিভাগ কর্তৃক একটি সাময়িক সনদপত্র প্রদান করা হবে। সাময়িক সনদপত্রের জন্য নির্ধারিত ফি নির্বাচিত ব্যাংকে জমা দিতে হবে। তবে, মূল সনদপত্র গ্রহণের পূর্বে সাময়িক সনদপত্র অবশ্যই ফেরত দিতে হবে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠান
স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর লেভেলের প্রোগ্রাম সম্পন্নকারীদের মূল সনদপত্র প্রদানের লক্ষ্যে বাউবি কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের গ্রাজুয়েটবৃন্দ সমাবর্তনের নির্দিষ্ট ফি জমা দিলে তাদেরকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে ।
প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও যোগাযোগ ঃ
এছাড়াও প্রয়োজনে নিম্ন ঠিকানায় যোগাযোগ করা যাবে :
ডীন কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর-১৭০৫।
কৃষি শিক্ষা ১ম পত্র সূচিপত্র। এই বিষয়টি “বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়” এর উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের একটি বিষয় যার কোড ১৮৮৯। এদেশের শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ তাদের জীবন ও জীবিকার জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। শুধু মানুষ নয়, সমস্ত গবাদি পশুর খাদ্য আসে কৃষি থেকে। জাতীয় আয়ের প্রায় ১৬ ভাগ আসে কৃষি থেকে। দেশের বৃহত্তর শিল্পগুলোও কৃষির উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল। ফসল, গবাদি পশু, পোল্টি্র, মৎস্য ও বনরাজি ইত্যাদি ক্ষেত্র নিয়ে বি¯ৃÍত বাংলাদেশের কৃষি।
কৃষি তথ্য ও সেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান, বিদ্যালয়, ইনস্টিটিউট, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, এনজিও এবং বিভিন্ন কৃষি উপকরন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
এছাড়াও কৃষি তথ্য ও সেবা প্রাপ্তির উৎস হিসেবে অভিজ্ঞ কৃষক/কৃষানী, কৃষক সভা, উঠোন বৈঠক এবং কৃষক বিদ্যালয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জাতীয় জীবনে সামাজিক পরিবর্তন ও সর্ববিধ উন্নতির মূলে কৃষি উন্নয়নের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই আমাদের কৃষির সার্বিক সমস্যা সমাধান করে সামাজিক পরিবর্তন ও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ ইউনিটে বাংলাদেশের কৃষির ক্ষেত্রসমূহ, সামাজিক বনায়ন, কৃষি’ তথ্য সেবা প্রাপ্তিতে কৃষক, বিদ্যালয়, ইনস্টিটিউট, ই—কৃষি ইন্টারনেট, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কৃষি’ তথ্য সার্ভিস ও কৃষি সম্প্রসারণ, এনজিও ও কৃষি উপকরণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ [ Biofloc Technology Fish Farming ]
মৃত্তিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবী সৃষ্টির পর উত্তপ্ত গলিত পদার্থ ক্রমশ ঠান্ডা হয়ে কঠিন শিলার সৃষ্টি হয়। এ সব কঠিন শিলা লক্ষ লক্ষ বছর ধরে তাপ, চাপ, শৈত্য, বায়ু প্রবাহ ইত্যাদি শক্তির প্রভাবে ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পদার্থের সৃষ্টি করে। এরাই মৃত্তিকা গঠনের উৎস বস্তু (Parent material)। এদের সাথে বিভিন্ন জীবজন্তু ও উদ্ভিদের দেহাবশেষের সংমিশ্রণে মৃত্তিকার সৃষ্টি হয়। মৃত্তিকা সৃষ্টিকারী উৎস বস্তুর ধর্ম এবং জলাবায়ুর উপাদানসমূহের প্রভাবের ওপর মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য অনেকাংশে নির্ভরশীল।
মৃত্তিকা উদ্ভিদ ও প্রাণীর খাদ্য উৎপাদনের প্রাকৃতিক মাধ্যম। খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ ও ধরন মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্যের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। সেজন্য বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ফসল উদ্ভিদের প্রাধান্য দেখা যায়। খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যম হিসাবে মৃত্তিকার কোন উপযুক্ত বিকল্প নেই। তাই উৎপাদনের মাধ্যম হিসেবে মৃত্তিকা ব্যবহারের পূর্বে একে ভালোভাবে জানা আবশ্যক। এ ইউনিটে মৃত্তিকা সম্পর্কে ধারণা, মৃত্তিকা গঠনকারী উপাদান, শিলা ও শিলাক্ষয়, মৃত্তিকা গঠন প্রক্রিয়া এবং মৃত্তিকার পার্শ্বচিত্র নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
বীজ ও বীজ প্রযুক্তি সূচিপত্র। এই পাঠটি “বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়” এর “কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল” এর “বীজ ও বীজ প্রযুক্তি সূচিপত্র” কোর্স যার কোড ১১০২।
ফসল উৎপাদনে বীজ একটি মৌলিক উপকরণ। কারণ বীজ কেবল ফলন বৃদ্ধিই নয় ফসলের মান উন্নয়ন, কীট-পতঙ্গ ও রোগ প্রতিরোপ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নিদিষ্ট ভূ-প্রাকৃতিক অবম্ছায় জন্মানোর উপযোগীতা নিয়ন্ত্রণ করে। বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া ফসল উৎপাদনের তানুকুল হওয়া সেও এখানে প্রপান খাদ্যশস্য যেমনপান, গম, গোল আলু মিষ্টি আলু তৈল ও ডাল বীজের হেক্টর অপ্রতুলতা এবং কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির অভাব। হেক্টরপ্রতি ফলন বৃদ্ধি এবং চাহিদা মোতাবেক উৎপাদন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভালো বীজ ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।
আর ভালো বীজ বাংলাদেশে বর্তমানে কমবেশি ৭০টি ফসলের চাষ হচ্ছে এবং এসব ফসল চাষ করার জন্য বছরে প্রায় ৭ লক্ষ টন বীজের প্রয়োজন হয় যার মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। ৭০টি ফসলের মধ্য রেবল ধান, গম, পাট, আলু কিছু সবজি, ডাল ও তৈলবীজ সরকারী ব্যবস্হাপনায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
কৃষি শিক্ষা ২য় পত্র বিষয় টি “বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়” এর উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের একটি বিষয়। এর বিষয় কোড কোড ২৮৮৯। এই বিষয়ে মৎস্য চাষ, চিংড়ি চাষ, মাছ ও চিংড়ির খাদ্য, মাছ ও চিংড়ির রোগ ও রোগ ব্যবস্থাপনা, মাছ ও চিংড়ি সংরক্ষণ, পোলট্রির বিভিন্ন জাতি এবং জাত, পোলট্রি খামারের পরিকল্পনা, পোলট্রির ডিম ফোটানো ও বাচ্চা উৎপাদন, মুরগি পালন, কোয়েল, হাঁস, রাজহাঁস ও কবুতর পালন পদ্ধতি, প্রাণি সম্পদ, গবাদি প্রাণি পালন, গবাদি প্রাণির রোগ ব্যবস্থাপনা, দুগ্ধ খামার ব্যবস্থাপনা, বনায়ন, কৃষি ও বৃক্ষ মেলা, কৃষি অর্থনীতি, কৃষি ঋণ ও সমবায় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবহমানকাল থেকেই এদেশের মানুষের ইতিহাস ঐতিহ্যের অংশ হয়ে আছে মাছ। আর এজন্যই বলা হয় “মাছে ভাতে বাঙালী। বিপুল জলসম্পদের এই দেশে অগনিত মানুষ মৎস্য আহরণ, চাষ ও বেচা—বিক্রিসহ এ সংক্রান্ত নানা কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়োজিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে প্রাণীজ আমিষের উত্তম উৎস হিসেবে মাছের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বৈদেশিক মুদ্রার্জনের পাশাপাশি মৎস্য চাষ করে অনেক বেকার যুবকযুবতী স্বাবলম্বী হচ্ছে।
দেশের আর্থ—সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ত্বরাম্বিত হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার মৎস্য খাতের সার্বিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনাগত উৎকর্ষতা সাধনের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। সময়োপযোগী ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছসহ অন্যান্য জলসম্পদের উৎপাদন বাড়াতে নেওয়া হয়েছে নানা কার্যকর উদ্যোগ। ফলে দেশের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৪—১৫ অর্থবছরে ৩৬ লক্ষ ৮৪ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনা সরকারের সুযোগ্য নেতৃত্বে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ গভীর সমুদ্রে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকার মালিকানা অর্জন করেছে। এখন জাতিসংঘ ঘোষিত “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এস.ডি.জি)” অর্জনে অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের পাশাপাশি সামুদ্রিক বিশাল জলজসম্পদকে সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগাতে হবে।